অষ্টম শ্রেণি (মাধ্যমিক) | NCTB BOOK
Please, contribute to add content into সংস্কৃত.
Content
Please, contribute to add content into প্রথম অধ্যায়.
Content

আসীৎ বাণীপুরং নাম কশ্চিদ গ্রামঃ। তত্র আস্তাং শ্যামলঃ কমলশ্চ য়ৌ বন্ধু। একদা ভৌ বনমার্গেণ গচ্ছন্তৌ

ভলুকমেকম্ অপশ্যতাম্। তমবলোক্য ভয়োর্মনসি ভয়ং সঞ্জাতম্। অতঃ প্রাণরক্ষার্থং তৌ যত্নম্ অকুরতা।
বলিষ্ঠঃ শ্যামলঃ তৎক্ষণাদের নিকটস্থং বৃক্ষমারুঢ়ঃ। কমলস্য তু বৃক্ষারোহণে সামর্থ্যং নাসীৎ। নিরুপায়ঃ স
বৃক্ষস্য অধোভাগে মৃত ইব স্থিতঃ। ভল্লুকব্রাগভ্য নাসিকয়া আড্ডায় তাং মৃতং মত্যু প্রস্থিতঃ।
গতে ভলুকে শ্যামলো বৃক্ষাৎ অবতীর্য অবদৎ, “সখে কমল! ভলুকস্তে কর্ণে কিমকথয়" কমলো বদৎ,
“বিপদি মিত্রং পরিত্যজ্য যঃ পলায়তে স ন প্রকৃতো বন্ধুঃ। অবশ্যমের স পরিত্যাজ্য ইতি ভলুকেনোক্রম্।"

আপসু মিত্রং জানীয়াৎ।

অনুশীলনী

শব্দার্থ :

মনসি— মনে। অধোভাগে— নিচে। নাসিয়া নাক দ্বারা। মতা মনে করে। আদ্রায় ঘ্রাণ নিয়ে।
-
পরিত্যজ্য পরিত্যাগ করে। পরত্যাজ্যঃ- পরিত্যাগের যোগ্য। আপঙ্গু বিপদে।

ব্যাকরণ

(ক) সন্ধিবিচ্ছেদ :

ভকমেকম্ [ = ভলুকম্ + একম্। তমবলোক্য = তম্ + অবলোক্য। ভলুকাপত্য = ভলুকঃ + ত +
আগত্য। ভলুকেনোক্তম্ = ভলুকেন + উক্তম। অবশ্যমের = অবশ্যম্ + এব।

(খ) কারণসহ বিভক্তি নির্ণয় :

মনসি— অধিকরণে ৭মী। বৃক্ষম— কর্মে ২য়া। নাসিয়া- করণে ৩য়া। ভলুকেন— কর্তায় ওয়া। তে
সম্বন্ধে ওষ্ঠী। বৃক্ষাৎ— অপাদানে ৫মী।

(গ) ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় :

নিরুপায়ঃ— নাস্তি উপায়ঃ যস্য সঃ (বহুব্রীহিঃ)। বৃক্ষারোহণে বৃক্ষস্য আরোহণম্ (ষষ্ঠীত), তস্মিন্।
বনমার্গেণ বনস্থিতঃ মার্গঃ (মধ্যপদলোপী কর্মধারয়ঃ), তেন। নিকটস্থ - নিকটে তিষ্ঠিতি যঃ
(উপপদত), তম্ ।

প্রশ্নমালা

সঠিক উত্তরটি পাশে টিক (/) চিহ্ন দাও :

(ক) বাণীপুর একটি দেশের/গ্রামের/নগরের/প্রদেশের নাম।

(খ) শ্যামল ও কমল বনের ভেতর দেখেছিল বাঘ/ সিংহ/শূকর/ভলুক।

(গ) ভয়ার্ত শ্যামল আরোহণ করেছিল গাছে/পর্বতে/টিনের চালে/স্তষ্কে।

(ঘ) ভলুক কমলকে দস্তাঘাত / নখাঘাত / আঘ্রাণ/পদাঘাত করেছিল।
(ঙ) বন্ধুকে বুঝতে হবে বিপদ কালে/সম্পদ কালে/ মৃত্যু কালে/বিবাহ কালে।

শূন্যস্থান পূরণ কর :

(ক) শ্যামলঃ
ছৌ বন্ধু।

ভয়ং সঞ্জাতম্।

-সামর্থ্য मাসী।

কমলস্য তু
-

কর্ণে কিমকথয়।

সন প্রকৃতো

বাক্য রচনা কর :
আসীৎ, অত্র, মনসি, অবতীর্য, বন্ধুঃ ।

৪। শব্দার্থ দেখ

অধোভাগে, আপস, মড়া, পরিত্যাজ্যঃ, আঘ্রায়।

সন্ধি বিচ্ছেদ কর :

তমবলোকা, ডলুকমেকম্, তয়োর্মনসি, বৃক্ষমারূঢ়ঃ, অবশাবে।

কারণসহ বিভক্তি নির্ণয় কর :

বৃক্ষ, ডলুকেন, নাসিকয়া তে, বৃক্ষাৎ।

ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লেখ :
বনমার্গেণ, নিকটস্থ, নিরুপায়ঃ, বৃক্ষারোহণে।

৮।

বাংলায় উত্তর দাও :

(ক) শ্যামল ও কমল কোথায় বাস করত?

(খ) ভলুককে দেখে শ্যামল ও কমলের মনের অবস্থা কিরূপ হয়েছিল?

(গ) প্রাণ রক্ষার জন্য শ্যামল কি করেছিল?

(ঘ) নিরুপায় কমল কি করেছিল?

ভালুক চলে গেলে শ্যামল কমলকে কি বলেছিল?

শ্যামলের কথা শুনে কমল কি বলেছিল?

কখন মিত্রের পরিচয় পাওয়া যায়?

বাংলায় অনুবাদ কর

(ক) একদা তৌ
সাতম্।

(খ) কমলসা তু
প্রস্তিতঃ।

(গ) বিপদি মিত্রহ

ভলুকেনোক্রম্ ।

১০। গল্পটির উপদেশ সংস্কৃত ভাষায় লেখ এবং বাংলায় তার অনুবাদ কর।

১১। 'কলটব্যু-কথা' গল্পটি নিজের ভাষায় লেখ।

টীকা:

হিতোপদেশঃ পণ্ডিত নারায়ণ রচিত একটি গল্পগ্রন্থ। গল্পের মাধ্যমে এতে নীতিশিক্ষা দেয়া হয়েছে।

 

 

Content added || updated By

অস্তি নর্মদাতীরে বিশালো বটবৃক্ষঃ। তত্র নীড়ান বিরচা বিহগাঃ সুখেন নিবসন্তি স্ম। একদা বর্ষাকালে মহতী
বৃষ্টিরভবৎ। তদা কতিপয়াঃ বানরাঃ তস্মিন্ বৃক্ষতলে উপবিষ্টাঃ। তান সিকান্ কম্পমানাংশ্চ দৃষ্ট্বা বিগহা
অবদন, “হস্তপদাদিসংযুক্তাঃ যুয়ং কিমর্থম্ অবসীদ"

তদাকর্ণ বানরাণাং ক্রোধঃ সঞ্জাতঃ। তে অচিন্তয়, “অহো! নীড়েঘু সুখেন স্থিতাঃ বিহগাঃ অমান্ উপহসস্তি।
তদ্‌ভবতু তাবৎ বৃষ্টেরূপশমঃ।"

অনন্তরং শান্তে বারিবর্ষণে বানরাঃ বৃক্ষমারুহা পক্ষিণাং নীড়ান্ অভঞ্জন তেষাং ডিম্বান্ চ ভূমৌ পাতিতবস্তুঃ।

“উপদেশো হি মূর্খাণাং প্রকোপায় ন শান্তয়ে।”

অনুশীলনী

শব্দার্থ :

বিচ্য রচনা করে। মহতী
- প্রচুর। যুয়ম - তোমরা। অবসীদর অবসন্ন হচ্ছ, কষ্ট পাচ্ছ। সুখেন
-
সুখে। অমান্ আমাদেরকে। উপসি উপহাস করছে। আবুহ্য – আরোহণ করে। ভূমৌ
-
-
মাটিতে।

ব্যাকরণ

(ক) সন্ধিবিচ্ছেদ :

বৃষ্টিরভবৎ = বৃষ্টিঃ + অভবৎ কম্পমানাংশ্চ = কম্পমানান্ + চ। বৃষ্টেরুপশমঃ = বৃষ্টেঃ + উপমশঃ ।
বৃক্ষমারুহা = বৃক্ষম্ + আহা।

(খ) কারণসহ বিভক্তি নির্ণয় :

নর্মদাতীরে- অধিকরণে ৭মী। বর্ষাকালে কালাধিকরণে ৭মী। অমান্― কর্মে হয়।। বানরাণাম্ সম্বন্ধে
-
ষষ্ঠী। বারিবর্ষণে— ভাবে ৭মী। প্রকোপায় / শান্তয়ে নিমিত্তার্থে ৪র্থী। ভূমৌ – অধিকরণে ৭মী।

(গ) ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় :

নর্মদাতীরে— নর্মদায়াঃ তাঁরম্ (৬ষ্ঠীত), তদ্দিন। বিহগাঃ- বিহায়সা গচ্ছস্তি যে (উপপদত), তে।
বটবৃক্ষঃ— বটনামকঃ বৃক্ষঃ (মধ্যপদলোপী কর্মধারয়ঃ)

প্রশ্নমালা

সঠিক উত্তরটির পাশে টিক (/) চিহ্ন দাও :
(ক) নর্মদাতীরে ছিল একটি বটগাছ/মিশুলগাছ /নিমগাছ/নারকেলগাছ।

(খ) বটগাছে বাস করত কয়েকটি বানর/বিড়াল পাখি / মূষিক
(গ) বটগাছের নিচে শীতে কাঁপছিল কয়েকটি ভলুক/সিংহ/বানর/শৃগাল।

পাখিগুলোর কথা শুনে বানরেরা আনন্দিত / ক্রুদ্ধ/অনুপ্রাণিত/দুঃখিত হয়েছিল।
বানরেরা পাখিগুলোর ডিম ফেলেছিল পুকুরে/মাটিতে বাগানে /নদীতে।

২।

শুন্যস্থান পূরণ কর :

(ক) বিহগাঃ সুখেন -

(খ) বানরাঃ বৃক্ষতলে

-
ক্রোধঃ সঞ্জাতঃ।

বিহগাঃ — উপহসন্তি।
-

- তাবৎ বৃষ্টেরূপশমঃ।

-

নিচের পদগুলোর সাহায্যে বাক্যরচনা কর :
বিহগাঃ, বর্ষাকালে, সঞ্জাতঃ, উপহসন্তি, ভূমৌ।

৪। শব্দার্থ লেখ :
বিরচ্য, তদা, বানরাঃ, অবসীদথ, আৰুহা।

৫। স্যি বিচ্ছেদ কর :

বৃষ্টিরভবৎ, বৃক্ষমারুহা, কিমর্থন, তদ্ভবস্তু, বৃষ্টেরূপশমঃ।

কারণসহ বিভক্তি নির্ণয় কর :

বর্ষাকালে, বারিবর্ষণে, প্রকোপায়, বানরাণাম্, ভূমৌ ।

ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লেখ
নর্মদাতীরে, বিহগাঃ, বৃক্ষতলে, বটবৃক্ষঃ।

বাংলায় উত্তর দাও :

(ক) বটবৃক্ষটি কোথায় অবস্থিত ছিল।
(খ) পাখিরা কোথায় বাসা তৈরি করেছিল?

বৃক্ষতলে কারা বসেছিল?

পাখিরা বানরগুলোকে কি বলেছিল?

পাখিদের কথা শুনে বানরেরা কি চিন্তা করেছিল?
(চ) বৃষ্টি থেমে গেলে বানরেরা কি করেছিল?

বাংলায় অনুবাদ কর :

(ক) তন্য কপিয়া
অবসীদখ?

(খ) তে অচিন্তয়ন্

• বৃষ্টেরূপশমঃ।

(গ) অনন্তরং শাস্তে
পাতিতবস্তুঃ।

১০। 'বিহগ-বানর-কথা' গল্পটির উপদেশ সংস্কৃতে লেখ এবং বাংলা ভাষায় তার অনুবাদ কর।

১১। 'বিগহ-বানর-কথা' গল্পটি বাংলায় লেখ।

 

 

 

Content added By

অস্তি বিজয়নগরে দেবশর্মা নাম ব্রাহ্মণঃ। তেনৈকদা পুণ্যতিথৌ শত্রুপূর্ণশরাবঃ প্রাপ্তঃ। ততস্তমাদায় স
রৌদ্রাকুলিতঃ কস্যচিৎ কুকারস্য গৃহে সুপ্তঃ। তস্মিন্ গৃহে বহুনি মৃৎপাত্রাণি আসন।

ততঃ সুপ্তোত্থিতঃ স শত্রুরক্ষার্থং হতদণ্ডং গৃহীতবান্ । অথ সোহচিন্তয়, "যদি অহমিমং শঙ্কুশরাবং বিক্রীয়
দশকপর্দকান্ প্রাপ্নোমি ভর্তি তৈঃ কপর্দকৈঃ বাণিজ্যং করিষ্যামি। তেনাহং প্রভূতং ধনং লক্কা বিবাহচতুষ্টয়ং
করিষ্যামি। অনন্তরং যদা সপত্ন্যঃ পরস্পরং বিবদিষ্যতে তদা লড়েন তাহাভূয়িষ্যামি। ইত্যালোচ্য তেন
লগুড়ো নিক্ষিপ্তঃ। তেন শক্তশরাবঃ চূর্ণিতঃ বহুনি চ ভাঙানি ভগ্নানি। ততো ভগ্নভাওশব্দং শুভা কুম্ভকার
"আগত্য অর্ধচন্দ্র সত্ত্বা ব্রাহ্মণং গৃহৎ বহিষ্কৃতবান্।

দুরাশা পরিত্যাজ্যা ।

অনুশীলনী

শব্দার্থ :

শঙ্কুঃ ছাতু। কৃষ্ণকারস্য কুমারের। মৃৎপাত্রাণি মাটির পাত্রসমূহ। গৃহীতা গ্রহণ করেছিলেন।
-
-
বিক্রীয়-বিক্রয় করে। লম্বা লাভ করে। সপত্ন্যুঃ- সতীনেরা। বিবদিষ্যন্তে বিবাদ করবে। লগুড়েন-
লাঠি দিয়ে। শুতা শুনে।

ব্যাকরণ

(ক) সন্ধিবিচ্ছেদ :

তেনৈকদা = ভেন + একদা তততমাদায় ততঃ তম্ আদায়। সোচিন্তয় = স + অচিন্তয়‍।
তাতাড়য়িষ্যামি = তাঃ + তাড়য়িষ্যামি। ইত্যালোচ্য = ইতি + আলোচ্য। কৃষ্ণকারস্তর = কুকারঃ +

(খ) কারণসহ বিভক্তি নির্ণয় :

বিজয়নগরে— অধিকরণে ৭মী। কুম্ভকারস্য সম্বন্ধে ৬ষ্ঠী। দশকপর্দকা — কর্মে হয়া। লগুড়েন-
করণে তয়া। তাঃ— কর্মে হয়া। তেন— কর্তায় ৩য়া। গৃহাৎ- অপাদানে ৫মী।

(গ) ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় :

পত্বপূর্ণ শরাবঃ-শম্ভুনা পূর্ণঃ = শত্রুপূর্ণঃ (৩য়া তৎ), তাদৃশঃ শরাবঃ (কর্মধারয়ঃ)। রৌদ্রাকুলিতঃ- রৌদ্রেগ
আকুলিতঃ (৩য়া তৎ)। কৃষ্ণকারস্য- কুম্পং করোতি যঃ = কুকারঃ (উপপদত), তস্য। বিবাহচতুষ্টয়ম্-
বিবাহসা চতুষ্টয়ম্ (৬ষ্ঠী তৎ)।

اد

সঠিক উত্তরটির পাশে টিক (/) চিহ্ন দাও :

(ক) ব্রাহ্মণের নাম ছিল বিষ্ণুশর্মা/দেবশর্মা/মিত্রশর্মা/প্রিয়শর্মা।

(খ) ব্রাহ্মণ আশ্রয় নিয়েছিলেন কুকারের/রজকের কর্মকারের/স্বর্ণকারের গৃহে।
(গ) শত্রু রক্ষার জন্য ব্রাহ্মণ হাতে নিয়েছিলেন খড়গ ত্রিশূল/অসি/লাঠি।

(ঘ) ব্রাহ্মণ তিনটি/পাঁচটি/চারটি/দুটি বিয়ে করার কথা ভেবেছিলেন।
(ঙ) লাঠির আঘাতে ভেঙেছিল ছাতুর পাত্র/ছাতুর পাত্র ও অনেক মৃৎপাত্র মঙ্গলঘট /পাথরের বাটি।

শূন্যস্থান পূরণ কর

(ক) অস্তি বিজয়নগরে

নাম ব্রাহ্মণঃ।

(খ) অস্মিন্ গৃহে বহুি
আসন।

তেন লগুড়ো নিক্ষিপ্তঃ ।

(খ) বহুনি চ ভাণ্ডানি

(ঙ) দুরাশা

বাক্য গঠন কর :
অস্তি, সুপ্তঃ, অর্থ, করিষ্যামি, বহিষ্কৃতবান্।

৪। শব্দার্থ লিখ :

কুম্ভকারস্য, বিক্রীয়, বিবদিয্যস্তে, শত্রুঃ শুতা।

সন্ধি বিচ্ছেদ কর :

তেনৈকদা, তাস্তাড়য়িষ্যামি, সোহচিন্তয়, অহমিমং, কুম্ভকারস্ত।

কারণসহ বিভক্তি নির্ণয় কর :

গৃহাৎ, লগড়েন, বিজয়নগরে, ডাঃ, কুম্ভকারস্য।

ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লিখ :

রৌদ্রাকুলিতঃ, কুম্ভকারস্য, বিবাহচতুষ্টয়ম্ শত্রুপূর্ণ শরাবঃ ।

সংক্ষেপে উত্তর দাও :

(ক) বিজয়নগরে কে বাস করতেন?

(খ) ব্রাহ্মণ পুণ্যতিথিতে কি পেয়েছিলেন।

(গ) ব্রাহ্মণ কার গৃহে আশ্রয় নিয়েছিলেন?

(ঘ) ঘুম থেকে জেগে ব্রাহ্মণ কি ভেবেছিলেন?

(3) ব্রহ্ম নিক্ষেপ করার ফলে কি হয়েছিল।

(5) ভাঙা পাত্রা দেখে কুকার কি করেছিল?

বাংলায় অনুবাদ কর

(ক) ভেনৈকদা

আসন। -বাণিজ্যং করিষ্যামি।

(খ) যদি অমিমং

(গ) অনন্তর সা

নিক্ষিপ্তঃ। ---বহিষ্কৃতবান্।

(ঘ)

তেন শত্রুশরাধঃ

১০। গল্পটির উপদেশ সংস্কৃত ভাষায় উদ্ধৃত কর এবং তার বাংলা অর্থ দেখ।

১১। 'ব্রাহ্মণ-শকুশরার কথা' গল্পটি বাংলা ভাষায় লেখ।

 

Content added By

অস্তি পদ্মাতীরে বিশালো বটবৃক্ষঃ। তস্য কোটরে জরদ্‌গবো নাম জরাগ্রস্তঃ কশ্চিৎ গৃধো নিবসতি ।
বৃক্ষবাসিনো বিহগাঃ তেষাম্ আহারাৎ কিঞ্চিৎ উদ্ধৃত্য তমৈ প্রাযচ্ছন্। তেন স জীবতি ।

একদা কশ্চিদ বিড়ালঃ পক্ষিশাবকান্ ভক্ষয়িতুং তত্রাগত্য জরদ্‌গবম্ আশ্রয়ম্যাচত। জরদ্‌গবো বদৎ,
“দূরমপসর, নচেৎ ত্বং ময়া হন্তব্যঃ।” তদা ধূর্তো বিড়ালঃ বিবিধৈঃ শাসত্রবচনৈঃ জরদ্‌গবস্য বিশ্বাস উৎপাদ্য
তুমিন্নেব তরুকোটরে স্থিতঃ ।

অর্থ পচ্ছৎসু কালেষু বিড়ালঃ পক্ষিশাবকান্ বৃত্বা বৃক্ষকোটরম্ আনীয় ভক্ষয়তি । অনন্তরং শাবকহীনাঃ
বিহগাঃ সর্বতঃ অন্বেষণম্ অকুর্বন। ভদবিজ্ঞায় বিড়ালঃ কোটরাৎ বহিরাগত্য পলায়িতঃ ।

অন্য বিহগাঃ তরুকোটরে তেষাং শাবকানাম্ অস্থীনি প্রান্তবস্তুঃ। অনন্তরম্ 'অনেনৈব জরদ্‌গবেন অস্মাকং
শাবকাঃ ভক্ষিতাঃ' 'ইতি নিশ্চিত্য পক্ষিণস্তং হতবন্তঃ ।

“অজ্ঞাতকুলশীলস্য বাসো দেয়ো ন কস্যচিৎ।”

অনুশীলনী

শব্দার্থ :

কোটরে গর্তে। তেষাম্ তাদের। পক্ষিশাবকান্ পাখির বাচ্চাগুলোকে। আগত্য- এসে।
-
হন্তব্যঃ- হত্যা করার যোগ্য। অপসর - সরে যাও। শাসকচনৈঃ- শাসত্রবাক্যসমূহের দ্বারা। মৃতা-
ধরে। বিজ্ঞায় জেনে অশ্বীনি - হাড়গুলো। অমাকম্ আমাদের।

ব্যাকরণ

(ক) সন্ধিবিচ্ছেদ :

কিঞ্চিৎ = কিম্‌ + চিৎ। অাগত্য = তত্র্য + আগত্য। দূরমপসর দূরম্ + অপসর। অগ্নিন্নেৰ = অস্মিন্ +
=
এব। অন্বেষণম্ = অনু + এষণম্। বহিরাগত্য = বহিঃ + আগত্য। অনেনৈৰ = অনেন + এব।

(খ) কারণসহ বিভক্তি নির্ণয় :

কোটরে অধিকরণে ৭মী। তেষাম্ সম্বন্ধে ৬ষ্ঠী। জরদগবস্- কর্মে হয়া। শাস্ত্রবচনৈঃ — করণে
ওয়া। কোটরাৎ— অপাদানে ৫র্মী। জরদ্‌গবেন কর্তায় ৩য়া।

(গ) ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম :

পক্ষিশাবকানু-পক্ষিণাং শাবকাঃ (৬ষ্ঠী তৎ), তান। শাসত্রবচনৈঃ-শাস্ত্রাণাং বচনানি (৬ষ্ঠী তৎ), তৈঃ।
বৃক্ষকোটরম্-বৃক্ষস্য কোটরম্ (৬ষ্ঠী তৎ)। তরুকোটরে-তরোঃ কোটরম্ (৬ষ্ঠী তৎ), তস্মিন্ ।

প্রশ্নমালা

১।

সঠিক উত্তরটির পাশে টিক (/) চিহ্ন দাও :

(ক) পৃষ্ঠের নাম ছিল জরদ্‌গৰ / হয়গ্রীব/ভাগ্রীব/মণিগ্রীব।

(খ) বিড়াল জরদ্‌গবের নিকট চেয়েছিল আশ্রয় /খাদ্য পক্ষিশাবক/পানীয়।
(গ) বিড়াল আশ্রয় পেয়েছিল গৃহস্থের বাড়িতে/বৃক্ষকোটরে/ পর্বতকন্দরে ঘরের চালে।

(ঘ) বিড়াল খেয়েছিল ইঁদুর / পোকা মাকড়সা/ পক্ষিশাবক।

(ঙ) ধূর্তকে / কৃতঘ্নকে/অজ্ঞাতকুলশীলকে পাপীকে আশ্রয় দেওয়া উচিত নয়।

২।

শূন্যস্থান পূরণ কর :

(ক) অতি
(খ) তেন সহ জীবতি
-বিশালো বটবৃক্ষঃ।

(গ) বিড়ালঃ কোটরাৎ বহিরাগত্য-
প্রান্তবন্তঃ ।

শাবকানাম্ অস্থীনি

অস্মাকং
-ভক্ষিতাঃ।

বাক্য গঠন কর :

বটবৃক্ষঃ, তন্মৈ, মৃত্যু, পলায়িতঃ, অনন্তরম্।

৪। শব্দার্থ লেখ :

তেষাম, আগত্য, বিজ্ঞায়, হতবান্, অস্থীনি।

৫। সন্ধি বিচ্ছেদ কর :

অন্বেষণম্, অাগতা, কিঞ্চিৎ, দূরমপসর, অনেনৈব।

কারণসহ বিভক্তি নির্ণয় কর :

শাস্ত্রবচনৈঃ, কোটরে, তেষাম্, কোটরাৎ, জরদ্‌গবেন।

ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লেখ
পক্ষিশাবকান, বৃক্ষকোটরম্, শাসত্রবচনৈঃ।

সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :

(ক) জরদ্‌গর কোথায় বাস করত?

(খ) কিভাবে জরদ্‌গৰ বেঁচে থাকত?

(গ) বিড়াল জরদ্‌গণের নিকট কেন এসেছিল?

(ঘ) কিভাবে বিড়াল বৃক্ষকোটরে আশ্রয় নিয়েছিল?

(ঙ) বৃক্ষকোটরে থেকে বিড়াল কি করেছিল?

(চ) শাবকহীন পাখিরা কি করেছিল?

(ছ) কাকে আশ্রয় দেওয়া উচিত নয়?

