অষ্টম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় - NCTB BOOK

সামাজিকীকরণ মানুষের জীবনব্যাপী একটি চলমান প্রক্রিয়া। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত এ প্রক্রিয়া চলতে থাকে। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যক্তি সমাজ জীবনের কাঙ্ক্ষিত আচরণ উপযোগী হয়ে গড়ে উঠে। এ প্রক্রিয়ায় সমাজের নিয়ম-নীতি, মূল্যবোধ, বিশ্বাস, আদর্শ ইত্যাদি আয়ত্ত করে ব্যক্তি যেমন নিজের উন্নয়ন ঘটায় তেমনি সমাজ উন্নয়নেও অংশগ্রহণ করে। তোমরা ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে সামাজিকীকরণ সম্পর্কে ধারণা অর্জন করেছ। এ অধ্যায়ে শিশুর সামাজিকীকরণে কতিপয় উপাদানের প্রভাব, বাংলাদেশে গ্রাম ও শহরের সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া এবং সামাজিকীকরণে বিশ্বায়নের প্রভাব সম্পর্কে অবহিত হবে।

এ অধ্যায় শেষে আমরা-
• সামাজিকীকরণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও উপাদানের প্রভাব ব্যাখ্যা করতে পারব ;
• বাংলাদেশের গ্রাম ও শহরের সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া তুলনা করতে পারব ; 

• সামাজিকীকরণে গণমাধ্যম ও তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রভাব বিশ্লেষণ করা ও এর ইতিবাচক ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ হব ; 

• সামাজিকীকরণে বিশ্বায়নের প্রভাব ব্যাখ্যা করতে পারব এবং এ সম্পর্কে বাস্তব তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে প্রতিবেদন প্রণয়ন ও উপস্থাপন করতে পারব ;

• মানবিক ও সামাজিক গুণাবলি রপ্ত করে পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্ক উন্নয়নের যোগ্যতা অর্জন করব এবং শৃঙ্খলাপূর্ণ আচরণে উদ্বুদ্ধ হব ।

Content added By

জনগণের কাছে সংবাদ, মতামত ও বিনোদন পরিবেশন করা হয় যেসব মাধ্যমে তাকেই বলা হয় গণমাধ্যম। যেমন- সংবাদপত্র, বেতার, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র। আর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বলতে বোঝায় সেই প্রযুক্তি যার সাহায্যে তথ্য সংরক্ষণ ও তা ব্যবহার করা যায়। যেমন ইন্টারনেট, ফোন প্রভৃতি। গণমাধ্যম এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যক্তির সামাজিকীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আজকের দিনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে এর গুরুত্ব ক্রমেই বাড়ছে।

সংবাদপত্র : সামাজিকীকরণের ক্ষেত্রে সংবাদপত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে সংবাদপত্র জনশিক্ষার একটি প্রধান মাধ্যম। আপন সমাজ ও বিশ্ব সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা সৃষ্টির মাধ্যমে তা মানুষের মনের সংকীর্ণতা দূর করে। তাদের মধ্যে পারস্পরিক সহনশীলতা, সহমর্মিতা ও বিশ্বজনীনতার বোধ সৃষ্টি করে।

বেতার বা রেডিও : বেতার কেবল সংবাদই পরিবেশন করে না, শিক্ষা ও বিনোদনমূলক নানা অনুষ্ঠানও প্রচার করে। এর ফলে গণসচেতনতা বৃদ্ধি পায় এবং মানুষের মধ্যে সংস্কৃতিবোধ সৃষ্টি হয় ৷

