কোনটির সুরক্ষার মাধ্যমে বয়ঃসন্ধিকালে মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখা সম্ভব?
শরীরের যেসব অঙ্গ সন্তান জন্মদানের সঙ্গে সরাসরি জড়িত, সেসব অঙ্গের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয়কে প্রজনন স্বাস্থ্য বলে। অনেকে মনে করেন, প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে শুধু মেয়েরাই জানবে। এটি একটি ভুল ধারণা। একটি শিশু সে ছেলে কিংবা মেয়ে যে-ই হোক না কেন, জন্ম থেকে শুরু করে জীবনের প্রতিটি স্তরেই তার সাধারণ স্বাস্থ্যের পাশাপাশি প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন। তাই প্রজনন স্বাস্থ্য কী এবং তা কীভাবে রক্ষা করা যায় সে বিষয়ে সবারই জানা প্রয়োজন। বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেমেয়েদের প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে কোনো ধারণা না থাকার কারণে তারা স্বাস্থ্যসংক্রান্ত অনেক জটিলতার সম্মুখীন হয়। কাজেই এই বয়সের কিশোর-কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্যরক্ষার প্রয়োজনীয়তা জানতে হবে। পূর্ববর্তী অধ্যায় ও বিভিন্ন পাঠে এটা জানা গেছে যে হরমোনজনিত কারনে বয়ঃসন্ধিকালে ছেলে ও মেয়েদের কিছু শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন ঘটে। বয়ঃসন্ধিকালে এই অতি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের সময় থেকেই প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে বিশেষভাবে সচেতন হতে হবে। কারণ, এ সময়েই একটি ছেলে ও একটি মেয়ের শরীর যথাক্রমে পুরুষ ও নারীর শরীরে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। আর এ সময় থেকেই একটি ছেলে ও মেয়ের নিজেদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য প্রজনন স্বাস্থ্যের সুরক্ষা অত্যন্ত গুরুপূর্ণ। তাছাড়া ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য প্রত্যেকেরই প্রজনন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা প্রয়োজন ।
এ অধ্যায় পাঠ শেষে আমরা-
• প্রজনন স্বাস্থ্যরক্ষার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করতে পারব;
• প্রজনন স্বাস্থ্যসংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধিগুলো ব্যাখ্যা করতে পারব;
• অপরিণত বয়সে গর্ভধারণের ফলাফল বিশ্লেষণ করে এর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারব;
• প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধিগুলো নিয়মিত পালন করে নিজেকে সুস্থ ও সুরক্ষিত রাখতে পারব।
পাঠ-১ : প্রজনন স্বাস্থ্যসংক্রান্ত ধারণা : একটি শিশু যখন জন্মগ্রহণ করে, তখন থেকে সে ক্রমান্বয়ে বড় হয়ে উঠে। শিশুটি বয়সের বিভিন্ন স্তর অতিক্রম করে বড় হয়। তাকে শৈশব, কৈশোর, যৌবন, প্রৌঢ়ত্ব প্রতিটি স্তর পার হয়ে আসতে হয়। শৈশব থেকে কৈশোরে পদার্পণকালে তার শারীরিক ও মানসিক নানারকম পরিবর্তন ঘটে। এ সময়টা হচ্ছে বয়ঃসন্ধিকাল। বয়ঃসন্ধিকালে একটি ছেলে বা মেয়ে যৌবনে পদার্পণ করে । এ সময় শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সুষম বিকাশ সাধন হয়। শরীরের যেসব অঙ্গ সন্তান জন্মদানের সাথে সম্পর্কিত, সেগুলো সুস্থভাবে গঠিত ও বিকশিত হয়ে উঠে। প্রজনন হচ্ছে সন্তান জন্মদানের একটি প্রক্রিয়া। শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক কল্যাণের জন্য প্রজনন প্রক্রিয়া সম্পাদনের বিষয়টি খুবই গুরত্বপূর্ণ। তাই নিরাপদ ও সুস্থ্য জীবনযাপনের জন্য প্রত্যেকেরই এ সম্পর্কে মৌলিক জ্ঞান থাকা জরুরি ।
