এসএসসি(ভোকেশনাল) - মেকানিক্যাল ড্রাফটিং উইথ ক্যাড-১ - প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি) | NCTB BOOK

 

Content added By

সুচনা (Introduction)

যেকোনো বস্তু বা ধারনাকে সরাসরি দেখে বা নিজের কল্পনায় নিয়ে এসে ড্রইং শীট, ট্রেসিং পেপার, কাপড়, বোর্ড ইত্যাদিতে উপস্থাপন করার কৌশলই ড্রইং নামে অভিহিত। বিভিন্ন প্রকার রেখা, কোণ, ত্রিভুজ, চতুৰ্ভুজ, বুধ, বৃত্তচাপ, ও অন্যান্য জ্যামিতিক প্রতীক বা চিত্রের সমন্বয়ে ও ফাশিত মাপে বসিয়ে যে ড্রইং অংকিত করা হয় তাকে জিওমেট্রিক্যাল ড্রইং বলে। জিওমেট্রিক্যাল ড্রইং মূলত রেখাভিত্তিক ড্রইং। রেখাভিত্তিক চিত্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- সরলরেখা, বক্ররেখা, সমান্তরাল রেখা, লঘু, সমকোণ, সুক্ষ্মকোণ, স্থূলকোণ, বিভিন্ন প্রকার ত্রিভুজ, চতুর্থ এবং বৃত্ত অন্যতম ।

এ অধ্যায় পাঠ শেষে আমরা-

১. (OSH) অনুসরণ করতে পারব।

২. এ্যালফাবেটস অব লাইনস, অক্ষর ও সংখ্যা ড্রইং করতে পারব।

৩. জ্যামিতিক ড্রইং করতে পারব।

৪. ড্রইং প্রতীক, পরিমাপ, সরফেস ফিনিস ও ফ্রি হ্যান্ড স্কেচ করতে পারব

৫. টুলস ও সরঞ্জামাদি পরিষ্কার এবং যথাস্থানে সংরক্ষণ করতে পারব ।

উপর্যুক্ত শিখনফল অর্জনের লক্ষে এই অধ্যায়ে আমরা ছয়টি জব সম্পন্ন করব। এ জবের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ড্রাফটিং কাজে OSHনীতি অনুসরণ পূর্বক রেখা, কোণ, ত্রিভুজ, চতুভূর্জ এবং বহুভুজসহ বৃত্ত এবং উপবৃত্তের জিওমেটিক্যাল ড্রইং অংকনে দক্ষতা অর্জন করবো। জ্যগুলো সম্পন্ন করার পূর্বে প্রথমেই প্রয়োজনীয় তাত্ত্বিক বিষয়সমূহ জানবো ।

 

 

Content added By

ড্রইং শীটের লে-আউট Drawing Paper Layout)

ড্রইং শীটের লে-আউট বলতে বুঝায় কতকগুলো সুসামস্য লাইনের বিন্যাস বা সাজানো। একটি ড্রইং শীটে সুন্দর, সুষম ও পরিছন্ন লে-আউটের উপর ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রইং-এর সৌন্দর্য ও সার্থকতা নির্ভর করে। মানানসই ফেলে ড্রইং শীটে বিভিন্ন ভিউগুলো সুসামঞ্জস্যভাবে স্থাপন করতে হবে। বর্ডার লাইন, মার্জিন, টাইটেল ব্লক, পার্টস লিস্ট, রিভিশন প্যানেল, স্কেল, ড্রইং নম্বর, পীচ নম্বর, ফোল্ডিং মার্ক ইত্যাদি প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো সুবিন্যস্ত করে লে-আউট এর কাজ শেষ করতে হবে। লে-আউট সমাপ্তির পর মূল ড্রইং এ হাত দিতে হবে।

ড্রইং শীটে লে-আউটের পূর্বে লে- জাউট সম্পর্কিত কিছু তথ্য যেমন- মার্কিন, টাইটেল ব্লক, পার্টস লিস্ট, রিভিশন প্যানেল, স্কেল, ড্রইং নম্বর, শীট নম্বর, ফোল্ডিং মার্ক সম্বন্ধে জানা দরকার।

মার্জিন (Margin)

ড্রইং শীটকে নির্দিষ্ট সাইজে রাখার জন্য চতুর্দিকে যে জায়গা ছেড়ে অংকন করা হয় তাকে মার্জিন বলে। ফাইলে গাঁথার জন্য অন্য তিন দিক অপেক্ষা বাম দিকে বেশি জায়গা ছাড়া হয়। বিভিন্ন শীটের ক্ষেত্রে মার্জিন ছাড়ার নিয়ম নিচে দেয়া হলো-

A০ বামে ও ডানে ২৮ মিমি. এবং উপরে-নিচে ২০ মিমি. 

A১ বামে ও ডানে ২০ মিমি এবং উপরে-নিচে ১৪ মিমি. 

A২ বামে ও ডানে ১৪ মিমি. এবং উপরে-নিচে ১০ মিমি. 

A৩ বামে ও ডানে ১০ মিমি. এবং উপরে-নিচে ৭ মিমি. এবং

A৪ বামে ও ডানে ৭ মিসি, এবং উপরে-নিচে ৫ মিমি.।

 

ফোল্ডিং মার্ক (Folding Mark)

ড্রইং পেপারকে ফাইলে রাখার সুবিধার্থে শীটের চারপাশে সম দূরত্বে ভাঁজ চিহ্ন দেওয়া হয়। একে ফোল্ডিং মার্ক বলে। এই ভাঁজ চিহ্ন অনুসরণ পূর্বক পরবর্তীতে শীট ভাঁজ করে ফাইলে রাখা সহজ হয়। A0-A৩ থেকে সাইজের শীটের ভাঁজ দুই পদ্ধতিতে করা হয়।

নিচে টেবিলে ভাঁজের মাপগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে।

ড্রইং শীটের বিভিন্ন প্রকার সাইজ

জ্যামিতিক অংকনের প্রয়োজনীয় উপকরণগুলোর মধ্যে ড্রইং শীট অন্যতম। গুণগত বিচারে বেশ কয়েক ধরনের ড্রইং শীট বাজারে পাওয়া যায়। এগুলোর নির্দিষ্ট মাপ ও মান আছে। সুন্দর অংকনের জন্য ঝকঝকে, সাদা, মোটা অথচ মসৃণ কাগজ ব্যবহার করা যায়। অপরদিকে খসরা বা রাফ ড্রইং এর জন্য অপেক্ষাকৃত নিম্ন মানের কাগজ ব্যবহার করা যেতে পারে। ট্রেসিং বা কপি করার জন্য আধা স্বচ্ছ ও আলোকভেদী পাতলা ট্রেসিং পেপার ব্যবহার করা হয়। এগুলো রোল হিসেবে বাজারে পাওয়া যায়। এগুলো চওড়ায় ৪০ ইঞ্চি এবং লম্বায় ২০ গজ পর্যন্ত হয়ে থাকে।

ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর স্ট্যান্ডার্ডস (ISO) কতৃক নির্ধারিত বিভিন্ন সাইজেরা ড্রইং পেপার-এর একটি তালিকা নিচে দেওয়া হলো-

উপরের তালিকায় A0 থেকে A৫ সাইজের পেপার দেখানো হয়েছে। পরের পৃষ্ঠায় সিরিজ পেপারের নমুনা দেখানো হলো।

 

৩.৩ নং টেবিলে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর স্ট্যান্ডার্ড (ISO) কর্তৃক নির্ধারিত তিনটি সিরিজের পেপার সাইজ দেখানো হয়েছে।

 

৩.ও নং টেবিলে ANSI (American National Standard Institute) কর্তৃক নির্ধারিত আটটি সিরিজের পেপার সাইজ দেখানো হয়েছে।

উপরের টেবিলে পেপার সাইজAH তালিকা দেখলে বুঝা যায় যে, A এর উচ্চতা B এর বেস বা ভূমি। এভাবে C এর উচ্চতা D এর ভূমি। নিচে A-E পর্যন্ত একটি লে-আউট দেখানো হলো।

 

৩.৫ নং চিত্রে A-E পর্যন্ত পেপার সাইজ লে-আউট দেখানো হলো-

ছবিগুলি দেখে তোমাদের কী মনে হচ্ছে? প্রাকটিশনে জিওমেট্রিক্যাল ড্রইং করার পরিবেশ আছে কী? ছবি দেখেই বুঝতে পারছ ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশে কাজ করার আগে ও পরে কীভাবে নিজেকে নিরাপদ রাখতে হবে।

 

ড্রইং টেবিলে শীট স্থাপন কৌশল (Drawing Sheet Setup Technique)