টেলিভিশন : আজকের দিনে সারা পৃথিবীতেই টেলিভিশন সবচেয়ে শক্তিশালী ও জনপ্রিয় গণমাধ্যম ৷ মানুষের চিন্তাভাবনা ও জীবনযাপনকে এটি নানাভাবে প্রভাবিত করে। টেলিভিশন বিনোদন এবং তথ্য ও শিক্ষামূলক নানা ধরনের অনুষ্ঠান প্রচার করে নাগরিকদের আনন্দ ও শিক্ষা দেয়। সাধারণ মানুষ বিশেষ করে শিশু-কিশোরদের উপর টেলিভিশনের প্রভাব খুব বেশি। এই প্রভাব ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই রকমই হতে পারে। টেলিভিশনে যদি বেশি করে আকর্ষণীয় শিক্ষা ও তথ্যমূলক অনুষ্ঠান প্রচার করা হয় তবে তা মানুষকে আলোকিত করে তুলতে পারে। আপন দেশ, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে নবীন প্রজন্মের মানুষকে পরিচিত করে তোলার মাধ্যমে টেলিভিশন তাদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগিয়ে তুলতে পারে। এর ফলে সামাজিকীকরণের কাজটি সহজ হয়। অন্যদিকে টেলিভিশনের সস্তা বিনোদনমূলক বা রুচিহীন অনুষ্ঠান সমাজের বিশেষ করে শিশু-কিশোর মনের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। তারা অসুস্থ ও বিকৃত মানসিকতা নিয়ে বেড়ে উঠে। অতিরিক্ত বা রাত জেগে টেলিভিশন অনুষ্ঠান দেখার ফলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার ক্ষতি হয়।

চলচ্চিত্র : সুস্থ, রুচিশীল ও শিক্ষামূলক চলচ্চিত্র মানুষকে আনন্দ দেওয়ার পাশাপাশি তাদের মধ্যে মূল্যবোধ, মানবিকতা ও সহমর্মিতার বোধ জাগিয়ে তোলার মাধ্যমে সামাজিকীকরণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। উল্টোদিকে অশ্লীল ও রুচিহীন চলচ্চিত্র সমাজের মানুষের মূল্যবোধ ও রুচির অবনতি ঘটায়। সমাজের উপর যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। সামাজিকীকরণে সহায়তা করার পরিবর্তে তা সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় এবং অপরাধ প্রবণতা ও বিশৃঙ্খলার কারণ হয়ে দাঁড়ায় ।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রভাব : ইন্টারনেট প্রযুক্তি বর্তমানে দেশ বা দেশের বাইরে একজনের সঙ্গে অন্যজনের যোগাযোগকে খুবই সহজ করে দিয়েছে। আত্মীয়স্বজন বা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে ভাববিনিময়, পরস্পরের খোঁজখবর নেওয়া কিংবা ব্যবসায়িক প্রতিপক্ষের সঙ্গে পণ্যবিনিময় সংক্রান্ত আলোচনা, চুক্তি ইত্যাদি এখন ঘরে বসে অল্প সময়েই করা যায়। কিছুদিন আগেও যা ভাবা যেত না। এভাবে ব্যক্তির সামাজিকীকরণের মাধ্যমে সমাজের উন্নয়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

ইলেক্ট্রনিক মেইল : ই-মেইলের সঙ্গে আমরা সবাই আজকাল পরিচিত। ই-মেইল হচ্ছে ইলেক্ট্রনিক মেইল এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এর মাধ্যমে খুব অল্প সময়ে ও কম খরচে দেশে-বিদেশে চিঠি ও তথ্য আদান-প্রদান করা যায়। ই-মেইল পৃথিবীব্যাপী যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে। ব্যক্তির সামাজিকীকরণের মাধ্যমে পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে বর্তমানে ই-মেইলের কোনো বিকল্প নেই।

ইলেক্ট্রনিক কমার্স : ইলেক্ট্রনিক কমার্সকে সংক্ষেপে বলে ই-কমার্স। এ পদ্ধতিতে অনলাইনে ক্রেতা- বিক্রেতার মধ্যে পণ্য লেন-দেন করা যায়।