প্রজনন স্বাস্থ্যরক্ষার প্রয়োজনীয়তা : প্রজনন স্বাস্থ্যরক্ষার প্রথম কথা হলো বয়ঃসন্ধিকালে শরীর বৃদ্ধির পাশাপাশি যেসব শারীরিক পরিবর্তন ঘটে, সে বিষয়ে একটি কিশোর বা কিশোরীর করণীয়সমূহ কী তা ভালোভাবে জেনে নেওয়া এবং সে অনুযায়ী নিজেকে লালন করা। এ সময় পুষ্টিকর খাবার খাওয়া ও প্রচুর পানি পান করা এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা প্রয়োজন। কোনো শারীরিক জটিলতা দেখা দিলে স্বাস্থ্যকর্মী বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
আমাদের দেশে প্রতিবছর সন্তান জন্মদান করতে গিয়ে অনেক মা মৃত্যুবরণ করেন। এর কারণ আমাদের দেশের অনেক মেয়েরই অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে হয় ও সন্তান ধারণ করে। ফলে সে বিভিন্ন প্রকার রোগে আক্রান্ত হয় এবং তার স্বাস্থ্য ভেঙে যায়। এতে পরিবারে আর্থিক কষ্ট ও অশান্তি নেমে আসে। পরিণত বয়সে একটি মেয়ের বিয়ে হলে সে শারীরিক সুস্থতা সম্পর্কে সচেতন হয় আবার গর্ভধারণের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত হয়। পরিণত বয়সে বিয়ে হলে এবং ২০ বছরের পর গর্ভধারণ করলে প্রসূতি মা ও শিশুর মৃত্যুর ঝুঁকি কম থাকে। তবে ঘন ঘন সন্তান নিলে মা ও শিশুর জীবন ঝুঁকির সম্মুখীন হয়। এই ঝুঁকি কমানোর জন্য সন্তান জন্মদানের মধ্যে বিরতি দিতে হবে। উপরোক্ত নিয়ম মেনে চললে প্রজনন স্বাস্থ্যের সুস্থতা বজায় থাকবে এবং নবজাতক স্বাস্থ্যবান ও নীরোগ হবে। ফলে পরিবারে ও সমাজে শান্তি বিরাজ করবে।
প্রজনন স্বাস্থ্যসংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি : পূর্ববর্তী পাঠে আমরা প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে জেনেছি। নিরাপদ ও উন্নত জীবনযাপনের জন্য প্রত্যেকেরই প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে মৌলিক জ্ঞান থাকা আবশ্যক। কারণ, মানুষের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের একটি বিশেষ অংশ হচ্ছে প্রজনন স্বাস্থ্য। কাজেই প্রজনন স্বাস্থ্য-জ্ঞানের অভাবে নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়। কিশোর-কিশোরীরা কিছু না বুঝে তাদের প্রজনন অঙ্গের রোগ গোপন করে বিভিন্ন সমস্যায় ভোগে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কৈশোরকালে মেয়েদের ও ছেলেদের দ্রুত শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন ঘটে। ফলে তাদের মধ্যে ভয়, কৌতূহল ও আবেগের সৃষ্টি হয়। আবেগতাড়িত হয়ে তারা অনেক সময় ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে নিজেদের ক্ষতি করে বসে। প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা ও জ্ঞান থাকলে এসব সমস্যা এড়ানো সম্ভব হয়। প্রজনন স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ উপাদান -