বাংলায় অনুবাদ কর :

(ক) বৃক্ষবাসিনো
জীবতি ম

(খ) জরদ্‌গবোই বদ

(গ) অনন্তরং শাবকহীনাঃ--
পলায়িতঃ ।

(ঘ) অর্থ বিহগাঃ---

হতবন্তঃ ।

১০। গল্পটির উপদেশ সংস্কৃত ভাষায় উদ্ধৃত কর এবং বাংলায় অনুবাদ কর।

১১। 'জরদ্‌গব-কথা' গল্পটি বাংলা ভাষায় লেখ।

 

Content added By

আসীৎ পুরা ভৈরবো নাম কশ্চিৎ ব্যাধঃ। একদা স মাংসার্থং ধনুরাদায় বিশ্ব্যারণ্যং গতঃ। ততঃ স ধনুষা কশ্চিদ্‌
মৃগমহন্। মৃগমাদায় গচ্ছন্ স ঘোরাকৃতিং শূকরমেকং দৃষ্টবান্। ততঃ স মৃগং ভূমৌ নিধায় শুকরং শরেণ
আহতবান্। শূকরো২পি তত্রাগতা ঘোরগর্জনং কৃত্বা তং ব্যাধং হতবান্। তৎক্ষণাদেব স ভূমৌ অপতৎ।

অর্থ তয়োঃ পাদাস্ফালনেন কশ্চিৎ সর্পো২পি মৃতঃ। অনন্তরমেকঃ শৃগালঃ আহারার্থী পরিভ্রমন তান
মৃগব্যাধসর্পশূকরান অপশাৎ। সোহচিন্তয়‍, “অহো ভাগ্যম্। মহদৃভোজ্যং যে সমুপস্থিতম্। ভবতু, এবাং মাংসেঃ
মাসত্রয়ং যে সুখেন গমিষ্যতি। ততঃ প্রথমং ক্ষুধায়াং স্বাদহীনং ধনুর্গুণং বাদামি।" ইত্যুক্তা তথাকরোৎ।
ততশ্ছিন্নে গুণে দ্রুতমুপতিতেন ধনুষা তুলি নিভিন্নঃ স শৃগালঃ পঞ্চত্বং গতঃ।

"কর্তব্যো নাতিসঞ্চয়। M

অনুশীলনী

শব্দার্থ :

মাৎসার্থং— মাংসের জন্য। ধনুখা- ধনুকের দ্বারা। নিধায় রেখে। অপতৎ- পতিত হয়েছিল।
পাদাফালনেন পায়ের আস্ফালনে। পরিভ্রমন- পরিভ্রমণ করতে করতে। মাসবয়ং তিনমাস ।

ব্যাকরণ

(ক) সন্ধি বিচ্ছেদ :

ধনুরাদায় = ধনুঃ + আদায়। মৃগমহন্ = মৃগম্ + অহন। শূকরমেকং = শূকরম্ + একং। সর্পো২পি = সর্পঃ
+ অপি। ইত্যুবা= ইতি + উক্কা।

(খ) কারণসহ বিভক্তি নির্ণয় :

ধনুষা করণে ওয়া শুকরং- কর্মে হয়া। শরেণ- করণে ৩য়া। মে- সম্বন্ধে ৬ষ্ঠী। মাসব্রয়-
ব্যাপ্তার্থে ২য়া। ধনুর্গুণং— কর্মে হয়া। হৃদি- অবচ্ছেদে ৭মী।
-

(গ) ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম :

আহারাধী— আহারম্ অর্থয়তে যঃ (উপপদ তৎ)। মাসব্রয়ং মাসানাং এবং (৬ষ্ঠী তৎ)। স্বাদহীনং – যাদেন
হীনং (ওয়া তৎ)।

প্রশ্নমালা

সঠিক উত্তরটির পাশে টিক (/) চিহ্ন দাও :

(ক) ব্যাধের নাম ছিল চণ্ডরব/প্রণব/ মহীধর/ভৈরব।
(খ) ব্যাধ শিকারের জন্য গিয়েছিল নৈমিষারণ্যে/বিখ্যারণ্যে/দণ্ডকারণ্যে/ব্যাসারণ্যে।

মৃগ শিকার করে যাওয়ার সময় ব্যাধ দেখেছিল একটি বানর/ব্যাঘ্র/সিংহ/শূকর।
(ঘ) ব্যাধকে হত্যা করেছিল ভলুক/ শূকর/ ব্র্যাঘ্র/সিংহ।

(ঙ) শৃগাল পঞ্চত্ব প্রাপ্ত হয়েছিল ত্রিশূলের গদার/ধনুকের/কৃপাণের আঘাতে।

২। শূন্যস্থান পূরণ কর :
(ক) স
ধনুরাদায় বিদ্যারণ্যং গতঃ।

ব্যাধঃ শূকরং
আহবান
-স ভূমৌ অপতৎ।

মহদৃভোজ্যং সমুপস্থিত।

ধনুর্গুণং খাদামি।

বাক্য গঠন কর :

মাৎসার্থং, শৃগালঃ, শূকরং, নাম, সুখেন

৪। শব্দার্থ লিখ :

ধনুষা, পরিভ্রমন, নিধায়, অপতৎ, মাসয়ং।

৫। সদি বিচ্ছেদ কর :

সর্পো২পি, ধনুৱাদায়, মৃগমহন, ইত্যুক্বা, ততচ্ছিন্নে।

কারণসহ বিভক্তি নির্ণয় কর :

ধনুষা, মে মাসয়ং, ধনুর্গুণ, হৃদি।

ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লেখ :
আহারার্থী, যাদহীনং, মাস

বাংলায় অনুবাদ কর :

(ক) ততঃ স
দৃষ্টবান।

(খ) শূকরোঽপি
অপতৎ।

অনন্তরমেকঃ
ভবতু
- সমুপস্থিতম্।
তথাকরোৎ।

গল্পটির উপদেশ সংস্কৃত ভাষায় উদ্ধৃত করে তার বাংলা অর্থ লেখ ।

১০। 'ভৈরবব্যাৎ-কথা' গল্পটি বাংলা ভাষায় লেখ ।

 

 

Content added By

অস্তি কৃষ্ণপুরে কাচিৎ শ্যামলী অরণ্যানী। অত্র চণ্ডরবো নাম শৃগালঃ প্রতিবসতি ম। একদা স ক্ষুধাপীড়িতঃ
আহারার্থং গ্রামং প্রবিষ্টঃ। তত্র কুকুরেণ তাড়িতঃ স কস্যচিৎ রজকস্য নীলজলে পতিতঃ। তেন স নীলবর্ণঃ
সঞ্জাতঃ। অনন্তরং স নীলবর্ণঃ শৃগালঃ অরণ্যাং প্রত্যাগতঃ ।

নীলবর্ণশৃগালং দৃষ্ট্বা বনবাসিনঃ পশবঃ ভয়ার্তাঃ পলায়িত্বমুদ্যতাঃ। তদা ধূর্তঃ শৃগালো২বদৎ, “ভোঃ ভোঃ
পশবঃ। ন ভেতব্যম্, ন ভেতব্যম্। দেবপ্রেষিতঃ অহমেব অস্মিন্ বনে পশূনাং রাজা। অতো যূয়ং ময়া যতুেন
পালনীয়াঃ রক্ষণীয়াচ।"

ততঃ প্রভৃতি স শৃগালো রাজের আচরিতবান। সর্বে হিংসজন্তবশ্চ অহর্নিশং তং ভূত্যবৎ সেবন্তে ।

অথৈকদা নীলবর্ণঃ শৃগালঃ পশুভিঃ পরিবৃত্তঃ উপবিষ্টঃ। অস্মিন্ সময়ে দূরতঃ শৃগালরবং শুভা স মোহাদুচ্চৈঃ
রবং কৃতবান্। তৎক্ষণাৎ শৃগাল এবায়ং ন দেবপ্রেষিতো রাজা ইতি জ্ঞাতা হিংসপ্তকস্তং খণ্ডিতবস্তঃ।

স্বভাবো দুরতিক্রম্যঃ।

অনুশলনী

শব্দার্থ :

অরণ্যানী-বৃহৎ অরণ্য। প্রবিষ্টঃ- প্রবেশ করেছিল। রজকস্য ধোপার। দৃষ্টা দেখে। পলায়িতুম-পলায়ন
করতে। ন ভেতব্যম্ভয় পাওয়া উচিত নয়। দেবপ্রেষিতঃ-দেবতা কর্তৃক প্রেরিত। রাজের রাজার মত।
অহর্নিশং--দিনরাত।

ব্যাকরণ

(ক) সন্ধি বিচ্ছেদ :

প্রত্যাগতঃ = প্রতি + আগতঃ। পলায়িতুমুদ্যতাঃ পলায়িতুম + উদ্যতাঃ। রাজেব = রাজা + ইব। অথৈকদা
=
= অর্থ + একদা। মোহানুচ্চৈঃ মোহাৎ + উচ্চৈঃ

(খ) কারণসহ বিভক্তি নির্ণয় :

কৃষ্ণপুরে অধিকরণে ৭মী। কুক্কুরেণ কর্তায় ওয়া। অরণ্যং কর্মে ২য়া। পশূনাং সম্বন্ধে ৬ষ্ঠী। মোহাৎ-
-
হেতু অর্থে ৫মী।

(গ) ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় :

বনবাসিনঃ- বনে বসন্তি যে (উপপদত)। ভয়ার্তাঃ- ভয়েন ঋতাঃ (৩য়া তৎ)। দেবপ্রেষিতঃ-দেবেন প্রেষিতঃ

(৩য়া তৎ)।

টীকা :

পঞ্চতন্ত্রম্ সংস্কৃত গল্পসাহিত্যের শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ। গ্রন্থটিতে গল্পের মাধ্যমে নীতিশিক্ষা দেয়া হয়েছে। কথিত আছে

যে, দাক্ষিণাত্যের পণ্ডিত বিষ্ণুশর্মা এটি রচনা করেন। পৃথিবীর পঞ্চাশটিরও বেশি ভাষায় এই গ্রন্থের অনুবাদ
হয়েছে।

প্রশ্নমালা

সঠিক উত্তরটির পাশে ঠিক (/) চিহ্ন দাও :

اد

(ক) কৃষ্ণপুরে ছিল একটি পর্বত/নানী/উদ্যান / অরণ্যানী।

(খ) শৃগালটির নাম ছিল ভৈরব চণ্ডরব/দীর্ঘরব/ঘোররব।
মহেশ্বরপ্রেষিত/শ্রীবিষ্ণুপ্রেষিত/শ্রীদুর্গাপ্রেষিত

(গ) নীলবর্ণশৃগাল পশুদের বলেছিল যে, সে দেবপ্রেষিত/

রাজা।

(ঘ) শৃগাল আচরণ করেছিল বন্ধুর/ সেবকের/রাজার/মন্ত্রীর মত।
হিংস্র জন্তুরা শৃগালকে খেয়েছিল / খণ্ড করেছিল/আঘাত করেছিল/ নাখাঘাত করেছিল।

২। শূন্যস্থান পুরণ কর :
-আহারার্থং গ্রামং প্রবিষ্টঃ।

(ক) শৃধালঃ

(খ) তেন স নীলবর্ণঃ —

নীলবর্ণঃ শৃগালঃ
প্রত্যাগতঃ।
-যত্নে পালনীয়াঃ রক্ষণীয়াশ্চ ।

- তং ভৃত্যবৎ সেবন্তে ম

বাক্য গঠন কর :

অরণ্যানী, নীলবর্ণঃ, ধূর্তঃ, রাজা, ভূত্যবৎ।

81
শব্দার্থ লেখ :

প্রবিষ্টঃ, ভেতব্যম্, দৃষ্টা, রজকস্য, রাজেব।

 . প্রত্যাগতঃ।

৫। সন্ধি বিচ্ছেদ কর :

মোহাদুচ্চৈঃ, ভয়ার্তাঃ, রাজের, প্রত্যাগতঃ, অথৈকদা।

৬। কারণসহ বিভক্তি নির্ণয় কর :

পশূনাং, কৃষ্ণপুরে, কুকুরেণ, মোহাৎ, অরণ্যং ।

ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লেখ :

ভয়ার্তাঃ, দেবপ্রেষিতঃ, বনবাসিনঃ, ক্ষুধাপীড়িতঃ।

বাংলায় অনুবাদ কর :

(ক) তত্র কুকুরেণ
(খ) দেবপ্রেষিতঃ অহমের
(গ) অস্মিন্ সময়ে........
রক্ষণীয়াল্ড।
খণ্ডিতবস্তুঃ।

৯। 'নীলবর্ণ-শৃগাল-কথা' গল্পটির উপদেশ বাংলা অনুবাদসহ লেখ।

১০। 'নীলবর্ণ-শৃগাল-কথা' গল্পটি কোন গ্রন্থের অন্তর্গত। গল্পটি নিজের ভাষায় লেখ।

 

 

Content added || updated By

আসীৎ শ্যামলী নাম কাচিৎ অরণ্যানী। তত্র দুর্দান্তো নাম একঃ সিংহো নিবসতি । স প্রত্যহং যথাভিলাষং
পশূন অহন। একদা সর্বে পশবো মিলিতা তৎসমীপং গতাঃ। ভতস্তে অবদন, “দেব! কিমর্থং ভবান্ সর্বান্
পশূন হস্তি? যদি প্রসাদো ভৰতি, তহি বয়মেব ভবতো ভোজনার্থং প্রত্যহম্ একৈকং পশুমৃ উপহরামঃ । "
সিংহো বদৎ, “যদোতৎ যুগ্মাকম্ অভিমতম্ তহি তদৃভবতু।" তস্মাৎ প্রভৃতি প্রতিদিনম্ একৈকং পশুং ভুঞা
সিংহঃ সুখেন কালং নীতবান্।

অথৈকদা কস্যাপি বৃদ্ধশশকস্য বারঃ সমায়াতঃ। সো২চিন্তয়‍, "যতো মৃত্যুর্মে ভবিষ্যতি ভর্তি কথং সিংহসা
অনুনয়ং করিষ্যামি? তনুন্দং মন্দং যাস্যামি।” ততো ধীরং গচ্ছন্ স সিংহস্য সমীপমৃ উপস্থিতঃ। ক্ষুধার্তঃ
সিংহঃ কোপাৎ শশকমবদৎ, "কথম্ আগতো২সি বিলম্বেন?" শশকোহব্রবীৎ, “মহারাজ। অগচ্ছন পথি কেনচিৎ
সিংহেন বলাদ্ ধৃতঃ।”

এতৎ শুতা সিংহঃ সকোপমবদৎ, “কুত্রাসৌ দুরাত্মা? সতুরং দর্শয় মাম্।”
অনন্তরং স শশকঃ সিংহেন সহ কস্যচিৎ কূপস্য সমীপং গতঃ। ততঃ সোহবদং, "অরাগত্য পশ্যতু প্রভুঃ”।
অথাসৌ সিংহঃ কৃপজলে প্রতিবিম্বং দৃষ্টা সিংহান্তরম্ অমনাত। তেন কুপিতঃ স প্রতিবিম্বোপরি আত্মানং
নিক্ষিপ্য পঞ্চত্বং গতঃ ।

“বুদ্ধিৰ্যস্য বলং তস্য।”

অনুশীলনী

শব্দার্থ :

মিলিতা মিলিত হয়ে। প্রসাদঃ- অনুগ্রহ। হস্তি
-
তোমাদের। ভুজ্বা
খেয়ে যাস্যামি
খরগোশ। বলাৎ – বলপূর্বক। দর্শয় – দেখাও।
-
-
হত্যা করে বা করছে। প্রত্যহম্
প্রতিদিন।
যাব। গচ্ছ যেতে যেতে। শশকঃ
-

(ক) সন্ধি বিচ্ছেদ :

ব্যাকরণ

ততস্তে = ততঃ + তে বয়মেব বয়ম্ + এব একৈকং = এক + এবং যদ্যেত যদি + এতৎ।
মৃত্যুর্থে = মৃত্যুঃ + মে। কুত্রাসৌ কুত্র + অসৌ। অস্ত্রাগত্য = অত্র + আগত্য।
=

পশু
কর্মে হয়া। যুদ্ধাকম্
-
সম্বন্ধে ৬ষ্ঠী। মন্দ - ক্রিয়াবিশেষণে হয়া। কোপাৎ-
হেতু অর্থে

৫মী। সিংহে
-
কর্তায় ৩য়া। কূপজলে - অধিকরণে ৭মী।

(গ) ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম :

যথাভিলা অভিলাষম্ অনতিক্রম্য (অব্যয়ীভাবঃ)। তৎসমীপং তস্য সমীপং (৬ষ্ঠী ) ।
-
বৃদ্ধশশকস্য – বৃদ্ধঃ শশকঃ (কর্মধারয়ঃ), তস্য। ক্ষুধার্তঃ ক্ষুধয়া ঋতঃ (৩য়া তৎ)। দুরাত্মা - দুঃ
--
(দুষ্টঃ) আত্মা যস্য সঃ (বহুব্রীহিঃ)।

প্রশ্নমালা

১। সঠিক উত্তরটির পাশে টিক (/) চিহ্ন দাও :

(ক) সিংহটির নাম ছিল প্রচণ্ড/৮৫/দুর্দান্ত/দুর্গন্ত।

(খ) সিংহটি বাস করত ব্রহ্মারণ্যে/বিখ্যারণ্যে/নৈমিষারণ্যে/শ্যামলী অরণ্যে।

(গ) সকল পশু সিংহের আহারের জন্য প্রতিদিন উপহার দিত একটি/দুটি/তিনটি/চারটি পশু।
(ঘ) একদিন পালা এসেছিল বৃদ্ধ শৃগালের/শশকের হরিণের/গাভীর ।

যার বুদ্ধি আছে তার আছে জ্ঞান/বল/ভক্তি/মুক্তি।

শূন্যস্থান পুরণ কর

(ক) স প্রভাহং
- পশূন অহন।

- ভবান্ সর্বান পশুন হস্তি?

(গ) কস্যাপি বৃদ্ধশশকস্য বারঃ —
- সিংহঃ কোপাৎ শশকমবদং।

(৬) কৃত্রাসৌ

বাক্য গঠন কর :

শ্যামলী, অবদন, পশুম, ছত্ত্বা, কুপিতঃ।

81
শব্দার্থ লেখ :

প্রসাদঃ, শশক, হস্তি, মিলিতা, দর্শয়।

-

৫। সন্ধি বিচ্ছেদ কর :

বয়মেব, অরাগত্য, তভস্তে, যদোতৎ, মৃত্যুর্থে।

৬। কারণসহ বিভক্তি নির্ণয় কর :

যুগ্মকম্, কৃপজলে, সিংহেন, কোপাৎ, পশূন।

৭। ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লেখ :

ক্ষুধার্তঃ, তৎসমীপত, যথাভিলাষ, দুরাত্মা, বৃদ্ধ শশকসা।

৮। বাংলায় অনুবাদ কর :

(ক) একদা সর্বে
(খ) যতো মৃত্যুে
যোস্যামি।

হস্তি?

(গ) এবং শুভা
নয় মা

(ঘ) অধাসৌ সিংহঃ
• পঞ্চ গতঃ।

৯। 'সিং-শশক-কথা' গল্পটির উপদেশ সংস্কৃতে লেখ।

১০। 'বুদ্ধির্যস্য বলং তস্য'- এই নীতিবাক্যটি অবলম্বন করে বাংলা ভাষায় একটি গল্প লেখ।

 

 

Content added By

আসীৎ দেবগ্রামে প্রণবো নাম ব্রাহ্মণঃ। তস্য পত্নী পুত্রমেকং প্রসূতবর্তী। একদা সা শিশুপুত্রং রক্ষিত্বং ব্রাহ্মণম্
অবস্থাপ্য স্নানার্থং নদীং গতা। অগ্রান্তরে কশ্চিদ্ রাজকর্মচারী আগত্য ব্রাহ্মণম্ অবদৎ, “ডো ব্রাহ্মণ! কৃপাং
কুরু। রাজভবনম্ আগত্য পার্বণশ্রাদ্ধস্য দানং গৃহাণ।"

তদা ব্রাহ্মণো দারিদ্রাবশাৎ অচিন্তয়‍, “যদি সতরং ন গচ্ছামি ভর্তি অপরঃ কশ্চিৎ ব্রাহ্মণো দানং গ্রহীযাতি।
কিন্তু নকুলং বিনা অপরঃ কোঽপি অত্র নাস্তি। ভৎ কিং করোমি? ভবতু, পুত্ররূপেণ পালিতম্ ইমং নকুল
শিশুপুত্রস্য রক্ষণায় নিযোজ্য গচ্ছামি।" এবং চিন্তয়িত্বা ব্রাহ্মণো রাজগৃহং গতঃ।

অগ্রান্তরে কশ্চিৎ কৃষ্ণসর্পো বালকসমীপম্ আগতঃ। তদালোক্য নকুলতং নিহতা বালকস্য জীবনমরক্ষৎ।
ততো ব্রাহ্মণো গৃহম্ আগতা রক্তলিপ্তমুখং নকুলমপশ্যৎ। অতঃ সোহচিন্তয়‍, "অবশ্যমের মম পুত্রোইনেন
নকুলেন ভক্ষিতঃ। ইত্যালোচ্য স ব্রাহ্মণো নকুলং লগুড়েন হতবান্। ততো গৃহং প্রবিশ্য সুপ্তপুত্রং মৃতসর্পঞ্চ
দৃষ্ট্বা স অতীব অনুতপ্তোহভবৎ ।

“সহসা বিদধীত ন ক্রিয়াম্ ।”
অনুশীলনী

শব্দার্থ :

প্রসূতী প্রসব করেছিল। রক্ষিতুং- রক্ষা করতে। পার্বণশ্রাব্য পার্বণশ্রাদ্ধের দারিদ্র্যবশাৎ
-
দরিদ্রতাহেতু প্রবীখ্যতি গ্রহণ করবে। রক্ষণায় রক্ষার জন্য। চিন্তয়িত্বা চিন্তা করে। কৃষ্ণদর্পঃ
গোক্ষুর সাপ। নিহত হত্যা করে। নকুলেন
বেজির দ্বারা।

ব্যাকরণ

(ক) সন্ধি বিচ্ছেদ :

কোহলি = কঃ + অপি। জীবনমরক্ষৎ জীবনম্ + অরক্ষৎ। অবশ্যমের = অবশ্যম্ + এব মৃতসর্গঞ্চ =
=
মৃতসর্পম্ + চ। অনুতপ্তোহভবৎ = অনুতন্তঃ + অভবৎ ।

(খ) কারণসহ বিভক্তি নির্ণয় :

দেবগ্রামে – অধিকরণে ৭মী। ব্রাহ্মণম্ – কর্মে হয়া। দারিদ্র্যবশাৎ হেতু অর্থে ৫মী। শিশুপুত্রস্য -
-
-
সম্বন্যে ৬ষ্ঠী। রক্ষণায় নিমিত্তার্থে ৪র্থী।
-
-

(গ) ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম :

রাজকর্মচারী রাজঃ কর্মচারী (৬ষ্ঠী তৎ)। বালকসমীপম্‌ - বালকসা সমীপম্ (৬ষ্ঠী তৎ)। রক্তলিতমুখ‍

-
রক্তেন লিপ্তঃ = রক্তলিপ্তঃ (৩য়া তৎ), রক্তপিং মুখং যস্য সঃ = রক্তলিপ্তমুখঃ (বহুব্রীহি), তম।
সুন্তপুত্রং - সুতঃ পুত্রঃ (কর্মধারয়), তম্।

প্রশ্নমালা

সঠিক উত্তরটির পাশে টিক (/) চিহ্ন দাও :

(ক) ব্রাহ্মণের নাম ছিল যাদব /মাধব নবেন্দু/প্রণব।
(খ) ব্রাহ্মণ শিশুপুত্রের রক্ষায় নিযুক্ত করেছিলেন নকুলকে
কুকুরকে/মার্জারকে/ময়নাকে।

(গ) ব্রাহ্মণের আহ্বান এসেছিল স্বর্ণকার বাড়ি/কর্মকার বাড়ি/রাজবাড়ি/রজকের বাড়ি থেকে।

(ঘ) ব্রাহ্মণপুত্রের প্রাণ রক্ষা করেছিল বানর/ নকুল / ভালুক শশক।

(ঙ) নকুলকে মেরে ব্রাহ্মণ আনন্দিত/বিষণ্ণ/শান্ত/অনুতপ্ত হয়েছিলেন।

শূন্যস্থান পূরণ কর

(ক) তস্য পত্নী পুত্রমেকং

(খ) ভো – কৃপাং কুৰু

(গ)
- কিং করোমি?

(ঘ) ব্রাহ্মণো গৃহম্ আগত্য

(ঙ) সহসা নং ক্রিয়াম।

নকুলমপশ্যৎ।

বাক্য রচনা কর :

তস্য, কুরু, গ্রহীয্যতি, প্রবিশ্য, অনুতন্তঃ।

81
শব্দার্থ লেখ :

রক্ষণায়, পার্বণশ্রাদ্ধস্য, দারিদ্র্যবশাৎ, নিহত্য, নকুলেন।

সন্ধি বিচ্ছেদ কর :

জীবনমরক্ষৎ, কোছপি, অবশ্যমের, মৃতসর্গঞ্চ, কশ্চিৎ ।

اد

বাংলায় অনুবাদ কর

কারণসহ বিভক্তি নির্ণয় কর :

রক্ষণায়, দেবগ্রামে, ব্রাহ্মণম্, দারিদ্রাবশাৎ, শিশুপুত্রস্য ।

ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লেখ :
সুতপুত্রং, রাজকর্মচারী, রক্তলিপ্তমুখং, বালকসমীপম্‌ ।

বাম পাশের পদের সঙ্গে ডান পাশের পদের মিল কর :

কুরু

রক্ষকঃ

গতঃ

নাস্তি

গৃহাণ

(ক) একদা সা

পার্বণশ্রাদ্ধস্য দানং গৃহাণ।

(খ) তৎ কি...........