ফেসবুক ও টুইটার : ফেসবুক ও টুইটারের সাহায্যে খুব সহজে দেশে বা বিদেশে যে কোনো মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ ও বন্ধুত্ব সৃষ্টি এবং মতামত ও ছবি বিনিময় করা যায়। আধুনিক বিশ্বে এটি সামাজিক যোগাযোগের একটি কার্যকর মাধ্যম হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে। আর দিন দিন এর গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তবে বিজ্ঞানের অন্য অনেক আবিষ্কারের মতো ইন্টারনেট, ফেসবুক ও টুইটারেরও কিছু মন্দ বা নেতিবাচক দিক আছে। মানুষের হাতে এগুলোর অপব্যবহার ব্যক্তি ও সমাজ দুইয়ের জন্যই মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে । আজকাল প্রায়ই তরুণ সমাজের উপর ইন্টারনেট ও ফেসবুকের নেতিবাচক প্রভাবের কথা শোনা যায়। এ বিষয়ে আমাদের অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে।

কাজ- ২ : ব্যক্তির সামাজিকীকরণে ই-মেইলের প্রভাব উল্লেখ করো।

কাজ- ২ : ব্যক্তির সামাজিকীকরণে ই-মেইলের প্রভাব উল্লেখ করো ।

Content added || updated By

বাংলাদেশের প্রায় ৮৫% লোক গ্রামে বাস করলেও গ্রাম ও শহর নিয়েই বাংলাদেশের সমাজব্যবস্থা । এদেশের অধিকাংশ মানুষের সামাজিকীকরণ হয় গ্রামীণ পরিবেশে। তবে শহরের সমাজ কাঠামো আলাদা হওয়ায় সেখানকার সামাজিকীকরণের ধরন গ্রামের থেকে একটু আলাদা । গ্রাম ও শহরের পরিবার কাঠামোর পার্থক্যের কারণে শিশুর সামাজিকীকরণও ভিন্ন হয়।

গ্রামের সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া : গ্রামীণ পরিবেশে শিশু নিজ পরিবারসহ অন্যান্য আত্মীয় স্বজনের
মাঝে বেড়ে উঠে। এতে পরিবারের সদস্যদের আচার-আচরণের সাথে শিশুর আচরণের পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ঘটে। এর মাধ্যমে শিশু সহযোগিতা, সহিষ্ণুতা, সহমর্মিতা, শ্রদ্ধাবোধ প্রভৃতি গুণাবলি অর্জন করে। গ্রামের মানুষের সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার করে সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। অর্থাৎ পরিবার, পাড়া-প্রতিবেশী, জাতিগোষ্ঠী, সমবয়সী দল ও খেলার সাথি, কর্মক্ষেত্র, স্ব স্ব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রভৃতি ব্যক্তির সামাজিকীকরণে ভূমিকা রাখে। এছাড়া লোক সংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদান যেমন- উৎসব, পালাগান, লোক নাটক, লোক সংগীত, যাত্রা, পুতুল নাচ, লৌকিক আচার প্রভৃতির মাধ্যমেও গ্রামে সামাজিকীকরণ ঘটে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সামাজিকীকরণের অন্যতম প্রধান মাধ্যম । তবে ইদানীং টেলিভিশন, চলচ্চিত্র, ইন্টারনেট ইত্যাদিও সক্রিয় ভূমিকা রাখছে।

শহরে সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া : শহরের মানুষের সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ায় পরিবারই সবচেয়ে প্রথম ও প্রধান মাধ্যম। পরিবারই হচ্ছে শিশুর শিক্ষার প্রথম মাধ্যম। পরিবারের পর সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যম। শহরের অধিকাংশ মানুষ উন্নয়নমুখী। শহরের মানুষের সামাজিকীকরণে কর্মক্ষেত্র, বিনোদনমূলক প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সভা-সমিতি, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। শহরে গণমাধ্যম সামাজিকীকরণে শক্তিশালী ভূমিকা রাখে। মানুষ বিশ্বের বহু তথ্য গণমাধ্যমের মাধ্যমে পেয়ে থাকে। ফলে শহরের মানুষ সমকালীন সমাজ ও বহির্বিশ্বের নিত্য নতুন তথ্য ও জ্ঞান-বিজ্ঞানকে সহজে গ্রহণ করে এবং দ্রুত নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারে।

