অভাবের মৌলিক সমস্যার কারণে সমাজে অর্থনৈতিক সমস্যা দেখা দেয়, যা সীমাহীন চাহিদা এবং সীমিত সম্পদের মধ্যে অমিল। যেহেতু সময়, শ্রম, জমি এবং পুঁজির মতো সংস্থানগুলি সীমাবদ্ধ, তাই প্রতিটি সমাজকে অবশ্যই প্রতিযোগিতামূলক ব্যবহারের মধ্যে এই সম্পদগুলি কীভাবে বরাদ্দ করা যায় সে সম্পর্কে পছন্দ করতে হবে। এই পছন্দগুলির মধ্যে ট্রেড-অফ এবং সুযোগ খরচ জড়িত, যা অর্থনৈতিক সমস্যার জন্ম দেয়।
অর্থনৈতিক সমস্যার প্রকৃতিকে বিস্তৃতভাবে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়: বরাদ্দ, বন্টন এবং উৎপাদন।
বরাদ্দ সমস্যা দেখা দেয় যখন সমাজে সীমিত সম্পদ থাকে, কিন্তু সীমাহীন চাহিদা এবং চাহিদা থাকে। উদাহরণস্বরূপ, মানুষের কাঙ্খিত সমস্ত পণ্য এবং পরিষেবা উত্পাদন করার জন্য যথেষ্ট সংস্থান নাও থাকতে পারে। এই ক্ষেত্রে, সমাজকে অবশ্যই প্রতিযোগিতামূলক ব্যবহারের মধ্যে কী উত্পাদন করতে হবে এবং কীভাবে সেই সংস্থানগুলি বিতরণ করতে হবে সে সম্পর্কে পছন্দ করতে হবে।
বণ্টন সমস্যা দেখা দেয় যখন সমাজে ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর মধ্যে সম্পদ বা আয়ের বণ্টনে বৈষম্য দেখা দেয়। উদাহরণস্বরূপ, কিছু লোকের অন্যদের তুলনায় সম্পদ এবং সুযোগের বেশি অ্যাক্সেস থাকতে পারে, যা সম্পদ এবং আয়ের বৈষম্যের দিকে পরিচালিত করে। এই বন্টনগত সমস্যাগুলি সামাজিক এবং রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি করতে পারে এবং সমাধানের জন্য সরকারের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হতে পারে।
উৎপাদন সমস্যা দেখা দেয় যখন উৎপাদন প্রক্রিয়ায় অদক্ষতা থাকে যা সমাজকে উপলব্ধ সম্পদ থেকে পণ্য ও সেবার সর্বোচ্চ উৎপাদনে বাধা দেয়। উদাহরণস্বরূপ, উৎপাদনে প্রযুক্তিগত বা সাংগঠনিক বাধা থাকতে পারে যা দক্ষতার সাথে পণ্য উত্পাদন করার জন্য সংস্থাগুলির ক্ষমতাকে সীমিত করে।
সামগ্রিকভাবে, সীমাহীন চাহিদা এবং সীমিত সম্পদের মধ্যে অন্তর্নিহিত অমিল এবং এই অভাবের ফলে বাণিজ্য-অফ এবং সুযোগ ব্যয়ের কারণে সমাজে অর্থনৈতিক সমস্যা দেখা দেয়। সম্পদ বরাদ্দ, বন্টন এবং উৎপাদন সম্পর্কে সচেতন সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য নীতিনির্ধারক, ব্যবসা এবং ব্যক্তিদের জন্য অর্থনৈতিক সমস্যার প্রকৃতি বোঝা গুরুত্বপূর্ণ।