১। উপযুক্ত বয়সে গর্ভধারণ : প্রজনন স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য মেয়েদের ২০ বছর বয়সের আগে গর্ভধারণ করা উচিত নয়। উপযুক্ত বয়সে গর্ভধারণ করলে মা ও শিশু উভয়ই সুস্থ থাকে ।
২। নিরাপদ মাতৃত্ব : মা ও শিশুর জীবন নিরাপদ রাখার জন্য গর্ভবর্তী মাকে চলাফেরায় সাবধানতা অবলম্বন করা উচিৎ। কোনো ভারী জিনিষ উঠানো বা নামানো উচিৎ না । এছাড়া শারীরিক কোনো সমস্যা দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ।
৩। প্রজননকালীন সতর্কতা : গর্ভের শিশুর পুষ্টি এবং গর্ভবতী মায়ের সুষম খাদ্য গ্রহণ প্রভৃতি বিষয়গুলো প্রজনন স্বাস্থ্যের সাথে সম্পর্কিত। এই সকল বিষয়ের উপর যত্নশীল হলে তবেই একটি সুস্থ সন্তান জন্ম দেওয়া সম্ভব।
৪। প্রজননতন্ত্রের বিভিন্ন রোগের সেবা ও রোগ প্রতিরোধ : প্রজননতন্ত্রে যেকোনো রোগ আক্রমণ করলে তার চিকিৎসা ও প্রতিরোধ করার জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এর মধ্যে আছে সংক্রামক রোগ, যৌনরোগ, প্রজনন অঙ্গের ক্যান্সারসহ সবরকম রোগ, এইডস ইত্যাদি।
কাজ-১ : প্রজনন স্বাস্থ্য রক্ষায় কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে কী কী সমস্যা হয় তা বাড়ি থেকে লিখে এনে শ্রেণিতে উপস্থাপন করবে। |
ক্রমিক নং | প্রজনন স্বাস্থ্য রক্ষায় করণীয়সমূহ | না করলে সৃষ্ট সমস্যাসমূহ |
১. ২. ৩. ৪. ৫. ৬. |
পাঠ-২ : গর্ভধারণ— মানব শিশু জন্মের পূর্বে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মায়ের গর্ভে থাকে। একে গর্ভধারণ বলে । একটি মায়ের গর্ভে যখন সন্তান আসে, তখন তাকে গর্ভবতী বলে। গর্ভধারণ এর সময় একটি মেয়ের শরীরে বেশ কিছু লক্ষণীয় পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়। সন্তান গর্ভে এলেই শুধু শরীরের এই বিশেষ পরিবর্তন ঘটে। গর্ভের শিশু ভূমিষ্ট হওয়ার পরে মেয়েদের শরীর আবার স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে ।
পরিণত বয়সে গর্ভধারণ : বিয়ের বয়স বলতে মেয়েদের কমপক্ষে ১৮ বছর এবং ছেলেদের কমপক্ষে ২১ বছরকে বোঝায়। তবে ২০ বছর বয়সে গর্ভধারণ হলে গর্ভবতী মায়ের শারীরিক ও মানসিক জটিলতা তেমন দেখা যায় না। এ সময়ে যেসব শারীরিক সমস্যা দেখা যায়, তা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চললে দূর হয়ে যায় এবং যথাসময়ে একটি সুস্থ শিশু জন্ম নেয় ।
অপরিণত বয়সে গর্ভধারণের পরিণতি : একটি মেয়ের অপরিণত বয়সে বিয়ে হলে তার মা হওয়ার মতো শারীরিক পূর্ণতা ও মানসিক পরিপক্বতা থাকে না। কম বয়সে বিয়ে হলে যেসব মেয়েরা মা হয় তারা নানা রকম মানসিক ও শারীরিক জটিলতায় ভোগে। কারণ এ বয়সে মেয়েদের শারীরিক বৃদ্ধি ও গঠন সম্পূর্ণ হয় না। এ ছাড়া অপরিণত বয়সের একটি মেয়ের সন্তানধারণ ও জন্মদান সম্পর্কে সঠিক কোনো ধারণা থাকে না । অপরিণত বয়সে গর্ভধারণ করলে শুধু যে মেয়েটিই শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা নয়, সদ্যোজাত শিশুর জীবনও ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এতে ঐ পরিবার মানসিক ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং সমাজেও এর প্রভাব পড়ে।
