এসএসসি(ভোকেশনাল) - আত্মকর্মসংস্থান ও ব্যবসায় উদ্যোগ - আত্মকর্মসংস্থান | NCTB BOOK

নিজেকে কর্মে নিয়োজিত করাকে কর্মসংস্থান বলে। সাধারণ অর্থে নিজেই নিজের কর্মসংস্থান করাকে আত্মকর্মংস্থান বলা হয় ।

ব্যাপক অর্থে জীবিকা অর্জনের জন্য কোনো মানুষ অন্যের উপর নির্ভর না করে নিজের প্রচেষ্টায় কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলে তাকে আত্মকর্মসংস্থান বা স্ব-কর্মসংস্থান বলা হয়। এ ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি কারও অধীনস্থ কর্মচারী হিসেবে কাজ না করে নিজের দক্ষতা অনুযায়ী সংস্থাপনের ব্যবস্থা করে প্রদান করে । ব্যবসা হচ্ছে মূলত আত্মকর্মসংস্থানের উপায় । উদাহরণস্বরূপ আমরা বলতে পারি, একজন জুতার কারিগর যখন একটি জুতা উৎপাদনকারী ফ্যাক্টরিতে কর্মচারী হিসেবে কাজ না করে নিজেই জুতা তৈরি ও বিক্রয় করে মুনাফা অর্জন করে জীবিকা নির্বাহ করে, তখন তার এ পেশাকে আত্মকর্মসংস্থান বলে । জীবিকা অর্জনের বিভিন্ন পেশার মধ্যে প্লাম্বার, ইলেকট্রিশিয়ান, কনস্ট্রাকশন টেকনিশিয়ান ইত্যাদি । আত্মকর্মসংস্থান ক্রমশ জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। কারণ এ ধরনের পেশা উদ্যমী মানুষের জন্য দ্রুত সাফল্য এনে দেয়। বিভিন্ন অঞ্চলের যে সম্ভাবনা ও সম্পদ রয়েছে তার সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত হয়। সর্বোপরী আত্মকর্মসংস্থান পেশার মাধ্যমে স্থানীয় ভাবে বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়।

১। ড. এ.এইচ.এম. হাবিবুর রহমান বলেন - এর মতে, 'আত্মকর্মসংস্থান পেশা বলতে বোঝায় যখন কোনো ব্যক্তি স্বীয় দক্ষতা ও গুণাবলির বলে সেবাদানের বিনিময়ে অর্থ উপার্জন করে জীবিকা চালায়।

আমাদের দেশে স্বল্প মূলধনের সাহায্যে বিভিন্ন পদ্ধতির ব্যবসা স্থাপন করে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির সম্ভাবনা খুবই উজ্জ্বল । এদেশে প্রকট বেকার সমস্যার প্রেক্ষাপটে তরুণদের ব্যবসাকে বিকল্প পেশা হিসেবে গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে কর্মসংস্থান সৃষ্টির একটি সম্ভাবনাময় কৌশল হতে পারে। ব্যবসাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করলে একদিকে একজন তরুণ তার নিজের জন্য কর্মসংস্থানের উপায় খুঁজে পাবে, অন্যদিকে আরো কিছু তরুণের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে। এতে শ্রমবাজারের উপর চাপ কমে যাবে এবং দেশের সমগ্রিক বেকার সমস্যা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পাবে ।

Content added By