নগদ অর্থ ও মুনাফার মধ্যে সম্পর্ক কিরূপ?
সমাজ-সভ্যতার ক্রমবিকাশ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে ব্যবসা-বাণিজ্যের কার্যপরিধিও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পণ্য-বাজারে নানামুখী প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হয়েছে। এই প্রতিযোগিতায় মুনাফা অর্জন করতে হলে একজন ব্যবসায়ীকে সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে অর্থের সদ্ব্যবহার করতে হয়, যেন উৎপাদন বা বিক্রয় খরচ ন্যূনতম রাখা সম্ভব হয়। এতে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানটি সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জনে সফলকাম হয়। সে উদ্দেশ্যে সকল প্রতিষ্ঠান তার বিনিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত উৎস থেকে সংগ্রহ করে এবং পণ্য-বাজারের বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে সর্বোত্তম প্রকল্পে তহবিল বিনিয়োগ করে। ফলে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে অর্থের আগমন ও নির্গমনপ্রবাহ সৃষ্টি হয়। অর্থায়ন, অর্থের এই প্রবাহকে সুচারুভাবে নিয়ন্ত্রণ করে । অর্থায়নের নানাবিধ নীতি এই নিয়ন্ত্রণ-প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত হয়। অর্থায়ন ব্যবস্থাপনা একজন ব্যবসায়ীকে স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগ করেও অধিক মুনাফা অর্জনে সহায়তা করে। বর্তমানে অর্থায়নকে ব্যবসায় ব্যবস্থাপনার সহায়ক প্রক্রিয়া হিসেবে ব্যবহার না করে বরং ব্যবসার মূল চালিকাশক্তি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
এই অধ্যায় পাঠ শেষে আমরা-
১.১ অর্থায়নের সংজ্ঞা বর্ণনা করতে পারব।
১.২ অর্থায়নের ক্রমবিকাশের ধারা বর্ণনা করতে পারব।
১.৩ অর্থায়নের শ্রেণিবিভাগ বিশ্লেষণ করতে পারব। ১.৪ অর্থায়নের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে পারব।
১.৫ অর্থায়নের নীতি ব্যাখ্যা করতে পারব।
১.৬ আর্থিক ব্যবস্থাপকের কার্যাবলি বর্ণনা করতে পারব।