এসএসসি(ভোকেশনাল) - মেকানিক্যাল ড্রাফটিং উইথ ক্যাড-২ - দ্বিতীয় পত্র (দশম শ্রেণি) | NCTB BOOK

টুলের উপর ভিত্তি করে উচ্চ গতির সারফেস টুলপাথের জন্য কাটিং এবং লিঞ্চিং প্যারামিটার নির্বাচন করা হয়। ডিফল্ট ফাইলে ডিফল্ট মান সংরক্ষণ থাকে। তুমি একটি টুল নির্বাচন করার সাথে সাথে অনেক ডিফল্ট সান ওভাররাইট হয়ে যাবে। উক্ত নান যাহাতে পরিবর্তন না হয় তার জন্য নিম্নলিখিত ধাপ অনুসরণ কর।

১। ফিল্ড ও স্পীড : মাষ্টার ক্যামে ডিফল্ট ফিড ও স্পীড রেইট থাকে। তুমি ডিফল্ট ফিড ও স্পীড রেইট নির্বাচন কর। 

২। কুলেন্ট : যে কোনো অপারেশনের জন্য ও প্রত্যেকটি মেশিনে সংজ্ঞায়িত করা আছে। তুমি যদি কুলেন্ট এর ডিফল্ট মানগুলি পরিবর্তন করতে চাও তাহলে সাবধানে কাষ্টমাইজ করতে পার। 

৩। বিবিধ ভেল্যু : মাষ্টারক্যাম তোমাকে নিজস্ব কাস্টম ভেরিয়েবল করার সুযোগ আছে। বিবিধ ভ্যাল্যু ডায়ালগ বক্সে টুলপাথ তৈরি করার সময় উরু ভেরিয়েবলগুলির মান পরিবর্তন করা যায়।

স্টক সেট -আপ করাঃ

স্টক সেটআপ এর মাধ্যমে লেদ অপারেশন করার সময় কোন অব লেদ মেশিনের চাক, ক্লিয়ারেন্স ও জবের দৈর্ঘ্য নিয়ে কি পরিমান ওয়ার্কপিডের দৈর্ঘ্য হবে তা নির্ধারন করা হয়।

নিম্নে স্টক সেটআপ প্রসিডিষ্ঠর নিয়ে আলোচনা করা হলো-

  • ড্র ২ডি সেইপ (লেদ মেশিন)
  •  সিলেক্ট মেশিন টাইপ 
  • সিলেন্ট লেদ
  • ক্লিক ডিফল্ট 
  • অপারেশন ম্যানেজার হইতে ক্লিক প্রোপার্টিজ
  • ক্লিক স্টক সেটআপ
  • ক্লিক স্টক প্রোপার্টিজ - 
  • ক্লিক মেইক টু পয়েন্ট
  • আউটসাইড ভ্যালু ইনপুট করা 
  • স্টক এর দৈর্ঘ্য ইনপুট দাও। 
  • ওকে দাও 
  • চাক জ প্রোপার্টিজ ক্লিক করো। 
  • মেইক টু পয়েন্ট অথবা ক্লিক ফরম স্টক
  • যখন দুটি পয়েন্ট ব্যবহার করা হয়, তখন X এবং Z মান পরিবর্তন হবে
  • ক্লিক ওকে (ok) 
  • ক্লিক ওকে (ok)

 

বিভিন্ন প্রকার টুলপাথের ব্যবহার

পেদ বা সিন্সিং মেশিনে টুলের চলার পথ। সিএনসি লেদ মেশিন ও সিএনসি সিন্সিং মেশিনের টুথপাথ ভিন্নতর। নিয়ে সিএনসি লেদ মেশিনের টুলপাথ নিয়ে আলোচনা করা হলো-

১। ক্লিক মেশিন টাইপ 

২। ক্লিক লেদ মেশিন ডিফল্ট 

৩। ক্লিক টুলপাথ 

৪। সিএনসি মেশিনের বিভিন্ন অপারেশন করার জন্য ধাপে ধাপে অপারেশন সিলেক্ট করো। 

৫। প্রথমে ফেইস অপারেশন সিলেক্ট করো। 

৬। নতুন এনসি নাম পাও 

৭। ক্লিক ওকে (ok)

 

রাফিং অপারেশন

  • সিলেক্ট টুলপাথ 
  • সিলেক্ট রাফ 
  • টুলপাথ যে পাথ দিয়ে চলবে তা সিলেক্ট করো। 
  • যদি রিভার্স ডিরেকশন করতে হয় তা নির্বাচন করো। 
  • ক্লিক পার্সিয়াল 
  • ক্লিক ওকে 
  • টুল নাম্বার সেট করো। 
  • অফসেট নাম্বার সেট করো। 
  • স্টেশন নাম্বার সেট করো। 
  • ফিড রেইট দাও। 
  • স্পিন্ডল স্পিড দাও। 
  • সবোর্চ্চ স্পিল স্পিড সেট করো। 
  • কুলেন্ট অন করো। 
  • ওকে প্রেস করো।

