জালাল সাহেবের বাবার উচ্চ রক্তচাপ ছিল। এজন্য তিনি মনে করেন তারও উচ্চ রক্তচাপ আছে।
রহিমের বয়স ৩৫ বছর। সে বেশ কর্মঠ। সে মোটামুটি দিনে ১২-১৪ ঘণ্টা কাজ করে। হঠাৎ একদিন অফিসে কাজ করার সময় তার মাথা ঘুরে উঠল। সেই সাথে মাথা ও ঘাড় ব্যথা শুরু হলো। সে ডাক্তার দেখাল, ডাক্তার তার রক্তের চাপ পরীক্ষা করে তাকে অতিরিক্ত পরিশ্রম ও দুঃশ্চিন্তা কমাতে বলেন এবং খাদ্য (তৈলাক্ত, লবণযুক্ত, অধিক ক্যালরিযুক্ত) নিয়ন্ত্রণেরও পরামর্শ দিলেন।
রিয়াদ বেশ কিছু দিন যাবৎ অসুস্থতায় ভুগছে। তার খাদ্যে অরুচি, বমি ভাব, পেট ব্যথা। ডাক্তার তাকে দেখার পর বললেন লিভারের সমস্যা আছে। এজন্য মাঝে মাঝে তার হজমে সমস্যা হয়।
রিয়ার মেয়ে লিয়া জন্মের পর বুকের দুধ খাচ্ছিল। জন্মের ৭ দিন পর থেকেই সে বমি ও পাতলা পায়খানা করছে। কিন্তু তার বোন কেয়ার মেয়ে সাকী ৬ বছর বয়সের। সে গতরাত থেকে পাতলা পায়খানা ও বমি করছে। তার মা বলল সে গতরাতে ফ্রিজে রাখা শশা খেয়েছে।
নাজনিন জণ্ডিসে আক্রান্ত। নাজনিনের মা তার উপযোগী খাদ্য তৈরি করে খেতে দেন। কারণ তিনি জানেন স্বাভাবিক অবস্থায় আমাদের খাদ্য পরিকল্পনা আর রোগাক্রান্ত অবস্থার খাদ্য পরিকল্পনা ভিন্ন হয়।
হাসান সাহেবের মাঝে মাঝে মাথা ও ঘাড় ব্যথা হয় এবং তিনি ক্লান্তিবোধ করেন। ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার তার খাদ্যে লবণের পরিমাণ কমাতে বলেন।
কোহিনুর বেগম বুকে ব্যথা ও প্রচুর ঘাম হওয়া সমস্যা নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলেন। ডাক্তার তাকে এটি হৃদরোগের লক্ষণ বললেন। তিনি কোহিনুর বেগমকে একদিনের একটি খাদ্য পরিকল্পনাও তৈরি করে দিয়েছেন।
রায়হান সাহেব ডায়াবেটিস রোগী। তিনি কোনো নিয়ম মেনে চলেন না। তিনি মিষ্টি জাতীয় খাবার বেশি খান। কিন্তু শাকসবজি, ফলমূল একদম খান না।
সায়মার চোখ ও ত্বক হলুদ হয়ে গেছে। সেই সাথে জ্বর জ্বর ভাব রয়েছে। সে কিছু খেতে চায় না। মা ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে ডাক্তার তার রোগ শনাক্ত করে উপযুক্ত পথ্য গ্রহণের পরামর্শ দেন।
দুই দিন যাবত নিরবের তলপেটে ব্যথা হয়। বার বার পায়খানার বেগ হয়। সারাদিনে তার ১০-১২ বার পায়খানা হয়। তার মা তার পথ্যের ব্যবস্থা করেছেন।
রাফি শাকসবজি খেতে চায় না। সে পানিও খুব কম খায়। সে ৪/৫ দিন পর পর মলত্যাগ করে।
আজহার সাহেব আলসারে আক্রান্ত। তিনি কোনো নিয়ম মেনে চলেন না। ভাজা ও মসলাযুক্ত খাবার, চা-কফি অনেক বেশি পরিমাণে খেয়ে থাকেন। ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার তাকে বললেন তিনি পাকস্থলির ক্ষয়জনিত রোগে আক্রান্ত।
Read more