রাজগৃহং গতঃ।

(গ) অবশ্যমের ম‍
হতবান।

(ঘ) ততো গৃহং

১০।

'ব্রাহ্মণ-নকুল-কৃষ্ণসর্গ-কথা' গল্পের উপদেশ সংস্কৃত ভাষায় লেখ।

অনুতপেপ্তাহভবৎ ।

১১। 'ব্রাহ্মণ-নকুল-কৃষ্ণসর্গ-কথা' গল্পটি কোন গ্রন্থের অন্তর্গত। গল্পটি নিজের ভাষায় লেখ।

 

 

Content added || updated By

শিষ্যঃ
-
আচার্য! প্রণমামি ভবত্তম্ ।

বৎস! কল্যাণং তে ভর্তু আসনে উপবিশ।

[শিষ্যঃ তথাকরোৎ]

আচার্যঃ কিং ত্বয়া জ্ঞাতব্য?
-

শিষ্যঃ - বদতু ভবান্ কঃ শ্রেষ্ঠঃ পিতা মাতা শিক্ষকো বা।

আচার্যঃ-
-
“পিতা স্বর্গঃ পিতা ধর্মঃ পিতা হি পরমন্তপঃ" ইতি শাস্ত্রবচনং সর্বৈরের সুবিদিতম্।

অতঃ পিতা পূজনীয়ঃ শ্রদ্ধেয়শ্চ ।

শিষ্যঃ-
আচার্য। গর্ভধারিণী প্রসবিত্রী চ মাতা অমান্ স্নেহেন যত্নেন চ পালয়তি।

আচার্যঃ
-
বৎস! সত্যমেতৎ “গর্ভধারণপোষণাভ্যাং তাতান্যাতা পরীয়সী। "

শিষ্যঃ
আচার্য! বদতু তাবৎ শিক্ষকসা অবদানম্ ।

আচার্যঃ – পিতা জন্মদাতা শিক্ষকন্তু জ্ঞানদাতা। স জ্ঞানাঞ্জন শলাকয়া চক্ষুয়াম্ উন্মীলনং করোতি।

-

শিষ্যঃ
ভগবচনং শুভা প্রীতোহহম্।

আচার্যঃ সাধু। আয়ুষ্মান ভব।
-

অনুশীলনী

শব্দার্থ :

শিষ্যস্য - শিষ্যের। তপঃ- তপস্যা। শাস্ত্ৰবচনং – শাস্ত্রের কথা। প্রসবিত্রী – প্রসবকারিণী। যত্নেন
-
-
-

যত্নের সঙ্গে। শিক্ষকস্য – শিক্ষকের। চক্ষুযাম্
-
চক্ষুগুলোর। শুষ্কা
-
শুনে। ভব - হও। ভাতা
1

পিতা থেকে। ভবান্ – আপনি।

-

ব্যাকরণ

(ক) সন্ধি বিচ্ছেদ :

শিক্ষকো বা = শিক্ষকঃ + বা পরমন্তপঃ = পরমম্ + তপঃ সর্বৈরের = সর্বৈঃ + এর সত্যমেতৎ =
সত্যম্ + এডং। তাতান্নাতা তাতাৎ + মাতা। প্রীতো২হম্ = প্রীতঃ + অহম্।
(খ) কারণসহ বিভক্তি নির্ণয় :

ভবত্তম্ – কর্মে হয়া। আসনে - অধিকরণে ৭মী। সর্বৈঃ – কর্তায় ৩য়া। অমান্ কর্মে হয়া। তাতাৎ -
-
-
-
অপেক্ষার্থে ৫মী। চক্ষুযাম্‌
-
সম্বন্ধে ৬ষ্ঠী।

প্রশ্নমালা

১। সঠিক উত্তটির পাশে টিক (/) চিহ্ন দাও :

(ক) আচার্য শিষ্যকে বসতে বলেছিলেন বেঞ্চে/ আসনে/বৃক্ষতলে/ঘাসের উপর।

(খ) পিতা অপেক্ষা মাতা শ্রেষ্ঠ, স্নেহ করেন/গর্ভধারণ করেন/ পোষণ করেন/গর্ভধারণ ও পোষণ করেন
বলে।

(গ) শিক্ষক অর্থদাতা/সমৃদ্ধিদাতা/জ্ঞানদাতা/মুক্তিদাতা।

(ঘ) শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীদের চক্ষুরুন্মীলন করেন অঞ্জন শলাকা /অলক্তকশলাকা/লেখনী শলাকা/জ্ঞানাঞ্জন শলাকা

(ঙ) আচার্য শিষ্যকে আশীর্বাদ করলেন বিদ্বান/বুদ্ধিমান/বিত্তবান/আয়ুষ্মান হতে।

২। শূন্যস্থান পূরণ কর :

(ক)
— ভবান্‌ কঃ শ্রেষ্ঠঃ ।

(খ) পিতা হি

(গ)
- তাতানাতা গরীয়সী।

(ঘ) বদতু তাবৎ শিক্ষকস

(ঙ) ভগবদবচনং
- প্রীতো ২হম্।

বাক্য রচনা কর :

প্রণমামি, তুয়া, সত্যম্, শিক্ষকসা, গরীয়সী।

ফর্মা-৪, সংস্কৃত, ৮ম শ্রেণি

৪। শব্দার্থ লেখ :

ভবান, শারবচনং, যত্নেন, প্রসবিত্রী, শুতা।

সন্ধি বিচ্ছেদ কর

প্রীতো২হম্, পরমস্তপঃ, সত্যমেতৎ, তাতান্নাতা, সর্বৈরেব।

কারণসহ বিভক্তি নির্ণয় কর :

সর্বৈঃ, তাতাৎ, ভবত্তম্, চক্ষুদান, অসমান।

বাম পাশের পদগুলোর সঙ্গে ডান পাশের পদগুলো সাজিয়ে লেখ :

জ্ঞাতব্যম্

ভব

পিতা

প্রীতঃ

অহম

স্বর্ণঃ

আয়ুষ্মান

প্রণমামি

সংক্ষেপে উত্তর দাও :

(ক) শিষ্য আচার্যের নিকট কি জানতে চেয়েছিল?
(খ) আচার্য পিতা সম্পর্কে শিষ্যের নিকট কি বলেছিলেন?

(গ) শিষ্য মাতা সম্পর্কে আচার্যের নিকট কি বলেছিল?

(ঘ) শিক্ষক কি দান করেন?

বাংলায় অনুবাদ কর

(ক) পিতা স্বর্গঃ
শ্রদ্ধেয়শ্চ।

(খ) বস।
গরীয়সী।

(গ) পিতা জন্মদাতা ........
করোতি।

১০। গুরু ও শিষ্যের কথোপকথনের সারাংশ নিজের ভাষায় লেখ।

 

 

 

Content added By

শ্রীরামকৃষ্ণঃ পরমহংসঃ পশ্চিমবঙ্গস্য তুগলীজেলায়াঃ কামারপুকুরগ্রামে আবির্ভূতঃ। ধর্মনিষ্ঠঃ ক্ষুদিরামঃ
চট্টোপাধ্যায়ঃ তস্য পিতা। সরলা পতিব্রতা করুণাময়ী চন্দ্রমণিদেবী তস্য মাতা। শৈশবে তস্য নামাসীৎ
গদাধরঃ। একদা স জ্যেষ্ঠতাত্রা সহ কলিকাতায় আগতঃ। অত্র দক্ষিণেশ্বরে রাসমণিদেব্যা প্রতিষ্ঠিতে
কালীমন্দিরে স পূজকোহভবৎ । তস্য ভক্তরা পূজয়া চ প্রীতিং লম্বা জগজ্জননী কালিকা তৎসমীপে আবির্ভূতা।
বিবিধেমতেঃ সাধনাং কৃত্বা স ঈশ্বরমলভত। অনন্তরং মোহম্মদৎ, “সর্বে এর ধর্মাঃ পন্থানশ্চ সত্যম্। যেন
কেনচিৎ পদ্মা মতেন বা সাধনাং কৃত্বা ঈশ্বরো লভাতে।"

শ্রীরামচন্দ্রমুখোপাধ্যায়স্য কন্যা সারদাদেবী শ্রীরামকৃষ্ণস্য সহধর্মিণী। স্বামী বিবেকানন্দঃ আসীতস্য শ্রেষ্ঠঃ
শিষ্যঃ।

শ্রীরামকৃষ্ণঃ শ্রীরামচন্দ্রস্য শ্রীকৃষ্ণস্য চ অবতারঃ সঃ 'অবতার বরিষ্ঠঃ ইতি বিবেকানন্দসা অভিমতম্। অতঃ
শ্রীরামকৃষ্ণঃ অবতাররূপেণ সর্বত্র পূজ্যতে।

অনুশীলনী

শব্দার্থ :

তস্য তাঁর ভক্ত্যা - ভক্তির দ্বারা। পূজয়া - পূজার দ্বারা। লজ্জা লাভ করে। ঈশ্বরম্ — ঈশ্বরকে।
-
-
অলভত - লাভ করেছিলেন, লাভ করেছিল। পন্থানঃ পথসমূহ। পদ্মা পথের দ্বারা মতেন - মতের
-
দ্বারা বিবেকানন্দস্য বিবেকানন্দের।

ব্যাকরণ

(ক) সন্ধি বিচ্ছেদ :

মাসী = নাম + আসীৎ। পূজকো ২ভবৎ = পূজক + অভবৎ। বিবিধেমতেঃ - বিবিধৈঃ + মতৈঃ।
=
ঈশ্বরমলভত = ঈশ্বরম্ + অলভত। পন্থান পন্থানঃ + 5 আসীত্তস্য আসীৎ + তস্য।

(খ) কারণসহ বিভক্তি নির্ণয় কর :

শৈশবে – কালাধিকরণে ৭মী। দক্ষিণেশ্বরে, কালীমন্দিরে - অধিকরণে ৭মী। অন্যা, পূজয়া হেতু অর্থে
ওয়া। মতেন, পথা করণে ৩য়া।

(গ) ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় :

কালীমন্দিরে কাল্যাঃ মন্দিরম্ (৬ষ্ঠী তৎ), তস্মিন্ জগজ্জন জগতঃ জননী (৬ষ্ঠী তৎ)।
-
অবতারবরিষ্ঠঃ অবতারেষু বরিষ্ঠঃ (৭মী তৎ)। অবতাররূপেণ – অবতারস্য রূপম্ (৬ষ্ঠী তৎ), তেন।
-

প্রশ্নমালা

সঠিক উত্তরটির পাশে টিক (/) চিহ্ন দাও :
(ক) শ্রীরামকৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেন বিষ্ণুপুরে/বাণীপুরে ব্রহ্মপুরে/কামারপুকুরে।

(খ) শ্রীরামকৃষ্ণ কলিকাতায় এসেছিলেন মামা/পিতৃব্য/ জ্যেষ্ঠতাত/জ্যেষ্ঠভ্রাতার সঙ্গে।
দক্ষিণেশ্বরের কালীমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন রাসমণিদেবী/চন্দ্রমণিদেবী/যমুনাদেবী/সারদাদেবী।

শ্রীরামকৃষ্ণের সহধর্মিণী ছিলেন মণিকাদেবী/কণিকাদেবী/সারদাদেবী/চন্দ্রাদেবী।

(ঙ) শ্রীরামকৃষ্ণের শ্রেষ্ঠ শিষ্য ছিলেন স্বামী ব্রহ্মানন্দ/স্বামী অভেদানন্দ/স্বামী বিবেকানন্দ/স্বামী

বিজ্ঞানানন্দ।

শূন্যস্থান পূরণ কর

(ক) শৈশবে তস্য গদাধরঃ।

(খ) স কালীমন্দিরে

সর্বে — পানশ্চ সত্যম্।

- শ্রীরামকৃষ্ণস্য সহধর্মিণী।

স্বামী বিবেকানন্দঃ - শ্রেষ্ঠঃ শিষ্যঃ।

01
বাক্য গঠন কর :

আবির্ভূত, পিতা, শৈশবে, বিবেকানন্দঃ, শিষ্যঃ।

81
শব্দার্থ লেখ :

ভক্ত্যা, অলভত, বিবেকানন্দস্য, পথা, যতেন।

সচ্ছি বিচ্ছেদ কর :
বিবিধৈর্মতৈঃ, আসীত্তস্য, ঈশ্বরমলভত, পন্থানশ্চ, পূজকোহভবৎ।

18
কারণসহ বিভক্তি নির্ণয় কর :

পথা, পূজয়া, শৈশবে, দক্ষিণেশ্বরে, মতেন।

ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লেখ :

৭।
জগজ্জননী, অবতাররূপেণ, কালীমন্দিরে, অবতার বরিষ্ঠ।

৮। বাম পাশের পদগুলোর সঙ্গে ডান পাশের পদগুলো সাজিয়ে লেখ :

শ্রীরামকৃষ্ণঃ

সতাম

কালিকা

পূজাতে

শ্রীরামকৃষ্ণস্য মাত্রা

আবির্ভূতা

অবতাররূপেশ

চন্দ্রমণিদেবী

সর্বে পান।

অবতারবরিষ্ঠঃ

৯। বাংলায় উত্তর দাও :

(ক) শ্রীরামকৃষ্ণ কোথায় আবির্ভূত হন।

(খ) শ্রীরামকৃষ্ণের পিতার নাম কি?

(গ) শ্রীরামকৃষ্ণের মাতা কেমন ছিলেন?

(খ) শ্রীরামকৃষ্ণ কোন মন্দিরের পূজক ছিলেন?

(ঙ) সাধনায় সিদ্ধি লাভ করে শ্রীরামকৃষ্ণ কি বলেছিলে

১০।

বাংলায় অনুবাদ কর :

(ক) একদা স

আবির্ভূতা।

(খ) অনন্তর সোহব
ঈশ্বরো লভ্যতে।

(গ) শ্রীরামকৃষ্ণ
• সর্বত্র পূজাতে।

১১। তোমার পাঠ্যাংশ অনুসরণে শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসের জীবনী বাংলায় লেখ।

 

 

 

Content added By

বাংলাদেশে ষট্ ঋভবঃ সন্তি। তেষু বসন্ত এর শ্রেষ্ঠঃ । স ঋতুরাজ ইতি উচ্যতে। শীতাং পরং বসন্তঃ
সমায়াতি। অস্মিন্ কালে পৃথিবী অতীব শোভাময়ী ভবতি। বৃক্ষেষু জায়তে নবানি পত্রাণি। কাননে উদ্যানে চ
বিচিত্রাণি পুষ্পাণি বিকশক্তি। সুগন্ধঃ বায়ুর্বাতি। সরোবরস্য জলং ভবতি নির্মলম্। অত্র প্রস্ফুটন্তি মনোহরাণি
কমলানি। মধুকরাঃ গুঞ্জপ্তি সানন্দম্। তে পুষ্পেত্যো মধু আহরন্তি রচয়ন্তি চ মধুচক্রম্। দক্ষিণস্যাঃ দিশো বহুতি
মলয়পবনঃ বিহগাঃ কূজন্তি মধুরম্। কোকিলাঃ মধুরেণ কুহুরবেন মুখরস্তি দশ দিশঃ। অস্মিন কালে
ফাল্গুনী পূর্ণিমায়াং ভবতি দোলোৎসবঃ। তদা সর্বে অনুভবস্তি আনন্দম্ । অতো ভগবান্ শ্রীকৃষ্ণঃ অবদৎ, “অহং
ঋভূনাং কুসুমাকরঃ।"

অনুশীলনী

শব্দার্থ :

ঋতবঃ
-
ঋতুসমূহ। শোভাময়ী — সুন্দরী। বৃক্ষেষু — বৃক্ষসমূহে। জায়তে
-
-
হয়। মধুকরাঃ - মৌমাছিরা মধুচক্রম – চৌমাক। তদা - তখন। কুসুমাকরঃ
-
জন্মে। ৰাতি
বসন্ত ।
প্রবাহিত

ব্যাকরণ

(ক) সন্ধি বিচ্ছেদ :

বায়ুৰাতি = বায়ুঃ + বাতি। দোলোৎসবঃ = দোল + উৎসবঃ। পুষ্পেভ্যো মধু = পুষ্পেভ্যঃ + মধু। অত্তো
ভগবান = অতঃ + ভগবান্ । কুসুমাকরঃ= কুসুম + আকরঃ।

(খ) কারণসহ বিভক্তি নির্ণয় :

তেষু – নির্ধারণে ৭মী। বৃক্ষেষু - অধিকরণে ৭মী। সরোবরস্য- সম্বন্ধে ৬ষ্ঠী। পুষ্পেভ্যঃ
-
৫মী। মধুচক্রম্ – কর্মে ২য়া। মধুরম্ - ক্রিয়াবিশেষণে ২য়া। ঋতুনাং – নির্ধারণে ৬ষ্ঠী।
-
-
অপাদানে

(গ) ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম :

ঋতুরাজঃ – ঋতুনাং রাজা (৬ষ্ঠী তৎ)। সুগন্ধঃ সু (শোভনঃ) গন্ধঃ যস্য সঃ (বহুব্রীহি)। মধুকরাঃ-
-
মধু কুর্বন্তি যে (উপপদতৎ)। কুসুমাকরঃ - কুসুমস্য আকরঃ (৬ষ্ঠী তৎ)।

প্রশ্নমালা

সঠিক উত্তরটির পাশে টিক (/) চিহ্ন দাও :

(ক) ঋতুরাজ বলা হয় বর্ষাকে/শরথকে/ হেমন্তকে/বসন্তকে।

(খ) বসন্তকালে মনোহর কমল প্রস্ফুটিত হয় সরোবরে/নদীতে/সমুদ্রে গোস্পদে।

(গ) দোলোৎসব হয় চৈত্র মাসের / ফাল্গুন মাসের /মাদ মাসের / আশ্বিন মাসের পূর্ণিমায়।

(ঘ) কোকিলের শব্দকে বলা হয় শ্লেষা/ কুহু/বৃংহণ/কুঞ্জন।

(ঙ) শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, “ঋতুসমূহের মধ্যে আমি শরৎ হেমন্ত/শীত/কুসুমাকর।"

শূন্যস্থান পূরণ কর :

বাংলাদেশে ষট্

পরং বসন্তঃ সমায়াতি।

বৃক্ষে
-
নবানি পত্রাণি ।

— জলং ভবতি নির্মলম্।

তে —— মধু আহরস্তি।

বাক্য গঠন কর :

বসন্তঃ পত্রাণি, বিকশক্তি, বিহগাঃ, শ্রীকৃষ্ণঃ।

৪। শব্দার্থ লেখ :

কুসুমাকরঃ, জায়তে, বৃক্ষে, বাতি, ঋতবঃ।

সন্ধি বিচ্ছেদ কর :

দোলোৎসবঃ, অতো ভগবান, বায়ুর্বাতি, কুসুমাকরঃ।

10
কারণসহ বিভক্তি নির্ণয় কর :

পুষ্পেভাঃ, মধুরম্, ঋতুনাং, মধুচক্রম, সরোবরসা।

91
ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লেখ :

কুসুমাকরঃ, ঋতুরাজা, সুগন্ধঃ, মধুকরাঃ ।

(খ)

৮। নিচের প্রশ্নগুলোর সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :

(ক) কোন ঋতুকে ঋতুরাজ বলা হয়?

(খ) কখন বসন্তের সমাগম হয়?

(গ) বসন্তকালে সরোবরের জল কেমন হয়?

(ঘ) মধুকর কোথা থেকে মধু আহরণ করে?

(ঙ) মলয়পবন কোন দিক থেকে প্রবাহিত হয়?

বামপাশের পদগুলোর সঙ্গে ডান পাশের পদগুলো সাজিয়ে লেখ :

কুজন্তি

অবদৎ

বসন্তঃ

শ্রীকৃষ্ণঃ

ঋতবঃ

দোলোৎসবঃ

ঋতুরাজঃ

বিহগাঃ

ভবতি

১০।

বাংলায় অনুবাদ কর :

(ক) অস্মিন্ কালে
বিকশক্তি

(খ) মধুকরাঃ
মলয়পবনঃ।

(গ) অস্মিন্ কালে

১১। বাংলা ভাষায় বসন্তকালের বর্ণনা দাও।

কুসুমাকরঃ।

 

Content added By

(ক) কর্মবিষয়কাঃ শোকাঃ

কর্মণ্যেবাধিকারস্তে মা ফলেষু কদাচন।

যা কর্মফলহেতুভূমা তে সঙ্গোহত্বকর্মণি ॥ ২/৪৭

নিয়তং কুরু কর্ম ত্বং জ্যায়ো হ্যকর্মণঃ।
শরীরযাত্রাপি চ তে ন প্রসিধ্যেদকর্মণঃ ॥ ৩/৮

যজ্ঞার্থাৎ কর্মণোহন্যত্র লোকো২য়ং কর্মবন্ধনঃ ।
তদর্থং কর্ম কৌন্তেয় মুক্তসঙ্গঃ সমাচর । ৩/৯

ন বুদ্ধিভেদং জনয়েদজ্ঞানাং কর্মসঙ্গিনাম্।
যোজয়েৎ সর্বকর্মাণি বিধান যুক্তঃ সমাচরন 3/26

(খ) জ্ঞানবিষয়কাঃ শোকাঃ

শ্রেয়ান দ্রব্যময়াদ্যজ্ঞাজ জ্ঞানযজ্ঞঃ পরন্তপ।
সর্বং কর্মালিং পার্থ জ্ঞানে পরিসমাপ্যতে ॥৪/03

তদ্বিন্ধি প্রণিপাতেন পরিপ্রশ্নেন সেবয়া।
উপদেক্ষ্যস্তি তে জ্ঞানং জ্ঞানিনস্তত্ত্বদর্শনঃ ৩/৩৪

নহি জ্ঞানেন সদৃশং পবিত্রমিহ বিদ্যতে।

তৎ স্বয়ং যোগসংসিদ্ধঃ কালেনাত্মনি বিন্দতি ॥ ৪/৩৮

শ্রদ্ধাবান লভতে জ্ঞানং তৎপরঃ সংযতেন্দ্রিয়ঃ।
জ্ঞানং লম্বা পরাং শান্তিমচিরেপাধিগচ্ছতি । ৪/৩৯

(গ) ভক্তিবিষয়কাঃ শোকাঃ

সততং কীৰ্ত্তয়ন্তো মাং যতন্তশ্চ দৃঢ়ব্রতাঃ।
নমস্যগুণ্ড মাং ভক্ত্যা নিত্যযুক্তা উপাসতে ৯/১৪

পত্রং পুষ্পং ফলং তোয়ং যো মে ভক্ত্যা প্রযচ্ছতি ।
তদহং ভক্ত্যুপহূতমনামি প্রতাত্মনঃ । ৯/২৬

ক্ষিপ্রং ভবতি ধর্মাত্মা শশ্বচ্ছান্তিং নিগচ্ছতি।
কৌন্তেয় প্রতিজানীহি ন মে ভক্তঃ প্রণশ্যতি ৯/৩১

যো ন তুষ্যতি ন শ্লেষ্টি ন শোচতি ন কাঙ্ক্ষতি।
শুভাশুভপরিত্যাগী ভক্তিমান্ যঃ স মে প্রিয়ঃ ॥ ১২/১৭

অনুশীলনী

শব্দার্থ :

অকর্মণঃ - কর্ম না করা থেকে। প্রসিষ্যেৎ – নির্বাহ হয়। যোজয়েৎ - কর্মে নিযুক্ত রাখবেন। কৌন্তেয়
-
হে কুন্তীপুত্র। বিদতি - লাভ করে। জ্ঞানং তৎপরঃ – জ্ঞাননিষ্ঠ। সংযতেন্দ্রিয়ঃ – জিতেন্দ্রিয়। পরিপ্রশ্নেন
- বিনীত জিজ্ঞাসার দ্বারা। ভক্যুপহূতম - ভক্তিপ্রদত্ত। প্রতিজানীহি – নিশ্চয়রূপে জান।

ব্যাকরণ

(ক) সন্ধি বিচ্ছেদ :

হ্যকর্মণঃ = হি + অকর্মণঃ। প্রসিখ্যে কর্মণঃ প্রসিধ্যেৎ + অকর্মণঃ। কর্মণ্যেবাধিকারস্তে = কর্মণি + এব
=
+ অধিকারঃ + তে। পবিত্ৰমিহ = পবিত্রম্ + ইহ। কর্মাশিলং = কর্ম + অখিলং। নিদর্শনঃ =
জ্ঞানিনঃ + তত্ত্বদর্শিনঃ। শান্তিং শশ্বৎ + শান্তিং।

(খ) কারণসহ বিভক্তি নির্ণয় :

অকর্মণঃ - অপেক্ষার্থে ৫মী। জ্ঞানেন 'সদৃশম্' শব্দযোগে ৩য়া। কর্মণি – অধিকরণে ৭মী। শ্রদ্ধাবান
-
- কর্তায় ১মা জ্ঞান কর্মে হয়া। সেয়া - করণে ওয়া। ভা - করণে ওয়া।
-

(গ) ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম :

শরীরযাত্রা শরীরস্য যাত্রা (৬ষ্ঠী তৎ)। সংযতেন্দ্রিয়ঃ সংযতানি ইন্দ্রিয়াণি যস্য সঃ (বহুব্রীহি)।

তত্ত্বদর্শিনঃ – তত্ত্বং পশাস্তি যে (উপপদত)। দৃঢ়তাঃ – দৃঢ়ং ব্ৰতং যেষাং তে (বহুব্রীহি)। ধর্মাত্মা – ধর্মঃ
-
-
আত্মা যস্য সঃ (বহুব্রীহি)।

প্রশ্নমালা

শূন্যস্থান পুরণ কর :

(ক)
- সর্বকর্মাণি বিধান যুক্তঃ সমাচরন।
(খ) তদর্থং কর্ম কৌন্তেয়

- সমাচ

(গ) -তে জ্ঞানং জ্ঞানিনস্তত্ত্বদর্শিনঃ ।

(ঘ) নমস্যন্তশ্চ মাং ভক্ত্যা -
- উপাসতে।

(ঙ) ক্ষিপ্ৰং ভবতি ধর্মাত্মা

বাক্য গঠন কর :

নিগচ্ছতি।

কুরু, সমাচর, কদাচ বিদ্যতে, প্রণশ্যতি।

শব্দার্থ লেখ :

কৌন্তেয়, অকর্মণঃ, বিন্দতি, সংযতেন্দ্রিয়ঃ, প্রতিজানীহি।

81
ভাবার্থ দেখ

কালেনাত্মনি বিন্দতি
মে প্রিয়া
(খ) যোন

(ক) নহি.

