নবম-দশম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - অর্থনীতি - অর্থ ও ব্যাংক ব্যবস্থা | NCTB BOOK

যে ব্যাংক কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অর্থ আমানত হিসেবে জমা রাখে এবং ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে তাদের চাহিদা অনুযায়ী ঋণ প্রদান করে, তাকে বাণিজ্যিক ব্যাংক বলে। বাণিজ্যিক ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য হলো মুনাফা অর্জন। এ ব্যাংক আমানতকারীর জমাকৃত অর্থের উপর কম হারে সুদ দেয়। অন্যদিকে ব্যাংক ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে অপেক্ষাকৃত বেশি হারে সুদ আদায় করে। উভয় সুদের পার্থক্যই হলো ব্যাংকের মুনাফা। এ ব্যাংক জমাদানকারীকে তার জমাকৃত অর্থ চাওয়ামাত্র ফেরত দিতে বাধ্য থাকে বলে ব্যাংক তার তহবিল থেকে স্বল্পকালের জন্য ঋণ প্রদান করে। তাই এ ব্যাংককে স্বল্পমেয়াদী ঋণের ব্যবসায়ি বলে ।
বাংলাদেশে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো হলো: সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, আরব বাংলাদেশ ব্যাংক, ডাচ্‌ বাংলা ব্যাংক ইত্যাদি ।

বাণিজ্যিক ব্যাংকের কার্যাবযে ব্যাংক কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অর্থ আমানত হিসেবে জমা রাখে এবং ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে তাদের চাহিদা অনুযায়ী ঋণ প্রদান করে, তাকে বাণিজ্যিক ব্যাংক বলে। বাণিজ্যিক ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য হলো মুনাফা অর্জন। এ ব্যাংক আমানতকারীর জমাকৃত অর্থের উপর কম হারে সুদ দেয়। অন্যদিকে ব্যাংক ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে অপেক্ষাকৃত বেশি হারে সুদ আদায় করে। উভয় সুদের পার্থক্যই হলো ব্যাংকের মুনাফা। এ ব্যাংক জমাদানকারীকে তার জমাকৃত অর্থ চাওয়ামাত্র ফেরত দিতে বাধ্য থাকে বলে ব্যাংক তার তহবিল থেকে স্বল্পকালের জন্য ঋণ প্রদান করে। তাই এ ব্যাংককে স্বল্পমেয়াদী ঋণের ব্যবসায়ি বলে ।
বাংলাদেশে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো হলো: সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, আরব বাংলাদেশ ব্যাংক, ডাচ্‌ বাংলা ব্যাংক ইত্যাদি ।

বাণিজ্যিক ব্যাংকের কার্যাবলি

আধুনিককালে বাণিজ্যিক ব্যাংক বহুমুখী কার্য সম্পাদন করে রাষ্ট্রের একটি অপরিহার্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে । নিম্নে বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান কার্যাবলি আলোচনা করা হলো :
১. আমানত গ্রহণ
বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রথম ও প্রধান কাজ হলো ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে আমানত সংগ্রহ করা। বাণিজ্যিক ব্যাংক তিন ধরনের আমানত গ্রহণ করে । যথা- (ক) চলতি আমানত, (খ) সঞ্চয়ী আমানত, (প) স্থায়ী আমানত ।


(ক) চলতি আমানত : চলতি আমানতের অর্থ আমানতকারী যেকোনো সময় ওঠাতে পারেন। এজন্য এ আমানতের উপর কোনো সুদ প্রদান করা হয় না ।
আধুনিককালে বাণিজ্যিক ব্যাংক বহুমুখী কার্য সম্পাদন করে রাষ্ট্রের একটি অপরিহার্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে । নিম্নে বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান কার্যাবলি আলোচনা করা হলো :


১. আমানত গ্রহণ
বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রথম ও প্রধান কাজ হলো ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে আমানত সংগ্রহ করা। বাণিজ্যিক ব্যাংক তিন ধরনের আমানত গ্রহণ করে । যথা- (ক) চলতি আমানত, (খ) সঞ্চয়ী আমানত, (প) স্থায়ী আমানত ।
(ক) চলতি আমানত : চলতি আমানতের অর্থ আমানতকারী যেকোনো সময় ওঠাতে পারেন। এজন্য এ আমানতের উপর কোনো সুদ প্রদান করা হয় না ।

(খ) সঞ্চয়ী আমানত : সঞ্চয়ী আমানতের অর্থ একটি নির্দিষ্ট সময় মেয়াদে সাধারণত সপ্তাহে দুবার ওঠানো যায় । এই আমানতের উপর ব্যাংক কিছু সুদ দেয় ।