ফিনিসিং অপারেশন

  • সিলেক্ট টুলপাথ 
  • সিলেন্ট ফিনিশ 
  • টুলপাথ যে পাথ দিয়ে চলবে তা সিলেক্ট করো। 
  • যদি রিভার্স ডিরেকশন করতে হয় তা নির্বাচন করো। 
  • ক্লিক পার্সিয়াল করো। 
  • ক্লিক ওকে করো। 
  • টুল নাম্বার সেট করো।
  • অফসেট নাম্বার সেট করো। 
  • স্টেশন নাম্বার সেট করো। 
  • ফিড রেইট দাও। 
  • স্পিন্ডল স্পিড দাও । 
  • সবোর্চ্চ স্পিন্ডল স্পিড সেট করো। 
  • কুলেন্ট অন করো। 
  • ওকে প্রেস করো।

৪। এনসি প্রোগ্রাম তৈরি করা-

  • মাস্টার ক্যাম অপারেশনে সকল অপারেশন যেমন- ফেসিং, রাফ, ফিনিস, গ্রোভ, পাটিং, থ্রেডিং ইত্যাদি শেষ করার পর সকল অপারেশন সিলেক্ট করতে হবে।
  • সিলেন্ট ভেরিফাই। 
  • সিলেক্ট আইসোমেট্রিক ভিট 
  • সিলেক্ট পোষ্ট সিলেক্টেড অপারেশন 
  • ক্লিক ওকে 
  • যথাযথ ফাইল ফরমেটে ফাইলটি সেইভ করো। 
  • স্বংয়ক্রিয়ভাবে এনসি কোড জেনারেট হবে। 
  • এনসি কোডটি সংরক্ষণ ও এডিট এর জন্য সেইভ করো।

রেফারেন্স পয়েন্ট তৈরি করাঃ ক্যাম এর জিরো পয়েন্টকে রেফারেন্স পয়েন্ট বলে। সিএনসি মেশিনকে স্টার্ট করে চালু করলে যতক্ষন পর্যন্ত তার রেফারেন্স পয়েন্ট পরিচয় করে দেওয়া হবে না ততক্ষণ মেশিনের কোনো কমান্ড কাজ করবে না। ফলে হ্যান্ড ও জগ মুডে মেশিনকে নিম্নরূপ উপায়ে রেফারেন্স পয়েন্ট চিনিয়ে দিতে হয় ।

সিএনসি লেদ মেশিনেকে X - 100/250Z- - ১০০/১৫০ হ্যান্ড মুডে এনে জন্ম > রেফারেন্স - X*3 Z ব্যবহার করে রেফারেন্স পয়েন্ট এ নিয়ে আসতে হবে।

ড্রাই স্নান বা ফুল্যান্ট বিহীন অবস্থার কাটিং টুল পরিচালনাঃ কুল্যান্ট মানে ঠান্ডা করার তরল কোন একটি পদার্থ। সিএনসি বা এনসি মেশিন চালনা করার সময় সকল কাটিং টুলস কুল্যান্ট ব্যবহার করে থাকে। এতে জৰ এবং কাটিং টুলস উভয়ই দীর্ঘ দিন টিকে থাকে। তবে কিছু জৰ কাটিং করার সময় কাটিং টুলস কুল্যান্ট ব্যবহার করেনা। তখন কুল্যান্ট ছাড়াই কাটিং টুলস সিএনসি বা এনসি মেশিনে রান করে থাকে, যাকে আমরা ড্রাই রান বলে থাকি।

৮। সিমুলেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রোগ্রাম এডিট করাঃ কোন প্রোগ্রামকে সিমুলেশন করার কারন হলে উক্ত প্রোগ্রামের সঠিকতা যাচাই-বাছাই করা। মানে সিমুলেশন দ্বারা কোন প্রোগ্রামের সঠিকতা বা এর গ্রহনযোগ্যতা যাচাই-বাছাই করা হয়ে থাকে।

মনে করি আমরা সলিডওয়ার্কস এর মাধ্যমে নিচের চিত্রের ন্যায় একটি ডিভাইস তৈরি করবো। সেক্ষেত্রে ডিভাইসটি তৈরির করার পরে আমরা উক্ত ডিভাইসটি সিমুলেশনে ওপেন করবো এবং এরপরে ডিভাইসের উপর আনুমানিক ৫০০ কেজি লোড প্রদান করবো। তাহলে দেখা যাবে, ডিভাইসের যেখান থেকে এই লোড বহন করতে পারবেনা সেখান থেকে পান চিহ্ন দেখাচ্ছে। এ থেকে আমরা বুঝতে পারবো কোথায় কোথায় আমাদের ডিজাইনের পরিবর্তন করতে হবে।

 

 

Content added || updated By