কক্ষে দরজার(Door) অবস্থান

এসএসসি(ভোকেশনাল) - আর্কিটেকচার ড্রাফট উইথ ক্যাড-১ - দ্বিতীয় পত্র (দশম শ্রেণি) | NCTB BOOK

নিচে কক্ষে দরজার অবস্থান ও বিবেচ্য বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হল-

দরজা কক্ষের একপাশে দেয়াল ঘেষে হলে ভালো হয়। যেন পায়া খুলতে জায়গার অপচয় না হয়।

কক্ষের মাঝে দরজা থাকলে কার্যকর জায়গা কমে যায় দরজা দেয়াল ঘেঁষে থাকায় কার্যকর জায়গা বেশি পাওয়া যায়

কক্ষে দরজার সংখ্যা কম হলে ভালো হয়। বিভিন্ন কারণে (বাথরুম, বারান্দার যাতায়াত) একাধিক দরজা প্রয়োজন হলে দরজা এমনভাবে নিতে হবে যেন আর দূরত্ব অতিক্রম করে বাতায়াত করা যায়।

  • কক্ষে দরজার অবস্থানের জন্য আসবাব সজ্জায় যেন অসুবিধা না হয় এজন্য প্রথমেই আসবাব সজ্জা কেমন হবে তা দেখে নিয়ে দরজা বসাতে হবে। কক্ষে কি কি আসবাব থাকবে তা বিবেচনা করে দরজার অবস্থান ঠিক করতে হবে।
  • যদি কোনো কারণে দরজা দেয়াল ঘেঁষে বসানো না যায় তবে দেয়াল থেকে এমন ভাবে বসানোর চেষ্টা করতে হবে যেন দূরত্বটি একটি আসবাবের চওড়ার সমান হয়। অর্থাৎ দরজার পাল্লার পিছনে দেয়াল ঘেঁষে মাঝখানে আলমিরা বা এ জাতীয় কোনো আসবার বসানো যায় ।
  • কক্ষে এমনভাবে দরজা বসাতে হবে যেন প্রধান প্রবেশ দ্বার বা মেইন ডোর থেকে বাড়িতে ঢুকতে কক্ষের ভিতর পর্যন্ত দেখা না যায় ।
  • লিভিং রুম বা বসার ঘর দিয়ে যেন প্রধান প্রবেশ দ্বার না হয়। বারান্দা বা ডাইনিং দিয়ে একটি আলাদা সার্ভিস দরজা থাকা আবশ্যক। আজকাল অ্যাপার্টমেন্ট বা বহুতল ভবনে একটি মেইন ডোর থাকে সেক্ষেত্রে ডাইনিং দিয়ে দেয়া যায়। কিন্তু দরজার পাল্লা এমন ভাবে খোলা উচিত যেন পাল্লা খুলে ঢুকার সময় বাড়ির ভিতর পাল্লা দিয়ে আড়াল হয়ে যায় ।
  • রান্নাঘরের দরজার অবস্থান এমন হবে যেন লিভিং রুম থেকে ভিতর পর্যন্ত দেখা না যায়, আবার মেইন ডোর থেকে কাছে কিন্তু আড়াল থাকে ।]
  • লম্বাটে বাথরুম এর দরজা রুমের মাঝ বরাবর বসাতে পারলে ভালো হয়। এতে রুমের একদিকে কমোড বা লং প্যান, অন্যদিকে রেইল (Rail) দিয়ে শাওয়ার বা গোসলের স্থান, মধ্যে বেসিনের ব্যবস্থা করলে রুমটি স্যাতস্যাতে হয় না। এছাড়া প্ল্যান/কমােেডর এর পাশে গোসলের অস্বস্তিবাধে হয় না ।
  • বারান্দার দরজা অবশ্যই রুমের ভিতরের দিকে না হয়ে বাইরের দিকে খুলতে হবে।
Content added By

আরও দেখুন...

Promotion