দৃশ্যপট-১: রাইয়্যান সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত। যৌবনকালে পাড়াপ্রতিবেশীর সাথে খুব ভালো সখ্যতা গড়ে তুলেছে। মাঝে মাঝে সে অপর প্রতিবেশী সম্পর্কে নিছক ধারণা থেকে মিথ্যাচার করে।
দৃশ্যপট-২: রফিক কলেজে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে অধ্যয়নরত। সে উম্মাহর ঐকমত্য নিয়ে গবেষণা করছে। সম্প্রতি তার একটি গবেষণাপত্র আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
মিথ্যাচার করা মুনাফিকের স্বভাব। মুনাফিক বলতে তাদেরকে বোঝায়, যারা মৌখিকভাবে ইমানের ঘোষণা দেয়, নামাজ, রোজাও পালন করে, কিন্তু অন্তরে কুফরি পোষণ করে। এদের মুখের ভাষা এক রকম কিন্তু অন্তর অন্যরকম। উদ্দীপকের দৃশ্যপট-১ এ দেখা যায় রাইয়্যান এ স্বভাবের অধিকারী।
উদ্দীপকের রাইয়্যান মিথ্যাচারের মাধ্যমে মুনাফিকি করে। সুরা আল বাকারায় দ্বিতীয় রুকুতে আল্লাহ তায়ালা মুনাফিকদের করুণ পরিণতির কথা তুলে ধরেছেন। মুনাফিকরা ইমান আনার কথা বলে আল্লাহ ও মুমিনদের ঠকাতে চায়। কিন্তু তাদের এ কাজের কারণে নিজেরাই ঠকে। তাদের এরূপ কাজের কারণে দুনিয়া ও আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। প্রকৃতপক্ষেই মুনাফিকদের অন্তরে থাকে নিফাক, কুফর, শিরকের ব্যাধি। তাদের এসব স্বভাবের কারণে পাপপ্রবণতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। ফলে তারা আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমত থেকে বঞ্চিত হয়। তারা পৃথিবীতে অসম্মান ও অবিশ্বাসের পাত্রে পরিণত হয়। তাছাড়া পরকালীন জীবনেও তাদের কল্পনাতীত শাস্তি পেতে হবে। হাদিসেও নবি (স) মুনাফিকদের শাস্তির কথা বর্ণনা করেছেন। তাছাড়া মুনাফিকদের তিনটি গুণের মধ্যে মিথ্যাচার একটি। মিথ্যাচারকে মহানবি (স) সব পাপের মূল হিসেবে অবহিত করেছেন।
ওপরের আলোচনার আলোকে বলতে পারি, রাইয়্যান মিথ্যাচার করার মাধ্যমে মুনাফিকির স্বভাব পোষণ করছে। যার জন্য পরকালে তাকে কঠোর শাস্তি পেতে হবে।