(গ) নিয়তং কুরু
সন্ধি বিচ্ছেদ কর :
প্রসিদোদকর্মণঃঃ

পরিভ্রমিহ, শশ্বচ্ছান্তিং, কর্মখিলং, হাকর্মণঃ।

কারণসহ বিভক্তি নির্ণয় কর :
কর্মণি, ভক্ত্যা, অকর্মণঃ, জ্ঞান, জ্ঞানেন।

ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লেখ :
তত্ত্বদর্শিনঃ, শরীরযাত্রা, দৃঢ়ব্রতাঃ, ধর্মাত্মা।

বাংলায় অনুবাদ কর :

(ক) কর্মণ্যেবাধিকারস্তে · সঙ্গোহত্বকর্মণিঃ

(খ) শ্রদ্ধাবান

শান্তিমচিরেণাধিগচ্ছতি

পত্রং
প্রতাত্মনঃ।

ক্ষিপ
প্রণশ্যতিঃ

ভক্তিসম্পর্কিত একটি শোক মুখস্থ দেখ ।

১০। শ্রীমদৃভগবদ্‌গীতার চতুর্থ অধ্যায়ের ৩৯ নম্বর লোকটি উদ্ধৃত কর।

১১। কর্মবিষয়ক একটি শোক মুখস্থ লেখ।

 

Content added By

গীতাচয়নম্

(ক) কর্মবিষয়কাঃ শোকাঃ

কর্মণ্যেবাধিকারস্তে মা ফলেষু কদাচন।

যা কর্মফলহেতুভূমা তে সঙ্গোহত্বকর্মণি ॥ ২/৪৭

নিয়তং কুরু কর্ম ত্বং জ্যায়ো হ্যকর্মণঃ।
শরীরযাত্রাপি চ তে ন প্রসিধ্যেদকর্মণঃ ॥ ৩/৮

যজ্ঞার্থাৎ কর্মণোহন্যত্র লোকো২য়ং কর্মবন্ধনঃ ।
তদর্থং কর্ম কৌন্তেয় মুক্তসঙ্গঃ সমাচর । ৩/৯

ন বুদ্ধিভেদং জনয়েদজ্ঞানাং কর্মসঙ্গিনাম্।
যোজয়েৎ সর্বকর্মাণি বিধান যুক্তঃ সমাচরন 3/26

(খ) জ্ঞানবিষয়কাঃ শোকাঃ

শ্রেয়ান দ্রব্যময়াদ্যজ্ঞাজ জ্ঞানযজ্ঞঃ পরন্তপ।
সর্বং কর্মালিং পার্থ জ্ঞানে পরিসমাপ্যতে ॥৪/03

তদ্বিন্ধি প্রণিপাতেন পরিপ্রশ্নেন সেবয়া।
উপদেক্ষ্যস্তি তে জ্ঞানং জ্ঞানিনস্তত্ত্বদর্শনঃ ৩/৩৪

নহি জ্ঞানেন সদৃশং পবিত্রমিহ বিদ্যতে।

তৎ স্বয়ং যোগসংসিদ্ধঃ কালেনাত্মনি বিন্দতি ॥ ৪/৩৮

শ্রদ্ধাবান লভতে জ্ঞানং তৎপরঃ সংযতেন্দ্রিয়ঃ।
জ্ঞানং লম্বা পরাং শান্তিমচিরেপাধিগচ্ছতি । ৪/৩৯

নিম্ন মাধ্যমিক সংস্কৃত

(গ) ভক্তিবিষয়কাঃ শোকাঃ

সততং কীৰ্ত্তয়ন্তো মাং যতন্তশ্চ দৃঢ়ব্রতাঃ।
নমস্যগুণ্ড মাং ভক্ত্যা নিত্যযুক্তা উপাসতে ৯/১৪

পত্রং পুষ্পং ফলং তোয়ং যো মে ভক্ত্যা প্রযচ্ছতি ।
তদহং ভক্ত্যুপহূতমনামি প্রতাত্মনঃ । ৯/২৬

ক্ষিপ্রং ভবতি ধর্মাত্মা শশ্বচ্ছান্তিং নিগচ্ছতি।
কৌন্তেয় প্রতিজানীহি ন মে ভক্তঃ প্রণশ্যতি ৯/৩১

যো ন তুষ্যতি ন শ্লেষ্টি ন শোচতি ন কাঙ্ক্ষতি।
শুভাশুভপরিত্যাগী ভক্তিমান্ যঃ স মে প্রিয়ঃ ॥ ১২/১৭

অনুশীলনী

শব্দার্থ :

অকর্মণঃ - কর্ম না করা থেকে। প্রসিষ্যেৎ – নির্বাহ হয়। যোজয়েৎ - কর্মে নিযুক্ত রাখবেন। কৌন্তেয়
-
হে কুন্তীপুত্র। বিদতি - লাভ করে। জ্ঞানং তৎপরঃ – জ্ঞাননিষ্ঠ। সংযতেন্দ্রিয়ঃ – জিতেন্দ্রিয়। পরিপ্রশ্নেন
- বিনীত জিজ্ঞাসার দ্বারা। ভক্যুপহূতম - ভক্তিপ্রদত্ত। প্রতিজানীহি – নিশ্চয়রূপে জান।

ব্যাকরণ

(ক) সন্ধি বিচ্ছেদ :

হ্যকর্মণঃ = হি + অকর্মণঃ। প্রসিখ্যে কর্মণঃ প্রসিধ্যেৎ + অকর্মণঃ। কর্মণ্যেবাধিকারস্তে = কর্মণি + এব
=
+ অধিকারঃ + তে। পবিত্ৰমিহ = পবিত্রম্ + ইহ। কর্মাশিলং = কর্ম + অখিলং। নিদর্শনঃ =
জ্ঞানিনঃ + তত্ত্বদর্শিনঃ। শান্তিং শশ্বৎ + শান্তিং।

(খ) কারণসহ বিভক্তি নির্ণয় :

অকর্মণঃ - অপেক্ষার্থে ৫মী। জ্ঞানেন 'সদৃশম্' শব্দযোগে ৩য়া। কর্মণি – অধিকরণে ৭মী। শ্রদ্ধাবান
-
- কর্তায় ১মা জ্ঞান কর্মে হয়া। সেয়া - করণে ওয়া। ভা - করণে ওয়া।
-

(গ) ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম :

শরীরযাত্রা শরীরস্য যাত্রা (৬ষ্ঠী তৎ)। সংযতেন্দ্রিয়ঃ সংযতানি ইন্দ্রিয়াণি যস্য সঃ (বহুব্রীহি)।

তত্ত্বদর্শিনঃ – তত্ত্বং পশাস্তি যে (উপপদত)। দৃঢ়তাঃ – দৃঢ়ং ব্ৰতং যেষাং তে (বহুব্রীহি)। ধর্মাত্মা – ধর্মঃ
-
-
আত্মা যস্য সঃ (বহুব্রীহি)।

প্রশ্নমালা

শূন্যস্থান পুরণ কর :

(ক)
- সর্বকর্মাণি বিধান যুক্তঃ সমাচরন।
(খ) তদর্থং কর্ম কৌন্তেয়

- সমাচ

(গ) -তে জ্ঞানং জ্ঞানিনস্তত্ত্বদর্শিনঃ ।

(ঘ) নমস্যন্তশ্চ মাং ভক্ত্যা -
- উপাসতে।

(ঙ) ক্ষিপ্ৰং ভবতি ধর্মাত্মা

বাক্য গঠন কর :

নিগচ্ছতি।

কুরু, সমাচর, কদাচ বিদ্যতে, প্রণশ্যতি।

শব্দার্থ লেখ :

কৌন্তেয়, অকর্মণঃ, বিন্দতি, সংযতেন্দ্রিয়ঃ, প্রতিজানীহি।

81
ভাবার্থ দেখ

কালেনাত্মনি বিন্দতি
মে প্রিয়া
(খ) যোন

(ক) নহি.

(গ) নিয়তং কুরু
সন্ধি বিচ্ছেদ কর :
প্রসিদোদকর্মণঃঃ

পরিভ্রমিহ, শশ্বচ্ছান্তিং, কর্মখিলং, হাকর্মণঃ।

কারণসহ বিভক্তি নির্ণয় কর :
কর্মণি, ভক্ত্যা, অকর্মণঃ, জ্ঞান, জ্ঞানেন।

ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লেখ :
তত্ত্বদর্শিনঃ, শরীরযাত্রা, দৃঢ়ব্রতাঃ, ধর্মাত্মা।

বাংলায় অনুবাদ কর :

(ক) কর্মণ্যেবাধিকারস্তে · সঙ্গোহত্বকর্মণিঃ

(খ) শ্রদ্ধাবান

শান্তিমচিরেণাধিগচ্ছতি

পত্রং
প্রতাত্মনঃ।

ক্ষিপ
প্রণশ্যতিঃ

ভক্তিসম্পর্কিত একটি শোক মুখস্থ দেখ ।

১০। শ্রীমদৃভগবদ্‌গীতার চতুর্থ অধ্যায়ের ৩৯ নম্বর লোকটি উদ্ধৃত কর।

১১। কর্মবিষয়ক একটি শোক মুখস্থ লেখ।

 

 

Content added By

যস্য নাস্তি স্বয়ং প্রজ্ঞা শাহরং তস্য করোতি কিম।
লোচনাভ্যাং বিহীনস্য দর্পণঃ কিং করিষ্যতি ॥১
শর্বরীভূষণং চন্দ্রো নারীণাং ভূষণং পতিঃ।
পৃথিবীভূষণং রাজা বিদ্যা সর্বস্য ভূষণম্ ॥২
জ্ঞাতিভিরষ্টাতে নৈব চৌরেণাপি ন নীয়তে।
দানে নৈব ক্ষয়ং যাতি বিদ্যারত্নং মহাধনম্ ॥৩
রূপযৌবনসম্পন্না বিশালকুলস্যাঃ।
বিদ্যাহীনা ন শোভন্তে নির্গন্ধা ইব কিংশুকাঃ ॥৪

অনুশীলনী

শব্দার্থ :

করোতি
-
করে। লোচনাভ্যাং দুই চোখে। করিষ্যতি
-
করবে। শর্বরীভূষণং – রাতের অলংকার।
জ্ঞাতিভিঃ জ্ঞাতিগণের দ্বারা বণ্টাতে বণ্টিত হয়। চৌরেণ চোরের দ্বারা। কিংশুকাঃ
-
পলাশফুলগুলো।
-

ব্যাকরণ

(ক) সন্ধি বিচ্ছেদ :

নাস্তি = ন + অস্তি। নৈব ন + এব জাতিভিটাতে = জাতিভিঃ + বণ্টাতে। চৌরেণালি = চৌরেণ +
অপি।

(খ) কারণসহ বিভক্তি নির্ণয় :

লোচনাভ্যাম্ করণে ৩য়া। দর্শণঃ – কর্তায় ১মা। সর্বস্য
-
-
(কর্মবাচ্যের কর্তায়) ৩য়া। বিদ্যাহীনাঃ – কর্তায় ১মা
-
সম্বন্ধে ৬ষ্ঠী। জাতিভি
-
অনুক্ত কর্তায়

(গ) ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম :

শবরীভূষণং — শবৰ্য্যাঃ ভূষণং (৬ষ্ঠী তৎ)। পৃথিবীভূষণং – পৃথিব্যাঃ ভূষণং (৬ষ্ঠী তৎ)। বিদ্যারত্নং
-
বিদ্যা এব রত্নং (রূপক কর্মধারয়)। মহাধনম্ মহৎ ধনম্ (কর্মধারয়)। বিদ্যাহীনাঃ
-
-
-
বিদ্যয়া হীনাঃ (ওয়া

প্রশ্নমালা

সঠিক উত্তরটির পাশে টিক (/) চিহ্ন দাও :

(ক) শাস্ত্র তার কোন কাজে লাগেনা যার বিদ্যা/ প্রজ্ঞা/শ্রদ্ধা ভক্তি/ নেই।

(খ) পৃথিবীর ভূষণ রাজা/বিদ্বান/সাধু/কবি।
(গ) দর্পণ কাজে লাগে না যার চোখ/বিদ্যা/বুদ্ধি/ভক্তি নেই।

(ঘ) মহাধন বীরত্ব/সত্যবাদিতা/মততা/বিদ্যা।
(3) বিদ্যাহীন জবা/টপর/কিংশুক /অপরাজিতা ফুলের মত।

শূন্যস্থান পুরণ কর

দর্পণঃ কিং

বিদ্যা
- ভূষণম্।

- মহাধনম্ ।

- নৈৰ ক্ষয়ং যাতি

(ঙ) বিদ্যাহীনা ন

01
বাক্য রচনা করা
কদাচন, এব, দর্পণঃ, বিদ্যা, কিংশুকঃ।

৪। শব্দার্থ লেখ :

প্রজ্ঞা, জ্ঞাতিভিঃ, কিংশুকাঃ বণ্টাতে, চৌরেণ।

সন্ধি বিচ্ছেদ কর :

চৌরেণাপি, নৈব, নাস্তি, জ্ঞাতিভিটাতে।

কারণ উল্লেখ করে বিভক্তি নির্ণয় কর :

শান্তাং, বিদ্যাহীনাঃ, রাজা, জ্ঞাতিভিঃ, সর্বস্য।

ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লেখ

পৃথিবীভূষণং, বিদ্যাহীনাঃ, বিদ্যারত্নং, মহাধনম্ ।

 

 

Content added By

তক্ষকস্য বিষং দন্তে মক্ষিকায়াঃ বিষং শিরে।
বৃশ্চিকসা বিষং পুচ্ছে সর্বাঙ্গে অসতো বিষম্ ॥ ১
বরমেকো গুণী পুত্রো ন চ মূর্খশতৈরপি।
একশ্চন্দ্রসপ্তমো হন্তি ন চ তারাগণৈরপি ॥ ২
পরিবর্তিনি সংসারে মৃতঃ কো বা ন জায়তে।
স জাতো যেন জাতেন যাতি বংশঃ সমুন্নতিম্ ॥ ৩
লোভাৎ ক্রোধঃ প্রভবতি ক্রোধাদৃদ্রোহঃ প্রবর্ততে।
দ্রোহেণ নরকং যাতি শাসত্রজ্ঞো২পি বিচক্ষণঃ। 8
মাতৃবৎ পরদারেষু পরদ্রব্যেষু লোষ্ট্রবৎ ।
আত্মবৎ সর্বভূতেষু যঃ পশ্যতি স পণ্ডিতঃ ॥ ৫
উদ্যমেন হি সিধ্যত্তি কার্যাণি ন মনোরথেঃ ।
নহি সুপ্তস্য সিংহস্য মুখে প্রবিশন্তি মৃগাঃ ॥ ৬
বরং পর্বতদুর্গেষু প্রাপ্তং বনচরৈঃ সহ ।
ন মূর্খজনসংসর্গঃ সুরেন্দ্রভবনেষুপি ॥ ৭
অয়ং নিজঃ পরো বেতি গণনা লঘুচেতসাম্।
উদারচরিতানাং তু বসুধৈব কুটুম্বকম্ ॥ ৮
উৎসবে ব্যসনে চৈব দুর্ভিক্ষে রাষ্ট্রবিপৰে।
রাজদ্বারে শ্মশানে চ যস্তিষ্ঠতি স বান্ধবঃ ॥ ৯
নীচং গুরুতরযত্নাদর্পিতমপি ভূভূতোহগ্রে।
তরলতয়া যৎ সলিলং স্থপতি সহসা স্বয়ং নীচে ১০

শব্দার্থ :

অনুশীলনী

মক্ষিকায়াঃ— মাছির। বৃশ্চিকস্য বিষাক্ত পোকার। জায়তে জন্ম নেয়। জাতেন— জন্মের দ্বারা।
বিচক্ষণ পণ্ডিত ব্যক্তি। লোষ্ট্রব্য মাটির ঢেলার মত। সর্বভূতেষু - সকল প্রাণীর মধ্যে। সুশস্য-
ঘুমন্তের। পর্বতদুর্গেষু— পর্বতের গুহায়। লঘুচেতসাম – সংকীর্ণ-হৃদয় ব্যক্তিদের। কুটুম্বকম্— আত্মীয়।
ব্যসনে বিপদে। ভূভূতঃ- পর্বতের।

ব্যাকরণ

(ক) সন্ধি বিচ্ছেদ :

বরমেকো = বরম্ + একঃ একশ্চন্দ্রমো একঃ + চন্দ্রঃ + তমঃ। ক্রোধাनृদ্রোহঃ ক্রোধাৎ + দ্রোহঃ ।
শাহাজ্ঞোঽপি = শাস্ত্রজ্ঞঃ + অপি। সুরেন্দ্রভবনেপি = সুরেন্দ্রভবনেষু + অপি। যস্তিষ্ঠতি
তিষ্ঠতি। গুরুতরযত্নাদর্শিতমপি = গুরুতরযত্নাং + অর্পিতম্ + অপি।
= 8+

(খ) কারণসহ বিভক্তি নির্ণয় :

তরুকস্য - সম্বন্ধে ওষ্ঠী। বিষং কর্মে হয়। মূর্খশতৈঃকরণে ৩য়া। পরিবর্তিনি অধিকরণে ৭মী। লোভাৎ
হেতু অর্থে ৫মী। পরপারেঘু অধিকরণে ৭মী। পণ্ডিতঃ কর্তায় ১মা। বনচরৈঃ- সহার্থে ৩য়া।
লঘুচেতসাম্ সম্বন্ধে ৬ষ্ঠী। তরলতয়া হেতু অর্থে ৩য়া।

(গ) ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম :

শাদা শাসাং জানাতি যঃ সঃ (উপপদত)। পরদারেষু পরাণাং দারাণি (৬ষ্ঠীত), তেষু । পর্বতদুর্গেষু -
পর্বতানাং দুর্গাণি (৬ষ্ঠী তৎ), তেষু। মূর্খজনসংসর্গঃ- মূর্খঃ জনঃ (কর্মধারয়), তেষাং সংসর্গঃ (৬ষ্ঠী তৎ)।
সুরেন্দ্রভবনেষু সুরাণাম্ ইন্দ্রঃ যঃ সঃ, সুরেন্দ্র (বহুব্রীহি), তস্য ভবনম্ (৬ষ্ঠী তৎ), তেষু (গৌরবে বহু)।

প্রশ্নমালা

اد
সঠিক উত্তরটির পাশে টিক (/) চিহ্ন দাও:

(ক) তক্ষকের বিষ থাকে মাথায় / দস্তে / পায়ে / লেজে।

(খ) শতমূর্খের চেয়ে ভাল একজন গুণিপুত্র / বিদ্বানপুত্র / মুর্খপুত্র / সুন্দরপুত্র।

(গ) লোভ থেকে জন্ম নেয় দোহ/অসুখ / ক্রোধ / আকাঙ্ক্ষা।

(ঘ) সকল প্রাণীকে দেখতে হবে নিজের / শত্রুর / বন্ধুর / মূর্খের মত।

(3) আনন্দে,
বিপদে যে পাশে থাকে সে-ই বান্ধব / পণ্ডিত / গুণী / সজন।

২। শুণ্যস্থান পূরণ কর:
-বিষং দন্তে।
-

বরমেকো
পুত্রঃ।

খাতি বংশঃ
কোথাদৃদ্রোহঃ

(ঙ) বসুধৈৰ

৩। বাক্য রচনা কর :

শিরে, হস্তি, মৃগাঃ, বরং, অয়ং, নীচং।

৪। শব্দার্থ লেখ:

পুচ্ছে, অসতঃ, হস্তি, পরিবর্তিনি, লোভাৎ, মাতৃবৎ, প্রবিশস্তি, তরলতয়া।

৫। সন্ধি বিচ্ছেদ কর :

মূর্খশতৈরপি, কো বা সুরেন্দ্রভবনেপি, যস্তিষ্ঠতি, বসুধৈব, ভূভূতোহগ্রে।

৬। কারণসহ বিভক্তি নির্ণয় কর:
মক্ষিকায়াঃ, সর্বাঙ্গে, সমুন্নতি, দ্রোহাং, নরকং, মনোরথেঃ, রাষ্ট্রবিপবে।

৭। ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম লেখ:

মূর্খশতৈঃ, শাসব্রজ্ঞঃ, পরদ্রব্যেষু মূর্খজনসংসর্গঃ। উদারচরিতানাং, রাজদ্বারে।

৮। বাংলায় অনুবাদ কর:
(ক) তক্ষকসা--

(খ) মাতৃবৎ-
(গ) অয়ং নিজ-
- পণ্ডিতঃ
কুটুম্বকম্ ॥

(ঘ) নীচং-

- নীচে

৯। তোমার পাঠ্যাংশ থেকে যে- কোন একটি শোক উদ্ধৃত কর এবং বাংলায় তার অর্থ লিখ ।

১০। বামপাশের পদের সঙ্গে ডানপাশের পদের মিল কর :

তক্ষকস্য

হস্তি

এক চন্দ্রতমঃ
আত্মবৎ

নীচে

বিষং

বনচরৈঃ

সর্বভূতেষু

সহ

1

 

 

 

Content added By
Please, contribute to add content into দ্বিতীয় অধ্যায়.
Content

শব্দ : কয়েকটি বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি একত্র হয়ে যদি একটি অর্থ প্রকাশ করে, তবে তাকে বলা হয় শব্দ।
যেমন- ন্ + অ + + অ = নর। স্ + অ + ত্ + আ = লতা।

কিন্তু বর্ণসমষ্টি যদি কোন অর্থ প্রকাশ না করে, তাহলে শব্দ হয় না। যেমন- ক্ + + + অ = কেত।

এখানে কতগুলো বর্ণ একত্র হলেও এগুলো মিলিতভাবে কোন অর্থ প্রকাশ না করায় শব্দ হয়নি।

পদ : বিভক্তিযুক্ত শব্দকে পদ বলা হয়। যেমন- নর + ঔ = নরৌ। এখানে 'নর' একটি শব্দ। এর সঙ্গে 'ঔ'
এই শব্দবিভক্তি যুক্ত হয়ে 'নরৌ' পদ গঠিত হয়েছে।

পদের শ্রেণীবিভাগ : পদ পাঁচ প্রকার বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, অব্যয় ও ক্রিয়া।

১। বিশেষ্য

যে পদের দ্বারা কোন ব্যক্তি, বস্তু, স্থান, গুণ, অবস্থা, ক্রিয়া প্রভৃতির নাম বোঝায়, তাকে বলা হয় বিশেষ্য।
যেমন-

ব্যক্তি: গোপালঃ, গোবিন্দঃ, সীতা ইত্যাদি।
বস্তু: বিত্তম, জলম্, অনুম ইত্যাদি।
স্থান: মথুরা, কাশী, গয়া, বৃন্দাবনম্ ইত্যাদি।
গুণ: মধুরতা, চপলতা, মহত্ত্বম ইত্যাদি।
অবস্থা: কৈশোরম্, যৌবনম্, দারিদ্র্যম্ ইত্যাদি।
ক্রিয়া: শয়নম্, দর্শনম্ ইত্যাদি।

২। বিশেষণ

যে পদ বিশেষ্য বা ক্রিয়াপদের গুণ, অবস্থা, পরিমাণ প্রভৃতি প্রকাশ করে, তাকে বিশেষণ বলে। বিশেষণ
প্রধানত দুই প্রকার নামবিশেষণ ও ক্রিয়াবিশেষণ।

নামবিশেষণ : যে পদ বিশেষ্য পদের গুণ, অবস্থা প্রভৃতি প্রকাশ করে, তাকে নামবিশেষণ বলে। যেমন-
ক্লান্তঃ পথিকঃ। গভীরা রজনী। পঞ্চম্ ফলম্।

ক্রিয়াবিশেষণ যে পদ ক্রিয়াপদের অবস্থা প্রকাশ করে, তাকে ক্রিয়াবিশেষণ বলে। ক্রিয়াবিশেষণে দ্বিতীয়া
বিভক্তির একবচন ও ক্লীবলিঙ্গ হয়। যেমন- কোকিলঃ মধুরম্ কৃজতি। বালিকা ধীরম্ গচ্ছতি।

৩। সর্বনাম

যে পদ বিশেষ্যের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়, তাকে সর্বনাম পদ বলে। যেমন- রামঃ সুশীলঃ বালকঃ, রামঃ
প্রতিদিনম্ বিদ্যালয়ম্ গচ্ছতি, রামস্য চরিত্রম নির্মলম্-এই তিনটি বাক্যে বারবার 'রাম' পদের ব্যবহারে
শ্রুতিকটু দোষ হয়। এজন্য 'রামঃ' পদের পরিবর্তে যদি সঃ (সে) এবং রামস্য (রামের) পদের পরিবর্তে 'তস্য'
(তার) পদ ব্যবহার করা হয়, তাহলে বাক্যগুলো শ্রুতিমধুর হয়। সুতরাং শ্রুতিকটু দোষ পরিত্যাগের জন্য
বিশেষ্যের পরিবর্তে অন্য পদ প্রয়োগ করা প্রয়োজন। বিশেষ্যের পরিবর্তে ব্যবহৃত এই পদগুলোই সর্বনাম।

কয়েকটি সর্বনাম পদ : তে (তারা), তুম্ (তুমি), যঃ (যে), কঃ (কে), কিম্ (কি), অয়ম্ (এই) ইত্যাদি।

৪। অব্যয়

অব্যয় শব্দের অর্থ 'যার ব্যয় নেই। বায় শব্দের অর্থ পরিবর্তন। সুতরাং যে পদের কখনো কোন পরিবর্তন হয়।
না, অর্থাৎ যা সব সময় একই রূপে থাকে, তাকে অব্যয় বলা হয়। যেমন- অধুনা অহং গমিষ্যামি আমি এখন
যাব। তস্যাঃ মুখং পদ্মম্ ইব তার মুখ পদ্মের মত। এখানে 'অধুনা' এবং 'ইব' অব্যয় পদ।
আরো কয়েকটি অব্যয় পদের উদারহণ :

কদা (কখন), কুত্র (কোথায়), অতীব (অভ্যন্ত), চ (এবং), ততঃ (তারপর), তদা (তখন) ইত্যাদি।

৫। ক্রিয়া

যা দ্বারা কোন কাজ করা বোঝায়, তাকে ক্রিয়াপদ বলে। যেমন- সত্যং বদ-সত্য বল। ধর্ম চর-ধর্ম আচরণ
কর। বালকঃ পঠতি-বালকটি পড়ে। বালিকা চন্দ্রম্ পশ্যতি বালিকা চাঁদ দেখে।

অনুশীলনী

اد
শব্দ কাকে বলে? উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দাও।

পদ কাকে বলে? পদ কত প্রকার ও কি কি?

10
বিশেষ্য পদ কাকে বলে? পাঁচটি বিশেষ্য পদের উদারহণ দাও ।

81
নামবিশেষণ ও ক্রিয়াবিশেষণের পার্থক্য উদাহরণসহ লেখ।

সর্বনাম পদ কাকে বলে? কয়েকটি সর্বনাম পদের উদাহরণ দাও।

অব্যয় কাকে বলে? দুটি অব্যয় পদের বাক্যে প্রয়োগ দেখাও।

নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

(ক) বিভক্তিযুক্ত শব্দকে কি বলে?

‘মধুরতা' কোন পদ?

(গ) ক্রিয়াবিশেষণে কোন লিঙ্গ হয়?

সর্বনাম পদ কোন পদের পরিবর্তে বসে?

(ঙ) 'অব্যয়' শব্দের অর্থ কি?

