এর তাৎপর্য: দ্বারা কোন স্থানে ইলেক্ট্রন পাওয়ার সম্ভাবনাকে বোঝায় । কেননা যে স্থানে ইলেক্ট্রন তরঙ্গের তীব্রতা বা বিস্তার বেশী হয়, সেখানে তার মেঘ ঘনত্বও বেশি হবে। অর্থাৎ সে স্থানে ইলেক্ট্রনটি আনুপাতিক হারে বেশি অবস্থান করবে। আবার, সমগ্র স্থানে একটি ইলেক্ট্রনকে পাওয়ার সমষ্টি 1.
সুতরাং এতে প্রমাণিত হল যে, . এক্ষেত্রে ইলেক্ট্রনের শক্তি E এর একটি নির্দিষ্ট মানের জন্য এবং এক একটি তরঙ্গের বিস্তার ( এর) ফাংশন পাওয়া যায়। এরুপ ইলেক্ট্রনের তরঙ্গ ফাংশনগুলোকে অরবিটাল বলা হয় । প্রকৃত পক্ষে ইলেক্ট্রনের অরবিটালগুলো বিভিন্ন শক্তিস্তর প্রকাশ করে।
বোরের পরমাণু মডেলের অনেক সফলতা থাকলেও এর কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
বোরের পরমাণু মডেলের সীমাবদ্ধতা গুলি নিম্নরূপঃ
১. বোর পরমাণু মডেল এক ইলেকট্রন বিশিষ্ট হাইড্রোজেন পরমাণুর বর্ণালী ব্যাখ্যা করতে পারলেও একাধিক ইলেকট্রন বিশিষ্ট পরমাণুসমূহের বর্ণালী ... ্যাখ্যা করতে পারে না।
২. বোরের পরমাণু মডেল হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা নীতির পরিপন্থী।
৩. এ মডেল ইলেকট্রনের কণা ধর্ম ব্যাখ্যা করতে পারলেও তরঙ্গ ধর্ম ব্যাখ্যা করতে পারে না।
৪. এক শক্তিস্তর হতে অপর শক্তিস্তরে ইলেকট্রনের স্থানান্তর ঘটলে বোর পরমাণু মডেল অনুসারে বর্ণালীতে একটি করে রেখা সৃষ্টি হওয়ার কথা। কিন্তু পরবর্তীতে গবেষণা করে দেখা গেছে প্রতিটি রেখা একাধিক সূক্ষ্ম রেখায় বিভক্ত। এর ব্যাখ্যা বোর মডেল দিতে পারেনা।
৫. বোরের পরমাণু মডেল হতে পরমাণুর ত্রিমাত্রিক কাঠামো সম্পর্কে কোন ধারণা পাওয়া যায় না।
বোর পরমাণু মডেলের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এ মডেল পরমাণু স্থায়িত্ব ব্যাখ্যা করতে পারে।
এজন্য বোর পরমাণু মডেল সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।