কুরআন মজিদ আল্লাহ্ তায়ালার কালাম। কালাম অর্থ বাণী। আল্লাহ তায়ালা এই কালাম মহানবি (স)-এর কাছে নাজিল করেন। আমাদের মহানবি (স) হলেন সর্বশেষ নবি ও রাসুল। আর কুরআন মজিদ হলো সর্বশেষ আসমানি কিতাব।
পবিত্র কুরআন যেমন নাজিল হয়েছিল, তেমনি আছে। এ কিতাবের কোনো পরিবর্তন হয়নি, আর কোনো দিন কোনো প্রকার পরিবর্তন হবেও না।
আল্লাহ পাক বলেন, আমি কুরআন মজিদ নাজিল করেছি আর এর হেফাজতকারীও আমি।
মানুষের ভালো হওয়ার এবং কল্যাণ লাভের সব কথা, সব নিয়ম-নীতি আল্লাহ পাক কুরআন মজিদে ঘোষণা করেছেন। কুরআন মজিদ তিলাওয়াতের উদ্দেশ্য হলো চারটি ।
১. সহিহ-শুদ্ধভাবে তিলাওয়াত করা,
২. এর অর্থ বোঝা,
৩.আল্লাহ পাক যা আদেশ করেছেন তা পালন করা,
8. আল্লাহ পাক যা নিষেধ করেছেন তা থেকে বিরত থাকা।
মহানবি (স)-এর সাথীগণ এ উদ্দেশ্যগুলো সামনে রেখে কুরআন মজিদ তিলাওয়াত করতেন। আর এতে যা নির্দেশ রয়েছে তা পুরোপুরি মেনে চলতেন এবং যা করতে নিষেধ করা হয়েছে তা থেকে সম্পূর্ণভাবে বিরত থাকতেন। ফলে তাঁরা পৃথিবীর নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হয়েছিলেন।
একক কাজ : শিক্ষার্থীরা প্রত্যেকেই কুরআন মজিদ তিলাওয়াতের উদ্দেশ্য কী এর একটি তালিকা তৈরি করবে। এরপর মার্কার দিয়ে পোস্টার পেপারে সুন্দর করে লিখবে। বুঝে কুরআন মজিদ তিলাওয়াত করলে আমরা জানতে পারব আল্লাহ তায়ালার পরিচয়, নবি-রাসুলগণের পরিচয়, ফেরেশতাগণের পরিচয়, পরকালের পরিচয়। আমরা আরো জানতে পারব আমাদের সৃষ্টিকর্তা কে। আমাদের রিজিকদাতা কে। কে আমাদের পালনকর্তা। কে সর্বশক্তিমান। কে সবকিছুর মালিক। কে পরম দয়ালু। কে একমাত্র শান্তিদাতা।
আমরা আরও জানতে পারব আমাদের কাজকর্ম কিরূপ হওয়া উচিত। আমাদের চরিত্র কিরূপ হওয়া দরকার। আমরা এ দুনিয়ায় কার হুকুম মানব আর কার হুকুম মানব না। কিসে আমাদের সম্মান ও সফলতা আর কিসে আমাদের ব্যর্থতা ও লাঞ্ছনা।
পরিকল্পিত কাজ : কুরআন মজিদ বুঝে তিলাওয়াত করলে কী কী জানতে পারব তার একটি তালিকা শিক্ষার্থীরা তৈরি করবে।
আরও দেখুন...