ড্রইং টেবিলে ড্রইং শীট স্থাপনের লক্ষে নিম্নোক্ত কৌশল অবলম্বন করতে হবে-

  • ড্রইং বোর্ডের দৈর্ঘ্য বরাবর শীটের লম্বা দিকটি বোর্ডের কিনারার সাথে সমান্তরাল রাখতে হবে।
  • বোর্ডের উপর এবং নিচের কিনারার সাথে প্রায় সম দূরত্বে শীটটি স্থাপন করতে হবে।
  • টী-স্কয়ারকে শীটের উপর রেখে পেপারের কিনারার সাথে সমান্তরাল করে এক লাইনে নিয়ে আসতে হবে।
  • টী-স্কয়ার স্টক থেকে ২৫-৫০ মিমি. দূরে শীটের বাম প্রান্ত স্থাপন করতে হবে।
  • শীটের উপরের দিকে দু'প্রান্তে বোর্ড পিন বা ক্লিপ বা সেলো টেপ দিয়ে আটকাতে হবে।
  • অনুরূপভাবে, শীটের নিচের দুই প্রান্ত আটকালে ড্রইং টেবিলে শীট স্থাপন কাজ শেষ হবে।

বর্ডার লাইন (Border Line )

বর্ডার লাইন হলো ড্রইং শীটের চতুর্পাশে মার্জিন লাইনের কিছুটা ভিতরে অবস্থিত অপেক্ষাকৃত মোটা গাঢ় একক লাইন। বর্ডার লাইনের ভিতরে কিছুটা ছেড়ে মূল ড্রইং করতে হয়। কেবলমাত্র টাইটেল ব্লকটি বর্ডার লাইনের সাথে লাগানো থাকে।

 

টাইটেল দ্বীপ (Title Strip) ও রেকর্ডিং স্ক্রীপ (Recording Strip)

টাইটেল দ্বীপ (Title Strip):

টাইটেল স্ট্রাপ ড্রইং শীটের একটি অপরিহার্য অংশ। ড্রইং শীটের ডানে নিচে এর অবস্থান। বড়ো শীটের জন্য টাইটেল স্ট্রীপের মাপ ১৮৫ মিমি. x ৬৫ মিমি. এবং ছোটো শীটের জন্য এই মাপ ১২০ মিমি. x ৫৫ মিমি.। নিচের চিত্রে টাইটেল স্ট্রীপের একটি নমুনা দেখানো হলো-

টাইটেল স্মীপে বা ব্লকে যে সকল বিষয় লিপিবদ্ধ করতে হয় তা হলো-

১) Name of the Firm; 

২) Title of the drawing; 

৩) Scale; 

৪) Symbol for the method of projection; 

৫) Drawing number; 

৬) Initial with dates of persons who have designed, drawn, checked, standards and approved; 

৭) No. of sheet and total number of sheet of the drawing of the object.

 

রেকর্ডিং দ্বীপ (Recording Strip )

রেকর্ডিং স্ক্রীপ রিভিসন ব্লক নামে পরিচিত। ড্রইং শীটের একাংশ রিভিসনের উদ্দেশ্যে রাখা হয়। Ao,A,As ইত্যাদি বড়ো সাইজের শীটের আয়তনকে কয়েকটি সমান সংখ্যক অঞ্চলে ভাগ করা হয়। এক এক শীটের অঞ্চল বিভাজনে এক এক ধরনের কৌশল অবলম্বন করা হয়। যেমন- A0, A1, A২ শীটের দৈর্ঘ্যকে যথাক্রমে সমান ১৬, ১২ এবং ৮ ভাগে ভাগ করা হয় এবং এগুলোকে ১,২,৩, ... সংখ্যা দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। অপরদিকে শীটের গ্রন্থকে যথাক্রমে সমান ১২, ৮ এবং ৬ ভাগে ভাগ করে ইংরেজী অক্ষর যেমন- A,B,C... দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। সাধারণত রিভিসন ব্লক ফ্রেমের উপরের দিকে ডান কোণায় অথবা নিচে টাইটেল ব্লকের বামে অথবা টাইটেল ব্লকের উপরের দিকে থাকতে পারে। ড্রইং-এর যে কোনো পরিবর্তন রিভিসন টেবিলে লিপিবদ্ধ করা হয় ।

পার্টস লিস্ট (Parts List ): মেটিরিয়াল বা পার্টস লিস্টে যে সব তথ্য থাকা দরকার তা নিচে উল্লেখ করা হলো- টাইটেল ব্লকের উপরে পার্টস লিস্টের অবস্থান হতে পারে। পার্টসের সংখা অনেক বেশী হলে আলাদা শীট লাগানো যেতে পারে।

SI# part number 

Part name specifications

Drawing* of the part other applicable information.

 

ড্রইং শীটের লে-আউট (Drawing Paper Layout)

ড্রইং শীটে লে-আউট বলতে বুঝায় ড্রইং এর বিন্যাস বা সাজানো। একটি ড্রইং শীটে সুন্দর, সুষম ও পরিচ্ছন্ন লে-আউটের উপর ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রইং- এর সৌন্দর্য ও সার্থকতা নির্ভর করে। মানানসই স্কেলে ড্রইং শীটে বিভিন্ন ভিউগুলো সুসামঞ্জস্যভাবে স্থাপন করতে হবে। মার্জিন, বর্ডার লাইন, টাইটেল ব্লক, পার্টস লিস্ট, রিভিশন প্যানেল, স্কেল, ড্রইং নম্বর, শীট নম্বর, ফোল্ডিং মার্ক ইত্যাদি প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো সুবিন্যস্ত করে লে-আউট এর কাজ শেষ করতে হবে।

পেপার লে-আউটের পুর্বে লে-আউট সম্পর্কিত কিছু তথ্য যেমন-মার্জিন, টাইটেল ব্লক, পার্টস লিস্ট, রিভিশন প্যানেল, ক্ষেল, ড্রইং নম্বর, শীট নম্বর, ফোল্ডিং মার্ক সম্বদ্ধে জানা দরকার। 

 

৩.৭ লাইন বা রেখা

রেখা : রেখার দৈঘ্য আছে কিন্তু এর প্রস্থ বা বেধ নেই। রেখা দুই প্রকার। যথা 

১) সরল রেখা এবং 

২) বক্ররেখা

সরল রেখা 

দুটি বিন্দুর মধ্যবর্তী নুন্যতম দূরত্বকে সরলরেখা বলে। টী-স্কয়ার অথবা সেট স্কয়ার এর সাহায্যে দুইটি বিন্দুকে যোগ করলে একটি সরল রেখা অংকিত হবে ।

বক্ররেখা 

গমন পথ সদা পরিবর্তনশীল রেখাই বক্ররেখা। অর্থাৎ বক্ররেখায় এক বিন্দু থেকে অন্য বিন্দুতে যেতে দিক পরিবর্তন করে।

সমান্তরাল রেখা: পাশাপাশি সাজানো দুই বা ততোধিক সরলরেখা যেগুলো বাড়ালে কখনও একটি অপরটির সাথে মিলে না বা দূরে সরে যায় না, ঐরুপ রেখাগুলোকে সমান্তরাল রেখা বলে ।

উদাহারণ: একটি সরলরেখা থেকে ২০ মিমি. দূরে একটি সমান্তরাল টানতে হবে। 

বিভিন্ন প্রকার লাইনের বৈশিষ্ট্য (Characteristics of different Lines)

অংকন প্রনালী: AB একটি সরলরেখা টানা হলো। ২০ মিমি. ব্যাসার্ধ নিয়ে A ও B কেন্দ্র করে দুইটি বৃত্তচাপ অংকন করতে হবে। বৃত্তচাপ দুইটি স্পর্শ করিয়ে একটি সরলরেখা টানা হলো। এই সরল রেখাটি সমান্তরাল রেখা হবে। 

লম্ব (Perpendicular) রেখা: একটি সরলরেখা অপর একটি সরলরেখার উপর সমকোণে বা ৯০ ডিগ্রিতে মিলিত হলে একটি অপরটির উপর লম্ব হয় ।

 

৩.৯বিভিন্ন প্রকার লাইন বা রেখার ব্যবহারিক ক্ষেত্র(Characteristics of different Lines): বিভিন্ন প্রকার লাইন বা রেখার ব্যবহারিক ক্ষেত্রসমূহ হলো-

 

অক্ষর ও সংখ্যা লেখার পদ্ধতি (Method of Letterning and Mameric) 

প্রকৌশল অংকন সাধারণত বিন্দু, লাইন, আর্ক, সার্কেল ও বহুভূজের সমন্বয়ে গঠিত । একটি চিত্রের সকল প্রকার তথ্য কেবলমাত্র নকশার সাহায্যে উপস্থাপন করা যায় না । একটি ড্রইং-এর পূর্ণাঙ্গ তথ্যের মধ্যে থাকে সাধারণ বৃত্তান্ত,যন্ত্রাংশের নাম এবং যন্ত্রাংশের মেটেরিয়াল তালিকা । এ সকল তথ্য উপস্থাপনের কৌশল হলো অক্ষর ও সংখ্যা লেখার পদ্ধতি ।

অক্ষর এবং সংখ্যা লেখন পদ্ধতি : অক্ষর ও সংখ্যা মূলত দুই ভাবে লেখা হয় । যেমন- 

১। খাড়াভাবে (Vertical or Upright Position) 

