Academy
Created: 5 months ago | Updated: 4 months ago
Updated: 4 months ago
Ans :

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিবর্তন ঘটতে ঘটতে বর্তমানে তা উৎকর্ষের শিখরে পৌছেছে। যার একটি উদাহরণ হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তাশক্তিকে কৃত্রিম উপায়ে যন্ত্রনির্ভর করে ব্যবহার করার প্রযুক্তিই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বর্তমানে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সাহায্য করা থেকে শুরু করে চিকিৎসাক্ষেত্রে এবং বিজ্ঞান গবেষণার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী অবদান রাখছে। এই প্রযুক্তিতে একটি কম্পিউটারকে এমনভাবে প্রোগ্রামিং করা হয় যাতে তা মানুষের মতো করে চিন্তা করতে পারে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হলো একটি যন্ত্র দ্বারা প্রকাশিত বুদ্ধি। এই বুদ্ধির সঙ্গে মানুষের বুদ্ধির মিল রয়েছে। মানুষ যেভাবে তার চারপাশের পরিবেশ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সেটাকে তার মস্তিষ্কের মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত করে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছায়, তেমনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় বিভিন্ন ধরনের তথ্যের ইনপুট দেওয়া হয় এবং সমস্ত ডাটা প্রসেস করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যন্ত্র সিদ্ধান্তে পৌঁছে। কঠিন সমস্যা সমাধানের জন্য যে অ্যালগরিদম ব্যবহৃত হয় তাতেও রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার। বাংলাদেশেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। বর্তমানে বাংলাদেশ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রকল্প গ্রহণ করেছে। মানবসমাজকে এক ইতিবাচক রূপান্তরের দিকে নিয়ে যেতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মধ্যে এখনো নৈতিকতার ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়নি। তাই এর নেতিবাচক দিকগুলো আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নেতিবাচক দিকগুলো যথাযথভাবে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে মানুষ ও প্রযুক্তির এক শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান গড়ে তোলা সম্ভব।

5 months ago

বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি

✍️ বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি – সপ্তম শ্রেণি | NCTB অনুমোদিত ২০২৫

বাংলা ব্যাকরণ শেখা কি কঠিন মনে হয়?
এসো, SATT Academy–তে শিখি ব্যাকরণ ও ভাষা নির্মাণ–কে সহজ ও আনন্দময় উপায়ে!
এখানে তুমি পাবে NCTB অনুমোদিত পাঠ্যক্রম অনুযায়ী সাজানো প্রতিটি অধ্যায়ের সহজ ব্যাখ্যা, প্রশ্ন–উত্তর, লাইভ টেস্ট, ভিডিও সহ শিক্ষা, এবং PDF ডাউনলোড সুবিধা – সবকিছু এক প্ল্যাটফর্মে।


✅ এখানে যা থাকছে:

  • প্রতিটি অধ্যায়ের সহজ ভাষায় সংজ্ঞা, উদাহরণ ও ব্যাখ্যা
  • বর্ণ, শব্দ, বাক্য, পদ, কারক, বিভক্তি, ক্রিয়া, সন্ধি, সমাস ইত্যাদি বিষয়ের পরিষ্কার ধারণা
  • সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনী প্রশ্ন–উত্তর
  • লাইভ টেস্ট ও কুইজ – নিজেকে যাচাই করার সুযোগ
  • ভিডিও লেকচার ও অডিও পাঠ – ব্যাকরণে দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে
  • কমিউনিটি ফিচার – শিক্ষার্থীরা নিজের মতো ব্যাখ্যা ও প্রশ্ন যোগ করতে পারবে

📥 NCTB PDF ডাউনলোড লিংক (২০২৫):

🔗 বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি – সপ্তম শ্রেণি PDF ডাউনলোড
(সরকারি সাইট থেকে ডাউনলোড বা অনলাইনে পড়তে পারবেন)


👨‍🏫 এই কনটেন্ট কার জন্য উপকারী?

  • শিক্ষার্থীদের জন্য: ঘরে বসেই সহজভাবে ব্যাকরণ শেখার সুযোগ
  • শিক্ষকদের জন্য: ক্লাসে শেখানোর জন্য সাজানো উপকরণ
  • অভিভাবকদের জন্য: সন্তানকে গাইড করার উপযোগী রিসোর্স
  • প্রাইভেট টিউটরদের জন্য: টপিক ভিত্তিক সাজানো কনটেন্ট প্রস্তুত

⚙️ কীভাবে ব্যবহার করবেন?

  1. “বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি – সপ্তম শ্রেণি” সিলেক্ট করুন
  2. অধ্যায় নির্বাচন করে ব্যাখ্যা ও প্রশ্ন–উত্তর পড়ুন
  3. প্রয়োজন হলে বুকমার্ক করুন বা PDF ডাউনলোড করুন
  4. লাইভ কুইজে অংশগ্রহণ করে প্রস্তুতি যাচাই করুন
  5. আপনার মতামত বা ব্যাখ্যাও কমেন্টে শেয়ার করুন

✨ কেন SATT Academy?