৮।

সঠিক উত্তরটি লেখ :

(ক)

বিভক্তিযুক্ত শব্দকে বলে

(1) কারক

(iii)

পদ

(ii)

সন্ধি

(iv)

প্রত্যয়।

(খ)

'কদা' একটি-

বিশেষ্য পদ

(iii) সর্বনাম পদ

(ii)

অব্যয় পদ

(iv) বিশেষণ পদ।

(গ)

শয়নম্ একটি-

(1)

ক্রিয়া পদ

(ii)

বিশেষ্য পদ

(iii)

অব্যয় পদ

(iv)

বিশেষণ পদ।

(খ)

'পঞ্চম' একটি-

(1)

বিশেষণ পদ

(iii) ক্রিয়া পদ

(ii)

বিশেষ্য পদ

(iv) সর্বনাম পদ ।

'পশ্যতি' একটি

(1)

বিশেষ্য পদ

(iii)

সর্বনাম পদ

(ii)

বিশেষণ পদ

(iv)

ক্রিয়া পদ

 

Content added By

২। পতি (প্রভু, স্বামী)

বিভক্তি

একবচন

বিচন

বহুবচন

১ মা

পতিঃ

পতী

পতয়ঃ

ইয়া

পতিম

পতী

পতী

ওয়া

পত্যা

পতিভ্যাম্

পতিভিঃ

পত্যে

পতিভ্যাম্

পতিভ্যঃ

পত্যুঃ

পতিভ্যাম্

পতিভ্যঃ

পত্যুঃ

পড়্যোঃ

পতীনাম্

পত্যৌ

পত্যোঃ

পতি

সম্বোধন

পড়ে

পতী

পতয়ঃ

দ্রষ্টব্য : পূর্বস্থিত অপর কোন শব্দের সঙ্গে সমাস হলে 'পতি' শব্দের রূপ 'মুনি' শব্দের মত হয়। যেমন-
শ্রীপতি, ভূপতি, নরপতি, মহীপতি, শচীপতি, লক্ষ্মীপতি, নৃপতি, ক্ষিতিপতি ইত্যাদি।

৩। সুধী (জ্ঞানী)

বিভক্তি

একবচন

বহুবচন

১ মা

সুধীঃ

সুধিয়ৌ

সুধিয়ঃ

সুধিয়

সুধিয়ৌ

সুপ্রিয়ঃ

ওয়া

সুপ্রিয়া

সুধীভ্যাম

সুখীভিঃ

সুধিয়ে

সুধীভ্যাম্

সুধীতাঃ

সুধিয়ঃ

সুখীভ্যাম

সুধীতাঃ

সুধিয়ঃ

সুধিয়োঃ

সুধিয়াম্

সুধিয়ি

সুধিয়োঃ

সুধীষু

সম্বোধন

সুধীঃ

সুধিয়ৌ

সুধিয়ঃ

দ্রষ্টব্য : মন্দধী, অল্পধী, সুশ্রী, গতড়ী (নির্ভীক ) প্রভৃতি ঈ-কারান্ত পুংলিঙ্গ শব্দের রূপ 'সুধী' শব্দের মত।
'সুধী' শব্দ এবং 'সুধী' শব্দের মত যেসব শব্দের রূপ হয়, তাদের যেখানে যা থাকবে সেখানেই জন্ম ই-কার
হবে, কিন্তু 'য়' না থাকলে দীর্ঘ ঈ-কার হবে।

নিম্ন মাধ্যমিক সংস্কৃত

৪। দাতৃ (দাতা)

বিভক্তি

একবচন

বিচন

বহুবচন

১ মা

দাতা

পাতারৌ

দাতারঃ

২য়া

দাতারম্

দাতারৌ

ওয়া

দাত্ৰা

দাতৃভ্যাম্

দাতৃভিঃ

পাত্রে

সাতৃভ্যাম্

দাতৃভ্যঃ

দাতৃভ্যাম্

দাতৃভাঃ

পাতুঃ

দাতরি

পাত্রোঃ

দা

সম্বোধন

দাতঃ

পাতারৌ

দাতারঃ

স্রষ্টব্য : জেতু (জয়কারী), কর্তৃ (কর্তা), শ্রোতৃ (শ্রোতা), হত্ত্ব (ঘাতক), ভর্ত (স্বামী), নেতৃ (নেতা), বিধাত্‌
(বিধাতা) প্রভৃতি অ-কারান্ত পুংলিঙ্গা শব্দের রূপ 'দাতৃ' শব্দের মত। তবে ভ্রাতৃ, জামাতৃ ও নৃ (মানুষ)—এই
কয়টি ঋ-কারান্ত শব্দের রূপে কিছু পার্থক্য আছে।

৫। ভ্রাতৃ (ভাই)

বিভ

একবচন

বহুবচন

১মা

ভাতা

স্রাতরৌ

ভ্রাতরঃ

ভ্রাতরম

স্রাতরৌ

ভ্রাতৃম

ওয়া

ভ্ৰাতৃভ্যাম্

ভ্রাতৃভিঃ

ভ্ৰাতৃভ্যাম্

ভ্রাতৃত্যঃ

ভ্রাতুঃ

ভ্ৰাতৃভ্যাম্

ভ্রাতৃত্যঃ

ভ্রাতুঃ

ভালোঃ

ভ্ৰাতৃগাম

জাতরি

ভ্রাতৃ

সম্বোধন

ভ্রাতঃ

ভ্রাতরৌ

জাতরঃ

দ্রষ্টব্য : পিতৃ, জামাতৃ (জামাতা), দেবু (দেবর) প্রভৃতি শব্দের রূপ 'ভ্রাতৃ' শব্দের মত।

৬। গো (গরুজাতি

বিভক্তি

পাবো

বহুবচন

গোভ্যাম

গোভির

8

গোভ্যাম্‌

গবে

গোতাঃ

গবোঃ

গবোঃ

গবা

গোধু

সম্বোধন

দ্রষ্টব্য : 'গো' শব্দ 'গোজাতি' অর্থে পুংলিঙ্গ, কিন্তু 'গাজী' অর্থে গ্রীলিঙ্গ।।

ক্লীবলিঙ্গ শব্দ

১। বারি (জল)

বিভক্তি

বহুবচন

বারি

বারিণী

ान

বারি

বারিণী

বারীণি

ওয়া

বারিণা

বারিণে

বারিভ্যাম্

বারিক্যাম্ 

বারিতিঃ

বারিতাঃ

বারিণঃ

বারিভ্যাম্

বারিতাঃ

বারিণঃ

বারিলোঃ

বারীনাম

বারিণি

বারিলোঃ

বারি

সম্মোধন

বারে, বারি

বারিণী

ৰাৱীপি

দ্রষ্টব্য: দধি, অস্থি (হাড়), সথি (উরু) ও অক্ষি (চোখ) ভিন্ন সকল হ্রস্ব ই-কারান্ত ক্লীবলিঙ্গ শব্দের রূপ
“বারি' শব্দের মত।

সংস্কৃত

২। মধু (মিষ্ট তরলদ্রব্য বিশেষ

বিচন

বহুবচন

মধুনী

মধুমি

২য়া

মধুনী

মধুনি

মধু

মধুভিঃ

ওয়া

মথুনে

মধুভ্যাম্

মধুতাঃ

मधूम

মধুনোঃ

মধুজাঃ

সম্বোধন

মধ্যে, মধু

মধুনি

দ্রষ্টব্য : অম্বু (জল), অশ্রু (চোখের জল), জানু (হাঁটু), দারু (কাঠ), বস্তু, শুশু (দাড়ি) প্রভৃতি হ্রম উ-কারান্ত
ক্লীবলিঙ্গ শব্দের রূপ 'মধু' শব্দের মত।

৩। জল (বারি)

একবচন

বহুবচন

नम

ভালে

জলম

জলে

ওয়া

জলাভ্যাম্

জলাভ্যাম্

জালেন

জলায়

জনেভা

৫মী

জলাভ্যাম

জালানাম্

সম্বোধন

জলয়োঃ

স্রষ্টব্য : ফল, বন, কানন, তুল, পুষ্প, মূল, পত্র, মিত্র, সুখ, দুঃখ, পাপ, পুণ্য, নক্ষত্র, মুখ, নয়ন, নগর,
শরীর, যুদ্ধ, ক্ষেত্র প্রভৃতি অ-কারান্ত ক্লীবলিঙ্গ শব্দের রূপ 'জল' শব্দের মত।

সর্বনাম শব্দ

১। অম্মদ (আমি)

বিচন

বিভক্তি

একবচন

বহুবচন

অহম্

আৰাম্‌

আরাম, নৌ

অসমান, নঃ

তয়া

আৰাভ্যাম্

অমাভিঃ

মহাম, মে

আৰাভ্যাম্, নৌ

অলভাম, নঃ

কর্মী

আৰাভ্যাম্‌

অত্

মম, মে

আবয়োঃ, নৌ

অস্মাকম্, ন

অমাসু

আবয়োঃ

দ্রষ্টব্য: অমদ শব্দের রূপ তিন লিঙ্গেই সমান।

২। যুম্মদ (তুমি)

বিভক্তি

একবচন

বহুবচন

১ মা

যুবাম্‌

২য়া

যুবাম, বাম্‌

যুগ্মান, বঃ

যুগ্মাভিঃ

ওয়া

য়া

খুব ভ্যাম্

তুভাম, তে

যুবাড্যাম, বাম্

যুগ্মভাম, ব

যুবাভ্যাম্

যুদ্ধাকম, বা

তব, তে

যুবয়োঃ, ৰাম

খুবয়োঃ

৩। তদ্‌ (সে, তিনি, তা)

পুংলিঙ্গ

একবচন

দ্বিবচন

বিভক্তি

বহুবচন

সঃ

তে

爸爸

তান

তৈঃ

ওয়া

তেন

তাভ্যাম্

তমৈ

ভাভ্যাম্

তমাৎ

তাভ্যাম্

তেভ্যঃ

ভয়োঃ

তেষাম্

তেষু

প্রশ্নমালা

১। সঠিক উত্তরটির পাশে টিক (/) চিহ্ন দাও :

(ক) 'পিতৃ' শব্দের রূপ পাত্/ভ্রাতৃ মাতৃ/কর্তৃ শব্দের মত ।

'অম্বু' শব্দের রূপ সাধু/বিষ্ণু/রিপু/মধু/শব্দের মত ।

(গ) 'বারি' শব্দের ষষ্ঠীর বহুবচনের রূপ বারীনাম/বারিণাম / বারিণি/বারিণঃ ।

'জল' শব্দের সপ্তমীর দ্বিচনের রূপ জলস্য / জলয়োঃ /জলানাম/জলেষু ।

(ঙ) পুংলিঙ্গ 'তদ' শব্দের সপ্তমীর একবচনের রূপ তথ্য/তশ্য/তস্য/ তদ্দিন ।

২।

নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

(ক) শব্দরূপ কাকে বলে?

(খ) 'জেতৃ' শব্দের রূপ কোন্ শব্দের মত?

(গ) 'নৃ' শব্দের অর্থ কি?

গাভী অর্থে 'গো' শব্দ কোন লিঙ্গ?

'শত্রু' শব্দের রূপ কোন শব্দের মত?

'পত্র' শব্দের রূপ কোন শব্দের মত?

(ছ) 'কিম' শব্দ কোন্ শব্দের মত?

(জ) 'কিম্‌' শব্দ কোন লিঙ্গে প্রযুক্ত হয়?

(ঝ) 'ত্রি' শব্দ কোন্ কোন্ লিঙ্গে প্রযুক্ত হয়?

৩। বাংলায় অনুবাদ কর

(ক) নরপতেঃ। (খ) মধুনা। (গ) জলাৎ। (ঘ) ময়া। (ঙ) দাতারৌ। (চ) পত্যা। (ছ) বয়ম্ ।

(জ) ত্বাম্।

৪। সংস্কৃতে অনুবাদ কর :

(ক) প্রিয় বন্ধু। (খ) আমাদের। (গ) তোমাদের। (ঘ) গরুর দ্বারা। (ঙ) মুনিদের। (চ) ভাইদের
দ্বারা । (ছ) কাদের। (জ) তাদের। (ঝ) চারজন।

৫। নির্দেশ অনুযায়ী নিচের শব্দগুলির রূপ লেখ :

(ক) প্রিয়সখ' শব্দের তৃতীয়ার একবচন ।

(খ) 'পতি' শব্দের প্রথমার বহুবচন ।

(গ) 'শ্রীপত্তি' শব্দের ঘড়ীর একবচন ।

(ঘ) 'সুধী' শব্দের সপ্তমীর বহুবচন।

(ঙ) শুধু শব্দের প্রথমার বহুবচন ।

(চ) 'ভ্রাতৃ' শব্দের ষষ্ঠীর একবচন ।

(ছ) 'বারি' শব্দের দ্বিতীয়ার বহুবচন ।

(জ) 'জল' শব্দের প্রথমার বহুবচন।

(ঝ) 'তদ' শব্দের ক্লীবলিঙ্গে প্রথমার বহুবচন ।

(ঞ) 'তদ' শব্দের পুংলিঙ্গে প্রথমার বহুবচন ।

(ট) 'এক' শব্দের পুংলিঙ্গে চতুর্থীর একবচন

(ঠ) 'দ্বি' শব্দের পুংলিঙ্গে সপ্তমীর দ্বিচন ।

(ড) চুতুর' শব্দের স্ত্রীলিঙ্গে তৃতীয়ার বহুবচন ।

১। কিছু শব্দের পুংলিঙ্গের রূপ লেখ।

৭। মুখ শব্দের রূপ দেখ

৮। 'অমদ” শব্দের পূর্ণ রূপ লেখ।

পঞ্চমী থেকে সপ্তমী বিভক্তি পর্যন্ত 'মধু' শব্দের রূপ লেখ ।

১০। পঞ্চমী থেকে সপ্তমী বিভক্তি পর্যন্ত সুধী শব্দের রূপ

১১। প্রথমা থেকে চতুর্থী পর্যন্ত 'গো' শব্দের রূপ লেখ।

১২। সকল বিভক্তি ও বচনে 'মাতৃ' শব্দের রূপ লেখ।

দেখ

 

 

 

Content added By

ধাতুরূপঃ

কর্তৃবাচ্যে সংস্কৃত ধাতুগুলো তিন প্রকার পরস্মৈপদী, আত্মনেপর্দী ও উভয়পদী।
বর্তমান কাল বোঝাতে লই, অতীত কাল বোঝাতে লঙ্, ভবিষ্যৎ কাল বোঝাতে লুট, বর্তমান অনুজ্ঞা বোঝাতে
লোট এবং ঔচিত্য অর্থে বিধিলিত-এর প্রয়োগ হয়।
ধাতুর সঙ্গে বিভিন্ন তি বিভক্তি যুক্ত হয়ে ধাতুরূপ গঠিত হয়।
নিম্নে ভিড় বিভক্তির আকৃতি প্রদর্শিত হল :

পরস্মৈপদ

লট্‌

ৰচন

প্রথমপুরুষ

মধ্যমপুরুষ

উত্তমপুরুষ

একবচন

সি

মি

দ্বিবচন

ভস্

বহুবচন

লোট

ৰচন

প্রথমপুরুষ

মধ্যমপুরুষ

উত্তমপুরুষ

একবচন

হি

আনি

আব

আম

দ্বিবচন

তম

বহুবচন

চন

প্রথমপুরুষ

মধ্যমপুরুষ

একবচন

(5)

স্ (3)

দ্বিবচন

তাম

তম

বহুবচন

উত্তমপুরুষ

বিধিলিঙ্

ৰচন

প্রথমপুরুষ

মধ্যমপুরুষ

উত্তমপুরুষ

একবচন

দ্বিবচন

যাতাম্

যাতম্

যাব

বহুবচন

यू

যাত

যাম

চন

প্রথমপুরুষ

মধ্যমপুরুষ

উত্তমপুরুষ

একবচন

স্যতি

স্যামি

দ্বিবচন

স্যাতস্

সাথস্

স্যারস

বহুবচন

সান্তি

সাথ

স্যামস্

আত্মনেপদ

লট

ৰচন

প্রথমপুরুষ

মধ্যমপুরুষ

উত্তমপুরুষ

একবচন

12.

সে

দ্বিবচন

আতে

আধে

বহে

বহুবচন

মহে

লোট

ৰচন

প্রথমপুরুষ

মধ্যমপুরুষ

উত্তমপুরুষ

একবচন

Gr

দ্বিবচন

আতাম্

আবহৈ

বহুবচন

অস্তাম্

আমহৈ

অনুশীলনী

শুদ্ধ উত্তরটির পাশে টিক (/) চিহ্ন দাও :

(ক) পরমপদে লোট্-এ মধ্যম পুরুষের একবচনে ভিক্ বিভক্তির আকৃতি- ভূ/অন/হি/ত।

(খ) পরমপদে লড়-এ প্রথম পুরুষের একবচনে তিন্তু বিভক্তির রূপ- স্/দ/হি/ আনি।
(গ) আত্মনেপদে লোট্-এ উত্তমপুরুষের বহুবচনে ভিড় বিভক্তির রূপ- আমহৈ / আবহৈ বহৈ মহৈ।

(ঘ) বৃৎ-ধাতুর লটু-এ উত্তমপুরুষের একবচনের রূপ- বর্তামহে/বৰ্ত্তাবহে/বর্তৈ/বর্তে।

(ঙ) জন ধাতুর লড়-এ প্রথম পুরুষের একবচনের রূপ- অজায়ত / অজায়তে/ অগাষ/অজায়তাম্।

বাক্য রচনা কর :

পৃচ্ছামি, কুর্বঃ, অপশাৎ, পশ্যামি, শেতে।

৩। সংস্কৃতে অনুবাদ কর :

(ক) আমি জিজ্ঞেস করব। (খ) আমরা চাঁদ দেখছি। (গ) গরুটি জলপান করেছিল। (ঘ) মাধবী
লিখবে। (ঙ)
পাখি ডাকে।

বাংলায় অনুবাদ কর
(ক) বিশ্রামং কুরু। (খ) কমলা নদীম্‌ অপশাৎ। (গ) তে জলং পাস্যস্তি। (ঘ) পত্রং পততি। (ঙ) সূর্যঃ
দীপাতে।

৫।

নির্দেশ অনুযায়ী ধাতুরুপ লেখ :

(ক) লট বিভক্তিতে পা-ধাতুর উত্তমপুরুষের বহুবচনের রূপ।

(খ) লঙ্-বিভক্তিতে মধ্যমপুরুষের একবচনে প্রচ্ছ ধাতুর রূপ।

(গ) বিধিলি-বিভক্তিতে মধ্যমপুরুষের বহুবচনে দৃশ-ধাতুর রূপ।

(ঘ) লঙ্-বিভক্তিতে হস-ধাতুর মধ্যমপুরুষের একবচনের রূপ।

(ঙ) লট-বিভক্তিতে রম্ ধাতুর প্রথম পুরুষের বহুবচনের রূপ।
(চ) বিধিলিয়-বিভক্তিতে খাদৃ-ধাতুর উত্তমপুরুষের একবচনের রূপ।

(ছ) দৃঢ়-বিভক্তিতে বৃৎ-ধাতুর আত্মপেদে মধ্যমপুরুষের একবচনের রূপ।

(জ) লট-বিভক্তিতে যুধ-ধাতুর প্রথম পুরুষের বহুবচনের রূপ।

81

৬। নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

(ক) কিভাবে ধাতুরূপ গঠিত হয়?

(খ) আত্মনেপদে লড়-এ মধ্যমপুরুষের একবচনে কৃ-ধাতুর রূপ কি?

(গ) দৃশ-খানে কোথায় কোথায় 'পশ্য' হয়?

(ঘ) পা-ধাতুর কোন কোন ক্ষেত্রে 'পিব' হয়?

(ঙ) চর-ধাতুর রূপ কোন ধাতুর মত?

(চ) বৃৎ-ধাতু কোন্ পদী।

(ছ) যুধ-ধাতুর রূপ কোন্ ধাতুর মত?

(জ) ল-এ জন-ধাতুর প্রথমপুরুষের একবচনের রূপ কি?

৭। লট-এ শী-ধাতুর রূপ লেখ ।

৮। লুট পরপদে বৃৎ-ধাতুর রূপ লেখ।

লট-এ কূজ-ধাতুর রূপ লেখ ।

১০। লো-এ হস্-ধাতুর রূপ লেখ ।

১১। বিধলি-এ পা ধাতুর রূপ লেখ।

১২। লূট-এ দৃশ-ধাতুর রূপ লেখ।

১৩। লঙ্ পরস্মৈপদে কু-ধাতুর রূপ লেখ।

১৪। ল-এ সকল পুরুষ ও বচনে ও প্রচ্ছ-ধাতুর রূপ লেখ ।

Content added By

(১) কারক

অহং পঠামি (আমি পড়ি)। কৃষ্ণা রামায়ণং পঠতি (কৃষ্ণা রামায়ণ পড়ছে)।

প্রথম উদাহরণে 'পঠামি' ক্রিয়াটি সম্পন্ন করছে 'অহং' (পদ) শব্দটি। সুতরাং 'পঠামি' ক্রিয়াপদের সঙ্গে 'অহং
(অহম্)' পদের সম্বন্ধ আছে। দ্বিতীয় উদাহরণে 'পঠতি ক্রিয়ার সম্পাদিকা কৃষ্ণা। আবার 'রামায়ণং
(রামায়ণম্)' পদটি 'পঠতি' ক্রিয়াপদের অবলম্বন। সুতরাং দেখা যায় পঠতি ক্রিয়াপদের সঙ্গে 'কৃষ্ণা' এবং
'রামায়ণ' পদের সম্বন্ধ আছে। এরূপভাবে

ক্রিয়ার সাথে বাক্যের অন্যান্য যে-সব পদের অন্বয় বা সম্বন্ধ আছে তাকে কারক বলে।

এজন্য বলা হয়, “ক্রিয়ানুরি কারকম্।

কারক ছয় প্রকার- কর্তৃ, কর্ম, করণ, সম্প্রদান, অপাদান ও অধিকরণ।

(ক) কর্তৃকারক

যে কোন কার্য সম্পাদন করে, তাকে কর্তৃকারক বলে। যেমন- মহেশঃ পঠতি (মহেশ পড়ছে)। বৃষ্টিঃ ভবতি
(বৃষ্টি হচ্ছে)।

কর্মকারক

যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে বলা হয় কর্মকারক। সাধারণত ক্রিয়াপদকে 'কি' বা 'কাকে'
দিয়ে প্রশ্ন করে যে-উত্তর পাওয়া যায়, তাকে কর্মকারক বলা হয়। যেমন-

গোপালঃ চন্দ্ৰং পশ্যতি (গোপাল চাঁদ দেখছে)।

পুত্রঃ মাতারম্ অপশাৎ (পুত্র মাতাকে দেখেছিল)।

(গ) করণকারক

কর্তা যার সাহায্যে ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে করণকারক বলা হয়। যেমন-

রজেন সঞ্চরতে রাজা (রাজা রথে বিচরণ করছেন)।

বালিকা হস্তেন গৃহাতি (বালিকাটি হাত দ্বারা গ্রহণ করছে)।

(ঘ) সম্প্রদান কারক

যাকে যত্ন অর্থাৎ অধিকার ত্যাগ করে কোন কিছু দান করা হয়, তাকে সম্প্রদান কারক বলে। যেমন- নিরন্নায়
অনুং দেহি (অন্নহীনকে অম্ল দাও)।

জন্মজনায় আলোকং দেহি (অন্ধজনকে আলো দাও

(ঙ) অপাদান কারক

একটি বস্তু থেকে অন্য একটি বস্তু পৃথক হওয়ার পর যে বস্তুটি স্থির থাকে, তাকে অপাদান কারক বলা
হয়। যেমন— বৃক্ষাৎ পত্রাণি পতন্তি (গাছ থেকে পাতা পড়ছে)। স প্রামাৎ আয়াতি (সে গ্রাম থেকে আসছে)।
প্রথম উদাহরণে বৃক্ষ থেকে পাতাগুলো পড়ছে, কিন্তু বৃক্ষ স্থির হয়ে আছে। দ্বিতীয় উদাহরণে সে গ্রাম থেকে
সরে এসেছে, কিন্তু গ্রাম স্থির হয়ে আছে। সুতরাং 'বৃক্ষ' ও 'গ্রাম' অপাদান কারক।

(চ) অধিকরণ কারক

যে-সময়ে, যে-স্থানে বা যে-বিষয়ে ক্রিয়া সম্পন্ন হয়, তাকে অধিকরণ কারক বলে। যেমন-

সময় – বর্ষাসু বৃষ্টিঃ ভবতি (বর্ষায় বৃষ্টি হয়)।
বসন্তে কোকিলঃ কৃজতি (বসন্তে কোকিল ডাকে)।

স্থান- বনে বাঘ্রোঃ নিবসস্তি (বনে বাঘ বাস করে)।
আকাশে চন্দ্রঃ উদেতি (আকাশে চাঁদ উঠছে)।
বিষয়- - স ব্যাকরণে পণ্ডিতঃ (তিনি ব্যাকরণে পণ্ডিত)।

সঙ্গীতে নিপুণা লীলা (লীলা সঙ্গীতে নিপুণ)।

বিভক্তি (শব্দবিভক্তি)

শব্দবিভক্তি শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিশেষ্য, বিশেষণ ও সর্বনাম পদ গঠন করে। শব্দবিভক্তি সাত প্রকার-
প্রথমা, দ্বিতীয়া, তৃতীয়া, চতুর্থী, পঞ্চমী, ষষ্ঠী ও সপ্তমী।

(ক) প্রথমা বিভক্তি প্রয়োগের ক্ষেত্রসমূহ

যা ধাতু নয়, প্রত্যয়ও নয়, অথচ যার অর্থ আছে, তাকে প্রাতিপদিক বলে। প্রাতিপদিক অর্থে প্রথমা
বিভক্তি হয়। যেমন- বৃক্ষঃ, জলমু, নদী, পুষ্পম্ ইত্যাদি।

কর্তৃবাচ্যে কর্তৃকারকে প্রথমা বিভক্তি হয়। যেমন- নদী প্রবহতি (নদী প্রবাহিত হচ্ছে। ব্রাহ্মণঃ
পূজয়তি (ব্রাহ্মণ পূজা করছেন)।

10
অব্যয় শব্দের যোগে প্রথমা বিভক্তি হয়। যেমন- বিশ্বামিত্রঃ ইতি মহর্ষিঃ আসীৎ (বিশ্বামিত্র নামে
একজন মহর্ষি ছিলেন। “বিষবৃক্ষোঽপি সংবর্ষ স্বয়ং হেতুমসাম্প্রতম্" (বিষবৃক্ষও বর্ষন করে নিজে
ছেদন করা উচিত নয়)।

81
কর্মবাচ্যে কর্মকারকে প্রথমা বিভক্তি হয়। যেমন- শিশুনা চন্দ্ৰঃ দৃশ্যতে (শিশু কর্তৃক চন্দ্ৰ দৃষ্ট হয়)।
ছাত্রেণ পুস্তকং পঠাতে (ছাত্র কৃর্তক পুস্তক পঠিত হয়)।

(খ) দ্বিতীয়া বিভক্তি প্রয়োগের ক্ষেত্রসমূহ

১। কর্তৃবাচ্যে কর্মকারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন- সজলং পিবতি (সে জল পান করছে। অহং তং
জানামি (আমি তাকে জানি)।

ক্রিয়াবিশেষণে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন- বালকঃ ধীরং গচ্ছতি (বালকটি ধীরে ধীরে যাচ্ছে)।

বালিকা মধুরং গায়তি (বালিকাটি মধুর ঘরে গাইছে)।

৩। ব্যাপ্তি অর্থে কালবাচক ও পথবাচক শব্দের সঙ্গে দ্বিতীয়া হয়। যেমন- কালবাচক শব্দের সঙ্গে সঃ
মাসং ব্যাকরণং পঠতি (সে একমাস যাবৎ ব্যাকরণ পড়ছে)। পথবাচক শব্দের সঙ্গে ক্রোশং গিরিঃ-
তিষ্ঠতি (পাহাড়টি একক্রোশ পর্যন্ত অবস্থান করছে।