২। হেলোনা বা কাতভাবে ( Slant or Inclined Position)

গ্রাফ অংকন করার পদ্ধতি 

ম্যানুয়্যাল ড্রাফটিং-এ টেমপ্লেট এর সাহায্যে লেটারিং করার ব্যবস্থা আছে। কিন্তু সকল ক্ষেত্রে টেমপ্লেট ব্যবহার করে লেটারিং করা যায় না। যেখানে টেমপ্লেট ব্যবহার করে লেটারিং করা যায় না সেখানে অক্ষরকে সুন্দর ও সুষম করে লেখার জন্য গ্রাফ তৈরি করে নিতে হয়।

গ্রাফ তৈরিতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম :

  • ড্রইং বোর্ড, 
  • কাঙ্খিত সাইজের ড্রইং শীট,
  • সেট স্কয়ার 
  • টা- স্কয়ার, 
  • সার্পেনার
  • ডিভাইডার, 
  • পেনসিল কম্পাস বা বো পেনসিল ও 
  • ইরেজার

নিচে গ্রাফ তৈরির নমুনা দেখানো হলো-

নিচের চিত্রে ১ম ধাপ-এর মতো একটি অনুভূমিক সরলরেখা BC অংকন করতে হবে। এখন BC সরলরেখার B বিন্দুতে BA লম্ব টানতে হবে। ২য় ধাপে AB কে সমান ৭ ভাগে ভাগ করতে হবে। এই ৭ভাগের যে কোনো একটি ভাগের দুরত্ব নিয়ে BC কে প্রয়োজনীয় সংখ্যায় ভাগ করার জন্য B বিন্দুতে ৪৫° কোপে ২য় খাপের মতো রেখা টানতে হবে। এখন, ৩য় ধাপে ৪৫° কোণে টানা রেখা এবং অনুভূমিক রেখার ছেদ বিন্দু দিয়ে খাঁড়া রেখা টানলে চিত্রানুযায়ী একটি গ্রাফ বা লেখচিত্র অংকিত হবে।

বিভিন্ন প্রকার অক্ষর ও সংখ্যার তালিকা

লেটারিং (Lettering): অক্ষর এবং সংখ্যা লেখার কৌশলকে ইংরেজিতে লেটারিং বলে।

লেটারের সাধারণ অনুপাত (General Proportions of Letters):

লেটারের সাধারণ অনুপাত বলতে প্রত্যেক লেটারের Height, Width Ges Spacing এর অনুপাত বুঝায়। লেটারের Height, Width Ges Spacing -এর উপর ভিত্তি করে লেটার অনুপাতকে তিন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। যথা

(১) স্বাভাবিক লেটার (Normal Letters), এবং Width - 0.67 Height, 

(২) ঘনীভূত (Condensed Letters) এর Width এবং Spacing স্বাভাবিক লেটারের থেকে কম হয়, অপর দিকে 

(৩) প্রসারিত লেটার (Extended Letters) এর ক্ষেত্রে Width – Height হয়ে থাকে।

অক্ষরের শ্রেণি বিন্যাস (Classification of Lettering)

অক্ষর মূলত তিন প্রকার । যথা-

১) গোথিক অক্ষর (Gothic Lettering) 

গোথিক লেটারিং এ সকল অক্ষর এবং সংখ্যার পুরুত্ব একই থাকে। নিচের লেখাগুলো গোথিক লেটারিং।

গোষ্ঠিক লেটারিংকে আবার কয়েকভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেমন- 

(ক) খাড়াভাবে (Vertical or upright Gothic Lettering)অক্ষর ও সংখ্যা লেখার পদ্ধতি

১.১ Single Stroke Virtical Gothic Lettering 

১.২ Double Stroke Virtical Gothic Lettering 

১.৩ Lower case Virtical Gothic Lettering

 

(খ) হেলোনা বা কাতভাবে (Inclined or Italic Gothic Lettering) অক্ষর ও সংখ্যা লেখার পদ্ধতি 

১.১ Single Stroke italic Gothic Lettering 

১.২ Double Stroke Italic Gothic Lettering 

১.৩ Lower case Italic Gothic Lettering

 

২) রোমান অক্ষর (Roman Lettering) 

রোমান লেটারিং-এ অক্ষর এবং সংখ্যার পুরুত্ব এক রকম না হয়ে মোটা ও চিকন সংমিশ্রণে হয়ে থাকে । রোমান লেটারিং খাঁড়া ও হেলানো উভয় লেখা যায়। নিচের লেখাগুলো রোমান লেটারিং |

৩) মুক্তহস্ত অক্ষর (Free Hand Lettering)

কোনো প্রকার ড্রইং যন্ত্রপাতির সাহায্য না নিয়ে খালি হাতে লেখন কৌশলকে ফ্রি হ্যান্ড লেটারিং বলে । ফ্রি হ্যান্ড লেটারিং খাড়া ও হেলানো উভয় প্রকার হতে পারে। এ সব অক্ষরকে আবার দুই বাবে লেখা যায় । যমেন-

১। বড়ো হাতের অক্ষর (Capital letter) 

২ । ছোটো হাতের অক্ষর (Small Letter)

বড়ো হাতের অক্ষর সাধারণত হেডিং (Heading) লেখার কাজে ব্যবহৃত হয় এবং অধিকাংশ তথ্য উপস্থাপন ছোটো হাতের অক্ষর ব্যবহার করা হয় ।

অক্ষরের উচ্চতা ও প্রস্থ (Height and Width of Letters )

অক্ষরের উচ্চতা ও প্রস্থের অনুপাত সাধারণত ৫:৪ বা ৭:৪ রাখা হয়। অর্থাৎ উচ্চতা ৫ বা ৭ ঘর হলে অক্ষরের প্রস্থ হবে ৪ ঘর । কোনো কোনো অক্ষরের বেলায় এর ব্যতিক্রম ঘটে। যেমন – ইংরেজি I অক্ষর এক ঘর E ও F সাড়ে তিন ঘর,J তিন ঘর এবং W পাঁচ ঘর । বাকি অক্ষরগুলোর প্রস্থ ৪ ঘর হয়ে থাকে

অক্ষরের আকার(Size of Letters ) 

লেটারের সাইজ বলতে লেটারের উচ্চতাকে বুঝায়। নিচে একটি তালিকার মাধ্যমে ড্রইং- এ বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত সেটার উল্লেখ করা হলো

 

বিভিন্ন প্রকার অক্ষর ও সংখ্যা লেখার পদ্ধতি-

বিভিন্ন প্রকার অক্ষর ও সংখ্যা লেখার পদ্ধতি নিয়ে উল্লেখ করা হলো- ৫:৪ অনুপাতে বড়ো হাতের অক্ষর লেখার পদ্ধতি (Method of Capital Lettering) : 

খাড়া ও হেলানো ছাড়া বড়ো অক্ষর লেখার আরও দুইটি পদ্ধতি আছে। যথা-

 

এক টানে বড়ো হাতের লেখার নতি কোণ(Angle of Inclination of Lettering Capital Letters in Single Stroke)

নিচের চিত্রে ৭:৪ এবং ৪:৪ অনুপাতের দুটি নতি কোণ দেখানো হলো। চিত্রটি দেখলে ৰুৱা যাৰে যে, উপরের ২ ঘর ও নিচের • ঘরের সাথে সংযুক্ত সরলরেখা ৭৫ নস্তি কোপ উৎপন্ন করেছে। সেট-স্কয়ার এর সাহায্যে অতি সহজে ৭৫* নতি অংকন করা যায় বিধায় ৭৫' নতিতে রেখা সুবিধাজনক। এক টানে বড়ো হাতের লেখার নভি কোপ দেখানো হলো।

এক টানে ছোটো হাতের লেখার পদ্ধতি(Method of Lettering Small Letters in Single Stroke)

ছোটো হাতের অক্ষরের সমান উচ্চতা নিয়ে দুইটি অনুভুমিক রেখা টানতে হবে। পরে এর উপর নিচে অর্ধেক উচ্চতা নিয়ে আরও দুইটি অনুভূমিক সরলরেখা টানতে হবে। খাড়া অক্ষরের জন্য ৯০ ডিগ্রি এবং নতি অক্ষরের জন্য ৬০ ডিগ্রিতে নিয়ামক রেখা নিয়ে লেখা যাবে। নিচের চিত্রে ছোটো হাতের লেখার নমুনা দেখানো হলো-

 

 

Content added || updated By

জ্যামিতিক ড্রইং এক ধরনের রেখাভিত্তিক ড্রইং। বিভিন্ন প্রকার রেখা, বৃত্ত, বৃত্তচাপ, কোণ, ত্রিভূজ ও অন্যান্য জ্যামিতিক উপদানের সমন্বয়ে ও কাঙ্খিত মাগে বসিয়ে জ্যামিতিক ড্রইং অংকন করা হয়। রেখাভিত্তিক চিত্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- সরলরেখা, বক্ররেখা, সমান্তরাল রেখা, সব, সমকোণ, সুক্ষকোণ, স্বৰ্গকোণ, বিভিন্ন প্রকার ত্রিভুজ, চতুভূর্ণ এবং বৃত্ত ইত্যাদি।