  • ✅ বাংলা ব্যাকরণ শেখা এখন সহজ
  • ✅ ১০০% সিলেবাস কাভারেজ – NCTB ২০২৫ অনুসারে
  • ✅ ইন্টার‍্যাক্টিভ ফিচার: ভিডিও, কুইজ, নোটস
  • ✅ কমিউনিটি-সম্পাদিত কনটেন্ট
  • ✅ ফ্রি + প্রিমিয়াম সুবিধা, মোবাইল-ফ্রেন্ডলি ডিজাইন

🔍 সার্চ-সহায়ক কীওয়ার্ড:

  • বাংলা ব্যাকরণ সপ্তম শ্রেণি PDF
  • Bangla Grammar and Nirmiti Class 6
  • বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি প্রশ্ন উত্তর
  • NCTB Class 6 Grammar 2025
  • SATT Academy Bangla Grammar Class 6

🚀 আজই শুরু হোক ব্যাকরণ শেখার যাত্রা

SATT Academy–র সাথে ব্যাকরণ ও নির্মিতি শেখা হবে মজাদার, সহজ এবং পরীক্ষার জন্য একদম উপযোগী।
শুরু করুন বাক্য গঠন থেকে ভাষা নির্মাণ–এর রোমাঞ্চকর পথচলা আজ থেকেই।

🎓 SATT Academy – ভাষা শেখার স্মার্ট সঙ্গী।

Content added || updated By

Related Question

View More

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাধারণ শিক্ষার্থীদের দ্বারা সংঘটিত একটি স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন। মূলত কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা আন্দোলনটিই পরবর্তী পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রূপ নেয়। এরপর নানা ঘটনা পরিক্রমার মধ্য দিয়ে 'গত ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে তা চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করে। বাংলাদেশে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোট তিনবার কোটা সংস্কারের জন্য বড়ো ধরনের আন্দোলন সংঘটিত হয়। সরকারি চাকরিতে কোটা কমিয়ে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দানের দাবিতে এ আন্দোলনের সূচনা হলেও পরবর্তীকালে ছাত্র-জনতাকে হত্যা ও নির্যাতনের প্রেক্ষিতে তা সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে রূপ লাভ করে। বাংলাদেশে কোটাব্যবস্থা চালু হয় ১৯৭২ সালে। তখন সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১০ শতাংশ নারী, ১০ শতাংশ জেলা, ৫ শতাংশ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী এবং ১ শতাংশ ছিল প্রতিবন্ধী কোটা। সব মিলিয়ে ৫৬ শতাংশ কোটা ছিল যাতে মেধাবীদের কর্মসংস্থানে বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে। তাই এ ব্যবস্থা, সংস্কারের দাবিতে চাকরি প্রত্যাশী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু করে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আজ বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্য গৌরবোজ্জ্বল অংশ হয়ে উঠেছে। দীর্ঘ স্বৈরশাসনের কবলে পড়া দেশের মানুষ যখন নিরূপায়, হতাশ ও দিশাহারা ঠিক সেই সময় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরশাসনের এই পতন চিরকাল অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

2

জিআই পণ্য

(অনুচ্ছেদ রচনা)

Created: 5 months ago | Updated: 4 months ago
Updated: 4 months ago

জিআই পণ্য

জিআই হলো ভৌগোলিক নির্দেশক চিহ্ন। ইংরেজি জিআই (GI)-এর পূর্ণরূপ হলো Geographical Indication। একটি পণ্য কোনো শহর, অঞ্চল বা দেশে উৎপন্ন হয়ে যখন খ্যাতির শীর্ষে অবস্থান করে নেয় তখন উক্ত পণ্যকে ওই ভৌগোলিক এলাকার 'জিআই পণ্য' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। কোনো অঞ্চলের মাটি, পানি, আবহাওয়া ও সংস্কৃতি জিআই পণ্যটি উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বাংলাদেশে মোট ৫৫টি জিআই পণ্য রয়েছে। সর্বশেষ ঢাকাই ফুটি কার্পাস তুলার বীজ ও গাছ জিআই পণ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি 'জিআই পণ্য' হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া সংশ্লিষ্ট অঞ্চল ও দেশের জন্য যেমন গৌরবের তেমনি লাভজনকও বটে। জিআই হিসেবে পণ্যটি বিশ্ববাজারে খুব সহজে ব্র্যান্ডিং করা সম্ভব হয়। বাণিজ্যিকভাবে উক্ত পণ্যটি উৎপাদন করার অধিকার এবং আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত হয়। যখন কোনো নির্দিষ্ট পণ্য ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং মানুষের মুখে মুখে তা প্রচারিত হতে থাকে তখন সেই পণ্যটির প্রতি সবার আস্থা ও বিশ্বাস জন্মে। পণ্যটির ক্রয় ও ব্যবহারের গুরুত্ব বোঝাতেই জিআই সনদ দেওয়া হয় এবং সাথে সাথে উৎপাদন স্থানের নামও যুক্ত করা হয়। কেবল ঢাকার কারিগরেরাই জামদানি শাড়ি উৎপাদন করতে পারত বলে ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো এটি জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়।