সামাজিকীকরণে প্রতিবেশীর ভূমিকা গ্রাম ও শহর উভয় সমাজেই ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। গ্রামীণ সমাজে প্রতিবেশীর সাথে সম্পর্ক যত ঘনিষ্ঠ হয় শহরের ক্ষেত্রে ততটা হয় না। গ্রামে শিশুরা যৌথ পরিবারে বেড়ে ওঠার সুযোগ পায়, অন্যদিকে শহরের অধিকাংশ শিশু বেড়ে ওঠে একক পরিবারে । যার ফলে কখনো কখনো শহরের শিশুদের আচরণে পারস্পারিক সহযোগিতা মূলক আচরণের অভাব দেখা যায় । তবে শহরের শিশুরা খেলাধুলা কিংবা আনন্দ উৎসবে অংশ গ্রহণের মাধ্যমে অনেক সময় একে অন্যের আপন হয়ে যায়। শিশু-কিশোররা প্রতিবেশীর গণ্ডিতে থাকলে সহজে সমাজ স্বীকৃত আচরণ শিখে। ভালো কাজের প্রশংসা ও খারাপ কাজের সমালোচনা তাদেরকে সমাজ স্বীকৃত আচরণ করতে উৎসাহিত করে। এভাবে বিদ্যালয়, গণমাধ্যম, স্থানীয় খেলাধুলা ইত্যাদির মাধ্যমে গ্রাম ও শহরের শিশু-কিশোরদের সামাজিকীকরণ ঘটে থাকে। বর্তমান সময়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে গ্রাম ও শহরে সামাজিকীকরণের ব্যবধান অনেকাংশে কমে আসছে ।

কাজ : গ্রাম ও শহরের সামাজিকীকরণে পরিবারের ভূমিকা বর্ণনা করো ।

 

Content added By

প্রবাসে কর্মরত নাগরিকদের স্বদেশে প্রেরিত অর্থকে রেমিটেন্স (Remittance) বলে । বিদেশে কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী ও পেশাজীবীরা তাদের অর্জিত অর্থের একটা অংশ ব্যাংকের মাধ্যমে পরিবারের কাছে পাঠায়। এই অর্থ কেবল তাদের পরিবারের প্রয়োজনই মিটায় না, কিংবা তাদের জীবনযাত্রার মানই বাড়াচ্ছে না, নানা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ হয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে বাংলাদেশের জাতীয় আয়ের একটি বড় অংশ আসছে প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিটেন্স থেকে।

 

অর্থনীতিতে বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশীদের প্রেরিত রেমিটেন্সের প্রভাব

বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কাজ করছে। মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, মিসর, লিবিয়া, মরক্কোসহ অনেক দেশে বাংলাদেশের শ্রমিক ও পেশাজীবীরা কাজ করছেন। একইভাবে নিকট ও দূর প্রাচ্যের মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ব্রুনাই, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলোতেও বাংলাদেশের বহু মানুষ নানা পেশায় নিয়োজিত আছে। ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও আফ্রিকাতেও বহু বাংলাদেশি চাকরি ও ব্যবসাসহ নানা ধরনের কাজ করছেন। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো ও বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশিদের সংখ্যা ছিল ৪.৭৮ লক্ষ এবং তাদের পাঠানো অর্থের পরিমান (রেমিটেন্স) ছিল ১৮,২০৫.০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অথচ ২০০৮ - ২০০৯ অর্থবছরে এই রেমিটেন্সের পরিমান ছিল ৯৬৮৯ মিলিয়ন ডলার। বিশ্বব্যাংকের হিসাব মতে ২০০৮ সালে বিশ্বের সর্বোচ্চ রেমিটেন্স প্রাপ্ত দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১২তম। ২০০৯ সালে তা ৮ম স্থানে উন্নীত হয়। এ সময় সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের স্থান ছিল ২য়। বিশ্ব মন্দা পরিস্থিতি সত্ত্বেও ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি বড় ধরনের কোনো সংকটের মধ্যে না পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে প্রবাসীদের পাঠানো বিপুল অঙ্কের রেমিটেন্স। (উৎস: বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২০ )

কাজ : রেমিটেন্স কীভাবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে ব্যাখ্যা করো।

Content added By