(গ) স্থায়ী আমানত : এ আমানত নিৰ্দিষ্ট মেয়াদের জন্য করা হয়। যেমন- ৩ মাস, ৬ মাস, ১ বছর, ৩ বছর, ৫ বছর ইত্যাদি। ব্যাংক এ ধরনের আমানতের উপর অধিক হারে সুদ প্রদান করে থাকে । এ আমানতের অর্থ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেও তোলা যায় । এক্ষেত্রে কিছু বিধি-বিধান অনুসরণ করতে হয়।


২. ঋণ দান করা


বাণিজ্যিক ব্যাংক মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে আমানতের একটি নির্দিষ্ট অংশ আমানতকারীর চাহিদা মেটানোর জন্য গচ্ছিত রেখে বাকি অর্থ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন মেয়াদের জন্য ঋণ প্রদান করে । উপযুক্ত জামানত ও বন্ধকির যেমন- মূল্যবান ধাতু, ধাতব দ্রব্য, সরকারি ও দেশি-বিদেশি ঋণপত্র, স্থায়ী সম্পদ ইত্যাদি এর বিপরীতে বাণিজ্যিক ব্যাংক ঋণ প্রদান করে । আমাদের দেশের বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক গৃহনির্মাণ, মৎস্য চাষ, ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি ক্ষেত্রে ঋণ দেয় ৷
৩. বিনিময়ের মাধ্যম সৃষ্টি
বর্তমানে বাণিজ্যিক ব্যাংক সহজ বিনিময় মাধ্যম হিসেবে চেক, ব্যাংক ড্রাফট, ই-পেমেন্ট, হুন্ডি ও ভ্রমণকারীর চেক ইত্যাদি সৃষ্টি করে । বিনিময় মাধ্যমগুলোর মধ্যে ব্যাংকের ইস্যুকৃত চেক বহুল ব্যবহৃত হয় । উন্নত দেশে অধিকাংশ লেনদেনই চেকের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়ে থাকে ।


৪. দেশীয় ও বৈদেশিক বাণিজ্যে সহায়তা


বাণিজ্যিক ব্যাংক দেশের অভ্যন্তরে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাণিজ্যের সহায়তায় ব্যবসায়ীদের অর্থ যোগান দেওয়ার পাশাপাশি পরামর্শও দিয়ে থাকে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের বিনিময় বিলে স্বীকৃতি প্রদান, বিল বাট্টাকরণ, আমদানি ও রপ্তানিকারককে ঋণ প্রদান, মেইল ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধের ব্যবস্থা করে। অনেক ক্ষেত্রে ব্যাংকের মাধ্যমে দ্রব্য আদান-প্রদান, বৈদেশিক মুদ্রার ক্রয়-বিক্রয় এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের দেনা-পাওনার নিষ্পত্তি হয় । এসব কার্য সম্পাদন করে বাণিজ্যিক ব্যাংক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বিক্ষিপ্ত ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ব্যক্তিগত সঞ্চয়কে আমানত হিসেবে গ্রহণ করে । তা থেকে ব্যাংকসমূহ ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পকারখানা নির্মাণ ও সম্প্রসারণে ঋণ সহায়তা দান করে থাকে । শিল্পের কাঁচামাল এবং উন্নতমানের যন্ত্রপাতি ক্রয় করতে বাণিজ্যিক ব্যাংক সহজ শর্তে পর্যাপ্ত ঋণ প্রদান করে । এছাড়া নতুন নতুন কোম্পানির শেয়ার কিনে দেশে কলকারখানা গড়তে সহায়তা করে ।
বাণিজ্যিক ব্যাংক দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও সহায়তা করে । বর্তমানে এ দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো রিক্সা ও ভ্যান ক্রয়, মুদির দোকান খোলা, চাল-ডাল-গম ভাঙানোর মিল স্থাপন ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত জামানতের বিপরীতে ঋণ প্রদান শুরু করেছে । এর ফলে অনেক লোকের কর্মসংস্থান সম্ভব হবে বলে আশা করা যায় ।