3

জুলাই বিপ্লব: ২০২৪

(অনুচ্ছেদ রচনা)

Created: 5 months ago | Updated: 4 months ago
Updated: 4 months ago

জুলাই বিপ্লব: ২০২৪

২০২৪ সালে বাংলাদেশে যে অভূতপূর্ব বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন হয় সেটিই জুলাই বিপ্লব হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। ২০২৪ সালের ৫ জুন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর বাংলাদেশ সরকারের জারি করা কোটা সংক্রান্ত পরিপত্রকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়। আর এর প্রতিক্রিয়ায় নতুন করে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলন একপর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী অসহযোগ আন্দোলনে রূপ নেয়। এ আন্দোলন সারা দেশের শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ঢাকাসহ সারা দেশে আন্দোলন সহিংস হয়ে ওঠে। এসময় সারা দেশে কারফিউ জারি এবং ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই আন্দোলনে নারীদের উল্লেখযোগ্য পরিমাণে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে মুক্তিযুদ্ধ ছাড়া আর কোনো আন্দোলনে এত ব্যাপকতা ছিল না। এটি প্রথমে সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক আন্দোলন হিসেবে শুরু হলেও ক্ষমতাসীন তৎকালীন সরকারের বিরোধী সব রাজনৈতিক দলই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে। ফলে এটি আন্দোলন থেকে ক্রমান্বয়ে গণ অভ্যুত্থানে রূপান্তরিত হয়। পুরো জুলাই মাসজুড়ে আন্দোলন চললেও চূড়ান্ত পরিণতি আসে ৫ আগস্ট ২০২৪। সরকার পতনের মাধ্যমে এই আন্দোলন শেষ হয়।

4

দিনমজুর

(অনুচ্ছেদ রচনা)

Created: 5 months ago | Updated: 4 months ago
Updated: 4 months ago

দিনমজুর

দিনমজুর হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করে থাকেন। তারা সাধারণত কৃষিকাজ, নির্মাণকাজ এবং রাস্তাঘাট তৈরির মতো শ্রমসাধ্য কাজগুলো করে থাকেন। তাঁদের অনেকেই ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করেন। কেউ কেউ আবার সারাদিন রোদ, বৃষ্টি কিংবা শীত উপেক্ষা করেও কাজ করে থাকেন। তাঁদের জীবনযাত্রার মান সাধারণত নিম্নমানের হয়। তাঁদের জীবন অত্যন্ত কষ্টকর এবং অনিশ্চয়তায় ভরা। দিনমজুরদের উপার্জন সীমিত এবং তা দিয়ে পরিবারের সব চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয় না। অধিকাংশ দিনমজুর দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করেন। দৈনিক মজুরি দিয়ে তাদের পক্ষে পরিবার চালানো খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। যার ফলে তাঁদের সন্তানদের মৌলিক চাহিদাগুলো ঠিকমতো পূরণ হয় না। কখনো কখনো তাঁরা যখন কাজ পান না তখন তাঁদের না খেয়ে থাকতে হয়। একটি দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে দিনমজুরদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাঁদের কঠোর পরিশ্রম আমাদের দেশের উন্নয়ন ও অর্থনীতির চাকা সচল রাখলেও সমাজে তাঁরা সবসময় উপেক্ষিত থাকেন। তাঁদের জন্য সঠিক মজুরির ব্যবস্থা, বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা এবং সন্তানদের জন্য শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। পরিশেষে বলা যায়, একজন দিনমজুরের জীবনসংগ্রাম, পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আমাদের জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁদের অবদান রয়েছে। তাই তাঁদের প্রতি আমাদের সযমর্মিতা ও সম্মান প্রদর্শন করা উচিত। দেশ ও সমাজের প্রগতির জন্য তাঁদের জীবনমান উন্নয়নেও বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।

5

বৃক্ষমেলা

(অনুচ্ছেদ রচনা)