অপরিণত বয়সে গর্ভধারণের ফলে সৃষ্ট সমস্যা :
১. স্বাস্থ্যগত সমস্যা- অপরিণত বয়সে গর্ভধারণের ফলে গর্ভাবস্থায় রক্তক্ষরণ, শরীরে পানি আসা, প্রচণ্ড মাথাব্যথা, চোখে ঝাপসা দেখা, জ্বর, খিচুনি, গর্ভপাত ইত্যাদি ঘটে থাকে। ফলে মা ও সন্তানের মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যায়। অপরিণত বয়সে গর্ভধারণ রোধ করতে পারলে এসব অকাল মৃত্যু থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। তাছাড়া এ বয়সে গর্ভবতী হলে সন্তানের বেড়ে উঠার জন্য গর্ভে পর্যাপ্ত জায়গা থাকে না । ফলে কম ওজনের শিশু জন্ম নেয়। অনেক সময় গর্ভে পূর্ণতা লাভের আগেই সন্তানের জন্ম হয় এবং জন্ম থেকেই নানা রকম শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। এসব শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে ।
২. শিক্ষাগত সমস্যা— বিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে কোনো মেয়ের বিয়ে হলে এবং গর্ভধারণ করলে সে লজ্জায় আর বিদ্যালয়ে যায় না। সে মানসিক অশান্তিতে ভোগে। শারীরিক পরিবর্তনের কারণে চলাফেরায় সমস্যা হয় এবং একপর্যায়ে পড়াশোনা ছেড়ে দেয় ।
৩. পারিবারিক সমস্যা- অপরিণত বয়সে গর্ভধারণের ফলে মেয়েরা সুস্থভাবে ঘরের কাজকর্ম করতে পারে না। ঘনঘন অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণে পরিবারে অশান্তি নেমে আসে ।
৪. আর্থিক সমস্যা- অপরিণত বয়সের মেয়েরা গর্ভধারণ করলে অনেক বেশি শারীরিক জটিলতায় ভোগে ।
গর্ভধারণের পুরো সময়টায় ডাক্তারের পরামর্শমতো চলতে হয়। পুষ্টিকর খাবার খেতে হয়। ডাক্তার,
ওষুধপত্র ও পুষ্টিকর খাদ্যদ্রব্য ক্রয়ের জন্য বেশ অর্থের প্রয়োজন হয়, যা একটি পরিবারকে আর্থিক
সমস্যায় ফেলে দেয়।
অপরিণত বয়সে গর্ভধারণ প্রতিরোধ : বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনে মেয়েদের বিয়ের জন্য বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর, আর ছেলেদের ক্ষেত্রে হবে ২১ বছর। একে পরিণত বয়স ধরা হয়। বিয়ের বয়স হওয়ার আগে ছেলে মেয়ের বিয়ে দেওয়া হলে তা হবে আইনের দৃষ্টিতে অপরাধ। কাজেই আইন মেনে অপরিণত বয়সে ছেলেমেয়ের বিয়ে না হলে অপরিণত বয়সে গর্ভধারণের কোনো সুযোগ থাকবে না। অপরিণত বয়সে গর্ভধারণে যেসব জটিলতার সৃষ্টি হয় সে সম্পর্কে ব্যাপক প্রচারণার প্রয়োজন। সংবাদপত্র, রেডিও, টেলিভিশন, নাটক, গান প্রভৃতির মাধ্যমে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। বাল্যবিবাহ বন্ধে সরকারি-বেসরকারি প্রচেষ্টায় সবাইকে সম্পৃক্ত করতে হবে। সভা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ প্রভৃতির মাধ্যমে অপরিণত বয়সে গর্ভধারণকে নিরুৎসাহিত করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করতে হবে।
কাজ-১ : অপরিণত বয়সে গর্ভধারণের সমস্যাসমূহ এবং তার সমাধানমূলক প্রতিকার নিচের ছকে লেখ । |
সমস্যাসমূহ | সমস্যা সমাধানের উপায় |
১। | ১। |
২। | ২। |
৩। | ৩। |
৪। | ৪। |