বিভিন্ন কোণ সম্পর্কে বর্ণনা

মুইটি সরলরেখা একটা বিন্দুতে মিলিত হলে কোন উৎপন্ন হয়। কোণের পরিমান ও অবস্থার উপর ভিত্তি করে কোশের বিভিন্ন নামকরন করা হয়েছে। যেমন- সুক্ষ্মকোণ, স্থূলকোণ, সমকোণ, সরল কোণ, সম্পূরক কোপ, পূরক কোণ, সন্নিহিত কোণ, বিপ্রতীপ কোণ। চিত্রে বিভিন্ন প্রকার কোণ দেখানো হলো-

সুক্ষ্মকোণ (Acute Angle)

যে কোণ এক সমকোণ অপেক্ষা ছোট, তাকে সুক্ষ্মকোণ বলে।

স্থূলকোণ (Obtuse Angle)

যে কোন এক সমকোণ অপেক্ষা বড়ো কিছু দুই সমকোণ অপেক্ষা ছোট তাকে স্থূলকোণ বলে।

স্থূলকোণ অংকন প্ৰণালী

  • টা-স্কয়ার বা সেট-স্কয়ার দিয়ে একটি সরপরেখা BC টানা হলো।
  • চাঁদার সোজা অংশে ০-০ এবং ১৮০-১৮০ চিহ্নিত রেখাটি BC রেখার সাথে মিলিয়ে বসানো হলো।
  • চাঁদার বাকানো কিণারা ১৮০ ডিগ্রিতে অংশক্ষিত আছে। B বিন্দুর বাঁ দিকে ১২১ ডিগ্রি গণনা করে পেনসিলের সূচালো মুখ দিয়ে চেপে একটি বিন্দু A নেওয়া হলো ।
  • এখন AB যোগ করলে ABC ১২১ ডিগ্রি এর একটি স্থূলকোণ তৈরি করা হলো।

সম্পুরক কোণ (Angel)

দুইটি সন্নিহিত কোণের পরিমাণ ১৮০ ডিগ্রি হলে একটিকে অপরটির সম্পুরক কোণ বলে। 

বিপ্ৰতীপ কোণ (Angel )

দুইটি সরলরেখা একটি বিন্দুতে ছেদ করলে চারটি কোণ উৎপন্ন হয়, বিপরীত দিকে অবস্থিত কোণকে বিপ্রতীপ কোণ বলে।

বিভিন্ন ত্রিভূজের বর্ণনা 

তিনটি বাহু দ্বারা গঠিত সীমাবদ্ধ ক্ষেত্রকে ত্রিভুজ বলা হয়।

পঠন অনুসারে ত্রিভুজের বিভিন্ন নামকরন করা হয়েছে। যেমন-

(১) সমবাহু ত্রিভুজঃ যে ত্রিভুজের তিনটি বাহু পরস্পর সমান, তাকে সমবাহু ত্রিভুজ বলে।

সমদ্বিবাহু ত্রিভুজ: যে ত্রিভুজের দুইটি ৰাহু সমান, তাকে সমদ্বিবাহু ত্রিভুজ বলে।

সমকোণী ত্রিভুজঃ যে ত্রিভুজের একটি কোণ সমকোণ তাকে সমকোণী ত্রিভুজ বলে। 

বিষমবাহু ত্রিভুজঃ যে ত্রিভুজের তিনটি বাল্ব অসমান তাকে বিষম বাহু ত্রিভুজ বলে।

সূক্ষ্মকোণী ত্রিভুজ: যে ত্রিভুজের তিনটি কোণই সুক্ষ্মকোণ তাকে সুক্ষ্মকোণী ত্রিভুজ বলে। সূক্ষ্মকোণী ত্রিভুজ 

স্থূলকোণী ত্রিভুজঃ যে ত্রিভুজের একটি কোণ স্থূলকোণ তাকে স্থূলকোণী ত্রিভুজ বলে।

 

২ আয়তক্ষেত্র (Rectangle) 

যে চতুর্ভুজের বিপরীত বাহু পরস্পর সমান এবং কোণগুলো সমকোণ তাকে আয়তক্ষেত্র বলে।

অংকন পদ্ধতি ৬০ মিমি. সমান লম্বার AB ভূমি নিয়ে A ও B বিন্দুতে দুটি লম্বা দাগ টানতে হবে এবং A ও B বিন্দুকে কেন্দ্র করে লম্ব দুটি থেকে ৪০ মি.মি দূরত্ব ডিভাইডার কম্পাস দিয়ে কেটে নিলে C ও D দুটি কিছু পাওয়া যাবে। এখন, C ও D বিন্দু যোগ করলে ABCD একটি আয়তক্ষেত্র অংকিত হবে।

৩ রম্বস (Rhombos )

যে চতুর্ভুজের চারটি বাহু সমান কিন্তু কোনো কোণ সমকোণ নয় তাকে রম্বস  বলে।

বিভিন্ন বহুভুজের সম্পৰ্কে বৰ্ণনা

চারের অধিক সরলরেখা দ্বারা সীমাবদ্ধ ক্ষেত্ৰকে বহুভুজ বলে। বাহুর দৈর্ঘ্যের উপর ভিত্তি করে বহুভুজকে দুই ভাগে ভগ করা হয়। যেমন- 

১. সুষম বহুভুজ (Regular Polygon ) 

২. বিষম বহুভুজ (Irregulur Polygon )

সুষম বহুভুজ (Regular Polygon )

যে বহুভুজের সব ৰাহু গুলো সমান তাকে সুষম বহুভূজ (Regular Ploygon )বলে। বাহুর সংখ্যার উপর ভিত্তি করে বেশ কয়েক ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেমন: পঞ্চভুজকে বড়ভুজ, সপ্তভুজ, অষ্টভুজ, নবভুজ, দশভুজ ইত্যাদি। এদেরকে ইংরেজিতে যথাক্রমে পেন্টাগন, হেক্সাপন, হেন্টাগন, অন্টাগন, ন্যানোগন, ডেকাগন বলে।

২. বিষম বহুভুজ (Irregulur Polygon ) 

যে বহুভুজের বাহুগুলো পরস্পর সমান নয় বা অসম তাকে বিষম বহুভুজ (Irregular Polygon) বলে। এরুপ বিষম বহুভুজের ক্ষেত্রে বহুভুজটিকে ত্রিভুজ এবং চতুর্ভুজে রূপান্তর করে আলাদা আলাদা ক্ষেত্রফল বের করা হয়। পরে ক্ষেত্রফলগুলো একত্রে যোগ করলে ৰহুভুজটির ক্ষেত্রফল পাওয়া যায় ।

 

১০. কৌণিক সেকশন 

কৌণিক সেকশনকে সংক্ষেপে কৌণিক বলে।কৌণিক হলো কার্ড বা বক্ররেখা। একটি খাঁড়া বৃত্তীয় শঙ্কুকে (Right Circular Cone) &এর অক্ষ বরাবর বিভিন্ন অবস্থানে অঙ্গ দিয়ে কাটলে বিভিন্ন ধরনের কাটা অংশ বা কার্ড পাওয়া যায়। যেসন-বৃত্ত, উপবৃত্ত, পরাবৃত্ত ও অধিবৃত্ত।

১১. উপবৃত্ত(ELIIpse) 

তির্যক তল (Oblique plane) দিয়ে শত্রুর একপাশে অবস্থিত শত্রু উৎপন্নকারী সকল রেখাকে (generators) কর্তন করলে যে কার্ড বা বক্ররেখা উৎপন্ন হয়, তাকে উপবৃত্ত বা Ellipse বলে।

উপজের প্রধান অংশসমূহ হচ্ছে- 

(১) বৃহৎ অক্ষ (Major Axis), 

(২) ক্ষুদ্র অক্ষ (Minor Axis), center 

(৩) উপকেন্দ্র (Focl), 

(8) কেন্দ্র (Center) এবং 

(৫) নিয়ামক বা দিকাক্ষ (Directrix) |

 

উপবৃত্ত বা Ellipae অংকনের পদ্ধতি 

Concentric Circle পদ্ধতিতে চিত্রের ন্যায় উপবৃত্ত অংকনের ধাপসমুহ: অংকন অধিবৃত্ত (Parabola):শঙ্কু উৎপন্নকারী রেখাদ্বয়ের কোনো একটির সাথে কর্তিত ভলকে সমান্তরালভাবে রেখে শত্রুর অক্ষ কর্তন করলে যে কার্ত উৎপন্ন হয় তাকে অধিবৃত্ত (Parabola) বলে। 

