SATT ACADEMY

New to Satt Academy? Create an account


or
Log in with Google Account

গলগি বডির অপর নাম -

Created: 2 years ago | Updated: 1 year ago

গলজি বস্তুঃ নিউক্লিয়াসের কাছাকাছি অবিস্থিত ও দ্বিস্তরী ঝিল্লি দ্বারা আবদ্ধ ছোট নালিকা, ফোস্কা বা ল্যামেলির মত সাইটোপ্লাজমিক অঙ্গানুর নাম গলগি বডি বা বস্তু। মসৃন এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলাম হতে গলগি বস্তু সৃষ্টি হয়। ইতালীয় স্নায়ুতত্ত্ববিদ ক্যামিলো গলগি ১৮৯৮ সালে গলগি বডি আবিষ্কার করেন। তার নাম অনুসারেই গলগি বডির নামকরন করা হয়। একে কোষের প্যাকেজিং কেন্দ্র বলা হয়।

বিস্তৃতিঃপ্রোক্যারিওটিক কোষে এবং কিছু ছত্রাক, ব্রায়োফাইট,টেরিডোফাইটের শুক্রাণু,পরিণত সীভনল এবং প্রাণীর লোহিত রক্তকণিকায় গলজি বস্তু অনুপস্থিত। উদ্ভিদ কোষের সাইটোপ্লাজমে এরা বিক্ষিপ্ত অবস্থায় থাকে। প্রাণীকোষের নিউক্লিয়াস এর কাছাকাছি এরা অবস্থান করে।

 

কোষের ট্রাফিক পুলিশঃ
গলগি বডি কোষের কেন্দ্রেীয় অংশ থেকে ঝিল্লিবদ্ধ বস্তু বা ভেসিকল কোষের পরিধীর দিকে প্লাজমামেমব্রেন পর্যন্ত নিয়ে যায়। আবার গলগি বডি নিঃসৃত পদার্থের সংগ্রহ ও পরিবহনের ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখে। তাই গলগি বডিকে “কোষের ট্রাফিক পুলিশ” বলে।

কোষের কার্বোহাইড্রেট ফ্যাক্টরিঃ
গলগি বডিকে “কোষের কার্বোহাইড্রেট ফ্যাক্টরি” বলা হয়। কারন গলগি বডি কোষঝিল্লি নবায়ন ও কোষ প্রাচীর গঠনের মাধ্যমে কোষ বিভাজনে সাহায্য করে, গ্লাইকোপ্রোটিনের অলিগোস্যাকারাইডে পার্শ্ব শৃঙ্খল সংযুক্ত করে ও জটিল পলিস্যাকারাইড পদার্থের সংশ্লেষ ও নিঃসরন করে।


গলগি বডির গঠনঃ
গলজি বস্তু লিপোপ্রোটিন ঝিল্লি নির্মিত। এতে লেসিথিন ও ফসফোলিপিড থাকে। গলজিবস্তু এনজাইমে পরিপূর্ণ এছাড়া ফ্যাটি এসিড,ভিটামিন-c ও ক্যারোটিনয়েড থাকে। গলগি বডিতে তিন ধরনের গঠনগত উপাদান দেখা যায়। যথা-

• সিস্টারনিঃঅসমান দৈর্ঘ্যের লম্বা ও চ্যাপ্টা নালিকাসদৃশ (৩-৭টি) উপাদান গুলোকে সিস্টারনি বলে। এটি গলগি বডির সবচেয়ে স্থিতিশীল উপাদান।

•ভ্যাকুওলঃসিস্টারনির কাছে অবস্থিত গোলাকার থালার মত অংশ হলো ভ্যাকুওল। এটি এন্ডোপ্লাজমিক রেটিকুলামের প্রাচীর প্রসারিত করনের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়।

•ভেসিকলঃসিস্টারনির নিচের দিকের ক্ষুদ্র থলির মতো বস্তুগুলোকে ভেসিকল বলা হয়।

 

গলগি বডির কাজঃ
*এটি এনজাইম ও হরমোন নিঃসরনে সহয়তা করে।
*লিপিড সংশ্লেষন ও প্রোটিন ক্ষরন করে।
*কোষঝিল্লি নবায়ন ও কোষ প্রাচীর গঠনের মাধ্যমে কোষ বিভাজনে সাহায্য করে।
*শুক্রানু গঠনে অ্যাক্রোজোম সৃষ্টি করে ও বিপাকীয় কাজে সহয়তা করে।
*মাইটোকন্ড্রিয়াকে ATP উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ করে।
*লাইসোসোম তৈরি করে ও কোষস্থ পানি বের করে দেয়।
*বিভিন্ন পলিস্যাকারাইড সংশ্লেষন ও পরিবহনে অংশ নেয়।
*প্রোটিন ও ভিটামিন-সি সঞ্চয় করে।
*লাইসোজোম গঠন করে।

Content added || updated By

Related Question

View More
Promotion
Content for the offcanvas goes here. You can place just about any Bootstrap component or custom elements here.