81

অন্তরা (মধ্যে) ও অন্তরেণ (ব্যতীত) শব্দযোগে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন- তাং মাং চ অন্তরা হরিঃ

তিষ্ঠতি (তোমার ও আমার মধ্যে হরি অবস্থান করছে।

শ্রম অন্তরেণ বিদ্যা ন ভবতি (শ্রম বিনা বিদ্যা হয় না)।

অভিতঃ (সম্মুখে), পরিতঃ (চারদিকে), উভয়তঃ (উভয়দিকে), নিকষা (নিকটে), সর্বতঃ
(সকল দিকে), ধিক্, বিনা, যাবৎ, প্রতি প্রভৃতি শব্দযোগে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন-
গ্রামম্ন অভিতঃ নদী (গ্রামের সম্মুখে নদী)।

গৃহং পরিতঃ উদ্যানানি (ঘরের চারদিকে বাগান)।

গ্রামস্ উভয়তঃ বনম্ (গ্রামের উভয় দিকে বন) ।
নগরং নিকষা নদী প্রবহতি (শহরের নিকট দিয়ে নদী প্রবাহিত হচ্ছে)।

উদ্যানং সর্বতঃ পুষ্পানি (বাগানের সর্বত্র পুষ্প)

দেশদ্রোহিণং ধিক (দেশদ্রোহীকে ধিক্)।

দুঃখ বিনা সুখং ন ভবতি (দুঃখ বিনা সুখ হয় না)।

নদী যাবৎ পন্থাঃ (নদী পর্যন্ত পথ)।

দীনং প্রতি দয়াং কুরু (দরিদ্রের প্রতি দয়া কর)।

(গ) তৃতীয়া বিভক্তি প্রয়োগের ক্ষেত্রসমূহ

করণকারকে প্রধানত তৃতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন- বরং লেখন্যা লিখামঃ (আমরা কলম দিয়ে লিখি)।
অহং হস্তেন গৃহামি (আমি হাত দিয়ে গ্রহণ করছি)।

সহ, সার্থ্য, সময়, প্রভৃতি সহার্থক শব্দযোগে তৃতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন- পিতা পুত্রোণ সহ গচ্ছতি
(পিতা পুত্রের সঙ্গে যাচ্ছেন)। কেনাপি (কেন + অপি) সার্বং কলহং ন কুর্যাৎ (কারো সঙ্গে বিবাদ করা

উচিত নয়)। গুরুঃ শিষ্যেণ সহ গচ্ছতি (গুরু শিষ্যের সঙ্গে যাচ্ছেন)।

ঊন, হীন, শূন্য, রহিত, অলম্ ও প্রয়োজনার্থক শব্দযোগে তৃতীয়া বিভক্তি হয় । যেমন—

একেন উনঃ (এক কম)। ধর্মেণ হীনঃ (ধর্মহীন)। ধনেন শূন্যঃ (ধনশূন্য)। বিবেকেন রহিতঃ
(বিবেকহীন)। বিবাদেন অলম্ ( বিবাদের প্রয়োজন নেই)। মম ধনেন প্রয়োজনম্ অস্তি (আমার ধনের
প্রয়োজন আছে।

81
যে-অঙ্গের বিকারকশত অঙ্গীর পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়, সেই অঙ্গে তৃতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন-
চক্ষুষা কাণঃ (সে কানা)। পাদেন খঞ্জঃ বালকঃ (বালকটির পা খোঁড়া)।

৫।

যে-লক্ষণ অর্থাৎ চিহ্ন দ্বারা কোনও ব্যক্তি সূচিত হয়, সেই লক্ষণবোধক শব্দের সঙ্গে তৃতীয়া বিভক্তি

হয়। যেমন- পুস্তকেন ছাত্রং জানামি (পুস্তকের দ্বারা ছাত্রকে বুঝতে পারি)। জটাভিঃ তাপসম

জানামি (জটাসমূহের দ্বারা তপসীকে বুঝতে পারি)।

৬।
হেতু অর্থে তৃতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন- ময়ূরঃ হর্ষেণ নৃত্যতি (ময়ূর আনন্দে নাচছে)। বৃদ্ধা শোকে
রোদিভি (বৃদ্ধা শোকে কাঁদছেন)।

(ঘ) চতুর্থী বিভক্তি প্রয়োগের ক্ষেত্রসমূহ

সম্প্রদান কারকে প্রধানত চতুর্থী বিভক্তি হয়। যেমন- তৃষ্ণার্তায় জলং দেহি (তৃষ্ণার্তকে জল দাও)।
বাহীনায় বরং দেহি (বসত্রহীনকে বস দাও)।

তাদর্ঘ্যে অর্থাৎ নিমিত্তার্থে চতুর্থী বিভক্তি হয়। যেমন- দানায় ধনম্ (দানের জন্য ধন)। অশ্বায় ঘাস
(গোড়ার জন্য ঘাস)।

হিত, সুখ ও নমস্ শব্দযোগে চতুর্থী বিভক্তি হয়। যেমন- ব্রাহ্মণায় হিতম্ (ব্রাহ্মণের হিত)। সুখং শিষ্যায়
(শিষ্যের সুখ)। রামকৃষ্ণায় নমঃ (রামকৃষ্ণকে নমস্কার)।

(ঙ) পঞ্চমী বিভক্তি প্রয়োগের ক্ষেত্রসমূহ

اد
অপাদান কারকে পঞ্চমী বিভক্তি হয়। যেমন- আরোহী অশ্বাৎ পদ্ধতি (আরোহী ঘোড়া থেকে পড়ে
যাচ্ছে)। মেঘাৎ বৃষ্টিঃ ভবতি (মেঘ থেকে বৃষ্টি হয়)।

দুয়ের মধ্যে একের উৎকর্ষ বোঝাতে নিকৃষ্টের উত্তর পঞ্চমী বিভক্তি হয়। যেমন- খনাৎ বিদ্যা গরীয়সী

(ধন থেকে বিদ্যা বড়)। পিতৃঃ গরীয়সী মাতা (পিতা থেকে মাতা বড়)।

হেতু অর্থে পঞ্চমী বিভক্তি হয়। যেমন- শীতাৎ কম্পতে বৃদ্ধঃ (বৃদ্ধ শীতে কাঁপছেন)। শোকাৎ ক্রন্দতি
মাতা (মা শোকে কাঁদছেন)।

হেতু অর্থে তৃতীয়া বিভক্তিও হয়। যেমন- শীতেন কম্পতে বৃদ্ধঃ (বৃদ্ধ শীতে কাঁপছেন)।

81
'বহিস্' ও 'প্রভৃতি' শব্দ যোগে পঞ্চমী বিভক্তি হয়। যেমন- স গ্রামাৎ বহিঃ গচ্ছতি (সে গ্রামের বাইরে
যাচ্ছে)। শৈশবাৎ প্রভৃতি স কৃষ্ণভক্তঃ (শৈশব থেকে সে কৃষ্ণভক্ত)।

(চ) ষষ্ঠী বিভক্তি প্রয়োগের ক্ষেত্রসমূহ

اد
সম্বন্ধ পদে ষষ্ঠী বিভক্তি হয়। যেমন- মম জননী দয়াবতী (আমার জননী দয়াশীলা)। নৃপস্য পুত্রঃ মূর্খঃ
(রাজার পুত্র মূর্খ)।

তৃপ্ ধাতুর যোগে বিকল্পে করণে ষষ্ঠী বিভক্তি হয়। যেমন- ন অগ্নিঃ ভূপাতি কাঠানাম্ /কাষ্ঠে (অগ্নি

কাষ্ঠসমূহের দ্বারা তৃপ্ত হয় না)।

অনাদর বোঝালে যাকে অনাদর করা হয়, তাতে ষষ্ঠী বিভক্তি হয়। যেমন- রুদতঃ শিশোঃ মাতা অগচ্ছত
(মাতা ক্রন্দনরত শিশুকে ফেলে চলে গেলেন)।

81
জাতি, গুণ, ক্রিয়া বা সংজ্ঞা দ্বারা সমুদয় থেকে একের পৃথকীকরণকে বলা হয় নির্ধারণ। নির্ধারণে ষষ্ঠী
বিভক্তি হয় । যেমন- কবীনাং কালিদাসঃ শ্রেষ্ঠঃ (কবিদের মধ্যে কালিদাস শ্রেষ্ঠ)। বীরাণাং কর্ণঃ শ্রেষ্ঠঃ
(বীরদের মধ্যে কর্ণ শ্রেষ্ঠ)।

(ছ) সপ্তমী বিভক্তি প্রয়োগের ক্ষেত্রসমূহ

اد
অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি হয়। যেমন- গগনে উদেতি ডানুঃ (সূর্য আকাশে উদিত হচ্ছে)। বসন্তে
পিকঃ কৃজতি (বসন্তে কোকিল ডাকে)। স কাব্যে নিপুণঃ (তিনি কাব্যে নিপুণ)।

অনাদরে সপ্তমী বিভক্তি হয়। যেমন- রুদতি পুত্রে পিতা অপচ্ছৎ (পিতা রোদনরত শিশুকে ফেলে চলে
গেলেন)।

নির্ধারণে সপ্তমী বিভক্তি হয়। যেমন- ধীরেষু ভীষ্মঃ শ্রেষ্ঠন (ধীরদের মধ্যে ভীষ্ম শ্রেষ্ঠ)। ছাত্রেষু বিপুলঃ
উত্তমঃ (ছাত্রদের মধ্যে বিপুল উত্তম)

81
যার ক্রিয়ার কাল দ্বারা অন্য কোন কাজের কাল স্থির করা হয়, তার সঙ্গে সপ্তমী বিভক্তি যুক্ত হয়।
একে ভাবে সপ্তমী বলে। যেমন-

সূর্যে উদিতে পদ্মং প্রকাশতে (সূর্য উদিত হলে পদ্ম প্রকাশিত হয়)।
চন্দ্রে উদিতে কুমুদিনী বিকশতি (চন্দ্র উদিত হলে কুমুদ বিকশিত হয়)।

৫।
নিপুণ, উৎসুক, সাধু প্রভৃতি শব্দযোগে সপ্তমী বিভক্তি হয়। যেমন—
বিজয়ঃ সঙ্গীতে নিপুণঃ (বিজয় সঙ্গীতে পারদর্শী)।
কমলঃ ব্যাকরণে সাধুঃ (কমল ব্যাকরণে পারদর্শী)।

প্রশ্নমালা

সঠিক উত্তরটির পাশে টিক (/) চিহ্ন দাও :
(ক) যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে কর্ম/অপাদান অধিকরণ/করণ কারক বলে।
(খ) যে বস্তু দান করা হয়, তাকে সম্প্রদান/কর্ম/অপাদান অধিকরণ কারক বলে।
(ঘ) 'অন্তরেণ' শব্দযোগে হয় ৪র্থী / ৫মী/৬৪/২য়া বিভক্তি ।
(ছ) তৃপ্ ধাতুর যোগে বিকল্পে করণে হয় ৫মী / ১ মা/ ৭মী/৬ষ্ঠী বিভক্তি।

(গ) যাকে দান করা হয়, তাকে বলা হয় সম্প্রদান/অপাদান অধিকরণ/করণ কারক।

(ঙ) 'ঋতে' শব্দযোগে হয় ৪র্থী/ ৫মী/৬৪/৭মী বিভক্তি।

(চ) 'নিপুণ' শব্দযোগে হয় ২য় / ৪র্থী / ৭মী/ ৫মী বিভক্তি।

বাক্য রচনা কর :

ইতি, চ, ধিক্, পরিতঃ, নিকষা, প্রতি, উভয়তঃ ।

01
উদাহরণ দাও:

অব্যয়যোগে ১মা, নির্ধারণে ৬ষ্ঠী, ভাবে ৭মী, অনাদরে ৬ষ্ঠী, কালাধিকরণে ৭মী, ব্যান্ডার্থে হয়া,
তাদর্ঘ্যে ৪র্থী, অপেক্ষার্থে ৫মী।

81
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

'অলম্' শব্দযোগে কোন্ বিভক্তি হয়?

(খ) 'ক্রিয়ানুষি কারকম্' বলতে কি বোঝ?

(গ) 'যাবৎ' শব্দযোগে কোন্ বিভক্তি হয়?

(খ) সম্প্রদান কারকে কোন্ বিভক্তি হয়?

(ঙ) নমস্ (নমঃ) শব্দযোগে কোন বিভক্তি হয়?

(চ) অপেক্ষার্থে কোন্ বিভক্তি হয়।

বাংলায় অনুবাদ কর :

(ক) অহং তং জানামি। (খ) শ্রম অন্তরেণ বিদ্যা ন ভবতি। (গ) বয়ং লেখন্যা লিখামঃ। (ঘ) পুস্তকে ছাড়াং
জানামি।) (ঙ) পিতৃঃ গরীয়সী মাতা। (চ) জ্ঞানাৎ ঋতে সুখং নাস্তি ।

৬। সংস্কৃতে অনুবাদ কর :

(ক) বৃদ্ধ শীতে কাঁপছেন। (খ) বীরদের মধ্যে ভীষ্ম শ্রেষ্ঠ। (গ) আকাশে চাঁদ উঠছে। (ঘ) বিজয় সঙ্গীতে
নিপুণ। (ঙ) শৈশব থেকে সে কৃষ্ণভক্ত। (চ) সে গ্রামের বাইরে যাচ্ছে। (ছ) তৃষ্ণার্তকে জল দাও।

রেখাঙ্ক্ষিত পদসমূহের কারণসহ বিভক্তি নির্ণয় কর :

(ক) সঃ মাসং ব্যাকরণং পঠতি। (খ) পিতা পুত্রেণ সহ গচ্ছতি। (গ) পাদেন খঞ্জঃ বালকঃ । (ঘ) জটাভিঃ তাপসং
জানামি (ঙ) মেঘাৎ বৃষ্টিঃ ভরতি। (চ) শীতাৎ কম্পতে বৃদ্ধা। (ছ) ন অগ্নিঃ ভূপাতি কাঠানাম্ । (জ) কবিষ্ণু
কালিদাসঃ শ্রেষ্ঠঃ ।

১৮। উদাহরণসহ পঞ্চমী বিভক্তি প্রয়োগের তিনটি ক্ষেত্র উল্লেখ কর।

সাধারণত কোন্ কোন্ সম্বলে চতুর্থী বিভক্তি হয়। প্রতিস্থল একটি করে উদারহণ দাও ।

১০। দ্বিতীয়া বিভক্তি প্রয়োগের তিনটি ক্ষেত্র উল্লেখ কর এবং প্রতিক্ষেত্রে উদাহরণ দাও।

১১। অধিকরণ কারক কাকে বলে? উদাহরণের সাহায্যে ব্যাখ্যা কর।

১২। অপাদান কারক কাকে বলে? উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দাও ।

১৩। কারক কয় প্রকার ও কি কি? প্রত্যেক প্রকারের একটি করে উদাহরণ দাও ।

১৪। কারক কাকে বলে? উদাহরণ দ্বারা বুঝিয়ে দাও।

 

 

Content added By

বিদ্যায়াঃ আলয় = বিদ্যালয়ঃ

মহান জন্য = মহা

উপরের প্রথম উদাহরণে বিদ্যায়াঃ" একটি পদ এবং 'আলয়ঃ' আরেকটি ভিন্ন পদ। এ দুটো পদ মিলিত হয়ে
"বিদ্যালয়ঃ' পদটি গঠিত হয়েছে। দ্বিতীয় উদাহরণে 'মহান' একটি পদ এবং 'জনঃ' আরেকটি পৃথক পদ। এ
দুটো পদের মিলনে গঠিত হয়েছে 'মহাজনঃ' পদ।

এরূপভাবে পরস্পর সম্বন্ধবিশিষ্ট দুই বা বহুপদের একপদে মিলনকে সমাস বলে।

সমাস শব্দের অর্থ একত্রীকরণ বা সংক্ষেপ।

সমাসের প্রয়োজনীয়তা: শব্দগঠন, বাক্যের শ্রুতিমধুরতা সাধন ও বাক্যকে সংক্ষিপ্তকরণ
সমাসের প্রধান প্রয়োজন।
এই তিনটি

সন্ধি ও সমাসের পার্থক্য : সন্ধিতে বর্ণে বর্ণে মিলন হয়, আর সমাসে মিলন হয় দুই বা বহুপদের।

ব্যাসবাক্য 'ব্যাস' শব্দটির অর্থ বিভক্ত হয়ে অবস্থান। সুতরাং যে-বাক্যের সাহায্যে সমাসের অন্তর্গত
পদগুলোকে বিভাগ অর্থাৎ পৃথক করা হয়, তার নাম ব্যাসবাক্য। ব্যাসবাক্যের অন্য নাম সমাসবাক্য ও
বিগ্রহবাক্য। যেমন- নদী মাতা যস্য সঃ নদীমাতৃকঃ।

সমস্যমান পদ : যে সকল পদের মিলনে সমাস গঠিত হয়, তাদের প্রত্যেককে সমস্যমান পদ বলা হয়।
যেমন- নবম অনুম্ = নবান্নম। এখানে 'নবম্' ও 'অনুম' দুটো সমস্যমান পদ ।

সমস্তপদ : সমাসবদ্ধ পদকে বলা হয় সমস্তপদ জায়া চ পতিশ্চ = দম্পতী, এখানে 'দম্পতী' একটি
সমস্তপদ।

সমাসের শ্রেণীভেদ : সমাস প্রধানত চার প্রকার- অব্যয়ীভাব, তৎপুরুষ, দ্বন্দ্ব ও বহুব্রীহি। কর্মধারয় ও বিপু
সমাস তৎপুরুষ সমাসেরই অন্তর্গত। কারো কারো মতে সমাস ছয় প্রকার দ্বন্দু, দ্বিগু, অব্যয়ীভাব, তৎপুরুষ,
কর্মধারয় ও বহুব্রীহি। আমরাও সমাস ছয় প্রকার বলছি।

১। অব্যয়ীভাব সমাস

অব্যয় শব্দ পূর্বে থেকে যে সমাস হয় এবং অব্যয়ের অর্থ প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে অব্যয়ীভাব সমাস
বলা হয়।

অব্যয়ীভাব সমাসে শেষের পদটি থাকে বিশেষ্য এবং অব্যয় ও ক্লীবলিঙ্গ হয়।

সামীপ্য, সাদৃশ্য, অভাব, পশ্চাৎ, যোগ্যতা, বীপ্‌সা, অনতিক্রম প্রভৃতি অর্থে অব্যয়ীভাব সমাস হয়।

সামীপ্য :

কূলস্য সমীপম

= উপকূলম্‌

গৃহসা সমীপ

= উপগৃহম
=

সাদৃশ্য :

দ্বীপস্য সদৃশম

= উপদ্বীপ

হরেঃ সদৃশম্

=
সহরি

অভাব :

ভিক্ষায়াঃ অভাবঃ

= দুর্ভিক্ষম্

মক্ষিকাণাম্ অভাবঃ

: নির্মক্ষিক
=

পশ্চাৎ:

পদস্য পশ্চাৎ

= অনুপদমূ

রথস্য পশ্চাৎ

= অনুরথম

যোগ্যতা:

রূপস্য যোগাম্‌

= অনুরূপ

দিন দিন

= প্রতিদনম্

গৃহং গৃহম

= প্রতিগৃহম্

অনতিক্রম:

বিধি অনতিক্রম্য

= যথাবিধি

শক্তিম অনতিক্রম্যা

= যথাশক্তি

২। তৎপুরুষ সমাস

যে-সমাসের পূর্বপদের দ্বিতীয়াদি (দ্বিতীয়া, তৃতীয়া, চতুর্থী, পঞ্চমী, ষষ্ঠী ও সপ্তমী বিভক্তি লোপ পায় এবং
পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায় তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে।

বিভক্তির লোপ অনুসারে তৎপুরুষ সমাস ছয় প্রকার- দ্বিতীয়া তৎপুরুষ, তৃতীয়া তৎপুরুষ, চতুর্থী তৎপুরুষ,
পঞ্চমী তৎপুরুষ, ষষ্ঠী তৎপুরুষ ও সপ্তমী তৎপুরুষ।

দ্বিতীয়া তৎপুরুষ : পূর্বপদের দ্বিতীয়া বিভক্তি লোপ পায়। যেমন—

গৃহং গতঃ =
গৃহগতঃ

শরণম্ আপনঃ = শরণাপন্নঃ

তৃতীয়া তৎপুরুষ :

পূর্বপদের তৃতীয়া বিভক্তি লোপ পায়। যেমন—

কীটেন নষ্টঃ = কীটদষ্টঃ

পদেন দলিতঃ = পদদলিতঃ

চতুর্থী তৎপুরুষ :

পূর্বপদের চতুর্থী বিভক্তি লোপ পায়। যেমন-

দেবায় দত্তঃ = দেবদত্তঃ

পুত্রায় হিতম্ = পুত্রহিতম

পূর্বপদের পঞ্চমী বিভক্তি লোপ পায়। যেমন—

পঞ্চমী তৎপুরুষ :

বৃক্ষাৎ পতিতঃ = বৃক্ষপতিতঃ

শাপাৎ মুক্তঃ = শাপমুক্তঃ

ষষ্ঠী তৎপুরুষ :

পূর্বপদের ষষ্ঠী বিভক্তি লোপ পায়। যেমন---

রাজঃ পুত্রঃ = রাজপুত্রঃ

কাল্যাঃ দাসঃ = কালিদাসঃ

সপ্তমী তৎপুরুষ :

পূর্বপদের সপ্তমী বিভক্তি লোপ পায়। যেমন—

রণে নিপুণঃ = রণনিপুণঃ

তর্কে পণ্ডিতঃ = তর্কপণ্ডিতঃ

৩। কর্মধারয় সমাস

যে সমাসে সাধারণত পূর্বপদ বিশেষণ, পরপদ বিশেষ্য ও সমস্ত পদটি বিশেষ্য হয়, তাকে কর্মধারয় সমাস

বলা হয়।

কর্মধারয় সমাস যেহেতু তৎপুরুষ সমাসের শ্রেণীভেদ, সেহেতু তৎপুরুষ সমাসের মত এই সমাসের পরপদের
অর্থ প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়।

ব্যাসবাক্যসহ কয়েকটি কর্মধারয় সমাস :

নীলম উৎপল

রক্তং কমলম

= নীলোৎপলম্

= রক্তকমল

নবম্ অনুম্

মহান বীরঃ

= নবান্নম্

= মহাবীরঃ

মহান রাজা

= মহারাজঃ

প্রিয়ঃ সখা

= প্রিয়সখঃ

নব গ্ৰহাণ

= নবগ্রহাঃ

সুন্দরং গৃহম্

= সুন্দরগৃহম্

যে-সমাসে পূর্বপদে সংখ্যাবাচক শব্দ থাকে এবং সমাহার অর্থ প্রকাশ করে, তাকে দ্বিগু সমাস বলে। দ্বিপু
সমাসবদ্ধ পদ সাধারণত ক্লীবলিঙ্গ ও স্ত্রীলিঙ্গ হয়। যেমন—

ক্লীবলিঙ্গ

ত্রয়াণাং ভুবনানাং সমাহারঃ

= ত্রিভুবনম্

চতুর্ণাং যুগানাং সমাহারঃ

= চতুর্যুগ

পঞ্চানাং গৰাং সমাহারঃ

= পঞ্চগম্

ি

ত্রয়াণাং লোকানাং সমাহারঃ

= ত্রিলোকী

পঞ্চানাং বটানাং সমাহারঃ

= পঞ্চবটী

সন্তানাং শতানাং সমাহারঃ

= সপ্তশতী

৫। সমাস

যে-সমাসে সমস্যমান পদের প্রত্যেকটির অর্থ প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয় এবং ব্যাসবাক্যে প্রত্যেক সমস্যমান

পদের পরে 'চ'
এই অব্যয় যুক্ত হয়, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে। যেমন-

রামশ্চ লক্ষ্মণশ্চ

ভীমশ্চ অর্জুনশ্চ

= রামলক্ষ্মণৌ

= ভীমার্জুনৌ

কর্ণশ্চ অর্জুনশ্চ

=
কর্ণার্জুনৌ

দেবাশ্চ অসুরাশ্চ

= দেবাসুরাঃ

মাতা চ পিতা চ

= মাতাপিতরৌ

জায়া চ পশ্চি

= দম্পতী

ইন্দুশ্চ বরুণ

= ইন্দ্রাবরুণী
=

মিশ্চ বরুণশ্চ

= মিত্ৰাবৰূপৌ

কৃষ্ণণ্ড অৰ্জ্জুনশ্চ

= কৃষ্ণার্জুনৌ

৬। বহুব্রীহি সমাস

যে-সমাসে সমস্যমান পদের কোনটির অর্থ প্রধানরূপে না বুঝিয়ে অন্য পদের অর্থ প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়,
তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে। এই সমাসের ব্যাসবাক্যে পুংলিঙ্গে 'যস্য' ও স্ত্রীলিঙ্গে 'যস্যাঃ' পদ ব্যবহৃত হয়।

যেমন-

নদী মাতা যস্য সঃ

= নদীমাতৃকঃ
=

পীতম্ অম্বরং যস্য সং

= পীতাম্বরঃ

শোভনং হৃদয়ং যস্য

= সুহৃৎ

মহান্তৌ বাহু যস্য সঃ

= মহাবাহুঃ

মহান্তৌ ভুজৌ যস্য সঃ

= মহাভুজঃ

মহতী মতিঃ যস্য সঃ

= মহামতিঃ

যুবতিঃ জায়া যস্য স

= যুবজানিঃ

সীতা জায়া যস্য সঃ

= সীতাজানিঃ

বীণা পাদৌ যস্যাঃ সা

= বীণাপাণিঃ

মৃতঃ ধবঃ যস্যাঃ সা

= বিধবা

প্রশ্নমালা

শুদ্ধ উত্তরটির পাশে টিক (/) চিহ্ন দাও :

(ক) গৃহস্য সমীপম্ = প্রতিগৃহ/উপগৃহম/পরিগৃহম/সগৃহম্।

(খ) ত্রয়াণাং লোকানাং সমাহারঃ = ত্রিলোকী/ত্রিলোকম/ত্রিলোকি /ত্রিলোকঃ ।
(গ) তৎপুরুষ সমাসে পূর্বপদের মধ্যপদের উভয়পদের পরপদের অর্থের প্রাধান্য থাকে।

(খ) সমাহার অর্থ প্রকাশ করে দ্বিগু/দ্বন্দ্ব/তৎপুরুষ/অব্যবীয়ভাব সামস।

একপদে প্রকাশ কর :

(ক) বিধিম্‌ অনতিক্রম্য। (খ) রণে নিপুণঃ। (গ) সন্তানাং শতানাং সমাহারঃ। (ঘ) নদী মাতা
যস্য সঃ। (৬) ত্রয়াণাং লোকানাং সমাহারঃ। (চ) ভিক্ষায়া অভাবঃ ।

নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

(ক) সমাস শব্দের অর্থ কি?