স্কেল সম্পর্কে ধারনা 

বস্তুর প্রকৃত আকার শীট অপেক্ষা বড়ো, ছোটো বা সমান হতে পারে। এরুপ ক্ষেত্রে বস্তুকে মানানসই উপস্থাপন করার সুবিধার্থে বস্তুর আকারের নির্দিষ্ট ছোট বা বড় অনুপাতে ড্রইং করা হয়। একে ফেল বলে। বস্তুর আকার বড়ো হলে ছোটো বা সংকুচিত স্কেলে ড্রইং করা হয়। অপর দিকে, বন্ধু খুব ছোটো হলে বড়ো বা বর্ধিত ফেলে ড্রইং করলে দেখতে বা পাঠ করতে সুবিধা হয়। আবার একের অধিক ড্রইং একটি মাত্র শীটে উপস্থাপন করলে মানানসই স্কেল বেছে নিতে হয়।

স্কেলের তালিকা 

স্কেলের তালিকা তৈরিতে স্কেলের শ্রেণি বিন্যাসের উপর জোর দেয়া হয়। স্কেলের শ্রেণি বিন্যাস স্কেলের গঠনের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে।

স্কেলের শ্রেণিবিন্যাস (Classification of Scale)

ক্ষেত্রের শ্রেণি বিন্যাস নিম্নরূপ - 

(১) গ্রেইন ফেল, 

(২) ডায়াগনাল স্কেল, 

(৩) ভার্নিয়ার ফেল, 

(৪) আইসোমেট্রিক স্কেল এবং 

(৫) কর্ড স্কেল বা স্কেল অৰ কৰ্ড (Scale of chords)

 

বিভিন্ন প্রকার স্কেলের বিবরণী 

১ প্লেইন স্কেল (Plain Scale) 

গ্রেইন বা সাধারন স্কেলের লম্বা দিকের এক বা দুই প্রান্তদেশে ইঞ্চি বা সেন্টিমিটারে এবং তাদের ভগ্নাংশ দ্বারা অংকিত হয়।

উদাহরণ : মিটার ও ডেসিমিটার পাঠ করার জন্য ১/৫০ আর, এফ-এর একটি প্লেন স্কেল তৈরি কর এবং এই ক্ষেপে ৫ মিটার ৪ ডেসিমিটার পাঠ দেখাও।

আট মিটার পাঠ নেয়া যায় এমন একটি প্লেইন স্কেল তৈরি করতে হবে যার স্কেল দৈর্ঘ্য হবে ১৬ সেমি. । সুতরাং ১৬ সেমি. লম্বা একটি সরলরেখা নিয়ে তাকে সমান ৮ ভাগে ভাগ করতে হবে এবং এর বামের একটি ঘরকে সমান ১০ ভাগে ভাগ করতে হবে।

 

২. ডায়াগনাল স্কেল (Diaganal Scale) 

সুক্ষ্মমাশ নেওয়ার কাজে ডায়াপনাল স্কেল ব্যবহার করা হয় । এই ক্ষেত্রে একক ইঞ্চি বা অন্য একককে হরাইজোনটাল এবং ভার্টিক্যাল দিক বরাবর ১০ বা ৮ ভাগে উভয় প্রান্তে ভাগ করা থাকে। হরাইজোনটাল দিকে নিচের ১ম বিন্দুর সাথে উপরের ২য় বিন্দু কোণাকুনি যোগ করা যায়। এভাবে ক্রমান্ময়ে ১০ টি বিন্দু যোগ করা হয়। এখন, ভার্টিক্যাল দিকের বিন্দুগুলো থেকে সমান্তরাল লাইন টানলে একটি ভায়াপনাল স্কেল তৈরি হবে।

উদাহরন 

১। মিটার, ডেসিমিটার এবং সেমি, এর মাপ নেওয়া যায় এমন একটি ডায়াগনাল স্কেল গঠন কর যার আর, এফ - ১/২৫ এবং এই স্কেলের সাহায্যে ২০ সেন্টিমিটার পাঠ দেখাও ।

স্কেলের দৈর্ঘ্য= ১/২৫দ্ধ ২০ সেমি. = ৮ সেমি.

৮ সেমি. লম্বা একটি সরলরেখা নিয়ে তাকে সমান ৪ ভাগে ভাগ করতে হবে এবং এর বামের একটি ঘরকে সমান ১০ ভাগে ভাগ করতে হবে। প্রদত্ত পাঠ চিত্রে প্রদর্শিত

স্কেলেরআর,এফ: 

বাস্তব বস্তুর সাথে তুলনা করে ড্রইং এ অংকিত বস্তুর আকার কেমন হবে তাদ্বারা বুঝার কৌশলকে আর.এফ বলে।

মিটার ও ডেসিমিটার পাঠকরার জন্য ১/৫০ আর, এফ এর একটি প্লেইন স্কেল তৈরি কর এবং এই স্কেলে ৫ মিটার ৪ ডেসিমিটার পাঠ দেখাও

মিটার পাঠ নেয়া যায় এমন একটি প্লেইন স্কেল তৈরি করতে হবে যার স্কেল দৈর্ঘ্য হবে ১৬ সেমি.

সুতরাং ১৬ সেমি. লম্বা একাটি সরলরেখা নিয়ে তাকে সমান ৮৮ ভাগে ভাগ করতে হবে এবং এর বামের একটি ঘরকে সমান ১০ ভাগে ভাগ করতে হবে।

স্কেলের ব্যবহারিক ক্ষেত্ৰ: 

১. প্লেইন স্কেল: রৈখিক মাপ যেমন- দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং উচ্চতা মাপ নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হয়। 

২. ডায়াগনাল স্কেল: ভগ্নাংশের মাপ নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হয়। 

৩. ভার্নিয়ার স্কেল: সুক্ষ্ম মাপ নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হয়। 

৪. আইসোমেট্রিক স্কেল: আইসোমেট্রিক প্রজেকশন ড্রইং করার আগে অর্থোগ্রাফিক প্রজেকশন ড্রইং করার জন্য আইসোমেট্রিক স্কেল ব্যবহার করা হয়। 

৫. কর্ড স্কেল বা স্কেল অব কর্ড: যে কোনো মাপের কোণ পরিমাপ করার জন্য কর্ড স্কেল বা স্কেল অব কর্ড ব্যবহার করা হয়।

অনুন্ধানমূলক কাজ 

তোমার প্রতিষ্ঠানের কাছাকাছি যে কোন একটি ড্রাফটিং ওয়ার্কশপ পরিদর্শন কর। 

এর কর্মপরিবেশ ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিষয়ে নিন্মোক্ত ছকে তোমার মতামত দাও 

 

ড্রইং-এর প্রতীক, পরিমাপ এবং সারফেস ফিনিশ (Drawing symbols, Measurement and Surface Finish) 

ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রইং এ মেটেরিয়ালস সিম্বল বা প্রতীক জানা খুবই আবশ্যক ।

১. মেটিরিয়াল সিম্বল বা প্রতীক (Symbols): মূলত সিম্বল বা প্রতীক ব্যবহার করে মেকানিক্যাল, সিভিল, ইলেকট্রিকাল, ইলেকট্রনিক, পাইপ লাইন অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রইং -কে সংক্ষিপ্ত সহজ ও বোধগম্য করার সাংকেতিক চিহ্নকে প্রতীক বা সিম্বল বলা হয়। সিম্বলকে নিম্বরলিখিত ভাগে ভাগ করা হয়েছে 

(১) মেটেরিয়াল সিম্বল 

(২) লাইন সিম্বল 

(৩) গ্রাফিক সিম্বল 

(৪) কম্পোনেট সিম্বল

মেটিরিয়াল সিম্বল আবার কয়েক প্রকার । যথা 

(১) কনস্ট্রাকশন মেটিরিয়ল সিম্বল 

(২) হ্যাজার্ডস মেটিরিয়ল সিম্বল

ড্রইং-এর প্রতীক তালিকা : কন্সট্রাকসন মেটিরিয়ল এবং এর সিম্বল নিচে দেওয়া হয়েছে ।

 

 

 

Content added By

পরিমাপ (Measurement )

একটি বস্তু বা বস্তুর অংশ কিংবা যন্ত্র বা যন্ত্রাংশ তৈরী করার জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রইং করা হয় । সুতরাং একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রইং এ বস্তুর পূর্ন বিবরন থাকা প্রয়োজন। একটি ড্রইং এর মূল অংশ হলো আকার আকৃতি ও অবস্থান |

  • আকার দ্বারা বুঝা যায় একটি বস্তু কত বড় বা কত ছোট এবং মাপ দেখে তা সহজেই অনুমান করা যায় ৷
  • অর্থোগ্রাফিক প্রজেকশন, সেকশন ভিউ এবং থ্রি-ডি (3D) ভিউ থেকে বস্তুর আকৃতি সম্বন্ধে ধারনা লাভ করা যায়।
  • অবস্থান দ্বারা কেন্দ্র বিন্দু, গ্রুভ বা চ্যানেলের অক্ষ রেখা কোথায় তা জানা যায়। সঠিক আকার, আকৃতি ও অবস্থান জানা ও জানানোর জন্য মাপের প্রয়োজন। ড্রইং এ মাপ বসানোর এই পদ্ধতিকে পরিমাপন বা ইংরেজীতে ডায়মেনশনিং (Diensioning) বলে।

