এশিয়ার দক্ষিণভাগ দিয়ে অতিক্রম করেছে-
বিষুব রেখা
পৃথিবীর নিরক্ষরেখা দিয়ে গমনকারী কল্পিত সমতলটির সূর্যের কেন্দ্রকে অতিক্রমকালীন মুহূর্তের জ্যোতি:বিষয়ক ঘটনাটিকে সাধারণভাবে বিষুব বলা হয়।[১] অর্থাৎ বিষুব হল নিরক্ষরেখা উপরে সূর্যের উলম্ব অবস্থান তথা নিরক্ষরেখায় সৌরপাদ বিন্দুর আগমনই। অন্যকথায় বলা যায়, নিরক্ষরেখায় অবস্থানকারী কোন ব্যক্তি যে মুহূর্তে ঠিক তার মাথার উপরে সূর্যকে দেখবেন সে মুহূর্তটিই বিষুব।[২] প্রতি বছর সূর্যের একবারকরে উত্তরায়ণ ও দক্ষিণায়ন ঘটায় সূর্য প্রতি বছরে দুবার নিরক্ষরেখাকে অতিক্রম করে। ফলে প্রতিবছর দুটি বিষুব ঘটে। যথা:—
মার্চ মাসে মহাবিষুব এবং
সেপ্টেম্বর মাসে জলবিষুব
বিষুব শব্দটি ইংরেজি Equinox এর পারিভাষিক শব্দ। Equinox শব্দটি ল্যাটিন aequinoctium ( aequus + nox) থেকে এসেছে। ল্যাটিনে aequus অর্থ সমান এবং nox অর্থ রাত। ব্যুৎপত্তিগতভাবে equinox অর্থ সমান রাত অর্থাৎ এদিন পৃথিবীতে দিন-রাত সমান। বাস্তবে সূর্যের কৌণিক আকার ও বায়ুমণ্ডলে আলোর প্রতিসরণের কারণে দিন-রাত একেবারে সমান সমান না হয়ে ১২ ঘণ্টার খুব কাছাকাছি হয় মাত্র।
উত্তর গোলার্ধে মহাবিষুবকে বসন্ত বিষুব এবং জলবিষুবকে শারদীয় বিষুব বলা হয়। বিপরীতক্রমে দক্ষিণ গোলার্ধে মহাবিষুবকে শারদীয় ও জলবিষুবকে বসন্ত বিষুব বলা হয়। আবার উত্তরায়ণের সময় মহাবিষুব ঘটে বলে একে উত্তরাভিমুখী বিষুব এবং একইভাবে জলবিষুবকে দক্ষিণাভিমুখী বিষুবও বলা হয়। পঞ্জিকা বছর ও সৌর বছরের মধ্যে পার্থক্যের ফলে বিষুব দুটি কোন নির্দিষ্ট তারিখে ঘটে না। মহাবিষুব মার্চ মাসের ১৯ থেকে ২১ তারিখের মধ্যে যে কোন দিন এবং জলবিষুব সেপ্টেম্বর মাসের ২১ থেকে ২৪ তারিখের মধ্যে যেকোন দিন ঘটতে পারে।