(খ) সন্ধি ও সমাসের মধ্যে পার্থক্য কি?

(গ) সমাসের প্রয়োজনীয়তা কি?

(ঘ) অব্যয়ীভাব সমাসবদ্ধ পদ কোন লিঙ্গ হয়?

(ঙ) বহুব্রীহি সমাসে কোন পদের অর্থের প্রাধান্য থাকে?

81
বাংলায় অনুবাদ কর

(ক) তে বিদ্যালয়ং গচ্ছস্তি। (খ) অর্জুনঃ রণনিপুণ আসীৎ। (গ) বাংলাদেশো নদীমাতৃকঃ। (ঘ) সা
নীলোৎপলং চিনোতি। (ঙ) কালিদাসঃ মহাকবিঃ ।

সংস্কৃতে অনুবাদ কর :

বৃক্ষ থেকে পতিত হয়েছে। (খ) য্যাতি শাপ থেকে মুক্ত হয়েছেন। (গ) সে আমার
প্রিয় বন্ধু। (ঘ) বালিকারা লালপদ্ম চয়ন করছে। (ঙ) এটি পঞ্চবটী।

সমাস ও ব্যাসবাক্য লেখ :

দম্পতী, উপকূলম, কালিদাসঃ, নবান্নম,
পঞ্চবটী।


বহুব্রীহি সমাস কাকে বলে? এই সমাসের ব্যাসবাক্যে সাধারণত কি থাকে? উদাহরণ দাও।

তৎপুরুষ সমাস কাকে বলে? বিভক্তির লোপ অনুসারে তৎপুরুষ সমাস কল্প প্রকার ও কি কি? প্রত্যেক
প্রকারের উদাহরণ দাও ।

অব্যয়ীভাব সমাস কাকে বলে? কোন্ কোন্ ক্ষেত্রে অব্যয়ীভাব সমাস হয়। প্রতিক্ষেত্রে উদাহরণ দাও।

ব্যাসবাক্য, সমস্তপদ ও সমস্যমান পদের পার্থক্য বুঝিয়ে লেখ ।

১০ ।

১১।
সমাস কাকে বলে? উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দাও।

Content added By

সন্ধি: অত্যন্ত কাছাকাছি অবস্থিত দুটি বর্ণের পরস্পর মিলনকে সন্ধি বলা হয়। যেমন- মহা+ঈশঃ =
মহশেঃ। এখানে 'মহা' পদের অন্তস্থিত 'আ' এবং 'ঈশঃ' পদের পূর্বস্থিত 'ই' মিলিত হয়ে 'এ' হয়েছে।

সন্ধির অপর নাম সংহিতা।

সন্ধির শ্রেণীবিভাগ : সন্ধি দুই প্রকার- স্বরসন্ধি বা অসন্ধি এবং ব্যঞ্জনসন্ধি বা হসন্ধি। বিসর্গসন্ধি
ব্যঞ্জনসন্ধিরই অন্তর্গত।

ময়সন্ধি বা অসন্ধি: ফরবর্ণের সঙ্গে সরবর্ণের মিলনকে স্বরসন্ধি বা অসন্ধি বলা হয়। যেমন- দেব +
আলয় = দেবালয়ঃ। এখানে 'দেব' পদের অন্তস্থিত অ এং 'আলয়ঃ' পদের প্রথমে অবস্থিত আ মিলিত হয়ে
আ হয়েছে।

ব্যঞ্জনসন্ধি বা হসন্ধি: ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে ব্যঞ্জনবর্ণের অথবা সরবর্ণের মিলনকে ব্যঞ্জনসন্ধি বা হসি
বলে। যেমন- চলৎ + চিত্র = চলচ্চিত্র। এখানে চলৎ পদের অন্তস্থিত ব্যঞ্জনবর্ণ (ত্)-এর পর
ব্যঞ্জনবর্ণ চ থাকায় ও স্থানে চূ হয়েছে এবং উভয়ের মিলনে হয়েছে চ্চ। বাক্ + ঈশঃ বাগীশঃ। এখানে
=
'বাক্' শব্দের অন্তস্থিত ব্যঞ্জনবর্ণ 'ক্'-এর পর স্বরবর্ণ 'ঈ' থাকায় ক্ স্থানে গু হয়েছে।

বিসর্গসন্ধি: বিসর্গের সঙ্গে জ্বর অথবা ব্যঞ্জনবর্ণের মিলনকে বিসর্গসন্ধি বলে। যেমন- পুনঃ + আপতঃ =
পুনরাগতঃ। এখানে 'পুনঃ পদের অন্তস্থিত (বিসর্গ)-এর পরে স্বরবর্ণ 'অ' থাকায় বিসর্গস্থানে র হয়েছে।
কঃ + চিৎ = কশ্চিৎ। এখানে 'কঃ' পদের অন্তস্থিত বিসর্গের পরে 'চ'- এই ব্যঞ্জনবর্ণ থাকায় বিসর্গস্থানে
"শ" হয়েছে।

সন্ধির প্রয়োজনীয়তা : সন্ধির দ্বারা শব্দগঠন, বাক্যসংক্ষেপণ ও শ্রুতিমধুরতা সম্পাদিত হয়।
সন্ধির অপরিহার্যতা একপদে ধাতু বা ধাতুঘটিত শব্দের পূর্বে উপসর্গের যোগে, সমাসে এবং সূত্রে সি
অবশ্যকরণীয়।

স্বরসন্ধির নিয়ম

অ-কার কিংবা আ-কারের পর অ-আর কিংবা আ-কার থাকলে উভয়ে মিলিত হয়ে আ-কার হয়,

আ-কার পূর্ববর্ণে যুক্ত হয় :

অ+অ= আ

নীল + অশ্বরম্ =
নীলাম্বরম্

হিম + আলয়ঃ = হিমালয়ঃ

অ + আ = আ

মহা + অ = মহ

আ + অ = আ

আ + আ = আ

মহা + আশয়ঃ + মহাশয়ঃ

২। হ্রম ই-কার কিংবা দীর্ঘ ই-কারের পর হ্রম ই-কার কিংবা দীর্ঘ ই-কার থাকলে উভয়ে মিলিত হয়ে দীর্ঘ
ঈ-কার হয়, দীর্ঘ ঈ-কার পূর্ববর্ণে যুক্ত হয়। যেমন-

ই + ই =

কবি + ইন্দ্ৰঃ = কবীন্দ্রঃ

এই + ঈ = ঈ

গিরি + ঈশঃ = গিরীশঃ

ঈ + ই = ঈ

মহী + ইন্দ্ৰঃ = মহীন্দ্ৰঃ

ঈ + ঈ = ঈ

লক্ষ্মী = ঈশঃ = লক্ষ্মীশঃ

01
জয় উ-কার কিংবা দীর্ঘ উ-কারের পর হ্রয় উ-কার কিংবা দীর্ঘ ঊ-কার থাকলে উভয়ে মিলে দীর্ঘ
উ-কার হয়, ঊ-কার পূর্ববর্ণে যুক্ত হয়। যেমন-

বিধু + উদয়ঃ বিধৄদয়ঃ

লঘু + ঊর্মি = = লঘূর্মিঃ

উ+ উ = উ

বধূ + উৎসবঃ = বধূৎসবঃ

উ+ উ =উ

ভূ + ঊর্ধ্ব =

উ + উ =উ

81
অ-কার কিংবা আ-কারের পর তুষ ই-কার কিংবা দীর্ঘ ঈ-কার থাকলে উভয়ের মিলনে এ-কার হয়।
এ-কার পূর্ববর্ণে যুক্ত হয়। যেমন-

অ + ই = এ

আ + ই = এ

অ + ঈ = এ

আ + ঈ = এ

অ + উ = ও

দেব ইন্দ্ৰঃ দেবেন্দ্রঃ

মহা = ইন্দ্ৰঃ = মহেন্দ্ৰ

গণ ঈশঃ গণেশঃ

মহা + ঈশ্বরঃ= মহেশ্বরঃ

অ-কার কিংবা আ-কারের পর হ্রয় উ-কার কিংবা দীর্ঘ ঊ-কার থাকলে উভয়ে মিলিত হয়ে ও-কার হয়,

ও-কার পূর্ববর্ণে যুক্ত হয়। যেমন-

চন্দ্র + উদয়ঃ = চন্দ্রোদয়ঃ

আ + উ = ও

গঙ্গা + উদকম্ = গঙ্গোদকম্

অ + উ = ও

গৃহ + ঊর্ধ্বম্ = গৃহোধধম্

আ + উ = ও

গঙ্গা + ঊর্মিঃ = গঙ্গোর্মিঃ।

অ-কার কিংবা আ-কারের পর ঋ-কার থাকলে উভয়ে মিলিত হয়ে অর্থ হয়। অর্-এর 'অ' পূর্ববর্ণে যুক্ত

হয় এবং বৃ রেফ (') রূপে পরবর্ণের মস্তকে যায়। যেমন-

অ + খ = অব্

সপ্ত + ঋষিঃ = সপ্তর্ষিঃ

অ + ঋ = অর্

আ + = অ

দেব + ঋষিঃ = দেবর্ষিঃ

মহা + ঋষিঃ মহর্ষিঃ

=

আ + ব = অর্

রাজা + ঋষিঃ = রাজর্ষিঃ

91
অ-কার কিংবা আ-কারের পর এ-কার কিংবা ঐ-কার থাকলে উভয়ের মিলনে ঐ-কার হয়, ঐ কার

পূর্ববর্ণে যুক্ত হয়। যেমন—

অ + এ = ঐ

+4=2

এক + এক = একৈকম

সদা + এর = সদৈব

অ + ঐ= ঐ

মত + ঐক্যম্ = মতৈকা

আ + =

মহা + ঐশ্বৰ্যম্ = মহৈশ্বৰ্যম

অ-কার কিংবা আ-কারের পর ও-কার কিংবা ঔ-কার থাকলে উভয়ে মিলিত হয়ে ঔ-কার হয়,
-কার

পূর্ববর্ণে যুক্ত হয়। যেমন-

জল + ত =

আ + ও = ঔ

মহা ঔষধিঃ = মহৌষধিঃ

2=2+2

গত + ঔৎসুক্যম্ = গভৌৎসুক্যম্

আ = ঔ = ঔ

মহা + ঔদার্যম্ = মহৌদার্থ

৯। হ্রষ ই-কার কিংবা দীর্ঘ ঈ-কারের পর যদি হ্রম-ইকার কিংবা দীর্ঘ ঈ-কার ভিন্ন অন্য স্বরবর্ণ থাকে, তবে
হ্রয় ই-কার বা দীর্ঘ ঈ-কার স্থানে 'যূ' হয়। উক্ত য্ য-ফলা (1)-রূপে পূর্ববর্ণের সঙ্গে যুক্ত হয় এবং
পরবর্তী স্বরবর্ণ খৃ-কারে যুক্ত হয়। যেমন-

ই+অ= ই-স্থানে হ্

ই+উ = ই-স্থানে

যদি + অপি = যদ্যপি

অভি + উদয়ঃ = অভ্যুদয়ঃ

ই + উ = ই-স্থানে স্

প্রতি + ঊষঃ= প্রত্যূষঃ

ই + এ = ই-স্থানে ঘৃ

প্রতি + এক = প্রত্যেকম্

ঈ + আ = ঈস্থানে ঘৃ

ঈ + এ = ঈস্থানে ঘূ

দেবী + আগতা দেব্যাগতা

বাপী + এষা বাপ্যেষা

প্রশ্নমালা

১। সঠিক উত্তরটিতে টিক (/) চিহ্ন দাও :

(ক) বিধু + উদয়ঃ = = বিষ্ণুদয়ঃ/বিহৃদয়ঃ/বিষ্ণুদয়ঃ/বিদ্ধিদয়ঃ ।

(খ) অ-কার এবং ও-কার মিলে হয় এ-কার/ঐ-কার / ঔ-কার/ও-কার।

(গ) নিস্তারঃ = নিঃ+ তারঃ/নি +তারঃ/নী + তারঃ/নির +তারঃ।

(ঘ) মনোহরঃ=মন + হরঃ / মনোহরঃ / মনঃ + হরঃ/মনে + হরঃ।

(ঙ) উষ্মবর্ণ পরে থাকলে পদের অন্তস্থিত ম্ স্থানে হয় বিসর্গ/চন্দ্রবিন্দু/অনুষার/ন।

২। শূন্যস্থান পূরণ কর :

(ক) + জীবেৎ = যাবজ্জীবেৎ। (খ) উৎ + হতঃ । (গ) অনু + অন্বেষণম্। (ঘ) - +

ঈশঃ = বাগীশঃ। (ঙ) 1 + ছায়া বৃক্ষচ্ছায়া। (চ) পূর্ণঃ + চন্দ্ৰঃ ==
=

৩। সম্মিবিচ্ছেদ কর :

মহাশয়ঃ, দেবেন্দ্রঃ, মহেশ্বরঃ, রাজর্ষি, স্বাগতম, গায়ক, উচ্চারণম্, উদ্ধার, ভদ্ভুতা, বহিষ্কৃতঃ,

নমস্কারঃ অতএব ।

৪। স্যি কর :

এক + একম্, প্রতি + ঊষঃ, ভৌ + উঃ, উৎ + লেখঃ, পরি + ছেদঃ, নিঃ + তারঃ, নিঃ + রবঃ,
মনঃ + হরর, মুনেঃ + ছাত্রাঃ।

নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

(ক) স্বরসন্ধির অন্য নাম কি?
(খ) ব্যঞ্জনসন্ধির অন্য নাম কি?

(গ) সন্ধির প্রয়োজনীয়তা কি?

(ঘ) কোন কোন ক্ষেত্রে সন্ধি অপরিহার্য?

(ঙ) অ-কারের পর আ-কার থাকলে উভয়ে মিলিত হয়ে কি হয়?

(চ) অ-কারের পর ও-কার থাকলে উভয়ে মিলিত হয়ে কি হয়

(ছ) ত্-এর পর চ্ থাকলে ভূ-স্থানে কি হয়?

যথাসম্ভব সন্ধি ব্যবহার করে সংস্কৃত অনুবাদ কর :

(ক) দেবী এলেন। (খ) আচার্যের আদেশ। (গ) প্রভাতে সূর্যের উদয়। (ঘ) তিনি আমার মাথার মণি ।
(ঙ) পূর্ণ চন্দ্র। (চ) ঘোড়া দৌড়ায়। (ছ) দুর্জন থেকে ভয়।

বাংলায় অনুবাদ কর :

(ক) স আগতঃ। (খ) শিশুইসতি। (গ) প্রাতভ্রমণং কুরু। (ঘ) কমলমিব নয়নম্ (ও) পিত্রাদেশং পালয়।
(চ) রামঃ সীতায়াঃ অন্বেষণ, চকার।

৮।
বিসর্গসন্ধি কাকে বলে? উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দাও।

স্বরসস্থি ও ব্যঞ্জনসঘির পার্থক্য ব্যাখ্যা কর।

১০। সন্ধি কাকে বলে? উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দাও।

 

 

Content added By

"বাচ্য' শব্দের অর্থ বক্তব্য বিষয়। মানুষের বক্তব্য বিষয় প্রকাশের কয়েকটি প্রসিদ্ধ ভঙ্গি বা রীতি-নীতি আছে।
এই রীতি-নীতি বা ভঙ্গিই বাচ্য।
সংস্কৃতে বাচ্য চার প্রকার কর্তৃবাচ্য, কর্মবাচ্য, ভাববাচ্য ও কর্মকর্তৃবাচ্য।

১। কর্তৃবাচ্য

বাক্যের যে রীতিতে কর্তার কথাই প্রধানভাবে বলা হয়, তাকে কর্তৃবাচ্য বলে।
এই বাচ্যে কর্তৃকারকে প্রথমা বিভক্তি ও কর্মকারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয় এবং ক্রিয়া কর্তার অধীন হয়, অর্থাৎ
কর্তায় যে পুরুষ ও যে বচন হয়, ক্রিয়ায়ও সেই পুরুষ ও সেই বচন হয়। যেমন—
অহং রামায়ণং পঠামি (আমি রামায়ণ পড়ি)
ত্বং রামায়ণং পঠসি (তুমি রামায়ণ পড়
বালকঃ চন্দ্ৰং পশ্যতি (বালকটি চাঁদ দেখছে)
বালকৌ অনুং খাদতঃ (দুজন বালক ভাত খাচ্ছে)
বালকাঃ অনুং খাদন্তি (বালকেরা ভাত খাচ্ছে)।

২। কর্মবাচ্য

বাক্যের যে রীতিতে কর্মের প্রাধান্য থাকে, তাকে কর্মবাচ্য বলে।
কর্মবাচ্যে কর্তায় তৃতীয়া ও কর্মে প্রথমা বিভক্তি হয় এবং কর্ম অনুসারে ক্রিয়াপদ গঠিত হয়,
অর্থাৎ কর্ম যে
পুরুষ ও যে বচনের হয়, ক্রিয়াও সেই পুরুষ ও সেই বচনের হয়। সকল ধাতুই আত্মনেপর্দী হয় এবং লট, লোই,
লঞ্চ ও বিধিলি-এর চারটি ল কারে ধাতুর উত্তর 'খৃ' হয়। যেমন-

তেন অহং দৃশ্যে (তার দ্বারা আমি দৃষ্ট হচ্ছি)।

তেন তুং দৃশ্যসে (তার দ্বারা তুমি দৃষ্ট হচ্ছো)।

ময়া স দৃশ্যতে (সে আমার দ্বারা দৃষ্ট হচ্ছে)।

তেন পুস্তকং পঠাতে (তার দ্বারা পুস্তক পঠিত হচ্ছে)।

তেন পুস্তকৌ পঠোতে (তার দ্বারা দুটি পুস্তক পঠিত হচ্ছে)।
তেন পুস্তকানি পঠান্তে (তার দ্বারা পুস্তকগুলি পঠিত হচ্ছে)।

৩। ভাববাচ্য

যে বাচ্যে ক্রিয়ার প্রাধান্য থাকে, তাকে ভাববাচ্য বলে।

ভাববাচ্যে কর্তৃকারকে তৃতীয়া বিভক্তি হয়, কর্ম থাকে না এবং ক্রিয়াপদ প্রথমপুরুষের একবচনান্ত হয়।
কর্মবাচ্যের মত লট, লোট, লঙ্ ও বিধিলি এই চারটি ল-কারে ধাতুর উত্তর 'য' হয় এবং ধাতু আত্মনেপদী

হয়।

কেবল অকর্মক ধাতুর ক্ষেত্রেই ভাববাচ্য হয়। যেমন-

তেন নৃত্যতে (তার নাচা হচ্ছে)।

ময়া ধীয়তে (আমার থাকা হচ্ছে)।

শিশুনা শয্যতে (শিশুর শোয়া হচ্ছে)।
বালকৈঃ হস্যতে (বালকদের হাসা হচ্ছে)।

৪। কর্মকর্তৃবাচ্য

যে-বাচ্যে কর্তার নিজগুণেই যেন আপনা থেকে কাজ হচ্ছে এরূপ বোঝায়, তাকে কর্মকর্তৃবাচ্য বলে। “ভিদ্যুতে
বৃক্ষঃ'—বৃক্ষটি ভেঙে যাচ্ছে বললে বোঝায় বৃক্ষটি আপনা-আপনিই ভেঙে যাচ্ছে। এরূপ- পচাতে ওদনঃ (ভাত
রান্না হচ্ছে)। ছিদাতে কাম (কাপড় ছিঁড়ছে)।

বাচ্য পরিবর্তন

অর্থের পরিবর্তন না ঘটিয়ে এক বাচ্যের বাক্যকে অন্য বাচ্যে পরিবর্তন করার নাম বাচ্য পরিবর্তন। বাচ্য
পরিবর্তনের সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলো মনে রাখা প্রয়োজন :

কর্তৃবাচ্যের বাক্যে যদি কর্ম থাকে, তাহলেই তাকে কর্মবাচ্যে পরিবর্তন করা যায়, নতুবা কর্তৃবাচ্যকে
ভাববাচ্যে পরিণত করা চলে।

কর্মবাচ্য ও ভাববাচ্যের বাক্যকে কর্তৃবাচ্যে পরিণত করা যায়।

ক্রিয়া সকমর্ক হলেও যদি কর্ম না থাকে, তবে সেই বাক্যকে ভাববাচ্যে পরিণত করা চলে।

প্রশ্নমালা

শুদ্ধ উত্তরটির পাশে টিক (/) চিহ্ন দাও :

(ক) কর্তৃবাচ্যে কর্তৃকারকে ১মা / ৪র্থী/৩য়া/ ৬ষ্ঠী বিভক্তি হয়।

(খ) ভাববাচ্যে প্রাধান্য থাকে কর্তার/কর্মের অব্যয়ের ক্রিয়ার।

(গ) কর্মবাচ্যে কর্তায় ২য়া/ওয়া/১ মা/৪র্থী বিভক্তি হয়।

(ঘ) 'পচাতে ওদনঃ' কর্তৃবাচ্যের/কর্মবাচ্যের/ভাববাচ্যের কর্মকর্তৃবাচ্যের উদাহরণ।

(ঙ) ভাববাচ্যে কর্তায় ১মা / ৪র্থী/৬ষ্ঠী/ওয়া বিভক্তি হয়।

(চ) 'তেন অনুং খাদ্যতে কর্মবাচ্যের কর্তৃবাচ্যের কর্মকর্তৃবাচ্যের ভাববাচ্যের উদাহরণ।

২। নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :

(ক) কর্মবাচ্যে কর্তায় কোন বিভক্তি হয়?

(খ) ভাববাচ্যে লট প্রভৃতি চারটি ল-কারে ধাতুর উত্তর কিসের আগম হয়?

(গ) কর্মবাচ্যে ধাতু কোন পণী হয়।

(ঘ) বাচ্য পরিবর্তন কাকে বলে?

(৩) "ওয়া বেদঃ পঠ্যতে'- এটি কোন বাচ্যের উদাহরণ?

৩। বাচ্যান্তর করা

(ক) সা বেলং পঠতি। (খ) তে বনে তিষ্ঠন্তি। (গ) ময়া চন্দ্রঃ মুশাতে। (ঘ) শিশুঃ হসতি। (ঙ) তেন

অহং দৃশ্যে।

৪। বাংলায় অনুবাদ কর :

(ক) অহং পুরাণং পঠামি। (খ) তেন পুস্তকানি পঠান্তে। (গ) বালকৈঃ হসাতে। (ঘ) ছিদ্যতে বাম।

(৫) তেন অনুং খাদ্যতে। (চ) ভিদ্যতে বৃক্ষঃ।

। সংস্কৃতে অনুবাদ কর :

(ক) আমার থাকা হচ্ছে। (খ) ভাত রান্না হচ্ছে। (গ) বালকটি চাঁদ দেখছে। (ঘ) তুমি রামায়ণ পড়।

(ঙ) তার দ্বারা পুস্তক গঠিত হচ্ছে। (চ) তার দ্বারা তুমি দৃষ্ট হচ্ছে।

৬। কর্তৃবাচ্যকে ভাববাচ্যে পরিণত করার নিয়মগুলো লেখ।

৭। কর্তৃবাচ্যকে কর্মবাচ্যে পরিণত করার নিয়মগুলো লেখ।

৮। ৰাচ্য পরিবর্তনের সময় কোন বিষয়গুলো মনে রাখা প্রয়োজন?

৯। কর্মকর্তৃবাচ্য কাকে বলে? উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দাও।

১০। ভাববাচ্যের বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি?

১১। কর্তৃবাচ্য ও কর্মবাচ্যের বৈশিষ্ট্যগুলো কি কিছু

১২। প্রত্যেক বাচ্যের দুটি করে উদারহণ দাও।

১৩। বাচ্য কাকে বলে? বাচ্য কত প্রকার ও কি কি?

 

Content added By

"লিঙ্গ" শব্দের অর্থ চিহ্ন। যার দ্বারা পুরুষ বা স্ত্রী বুঝায় কিংবা স্ত্রী বা পুরুষ কিছুই নয় এরূপ বোঝায়, তাকে
লিঙ্গ বলা হয়।

সংস্কৃতে লিঙ্গ তিন প্রকার -- (১) পুংলিতা (২) স্ত্রীলিঙ্গ ও (৩) ক্লীবলিঙ্গ) ।

বাংলা বা ইংরেজি ব্যাকরণে পুরুষবাচক শব্দগুলো পুংলিঙ্গ, ত্রীবাচক শব্দগুলো স্ত্রীলিঙ্গ এবং যেসব শব্দে
সূত্রী বা পুরুষ কিছুই বোঝায় না, সেগুলো ক্লীবলিঙ্গ। সংস্কৃতে কিন্তু এভাবে লিঙ্গ নির্ধারণ করা যায় না।
সংস্কৃত ব্যাকরণে সত্রীবাচক শব্দও পুংলিঙ্গ, পুরুষবাচক শব্দও ক্লীবলিঙ্গ এবং বস্তুবাচক শব্দও পুংলিঙ্গ হয়।
যেমন— 'দার' শব্দ সত্রীবাচক হলেও পুংলিঙ্গ, 'মিত্র' শব্দ পুরুষবাচক হলেও ক্লীবলিঙ্গ এবং 'বৃক্ষ' শব্দ
বস্তুবাচক হলেও পুংলিঙ্গ।

সংস্কৃতে লিঙ্গ নির্ণয়ের জন্য অনেক নিয়ম আছে। এখানে সাধারণ দু-একটি নিয়ম দেখান হল :

পুংলিঙ্গ

দেব, অসুর, স্বর্গ, গিরি, সমুদ্র ইত্যাদি অর্থ প্রকাশক সকল শব্দ পুংলিঙ্গ। যেমন-

(ক) দেববাচক দেবঃ সুরঃ, অমরঃ ইত্যাদি।
অসুরবাচক অসুরঃ, দৈত্য, দানবঃ ইত্যাদি।

(ঘ) গিরিবাচক- গিরিঃ, পর্বতঃ, শৈলঃ ইত্যাদি।

(গ) স্বৰ্গবাচক- স্বর্গঃ, ত্রিদিবঃ, সুরলোকঃ ইত্যাদি।
দেবগণের নামও পুংলিঙ্গবাচক শব্দ। যেমন— ইন্দ্ৰঃ বিষ্ণুঃ শিবঃ, গণেশ, কার্তিকেয়ঃ ইত্যাদি।

(ঙ) সমুদ্রবাচক- সমুদ্রঃ, সাগরঃ, অর্ণবঃ ইত্যাদি।

আ-কারান্ত, ঈ-কারান্ত ও উ-কারান্ত শব্দ স্ত্রীলিঙ্গ। যেমন- লতা, নদী, বধূ ইত্যাদি।

ঋ-কারান্ত মাতৃ (মা), দুহিতৃ (কন্যা), মসৃ (ভগ্নী), নলান্দ (ননদ) প্রভৃতি শব্দ ত্রীলিঙ্গ। যেমন- মাতা
দুহিতা, অসা, ননান্দা ।

ক্লীবলিঙ্গ

মুখ, নয়ন, বন, কুসুম, ধন ও অনুবাচক শব্দগুলো ক্লীবলিঙ্গ। যেমন-

(ক) মুখবাচক- মুখম্, বদনম্, আননম্ ইত্যাদি।
(খ) নয়নবাচক নয়নম্, নেত্রম্, লোচনম্ ইত্যাদি।

(গ) বনবাচক নম্, অরণ্যম্, বিপিনম্ ইত্যাদি।

(ঘ) কুসুমবাচক- কুসুম, পুষ্পম্ ইত্যাদি।
অনুবাচক অনুম্, খাদ্যম, ভোজ্যম্ ইত্যাদি।

(চ) ধনবাচক- ধনম্, বিত্ত, প্রবিণম্ ইত্যাদি।

অনুশীলনী

লিঙ্গ কাকে বলে? সংস্কৃতে লিঙ্গ কত প্রকার ও কি কি?

