বাংলা ভাষায় এমন কতকগুলো শব্দ আছে যেগুলো পরস্পরের বিপরীত অর্থ প্রকাশ করে। পরস্পরের সম্পূর্ণ বিপরীত অর্থ প্রকাশক এসব শব্দকে বিপরীতার্থক শব্দ বলে।
ভাষার সৌন্দর্য সৃষ্টি এবং ভাব-প্রকাশের ব্যাপকতার জন্য এ জাতীয় শব্দ জানা জরুরি। নিচে কয়েকটি বিপরীতার্থক শব্দের নমুনা বাক্য সহযোগে তুলে ধরা হলো।
অধম - - উত্তম : তুমি অধম বলেই আমাকে উত্তম হতে হবে।
আয় – ব্যয় : আয় বুঝে ব্যয় কর।
উপকার – অপকার : কারও উপকার করতে না পারো, অপকার করো না।
ঊর্ধ্ব – নিম্ন : “ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল, নিম্নে উতলা ধরণীতল।”
কুৎসিত – সুন্দর : তোমরা তার বাইরের সুন্দর চেহারাটি দেখেছ, ভেতরের কুৎসিত মনটি দেখ নি।
খ্যাতি – অখ্যাতি : সেলিমের খ্যাতির সাথে সাথে কিছু অখ্যাতিও আছে।
গদ্য - পদ্য : আমি গদ্য লিখি, পদ্য লিখতে পারি না।
ঘটন – অঘটন : লেখকরা অঘটন ঘটন পটীয়সী প্রতিভা নিয়ে জন্মান।
চলা থামা : চলতে চলতে থামলে কেন?
জন্ম – মৃত্যু : জন্ম যখন নিয়েছি, মৃত্যু তো অবধারিত।
টক – মিষ্টি : বেণু টক খেতে পছন্দ করে, মিষ্টি মোটেই খায় না।
ঠাণ্ডা – গরম : গরমে গলা শুকিয়ে গেছে, একটু ঠাণ্ডা পানি খাওয়াবে?
ডান – বাম : রাস্তায় চলার সময় বামদিক দিয়ে চলবে, ডানদিক দিয়ে নয়।
ঢাকা – খোলা : খাবার ঢাকা দিয়ে না রেখে খোলা রেখেছ কেন?
তরল - কঠিন : তরল পানি জমে কঠিন বরফে পরিণত হয়।
দিন – রাত : ‘রাতে মশা দিনে মাছি, এই নিয়ে কলকাতায় আছি। ’
ধ্বংস – সৃষ্টি : “আমি সৃষ্টি, আমি ধ্বংস, আমি লোকালয়, আমি অবসান, . নিশাবসান৷ ”
নিরীহ – দুর্দান্ত : তাকে দেখে যতটা নিরীহ ভাবছ, ও ততটাই দুর্দান্ত।
পটু – অপটু : প্রকাশ কাজে যত অপটু, খাওয়ায় ততখানিই পটু।
প্রকাশ – গোপন - : সত্যি কখনো গোপন থাকে না, একদিন না একদিন প্রকাশ পাবেই।
ফর্সা – কালো : ফর্সা-কালোয় কিছু যায় আসে না, আমি একজন সৎ ও বিশ্বাসী বন্ধু চাই।
বড় – ছোট : ‘বড় যদি হতে চাও, ছোট হও তবে।'
ভেজা – শুকনো : তোমার ভেজা মাথাটা শুকনো তোয়ালে দিয়ে মুছে নাও ৷
যত - তত : ‘যত বড় মুখ নয়, তত বড় কথা!’
শূন্য - পূর্ণ : “শূন্যেরে করিব পূর্ণ, এই ব্রত বহিব সদাই।”
আরও দেখুন...