দু-একটি ব্যতিক্রম ছাড়া পৃথিবীর সব কেন্দ্রীয় ব্যাংকই সাধারণত সরকারি মালিকানায় থাকে। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘বাংলাদেশ ব্যাংক' নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালে স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়। সার্বভৌমের প্রতীক হিসেবে এবং অর্থব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাবার জন্য একটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করা থেকে ১৯৭২ সালের ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির আদেশ ১২৭ নামে অধ্যাদেশের মাধ্যমে তৎকালীন স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের ঢাকাস্থ আঞ্চলিক ডেপুটি গভর্নরের কার্যালয়ে ব্যাংলাদেশ ব্যাংক কার্যক্রম শুরু করে। যদিও এই অধ্যাদেশ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি স্থায়ী ও কার্যকর কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসাবে ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারি মালিকানায় পরিচালিত এবং একটি পরিচালনা পর্ষদ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, যার নিবাহী প্রধান গভর্নর। ৪ জন ডেপুটি গভর্নর, ১২জন নির্বাহী পরিচালক এবং ১ জন অর্থনৈতিক উপদেষ্টা নির্বাহী প্রধানকে সহায়তা করে থাকেন। এছাড়া অন্যান্য কর্মকর্তার সমন্বয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালিত হয়ে থাকে। নিম্নে চিত্রের সাহায্যে ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার সাংগঠনিক কাঠামো উপস্থাপন করা হলো:
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকাণ্ডকে বিভাগভিত্তিক নিম্নলিখিতভাবে উল্লেখ করা যায়:
১. নোট ইস্যু বিভাগ
২. ব্যাংকিং বিভাগ
৩. হিসাব বিভাগ
৪. প্রশাসনিক বিভাগ
৫. ব্যাংকিং নিয়ন্ত্রণ বিভাগ
৬. ব্যাংকিং পরিদর্শন বিভাগ
৭. বিনিময় নিয়ন্ত্রণ বিভাগ
৮. পরিসংখ্যান বিভাগ
৯. সচিব বিভাগ
আরও দেখুন...