বাংলা ও ইংরেজি ব্যাকরণের সঙ্গে সংস্কৃত ব্যাকরণের লিঙ্গের পার্থক্য কি?

উদাহরণসহ পুংলিঙ্গ নির্দেশক প্রথম নিয়মটি উল্লেখ কর।

81
গ্রীলিঙ্গ নির্দেশক দুটি নিয়ম উদাহরণসহ উল্লেখ কর।

লিঙ্গ পরিবর্তন কর:

কৃষ্ণা, অশ্বঃ, মৃগী, দীনঃ, পিতামহঃ।
নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:

৬।

(ক) 'দার' শব্দ কোন্ লি ?
(খ) 'লিঙ্গ' শব্দের অর্থ কি?

মুখবাচক শব্দ কোন লিঙ্গ?
গিরিবাচক শব্দ কোন্ ি

আ-কারান্ত শব্দ কোন ি

শুদ্ধ উত্তরটির পাশে টিক (/) চিহ্ন দাও :

সংস্কৃতে লিঙ্গ তিন/দুই/চার/পাঁচ প্রকার।

বনবাচক শব্দ পুংলিঙ্গ/স্ত্রীলিঙ্গ / ক্লীবলিঙ্গ উভয়লিঙ্গ।

ফর্গবাচক শব্দ স্ত্রীলিঙ্গ/ক্লীবলিঙ্গ পুংলিঙ্গ উভয়লিঙ্গ।

(ঘ) ঈ-কারান্ত শব্দ পুংলিঙ্গ উভয়লিঙ্গ / ক্লীবলিঙ্গ/ত্রীলিঙ্গ।
(ঙ) 'নদ' শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ নদী/নপি / নদ/ নদো ।

 

 

Content added By

(ক) ণত্ব-বিধান

যে-সকল বিধান বা নিয়ম অনুযায়ী দন্ত্য ন মূর্ধন্য গৃ-তে পরিণত হয়, তাদের ণত্ব-বিধান বলা হয়।
প্রধানত নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে দন্ত্য নৃ মূর্ধন্য ণ-তে পরিণত হয়

এক পদস্থিত খ, ক্ষু, র, ও মূর্ধন্য ঘৃ-এই চারবর্ণের পরবর্তী দত্তা নৃ মূর্ধন্য ণ হয়।

যা - তৃণমূ, নৃণাম্, ক্ষণম্, ভিসৃণাম্‌ ইত্যাদি।
খৃ – মাতৃণাম, পিতৃণাম্‌, ভ্রাতৃণাম্‌, নেতৃণাম্‌ ইত্যাদি।

কর্ণঃ, বর্ণঃ, চতুর্ণাম, বিদীর্ণ, ইত্যাদি।

ম - কৃষ্ণঃ, বিষ্ণু, তৃষ্ণা, সহিষ্ণু ইত্যাদি।

+

যদি স্বরবর্ণ, ক-বর্গ, প-বর্গ, য, ব, হ, বা অনুষার)-এর ব্যবধান থাকে তাহলেও ক, খৃ.

[-এর পরস্থিত একপদস্থ দন্ত্য ন মূর্ধন্য ণ হয়। যেমন-

স্বরবর্ণের ব্যবধান- করণ (বৃ + অ + গ)।

ক-বর্গের ব্যবধান- তর্কে ( + ক + এ+ ন)।

প-বর্গের ব্যবধান- দর্পেণ (ব+প্+এ+ণ)।

য-এর ব্যবধান- সূর্যেণ (র+এ+)।

বৃ-এর ব্যবধান-
ই-এর ব্যবধান-
গর্বেশ (র + ব্ + এ + গ)

গ্রহণে + অ ++)।

(অনুসার)-এর ব্যবধান- হাম্ +অ+)

10

পরা, পূর্ব ও অপর শব্দের পরস্থিত 'অভ্র' শব্দের দন্ত্য ন মূর্ছনা " হয়। যেমন প্রত্নঃ, পরার, পূর্বাহ্ণ,

অপরাহঃ।

81
প্র, পরা পরি ও নির্—এই চারটি উপসর্গের পরবর্তী নম্, নশ, নী প্রভৃতি ধাতুর দন্ত্য ন মূর্ধন্য ণ হয়।

যেমন-

নম্-প্রণমতি, পরিণমতি, প্রণামঃ, পরিণামঃ।
ন-প্রপশ্যতি, প্রণাশঃ, পরপিশ্যতি।
নী-প্রণয়তি, প্রণয়ঃ পরিণতি, পরিণয়ঃ।

দ্রষ্টব্য : = = = হ+

(খ) ষত্ব-বিধান

যে-সকল বিধান বা নিয়ম অনুযায়ী দন্ত্য স মূর্ধন্য -তে পরিবর্তিত হয় তাদের যত্ন-বিধান বলা হয়। ঘ-তুর

চারটি প্রধান বিধান বা নিয়ম নিম্নে প্রদত্ত হল:
অ, আ ভিন্ন ঘরবর্ণ এবং ক্ ও র-এদের যে কোন বর্ণের পরস্থিত প্রত্যয়ের দন্ত্য স মূর্ধন্য ষ্ হয়।

যেমন-

অ, আ ভিন্ন স্বরবর্ণের পর মুনিষু, সাধুধু, নদীষু।
ক্-এর পরে -দিক্ষু (ক্ষ = ক + ষ )
ব-এর পরে
-
চতুর্ষু, গীর্ষ, সর্বেষু।

(অনুসার) এবং ঃ (বিসর্গ)-এর ব্যবধান থাকলেও প্রত্যয়ের দন্ত্য সৃ মূর্ধন্য ঘৃ হয়। যেমন- হবীংখি,
ধনুংশি, আয়ুংষু।

201
ই-কারান্ত ও উকারান্ত উপসর্গের পর সিছ, সম্পা, সদৃ, সি প্রভৃতি ধাতুর দন্ত্য স মূর্ধন্য ঘৃ হয়। যেমন-
ই-কারান্ত উপসর্গের পর- অভিষেকঃ প্রতিষ্ঠানম্, নিষাদঃ, প্রতিষেধঃ।

দ্রষ্টব্য : অভিষেকঃ = অভি-সিচ্ + যজ্ঞ। প্রতিষ্ঠানম্ = প্রতিস্থা + অনট্। নিষাদঃ = নি-সদৃ + ঘঞ।
প্রতিষেধঃ= প্রতি-সিধ ঘ
উ-কারান্ত উপসর্গের পর-অনুষ্ঠানম্, অনুষেদ্ধতি।

দ্রষ্টব্য: অনুষ্ঠানম্ অনুস্থা অট। অনুষেধতি = অনু- সি + ল ভি।

81
ট-বর্গের পূর্ববর্তী দন্ত্য স মূর্ধন্য ষ হয়। যেমন-কষ্ট, স্পষ্টঃ, ওষ্ঠ, দুষ্টঃ।

প্রশ্নমালা

সঠিক উত্তরটির পাশে ঠিক (/) চিহ্ন দাও :

(ক) তর্কেন/তর্কেণ/তার্কেন/তার্কেল

(খ) অপরাহঃ/অপরাহ্নঃ আপরাহঃ/আপরাহ্নঃ।

(গ) অনুস্টানম্/অনুষ্ঠাম/অনুষ্ঠানম/আনুষ্ঠানম্ ।

(ঘ) পরিণ্যশ্যতি / পরিণশ্যতি/পরিনয্যতি/পরিনস্যতি ।

২। শুদ্ধ কর :

করনম্, হরিনা, পূর্বাহ্নঃ, মধ্যাহঃ, নরেশ, নদীসু, অনুস্টানম্ ।

৩। নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :

(ক) এক পদস্থিত ম্-এর পরে কোন ন হয়?

(খ) 'তৃণমূ' পদে কেন মূর্ধনা গৃ হয়েছে?

(গ) 'পূর্বাহ্ণ' পদে কেন মূর্ধন্য ণূ হয়েছে?

(ঘ) 'প্রণয়ঃ' পদে কেন মূর্ধন্য ণ হয়েছে?

(ঙ) ই-কারান্ত উপসর্গের পর 'সিচ্' ধাতুর দন্ত্য স্ কোন্‌ স হয় ?

(চ) 'কষ্টম' পদে মূর্ধন্য-ষ হয়েছে কেন?

৪। স্বত্ব-বিধানের তৃতীয় ও চতুর্থ সূত্রটি উদাহণসহ ব্যাখ্যা কর ।

৫। যত্ন-বিধান কাকে বলে। উদাহরণসহ যত্ন-বিধানের প্রথম সূত্র দুটি লেখ।

৬। উদাহারণসহ ণত্ব-বিধানের তৃতীয় ও চতুর্থ সূত্রটি লেখ।

৭। গত বিধান কাকে বলে? উদাহরণসহ ণত্ব-বিধানের প্রথম দুটি সূত্র লেখ।

 

Content added By
Please, contribute to add content into তৃতীয় অধ্যায়.
Content

(ক) সংস্কৃতানুবাদ

বাংলা, ইংরেজি প্রভৃতি ভাষা থেকে সংস্কৃত ভাষায় রূপান্তর করার নাম সংস্কৃতানুবাদ।

সংস্কৃতানুবাদের সাধারণ নিয়ম

সাধারণত বাংলায় শব্দের সঙ্গে যে-বিভক্তি যুক্ত থাকে এবং পদটি যে বচনের হয়, সংস্কৃতে অনুবাদ
করার সময় সে-বচন ও সে-বিভক্তি প্রয়োগ করতে হয়। যেমন-

একজন মানুষ- নরঃ। দুজন মানুষ নরৌ। মানুষেরা- নরাঃ ।

বালকের- বালকসা। ছাত্রকে ছাত্রম্। নারীদের- নারীণাম্। নদীতে- নস্যাম্।

আমাকে— মাম্। তোমার দ্বারা ভুয়া। কঃ- কে (পুং), কাদের- কেয়াম্ (পুং), কাসাম (ত্রী)। কে-কা
(ী)।

কর্তা অনুসারে ক্রিয়াপদ গঠিত হয় অর্থাৎ কর্তা যে-পুরুষ ও যে বচনের হয়, ক্রিয়াপদও সেই পুরুষ ও
সেই বচনের হয়। যেমন- বালকটি পড়ে বালকঃ পঠতি। দুজন বালক পড়ে বালকৌ পঠতঃ ।
বালকেরা পড়ে- বালকাঃ পঠন্তি। তুমি পড়- তুম্ পঠসি। তোমরা দুজন পড়— যুবাম্ পঠথঃ। তোমরা
পড়- যূয়ম পঠথ। আমি পড়ি- অহম্ পঠামি। আমরা দুজন পড়ি- আবাম্ পঠাবঃ। আমরা পড়ি- বয়
পঠামঃ ।

বর্তমান কালে ল-এর প্রয়োগ হয়। যেমন- আমি বলি- অহং বদামি। সে বলে সঃ বদতি।

8)
অতীতকালে লঙ্-এর প্রয়োগ হয়। যেমন- তুমি গিয়েছিলে- তুম্ অগচ্ছঃ। আমি পড়েছিলাম- অহম্
অপঠ। শ্রীকৃষ্ণ বললেন- শ্রীকৃষঃ অবদ।

ভবিষ্যৎ কাল অর্থে লুট্‌-এর প্রয়োগ হয়। যেমন- তারা লিখবে- তে লেখিষ্যন্তি। আমি বলব- অহম
বদিষ্যামি। সে যাবে সঃগমিষ্যতি।

বর্তমান অনুজ্ঞা অর্থাৎ আদেশ, উপদেশ প্রভৃতি বোঝাতে লোট-এর প্রয়োগ হয়। যেমন- পড়- পঠ। যাও-

গচ্ছ। বল বদ দাও দেহি। সেবা কর সেব

দ্রষ্টব্য : বর্তমান অনুজ্ঞায় কর্তা তুম্ (তুমি), যুবা (তোমরা দুজন), যূয়ম্ (তোমরা) সাধারণত উহা
থাকে।


উচিত অর্থে বিধিলিঙের প্রয়োগ হয়। বাংলায় ক্রিয়ার পরে 'উচিত' শব্দ থাকলে কর্তায় ষষ্ঠী বিভক্তি
থাকলেও সংস্কৃতে কর্তায় প্রথমা বিভক্তি হয়। যেমন- তার যাওয়া উচিত- সঃ গচ্ছে। আমার পড়া
উচিত- অহম্ পঠেয়ম্। তাদের বলা উচিত- তে বদেষুঃ ।

বাক্যে সন্ধি কর্তার ইচ্ছাধীন, যেমন- তুমি পান করছ- তুম্ পিবসি/ ত্বং পিবসি। তোমরা যাচ্ছ- যূয়ম্
পচ্ছা / যূৎ গচ্ছ।

কর্তৃবাচ্যে কর্তায় প্রথমা বিভক্তি হয়। যেমন- বালকটি দেখে বালকঃ পশ্যতি। আমি দেখি- অহং

পশ্যামি। তারা দেখে তে পশ্যন্তি ।

১০। কর্তৃবাচ্যে কর্মে ২য়া বিভক্তি হয়। যেমন- বালিকা রামায়ণ পড়ছে- বালিকা রামায়ণ‍ পঠতি। আমি
তাকে জানি- অহ তাং জানামি।

১১। করণে ওয়া বিভক্তি হয়। যেমন- আমরা কলম দ্বারা লিখি- বয়ং লেখন্যা লিখামঃ। সকলেই চক্ষু দ্বারা

দেখে- সর্বে এর চক্ষুষা পশ্যন্তি ।
১২। সম্প্রদানে ৪র্থী বিভক্তি হয়। যেমন- ভিক্ষুককে ভিক্ষা দাও- ভিক্ষুকায় ভিক্ষাং দেহি । ব্ৰাহ্মণ তৃষ্ণার্তকে

জল দান করেন- ব্রাহ্মণঃ তৃষ্ণার্তায় জলং দদাতি।

অপাদানে ৫মী বিভক্তি হয়। যেমন- গাছ থেকে পাতা পড়ে বৃক্ষাৎ পত্রং পততি। মেঘ থেকে বৃষ্টি

হয়— মেঘাৎ বৃষ্টিঃ ভবতি ।

১৪। সম্বন্ধে ষষ্ঠী বিভক্তি হয়। যেমন- আমার গৃহ- মম গৃহম্। তার বই- তস্য পুস্তম। কূপের জল-
কৃপসা জনম্ ।

১৫। অধিকরণে ৭মী হয়। যেমন- জলে মাছ থাকে- ভালে মৎস্যঃ বসতি। বর্ষায় বৃষ্টি হয়- বর্ষাসু বৃষ্টিঃ
ভবতি। বসন্তে কোকিল ডাকে- বসন্তে কোকিলঃ কৃজতি। তিনি ব্যাকরণে নিপুণ স ব্যাকরণে
নিপুণঃ।

১৬। 'নিকষা' শব্দযোগে ষষ্ঠী বিভক্তি না হয়ে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন- গ্রামের নিকটে নদী - গ্ৰামং
নিকষা নদী। শহরের নিকট রাস্তা- নগরং নিকষা পাঃ ।

১৭। 'সহ' শব্দযোগে তয়া বিভক্তি হয়। যেমন- পিতা পুত্রের সঙ্গে যাচ্ছেন- পিতা পুত্রেণ সহ গচ্ছতি। রাম
সীতার সঙ্গে যাচ্ছেন- রামঃ সীতয়া সহ গচ্ছতি।

১৮। 'প্রয়োজন' শব্দের যোগে ওয়া বিভক্তি হয়। যেমন- আমার ধনের প্রয়োজন নেই- মম ধনেন প্রয়োজনং

নাস্তি।

১৯। ধিক্, অভিতঃ (সম্মুখে), পরিতঃ (চারদিকে), উভয়তঃ (দুদিকে), প্রতি প্রভৃতি শব্দযোগে দ্বিতীয়া
বিভক্তি হয়। যেমন- ভাগ্যহীন আমাকে ধিক্ ধিক্ মাং ভাগ্যহীনম্। গ্রামের সম্মুখে বাগান -
গ্রামম্ অভিতঃ উদ্যানম্ ।

১৩।

৯।

গ্রামের চারদিকে রাস্তা- গ্রামং পরিতঃ পন্থানঃ। শহরের দুদিকে নদী- নগরম্ উভয়তঃ নদী। দরিদ্রের
প্রতি দয়া কর দরিদ্রং প্রতি দয়াং কুরু।

২০। ব্যাপ্তি অর্থে দ্বিতীয়া বিভক্তি হয়। যেমন- সে একমাস যাবৎ রামায়ণ পড়ছে- স মাসং ব্যাকরণং

পঠতি। আমি এক বছর যাবৎ বেদান্ত পড়ছি- অহং বর্ষং দেবান্তং পঠামি ।

২১। নমস্ ( নমঃ) শব্দযোগে চতুর্থী বিভক্তি হয়। যেমন- শিবকে নমস্কার- শিবায় নমঃ। গুরুকে নমস্কার-
পুরবে নমঃ।

প্রশ্নমালা

শুদ্ধ উত্তরটির পাশে টিক (/) চিহ্ন দাও :

(ক) আমি পড়ি - অহং পঠতি/অহং পঠামি/অহং পঠায়ঃ/ বরং পঠাবঃ।

(খ) তুমি পড় তুম্ পঠতু/তম পঠতি তুম্ পঠসি/তুম্ পঠেৎ ।
-

(গ) গ্রামের সম্মুখে বাগান গ্রাম অভিত উদ্যানম/গ্রামং নিকষা বনম/গ্রামং পরিতঃ কাননম/গ্রামং
যাবৎ বনম্।

ঘ) দরিদ্রের প্রতি দয়া কর দরিদ্রস্য প্রতি দয়াং কুরু / দরিদ্রেণ প্রতি দয়াং কুরু / দরিদ্রায় প্রতি দয়া
কুকু/দরিদ্রং প্রতি দয়াং কুরু ।

সংস্কৃতে অনুবাদ কর :

ক) আমি খাই। (খ) বালকেরা চাঁদ দেখে। (গ) ধান থেকে চাল হয়। (ঘ) তিনি বেদ পড়েছিলেন। (ঙ)
তারা জল পান করবে। (চ) তুমি গীতা পড়ছ। (ছ) তোমার জিজ্ঞেস করা উচিত। (জ) ভিক্ষুককে
ভিক্ষা দাও। (ঝ) নদীতে জল আছে। (ঞ) আমি জল পান করেছিলাম। (ট) তারা চোখ দিয়ে দেখে।
(ঠ) এটি তার বই। (ড) জলে মাছ বাস করে। (ঢ) তিনি একমাস যাবৎ সাহিত্য পড়ছেন। (ণ)
গ্রামের চারদিকে বন। (ত) শহরের দুদিকে নদী। (থ) পাপীকে ধিক্ । (দ) আমি তার সঙ্গে যাব।
(ধ) নারায়ণকে নমস্কার। (ন) গুরুকে প্রণাম করি।

(খ) সংস্কৃত থেকে বাংলা অনুবাদ

বালকঃ চন্দ্রং পশ্যতি- বালকটি চাঁদ দেখছে।

অহং বেদম অপঠম- আমি বেদ পাঠ করেছিলাম।

সর্বে জনাঃ চক্ষুষা পশ্যন্তি সকল লোক চক্ষু দ্বারা দেখে।

বিদ্যালয়ং নিকষা উদ্যানম্ অস্তি বিদ্যালয়ের নিকটে উদ্যান আছে।

পিতরং সেবর্ষ পিতাকে সেবা কর।

ত্বং গচ্ছেঃ- তোমরা যাওয়া উচিত।

তে তীর্থক্ষেত্রং দক্ষ্যন্তি- তারা তীর্থক্ষেত্র দর্শন করবে।
স হস্তেন গৃহাতি ফলম্ - সে হাত দ্বারা ফল গ্রহণ করে।

গগনে চন্দ্ৰঃ উদেতি— আকাশে চাঁদ উঠেছে।

অহং বালিকাং জানামি- আমি বালিকাটিকে জানি।

ভিক্ষুকাং ভিক্ষাং দেহি- ভিক্ষুককে ভিক্ষা দাও।

সন্ন্যাসী মাসং বেদান্তং পঠতি সন্ন্যাসী একমাস যাবৎ বেদান্ত পড়ছেন।

দেব্যৈ নমঃ- দেবীকে নমস্কার।

বিবাদেন অলম্- বিবাদের প্রয়োজন নেই।
গ্রামং পরিতঃ বনানি- গ্রামের চারদিকে বন।

দেবং পূজয়- দেবতাকে পূজা কর ।

নিরন্নং প্রতি দয়াং কুরু- নিরন্নের প্রতি দয়া কর ।

প্রশ্নমালা

সঠিক উত্তরটির পাশে টিক (/) চিহ্ন দাও :

(ক) অহং জলং পাস্যামি- আমি জলপান করব / আমি জলপান করেছিলাম/আমি জলপান
করি আমার জলপান করা উচিত।

(খ) পূজাং কুরু- পূজা করছেন/ পূজা কর/ পূজা করেছিলেন/পূজা করবেন।

(গ) মম ভ্রাতা আমার ভাইয়েরা আমার ভাইকে / আমার ভাইয়ের /আমার ভাই।

(ঘ) গপনে নক্ষত্রাণি শোভন্তে আকাশে চাঁদ উঠছে/আকাশে সূর্য কিরণ দিচ্ছে/আকাশে মেঘ
জমেছে/আকাশে তারকারাজি শোভা পাচ্ছে।

Content added || updated By

নিম্ন মাধ্যমিক সংস্কৃত

১১৩

অভিধানিকা

অতঃ- অতএব অভ্রান্তরে- ইত্যবসরে।

অর্থ - তারপর। অবতার বরিষ্ঠঃ- অবতারদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। অবতাররূপেণ - অবতাররূপে। অবতীর্য— অবতীর্ণ
হয়ে। অবদৎ- বলেছিল। অবস্থাপ্য অবসস্থাপন করে।

আগত্য এসে। আসীৎ ছিল। আহারাৎ- আহার থেকে। আলোচ্য পর্যালোচনা করে।

ইতি এই ইর মত।

ঈশ্বরঃ- সৃষ্টিকর্তা, প্রভু।

উচ্যতে বলা হয়। উৎপাদ্য উৎপাদন করে। উপাসতে উপাসনা করেন।
-

ঋতৃনাম্ ঋতুসমূহের মধ্যে।

একৈকম্ একটি একটি করে। এতৎ- এই। এযাম্ এদের (পুং)।

কপর্দকৈঃ- কড়িগুলো দিয়ে। কর্মণি কর্মে। করিষ্যামি করব। কশ্চিৎ- কোনও (পুং), কাচিৎ কোনও
(স্ত্রী)। কিমর্থম্ কিসের জন্য। কুত্র কোথায়। কুসুমাকরঃ বসন্ত। কৃত্বা করে। কোটরা কোটর
থেকে। কোপাৎ রোধবশত।

খণ্ডিতবস্তুঃ খণ্ড খণ্ড করেছিল। খাদামি খাই।
ফর্মা ১৫, সংস্কৃত, ৮ম শ্রেণি

গচ্ছন্ - যেতে যেতে। গতে গেলে। গৃহাৎ ঘর থেকে। গোবিন্দায় গোবিন্দকে।

ঘোরাকৃতিম্ - ভয়ংকর আকৃতিবিশিষ্ট।

5

চিন্তয়িত্বা চিন্তা করে। চূর্ণিতঃ যা চূর্ণ করা হয়েছে।

জরাগ্রস্তঃ - জরাপীড়িত। জ্ঞাত্বা জেনে। জ্ঞানযজ্ঞঃ জ্ঞানরূপ যজ্ঞ। জ্ঞানেন- জ্ঞানের দ্বারা।

ডিম্বাঃ- ডিমগুলো।

তদর্থম্ তার জন্য। তয়োঃ তাদের দুজনের। ভর্তি তাহলে। তুয়া - তোমার দ্বারা। তা তাদেরকে।
তেষাম্ - তাদের (পুং)। তেষু তাদের মধ্যে (পুং)। ভৌ তারা দুজন।

লতা দান করে। দানেন দানের দ্বারা। দুরতিক্রম্যঃ- যা সহজে অতিক্রম করা যায় না।।

ধনুর্গুণম্ ধনুকের ছিলা ধনুষা ধনুকের দ্বারা।
-

নারীগাম্ - নারীগণের। নিধায় স্থাপন করে, রেখে। নিযোজ্য নিযুক্ত করে। নীড়েছ - বাসাগুলোতে।
-
-

পক্ষিণামু - পাখিদের। পরন্তপ - হে শত্রুপীড়নকারী। পলায়তে পলায়ন করে। পলায়িতুম্ - পালাতে। পশুনা
- পশুদের। পশুভিঃ পশুদের দ্বারা। পুণ্যতিথৌ- পুণ্যতিথিতে। পুষ্পেভ্যঃ- পুষ্পগুলো থেকে। প্রকোপায় -
কোপের কারণ। প্রাপ্নোমি - পাই।

ফলেষু ফলগুলোতে ।

Content added || updated By