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক


কৃষি খাতের গতিশীলতা বৃদ্ধি, কৃষি স্বনির্ভরতা অর্জন এবং সার্বিক কৃষি উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয় । স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক অধ্যাদেশ ১৯৭৩ রাষ্ট্রপতির আদেশ বলে পাকিস্তান কৃষি ব্যাংকের সকল দায় ও সম্পদ নিয়ে এ ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান । নিম্নে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ভূমিকা উল্লেখ করা হলো- বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক কৃষি ও কৃষির সাথে জড়িত খাতের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ প্রদান করে ।
ক. আমাদের দেশের অধিকাংশ কৃষক দরিদ্র । তাই কৃষকের ছোটখাটো প্রয়োজন মেটানোর জন্য (যেমন- সার, বীজ, কীটনাশক ঔষধ প্রভৃতি ক্রয় এবং জমি চাষ, ফসল নিড়ানো, ফসল কাটা, মাড়াই ইত্যাদি কাজের ব্যয় নির্বাহের জন্য) এ ব্যাংক স্বল্পমেয়াদি ঋণ প্রদান করে । এ ঋণ সাধারণত ১৮ মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হয় ।
খ. জমি সমতল করা, অগভীর নলকূপ স্থাপন, চাষের জন্য গবাদিপশু এবং হালকা কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয় করা প্রভৃতি কাজের জন্য এ ব্যাংক কৃষককে মধ্যম মেয়াদি ঋণ প্রদান করে । এ ঋণ সাধারণত ১৮ মাস থেকে ৫ বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হয় ।
গ. জমি ও ভারী যন্ত্রপাতি (যেমন- ট্রাক্টর, হারভেস্টর ইত্যাদি) ক্রয়, গভীর নলকূপ স্থাপন, গুদামঘর নির্মাণ, হিমাগার নির্মাণ, পানি সেচের উদ্দেশ্যে খাল খনন, চা বাগানের উন্নয়ন এসব কাজের জন্য কৃষি ব্যাংক কৃষককে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দিয়ে থাকে । এ ঋণ ৫ বছর থেকে ২০ বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হয় ।

এ ব্যাংক কৃষিভিত্তিক ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প স্থাপনে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দিয়ে থাকে । এ ব্যাংক হাঁস-মুরগি ও পশুপালন, মৌমাছি ও গুটিপোকার চাষ, মৎস্য খামার তৈরি প্রভৃতি কাজের জন্য ঋণ দিয়ে থাকে, যা নিয়ে আমাদের বেকার যুবকরা তাদের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ পায় ।

বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড


গত ৩১ ডিসেম্বর ২০০৯ তারিখে সরকারের সিদ্ধান্তের আলোকে সরকার ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের মধ্যে Vendors Agreement স্বাক্ষরিত হয়। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক ও বাংলাদেশ শিল্প ঋণ সংস্থা নামক প্রতিষ্ঠান দুটি একীভূত করে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড গঠিত হয় । বিলুপ্ত প্রতিষ্ঠান দুটির দায়, সম্পদ ও জনবল নতুন প্রতিষ্ঠানের নিকট অর্পিত হয়েছে । নিম্নে এ ব্যাংকের ভূমিকা উল্লেখ করা হলো-
এ ব্যাংক সাধারণত আমাদের দেশের সাথে সম্পৃক্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে ঋণ প্রদান করে, যেমন- পাটশিল্প, চামড়াশিল্প, চিনিশিল্প ও সারশিল্প ইত্যাদি । পল্লি এলাকায় কৃষিভিত্তিক শিল্প স্থাপনে অগ্রাধিকার প্রদান করছে, যা কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি কৃষি উন্নয়নে সহায়ক ।
এই ব্যাংক সরকারি ও বেসরকারি খাতে নতুন শিল্প নির্মাণ, পুরাতন শিল্প সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দিয়ে থাকে। এই ব্যাংকের ঋণ পরিশোধের সময়সীমা সর্বোচ্চ ২০ বছর । শিল্প কারখানার প্রয়োজনে এ ব্যাংক স্বল্পমেয়াদি ঋণও প্রদান করে । উদ্যোক্তাকে বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় কারিগরি পরামর্শ প্রদান এবং শিল্পায়ন সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রকার গবেষণা, পরিসংখ্যান ও তথ্য সংগ্রহ করে থাকে ।
স্বনির্ভরতা অর্জন, উৎপাদন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করে মেয়াদি ঋণ প্রদান করছে। নারীকে আত্মনির্ভরশীল করার জন্য ক্ষুদ্র শিল্প স্থাপনে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করছে। বেসরকারিভাবে শিল্প উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বিনিয়োগ সুবিধা দান ও শিল্প কার্যক্রমের রূপরেখা প্রণয়ন করে ।
কাজ : উৎপাদন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের ভূমিকা লিখ ।


গ্রামীণ ব্যাংক


গ্রামের অতি স্বল্প জমির মালিক, ভূমিহীন এবং অন্যান্য অতি দরিদ্র নারী-পুরুষের মাঝে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত একটি বিশেষ আর্থিক প্রতিষ্ঠান হলো গ্রামীণ ব্যাংক । জনসাধারণকে এ ব্যাংক ক্ষুদ্রঋণ প্রদান করে । ১৯৮৩ সালে একটি বিশেষ অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংক আত্মপ্রকাশ করে । এটি সরকারি বা বেসরকারি ব্যাংক নয়। আইনত এর প্রধান মালিক হচ্ছেন এর দরিদ্র ত্রিশ লক্ষ গ্রাহকবৃন্দ। নিম্নে এ ব্যাংকের ভূমিকা উল্লেখ করা হলো-