আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে এই সবকিছু নিয়েই আমাদের পরিবেশ। মানুষ, পশুপাখি, গাছপালা, মাটি, পানি, বায়ু, পাহাড়-পর্বত এ সবকিছুই আমাদের পরিবেশ। এগুলোকে প্রাকৃতিক পরিবেশ বলা হয়। তা ছাড়া ঘরবাড়ি, মসজিদ, মন্দির, বিদ্যালয়, হাসপাতাল, রাস্তাঘাট ইত্যাদি সামাজিক পরিবেশের অন্তভুক্ত। এগুলো মানুষ তৈরি করে এবং নিয়ন্ত্রণ করে। আমাদের বেঁচে থাকার জন্য এসব পরিবেশের প্রয়োজন ৷
পরিবেশ সংরক্ষণ করা একান্ত প্রয়োজন। কারণ পরিবেশ আমাদের ভারসাম্য রক্ষা করে ৷ বড় বড় গাছ কেটে আমরা দরজা, জানালা, ঘরের আসবাবপত্র ইত্যাদি তৈরি করি। তা ছাড়া লাকড়ি হিসেবেও ব্যবহার করি। পশুপাখির মাংস আমরা খাই। গাভী আমাদের দুধ দেয়। আমাদের সুস্থ শরীরের জন্য বায়ুর প্রয়োজন। বিদ্যালয়ে আমরা লেখাপড়া করি। মসজিদে আমরা ইবাদত করি। সালাত আদায় করি। পুকুর নদী ও জলাশয় থেকে আমরা মাছ পাই। রাস্তাঘাট আমাদের চলাচলের প্রধান ব্যবস্থা। মাঠে আমরা খেলা করি।এ জন্য পরিবেশ সংরক্ষণের গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা পরিবেশ সংরক্ষণ করব। পরিবেশ সংরক্ষণ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
আল্লাহর সকল সৃষ্টির মধ্যে মানুষ সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম। মানুষ পরিবেশ সংরক্ষণ করবে। পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য নিম্নোক্ত দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হয়।
ক) বৃক্ষ রোপণ করবে। বিনা প্রয়োজনে বৃক্ষ নিধন করা যাবে না। গাছের ডালপালা ভাঙা যাবে না। গাছের পাতা ছেঁড়া, নষ্ট করা যাবে না।
খ) অকারণে পশুপাখি ও কীটপতঙ্গ হত্যা করা যাবে না।
গ) যেখানে-সেখানে মলমূত্র ত্যাগ করা যাবে না ।
ঘ) যেখানে-সেখানে কফ, থুথু এবং ময়লা-আবর্জনা ফেলা যাবে না। নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে।
ঙ) গাড়ি ও কলকারখানার ধোঁয়া পরিবেশ দূষিত করে। তাই যেখানে-সেখানে কলকারখানা নির্মাণ করা যাবে না ।
চ) পুকুরে গরু-মহিষ গোসল করালে পানি দূর্গন্ধ ও দূষিত হয়। এতে পরিবেশ নষ্ট হয়। ভাই পুকুরে গরু-মহিষ গোসল করানো যাবে না।
ছ) ঘরবাড়ি, বিদ্যালয়, খেলার মাঠ ও রাস্তাঘাট সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
আরও দেখুন...