পরিমাপের ধরন (Types of Diensioning) 

ড্রইং যে ভাবেই অংকন করা হোক না কেন, প্রতিটি ড্রইং ও পরিমাপ যেমন দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতার মাপ এবং এর সাথে হোল, ধুন্ড, চ্যানেল ইত্যাদির অবস্থান জানানোর ভিন্ন ভিন্ন রীতি আছে। মাপ জোকের উপরোক্ত বিষয়গুলোকে পরিমাপের ধরন (type of dimension) বলে ।

একে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা-

1) Size & functional dimension

2) Location or datum dimention

পরিমাণ লাইন (dimension line ) 

চিত্রে একটি আয়তক্ষেত্রের ডায়মেনশন লাইন ও এক্সটেনশন লাইন দ্বারা পরিমাপন করা হয়েছে। এক্সটেনশন এবং ডায়মেনশন লাইন এর সংযোগ স্থল সাধারণত তীর দিয়ে দেখানো হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সংযোগ স্থল ডট বা ৪৫° ব্রুস লাইন দ্বারাও চিহ্নিত করা যায় ৷

২. অ্যারো হেড (Arrow Head) 

ডাইমেনশন লাইনের সমাপ্তি টানতে অ্যারো হেড ব্যাবহার করা হয়। জ্যারো এর শীর্ষ বিন্দুটি অব্যশ্যই ভায়মেনশন লাইনকে স্পর্শ করে থাকবে। মেকানিক্যাল ড্রইং এর হেডের দৈর্ঘ প্রশ্নের তিনগুন হয়ে থাকে।চার ধরনের অ্যারো হেড এর অনুমোদন আছে। নিচের চিত্রে অনুমোদিত অ্যারো হেজের বিভিন্ন প্রকার গঠন দেখানো হলো।

পরিমাপন দেওয়ার রীতি (Standards of Dimensioning) 

বিগত বহু বছরের পরিমাপন অভিজ্ঞতা থেকে পাওয়া ফলাফলের উপর ভিত্তি করে অ্যামরিকান ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইনস্টিটিউশন সংক্ষেপে ANSI পরিমাপ সম্পর্কিত রীতিমালা চালু করে। ইঞ্জিনিয়ারিং ড্রইং পরিমাপ করতে যে সব নিয়ম মেনে চলতে হয় তা হলো-

  • অধিক অংকন রেখা বিশিষ্ট ভিউ পরিমাপ করা। 
  • বস্তুর বাইরে সাপগুলো স্থাপন করা। 
  • বস্তুর বাইরে তথ্য লেখা। 
  • একই মাপ একবার এবং একই জায়ণয় স্থাপন করা । 
  • ভাইমনেশন লাইন যাতে একটি অন্যটির উপড় স্থাপিত না হয় তা লক্ষ্য রাখা। 
  • বস্তু থেকে ডাইমনেশন লইনের দূরত্ব ০.৩৭৫ ইঞ্চি বা ১০ মিমি দুরে রাখা । 
  • ভাইমনেশন লাইনগুলোর মধ্যকার দূরত্ব কমপক্ষে ২৫ ইঞ্চি বা ৬ মি.মি বজায় রাখা।

নিচের চিত্রে সরল রেখা, কোণ, বৃত্তের ব্যাস ও ব্যাসার্ধ পরিমাপন দেখানো হয়েছে।

৩.২৭ পরমাপ পদ (Methods of Dimensioning) 

পরিমাপ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। যেমন রৈখিক, অ্যালাইন, অর্ডিনেট, ৰেস লাইন এবং বিন্দু থেকে বিন্দু পরিমাপ ইত্যাদি। নিচে চিত্র দিয়ে দেখানো হলো-

১. রৈখিক পরিমাপ (Linear Dimensioning): 

রৈখিক পরিমাপ দুই প্রকার। যেমন- আনুভুমিক ও খারা। চিত্রে আনুভুমিক ও খারা পরিমাপন দেখানো হলো।

২ অ্যালাইন পরিমাপন (Align Dimensioning): 

বস্তুর আকৃতির সাথে সংগতি রেখে পরিমাণ করাকে অ্যালাইন ভারমেনশনিং বলে। নিচের চিত্রে দেখা যায় যে, ড্রইংটির বাউন্ডারি আনুভূমিক, খারা, হেলানো ও বক্ররেখার সমন্ব য় পঠিত । তবে হেলানো রেখার পরিমাপের জন্য অ্যালাইন পরিমাপন পদ্ধতি উপযোগি। নিচে চিত্রে নত রেখার পরিমাপন পদ্ধতি দেখানো হলো।

 

 

Content added By

সারফেস রাফনেস মান সুচিতকরণ (Indication of Surface Roughness )

সারফেস রাফনেস এর পরিমান দেখানোর জন্য রাফনেস স্নান বা এর সাথে সংশ্লিষ্ট গ্রেড সিম্বল দেখানো হয়। নিচের টেবিলে রাফনেস মান এবং এর সংশ্লিষ্ট গ্রেড দেখানো হলো

চিত্র নং- ৩.৭০ এবং চিত্র নং-৩.৭১ তে রাফনেস মান সহ সারফেস ফিনিশ সিমন দেখানো হয়েছে

 

 

Content added By

ফ্রি হ্যান্ড স্কেচ (Free Hand Sketch)

স্কেটিং হলো খসরা নকশা অংকন। কোন প্রকার ড্রইং যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ছাড়া শুধুমাত্র কাগজ, পেনসিল ও রাবার ব্যবহার করে হাত দ্বারা নকশা অংকন করাকে ফ্রি হ্যান্ড স্কেচিং বা এককথায় স্কেচিং বলে। প্রকৌশলী, প্রযুক্তিবিদ ও ডিজাইনারদের নিকট স্কেচিং একটি উল্লেখযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভিন্ন শাখায় নিয়োজিত ব্যাক্তিবর্গ তাদের ধারনাগুলো ভাড়াতাড়ি রেকর্ড করার কাজে স্কেচিং ব্যবহার করে থাকেন। নিজস্ব ইঞ্জিনিয়ারিং চিন্তা বা ধারনা অন্যকে সহজে বুঝানোর উপায় হিসেৰে স্কেচিংকে বেচে নেয়া যায়। খসরা নকশার মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা যায় এবং পরবর্তীতে নকশার চুড়ান্ত রূপ দেয়া সম্ভব হয়। 

স্কেচিংএর প্রকারভেদ (Types of Sketching)

স্কেচিং দুই প্রকার। যথা-

১| অর্থগ্রাফিক স্কেচিং (Orthographic Sketching) 

২| পিকটোরিয়াল স্কেচিং (Pictorial Sketching)

 

১| অর্থগ্রাফিক স্কেচিং (Orthographic Sketching) 

অর্থগ্রাফিক স্কেচিং অর্থগ্রাফিক প্রজেকশনের মতোই। এটি ফ্রি হ্যান্ডে করা একটি দ্বিমাত্রিক (2D) ড্রইং। এতে বন্ধুর পরিমাপও দেয়া থাকে। নিচে চিত্রে অর্থগ্রাফিক স্কেচিং এর নমুনা দেখানো হয়েছে ।

২| পিকটোরিয়াল স্কেচিং (Pictorial Sketching)

এটি ফ্রি হ্যান্ডে করা ত্রিমাত্রিক (3D) ড্রইং। পিকটোরিয়াল ভিউ এর সাথে আয়তন সম্পর্কিত। নিচে পিকটোরিয়াল স্কেচিং এর নমুনা দেখানো হলো।

 

 

Content added By

একটি ফ্রি হ্যান্ড কেটিং পদ্ধঙ্গিFree Hand Sketching Methods)

একটি নকশা কত্ত কগুলো বিন্দু, সরলরেখা, ৰক্ৰৱেধা সমন্বয়ে গঠিত। সুতরাং, ফ্রি হ্যান্ড সেটিং এ সরলরেখা , বক্ররেখা বা বৃত্ত অংকন করারও কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম আছে। এই নিয়মগুলো অতি সহজে এবং ভাড়াতাড়ি খসড়া নকশা অংকন বা স্কেচিং করা যায়। নিচে চিত্রে খালি হাতে যতদুর সম্ভব সোজা লাইন টানার পদ্ধতি দেখানো হলো।

নিচে চিত্রে খালি হাতে যতদুর সম্ভব সোজা লাইন টানা এবং একে বিভক্ত করার পদ্ধতি দেখানো হলো