Created: 5 months ago | Updated: 4 months ago
Updated: 4 months ago

বৃক্ষমেলা

বৃক্ষমেলা হলো এমন একটি মেলা যেখানে বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা এবং চারাগাছ প্রদর্শন ও বিক্রির ব্যবস্থা থাকে। বৃক্ষমেলার মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষকে গাছ লাগাতে উৎসাহিত করা এবং পরিবেশ রক্ষায় সচেতন করে তোলা। একটি দেশের স্বাভাবিকভাবে প্রায় ৪০ শতাংশ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। সেখানে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হওয়া সত্ত্বেও আমাদের দেশে সেই পরিমাণে বনভূমি নেই। তাই বৃক্ষরোপণকে উৎসাহিত করতে প্রতি বছর আমাদের দেশে বৃক্ষমেলা আয়োজন হয়ে থাকে। বর্ষাকালে এই মেলার আয়োজন করা হয়, কারণ বর্ষাকাল গাছ লাগানোর পক্ষে অনুকূল সময়। বর্ষার সময়ের মাটির আর্দ্রতা চারাগাছের বৃদ্ধি এবং স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন শহর ও গ্রামে স্থানীয় প্রশাসন, পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্মিলিত হয়ে বৃক্ষমেলার আয়োজন করে থাকে। বৃক্ষমেলায় পাওয়া বিভিন্ন প্রকার গাছের মধ্যে রয়েছে ফলদ, বনজ, ঔষধি এবং শোভাবর্ধক গাছ। ফলদ গাছের মধ্যে পাওয়া যায় আম, কাঁঠাল, লিচু, নারিকেল, কলা, জাম্বুরা, আতা প্রভৃতি গাছ। বনজ গাছের মধ্যে রয়েছে মেহগনি, সেগুন, গামারি, শিশু ইত্যাদি, যা কাঠের জন্য বিখ্যাত এবং বনায়নের জন্য উপযুক্ত। ঔষধি গাছের মধ্যে তুলসী, নিম, অশ্বগন্ধা, ঘৃতকুমারী প্রভৃতি গাছ। এছাড়া, শোভাবর্ধনকারী গাছের মধ্যে রজনিগন্ধা, গাঁদা, বাগানবিলাস, কামিনী, ভালিয়া, গোলাপ, দোলনচাঁপাসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ পাওয়া যায়, যা আমাদের চারপাশের পরিবেশকে নান্দনিক করে তোলে। প্রতি বছর ৫ জুন বৃক্ষমেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গাছ নিয়ে আসেন বিভিন্ন নার্সারির মালিকেরা। প্রায় এক মাসব্যাপী এই মেলা চলে। বৃক্ষমেলা শুধু বৃক্ষ কেনাবেচারই জায়গা নয় বরং সচেতনতা সৃষ্টি এবং বৃক্ষের প্রতি আমাদের ভালোবাসার বীজ রোপণেরও একটি উপযুক্ত স্থান।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি

আবহমানকাল থেকেই আমাদের দেশে নানা ধর্মের, নানা জাতির, নানান পেশার মানুষ বসবাস করে আসছে। মতাদর্শের ভিন্নতা থাকা 'সত্ত্বেও এ দেশের মানুষ শত শত বছর ধরে সম্প্রীতি বজায় রেখে চলছে। এ দেশে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সব ধর্মের মানুষের ব্যাপক অংশগ্রহণ লক্ষ করা যায়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কারণেই এমনটি সম্ভব হয়েছে। এছাড়া বাঙালি হিন্দু-মুসলমান সংস্কৃতিও অনেকটাই কাছাকাছি। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে ধর্মীয় বিভেদ ভুলে সবাই এক হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, আমাদের হাজার বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের যে ইতিহাস রয়েছে তাতে জাতিগত ভিন্নতা তেমন প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারেনি। মহান মুক্তিযুদ্ধেও এ দেশের সব সম্প্রদায়ের মানুষ একটি স্বাধীন, সার্বভৌম ও অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার লক্ষ্যে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করেছে। জাতীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান, বিশেষ করে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন আমাদের দীর্ঘকালের অসাম্প্রদায়িক চেতনার বহিঃপ্রকাশ। তবুও বিভিন্ন সময়ে নানাভাবে দেশি-বিদেশি শক্তি এ সম্প্রীতিকে বিনষ্ট করার অপচেষ্টা করেছে। আজও সমাজের কিছু মানুষ ব্যক্তিস্বার্থে সম্প্রীতি বিনষ্টের মতো গর্হিত কাজ করে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নানা ধরনের হামলা তারই প্রমাণ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি শুধু একটি দেশের ঐক্যরক্ষার জন্যই জরুরি নয় বরং এটি সে দেশের সাংস্কৃতিক উন্নয়নের জন্যও অপরিহার্য। কেননা, নির্দিষ্ট কোনো সম্প্রদায়কে বাদ দিয়ে দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখে দিতে হবে। মনে রাখতে হবে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সৌহার্দ বজায় রেখে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তবেই আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি সুখী, শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণ হবে।

Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...