নিচে চিত্রে খালি হাতে বৃত্ত আঁকার পদ্ধতি দেখানো হলো

ফ্রি হ্যান্ড স্কেচ এর প্রয়োজনীয়তা

প্রকৌশলী, প্রযুক্তিবিদ ও ডিজাইনারদের নিকট ফ্রি হ্যান্ড স্ট্রেচিং একটি উল্লেখযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভিন্ন শাখায় নিয়োজিত ব্যাক্তিবর্গ তাদের ধারনাগুলো তাড়াতাড়ি রেকর্ড করার কাজে স্কেচিং ব্যাবহার করে থাকেন। নিজস্ব ইঞ্জিনিয়ারিং চিন্তা বা ধারনা অন্যকে সহজে বুঝানোর উপায় হিসেবে স্কেচিংকে বেচে নেয়া হয়। আসলে স্কেটিং হলো খসরা নকশা অংকন। খসরা নকশার মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান সহজ হয় এবং পরবর্তীতে নকশার চুড়ান্ত রূপ দেয়া সম্ভব হয়।

 

 

Content added By

সারফেস ফিনিশের পরিভাষার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- রাফনেস, রাফনেস উচ্চতা, রাফনেস উইথ, তরঙ্গ, মেশিনিংফিনিশ, মেশিনিংসিম্বল, গে এবং রে ডিরেকশন ইত্যাদি।

সারফেস রাফনেস(Surface Ronghness)

অনয়িমতি ভলের গঠন কাঠামোর পরিমাপকে সারফসে রাফনসে বলে। উৎপাদন প্রক্ৰয়িায় মেশিনিং করার প্রয়োজন পড়ে। কাটিং টুলরে গঠনরে জন্য সারফসে রাফনসে তৈরী হয়। সারফমে রাফনেসের কিছু পরিভাষা নিচে উল্লখে করে চিত্রের সাহায্যে দখোনো হয়েছে।

২. রাফনেস উচ্চতা (Roughness Height)

একটি তরঙ্গের নিচু তল থেকে উঁচু তলের উলম্ব দর্ঘ্যৈক রাফনসে উচ্চতা ৰলে ।

৩. রাফনসে উইথ (Roughness Width) এক তরঙ্গ থেকে পার্শ্ববর্তী তরঙ্গের দুরুত্বকে রাফনসে উইথ বলে ৷

৪. তরশতা (Waviness ) : তলের গঠন কাঠামো তরঙ্গের মতো উঁচু নীচু হলে তাকে ভরপতা বা ইংরেজিতে Waviness বলে।

 

৩.৩৫ সারফেস ফিনিস এর বিভিন্ন প্রতীক

মেশিনিং ফিনিশ (Machining Finish)

যে সমস্ত যন্ত্রাংশ ঢালাই, মোল্ডিং অথবা ফোর্জিং করে তৈরি সেগুলো প্রায়শঃ মেশিনিং করার প্রয়োজন পড়ে। মেশিনের সাহায্য নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে মেশিনিং করে তলের ফিনিশিং করা হয়। কি প্রক্রিয়ায় কোন ধরনের টুলস দ্বারা মেশিনিং করা হবে তার উপায় মেশিনিং ফিনিশ নির্ভর করে।

মেশিনিং সিখন (Machining Symbol)

১) সারফেস ফিনিশের মূল সিম্বল হিসেবে ৬০ নভি কোন একটি বিন্দুতে বিপরীত মুখে অবস্থিত অসম দৈর্ঘ্যের দুটি সরল রেখা দ্বারা বুঝানো হয়েছে।

২) মেশিনিং-এ মেটিরিয়াল অপসারনের প্রয়োজন হলে ফুল সিম্বলের সাথে একটি বার যুক্ত করা হয়। 

৩) মেটিরিয়াল অপসারণের অনুমতি না থাকলে মূল সিম্বলের সাথে একটি বৃত্ত সংযোজন করা হয়। 

৪) বিশেষ বৈশিষ্ঠ্যের সারফেস ফিনিশ এর প্রয়োজন হলে লম্বা লাইনের সাথে আর একটি অনুভুমিক লাইন যুক্ত করা হয়।

            শ্রেণির তাত্ত্বিক কাজ

ড্রাফটিং ওয়ার্কশপে তোমরা নিরাপত্তাজনিত কোন কাজে সচরাচর ব্যবহার্য্য কী ধরনের সেফটি ইকুইপমেন্ট ব্যবহারে ব্যবস্থা নিবে তা ছকে লিখ (একটি কাজে ব্যবহৃত সেফটি ইকুইপমেন্ট এর নাম উল্লেখ করা হলো)-

 

 

Content added By

পারদর্শিতার মানদন্ড

  • কর্মক্ষেত্রের প্রকৃতি অনুসারে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম চিহ্নিত করা
  • লে আউট কাজে ব্যবহৃত টুলস, ইকুইপমেন্ট ও যন্ত্রপাতি সনাক্ত করা
  • লে আউট কাজের জন্য টুলস, ইকুইপমেন্ট ও যন্ত্রপাতিসমূহ প্রস্তুত/উপযোগী করা
  • আদর্শ ড্রইং শীটের মাপ নির্ণয় ও মার্জিন লাইন অংকন করা

(ক) ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম

 

(খ) প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (টুলস, ইকুইপমেন্ট ও মেশিন)

 

কাজের সতর্কতা :

  • সঠিক নিয়মে সকল প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সরঞ্জাম পরিধান করা আবশ্যক ।
  • লে আউট যন্ত্রপাতি যথাযথ সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে ।

আত্মপ্রতিফলন:

মেকানিক্যাল ড্রাফটিং ল্যাবে লে-আউট এর ব্যবহার করার দক্ষতা অর্জিত হয়েছে/হয় নাই/আবার অনুশীলন করতে হবে ।

 

 

Content added By

পারদর্শিতার মানদন্ড

  • কর্মক্ষেত্রের প্রকৃতি অনুসারে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম চিহ্নিত করা
  • লে আউট কাজে ব্যবহৃত টুলস, ইকুইপমেন্ট ও যন্ত্রপাতি সনাক্ত করা
  • লে আউট কাজের জন্য টুলস, ইকুইপমেন্ট ও যন্ত্রপাতিসমূহ প্রস্তুত/উপযোগী করা
  • ড্রইং শীটের টাইটেল স্ট্রীপ ও রেকর্ডিং স্ট্রীপ অংকন করা

ক) ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম

 

(খ) স্পেসিফিকেশন প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ( টুলস, ইকুইপমেন্ট ও মেশিন)

 

(গ) প্রয়োজনীয় মালামাল (Raw Materials)

(ঘ) কাজের ধারা

  • স্টোর হতে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও মালামাল সংগ্রহ
  • যথানিয়মে তালিকা অনুসারে সুরক্ষা সরঞ্জামাদি পরিধান করবো।
  • সে আউট কাজে ব্যবহৃত টুলস, ইকুইপমেন্ট ও যন্ত্রপাতি এর সাথে পরিচিত হবো।
  • লে আউট কাজের জন্য টুলস, ইকুইপমেন্ট ও যন্ত্রপাতিসমূহ সনাক্ত করবো।

ড্রইং বোর্ডে ড্রইং শীট স্থাপন

  • টি-স্কয়ার বা প্যারালাল বারের সাথে ড্রইং শীট এর কিনারা সমান্তরাল করবো। 
  • ড্রইং বোর্ডের দৈর্ঘ্য বরাবর শীটের লম্বা দিকটি বোর্ডের কিপারার সাথে সমান্তরাল রাখবো। 
  • বোর্ডের উপর এবং নিচের কিপারার সাথে প্রায় সম দূরত্বে শীটটি স্থাপন করবো । 
  • টী-স্কয়ারকে শীটের উপর রেখে পেপারের কিপারার সাথে সমান্তরাল করে বা এক লাইনে নিয়ে অসবো।

ড্রইং বোর্ডের পার্শ্ব সমান ও সমান্তরান করে ড্রইং শীট স্কইং বোর্ডে স্থাপন 

  • টী-স্কয়ার স্টক থেকে ২৫-৫০ মিমি. দূরে শীটের বাম প্রাপ্ত স্থাপন করবো।
  • ড্রইং শীট স্কচটেপ বা ম্যাগনেটিক পাত দিয়ে ড্রইং বোর্ডে আটকাবো।
  • পেপারের উপরের দিকে দুই প্রান্তে বোর্ড পিন বা ক্লিপ বা সেলো টেপ অথবা ম্যাগনেটিক পাত দিয়ে আটকাবো। অনুরুপভাবে, পেপারের নিচের দুই প্রাপ্ত আটকালে ড্রইং টেবিলে সিট স্থাপন কাজ শেষ হবে।
  • ড্রইং শীটরে লে-আউট এর ব্যবহার করবো
  • ড্রইং শীটের টাইটেল দ্বীপ ও রেকর্ডিং স্ট্রীপ কার্য সম্পন্ন করবো।

কাজের সতর্কতা :

  • সঠিক নিয়মে সকল প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সরঞ্জাম পরিধান করা আবশ্যক ।
  • লে আউট যন্ত্রপাতি যথাযথ সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে ।

 

আত্মপ্রতিফলন:

ড্রইং শীটের টাইটেল স্ত্রীপ ও রেকর্ডিং স্ত্রীপ এর ব্যবহার করার দক্ষতা অর্জিত হয়েছে/হয় নাই/আবার অনুশীলন করতে হবে।

 

 

Content added By

পারদর্শিতার মানদন্ড :

  • কর্মক্ষেত্রের প্রকৃতি অনুসারে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম চিহ্নিত করা 
  • লে আউট কাজে ব্যবহৃত টুলস, ইকুইপমেন্ট ও যন্ত্রপাতি সনাক্ত করা 
  • লে আউট কাজের জন্য টুলস, ইকুইপমেন্ট ও যন্ত্রপাতিসমূহ প্রস্তুত/উপযোগী করা 
  • টেকনিক্যাল ড্রইং এ ব্যবহৃত বিভিন্ন লাইন অংকন করা

ড্রইং বোর্ডে ড্রইং শীট স্থাপন

  • টি-স্কয়ার বা গ্যারালাল বারের সাথে ড্রইং শীট এর কিনারা সমান্তরাল করবো। 
  • ড্রইং বোর্ডের দৈর্ঘ্য বরাবর শীটের লম্বা দিকটি বোর্ডের কিপারার সাথে সমান্তরাল রাখবো। 
  • বোর্ডের উপর এবং নিচের কিপারার সাথে প্রায় সম দূরত্বে শীটটি স্থাপন করবো।
  • টী- ক্ষয়ারকে শীটের উপর রেখে পেপারের কিনারার সাথে সমান্তরাল করে বা এক লাইনে নিয়ে আসবো।

ড্রইং বোর্ডের পার্শ্ব সমান ও সমান্তরাল করে স্কইং শীট ড্রইং বোর্ডে স্থাপন

  • টী-স্কয়ার স্টক থেকে ২৫-৫০ মিমি. দূরে শীটের বাম প্রান্ত স্থাপন করবো।
  • ড্রইং শীট স্কচটেপ বা ম্যাগনেটিক পাত দিয়ে ড্রইং বোর্ডে আটকাৰো।
  • পেপারের উপরের দিকে দুই প্রান্তে বোর্ড পিন বা ক্লিপ বা সেলো টেপ অথবা ম্যাগনেটিক পাত দিয়ে আটকাবো। অনুরুপভাবে, পেপারের নিচের দুই প্রাপ্ত আটকালে ড্রইং টেবিলে সিট স্থাপন কাজ শেষ হবে।
  • ড্রইং শীটের লে-আউট এর ব্যবহার করবো।
  • ড্রইং করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন প্রকার রেখা অংকন করবো।

কাজের সতর্কতা :

  • সঠিক নিয়মে সকল প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সরঞ্জাম পরিধান করা আবশ্যক।
  • লে আউট যন্ত্রপাতি যথাযথ সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে।

আত্মপ্রতিফলন 

ড্রইং করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন প্রকার রেখা অংকনের দক্ষতা অর্জিত হয়েছে/হয় নাই/আবার অনুশীলন করতে হবে।

 

 

Content added By

পারদর্শিতার মানদন্ড

  • কর্মক্ষেত্রের প্রকৃতি অনুসারে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম চিহ্নিত করা
  • লে আউট কাজে ব্যবহৃত টুলস, ইকুইপমেন্ট ও যন্ত্রপাতি সনাক্ত করা
  • লে আউট কাজের জন্য টুলস, ইকুইপমেন্ট ও যন্ত্রপাতিসমূহ প্রস্তুত/উপযোগী করা
  • বিভিন্ন স্ট্রোকে অক্ষর ও সংখ্যা লিখা

 

ড্রইং বোর্ডের পার্শ্ব সমান ও সমান্তরাল করে ড্রইং শীট ড্রইং বোর্ডে স্থাপন

  • টী স্কয়ার স্টক থেকে ২৫-৫০ মিমি. দুরে শীটের বাম প্রান্ত স্থাপন করবো। 
  • ড্রইং শীট স্কচটেপ বা ম্যাগনেটিক পাত দিয়ে ড্রইং বোর্ডে আটকাবো। 
  • পেপারের উপরের দিকে দুই প্রান্তে বোর্ড পিন বা ক্লিপ বা সেলো টেপ অথবা ম্যাগনেটিক পাত দিয়ে আটকাবো। অনুরূপভাবে, পেপারের নিচের দুই প্রান্ত আটকালে ড্রইং টেবিলে সিট স্থাপন কাজ শেষ হবে। 
  • ড্রইং শীটের লে-আউট এর ব্যবহার করবো।
  • অক্ষর ও সংখ্যা লেখার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন প্রকার রেখা ঘর অংকন করবো।
  • অক্ষর ও সংখ্যা লেখার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন প্রকার অক্ষর ও সংখ্যা অংকণ অংকন করবো।

কাজের সর্তকতা:

  • সঠিক নিয়মে সকল প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সরঞ্জাম পরিধান করা আবশ্যক ।
  • লে আউট যন্ত্রপাতি যথাযথ সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে।

আত্মপ্রতিফলন

ড্রইং করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন প্রকার রেখা অংকনের দক্ষতা অর্জিত হয়েছে/হয় নাই/জাবার অনুশীলন করতে হবে।

 

 

Content added By

পারদর্শিতার মানদন্ড

  • কর্মক্ষেত্রের প্রকৃতি অনুসারে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম চিহ্নিত করা
  • লে আউট কাজে ব্যবহৃত টুলস, ইকুইপমেন্ট ও যন্ত্রপাতি সনাক্ত করা
  • সে আউট কাজের জন্য টুলস, ইকুইপমেন্ট ও যন্ত্রপাতিসমূহ প্রস্তুত/উপযোগী করা
  • বহুভুজ অংকন করা

(ক) ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম

ড্রইং বোর্ডে ফাইং শীট স্থাপন

  • টি-স্কয়ার বা প্যারালাল বারের সাথে ড্রইং শীট এর কিনারা সমান্তরাল করবো। 
  • ড্রইং বোর্ডের দৈর্ঘ্য বরাবর শীটের লম্বা দিকটি বোর্ডের কিপারার সাথে সমান্তরাল রাখবো। 
  • বোর্ডের উপর এবং নিচের কিনারার সাথে প্রায় সম দূরত্বে শীটটি স্থাপন করবো ।
  • টা স্কয়ারকে শীটের উপর রেখে পেপারের কিনারার সাথে সমান্তরাল করে বা এক লাইনে নিয়ে আসবো।

কাজের সর্তকতা :

  • সঠিক নিয়মে সকল প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সরঞ্জাম পরিধান করা আবশ্যক ।
  • লে আউট যন্ত্রপাতি যথাযথ সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে।

বহুভুজ অংকনের দক্ষতা অর্জিত হয়েছে/হয় নাই/আবার অনুশীলন করতে হবে।

 

 

Content added By

পারদর্শিতার মানদন্ড

  • কর্মক্ষেত্রের প্রকৃতি অনুসারে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম চিহ্নিত করা
  • লে আউট কাজে ব্যবহৃত টুলস, ইকুইপমেন্ট ও যন্ত্রপাতি সনাক্ত করা
  • লে আউট কাজের জন্য টুলস, ইকুইপমেন্ট ও যন্ত্রপাতিসমূহ প্রস্তুত/উপযোগী করা
  • ড্রইং এর প্রতীক, পরিমাপ ও সারফেস ফিনিস অংকন করা।

(ক) ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম

 

(খ) প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (টুলস, ইকুইপমেন্ট ও মেশিন)

 

গ) প্রয়োজনীয় মালামাল (Raw Materials)

 

(ঘ) কাজের ধারা

  • স্টোর হতে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও মালামাল সংগ্রহ করো।
  • যথানিয়মে তালিকা অনুসারে সুরক্ষা সরঞ্জামাদি পরিধান করো।
  • টী স্কয়ার স্টক থেকে ২৫-৫০ মিমি. দূরে শীটের বাম প্রায় স্থাপন করবো।
  • ড্রইং শীট স্কচটেপ বা ম্যাগনেটিক পাত দিয়ে ফইং বোর্ডে
  • পেপারের উপরের দিকে দুই প্রান্তে বোর্ড পিন বা ক্লিপ বা সেলো টেপ অথবা ম্যাগনেটিক পাত দিয়ে আটকাবো। অনুরূপভাবে, পেগারের নিচের দুই প্রান্ত জাটকালে ড্রইং টেবিলে সিট স্থাপন কাজ শেষ হবে।
  • ড্রইং শীটের লে-আউট এর ব্যবহার করবো।

 

কাজের সর্তকতা :

  • সঠিক নিয়মে সকল প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সরঞ্জাম পরিধান করা আবশ্যক ।
  • লে আউট যন্ত্রপাতি যথাযথ সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে।

ড্রইং এর প্রতীক, পরিমাপ ও সারফেস ফিনিস অংকনের দক্ষতা অর্জিত হয়েছে/হয় নাই/আবার অনুশীলন করতে হবে।

 

 

Content added By
Please, contribute to add content into প্রশ্নমালা-৩.
Content