Academy

কখনো কখনো সমাজে এমনও সমস্যা দেখা দেয় যার সমাধানে কুরআন ও হাদিস থেকে কোন সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় না। তখনো সমাজের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার স্বার্থে কোনো না কোনো উপায় বের করতেই হয়। কারণ, সমাজ শান্ত ও স্বাভাবিক থাকলেই কেবল মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।

উক্ত সমাধান দাতাদের যোগ্যতা বর্ণনা করো। (প্রয়োগ)

Created: 4 months ago | Updated: 4 months ago
Updated: 4 months ago

ইজমা গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য ইজমাকারীদের কতিপয় যোগ্যতা আবশ্যক। ইজমা শরিয়তের ৩য় উৎস। কুরআন ও হাদিসে কোনো মাসয়ালার সমাধান পাওয়া না গেলে প্রথমত ইজমার মাধ্যমে সে সমস্যার সমাধান করা হয়। ইজমা করার জন্য ইজমাকারীর কতিপয় যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।

উদ্দীপকে কুরআন ও হাদিসে সমাধান পাওযা যায় না এমন সমস্যার সমাধানে কোনো একটি উপায় বের করার দ্বারা ইজমার কথা বলা হয়েছে। ইজমার গ্রহণযোগ্যতা নির্ভর করে এর আহল বা ইজমাকারীদের যোগ্যতা ও ইজমা করার পদ্ধতির ওপর। ইজমা করার যোগ্যতা সম্পন্ন ইজমাতে অংশগ্রহণকারীদের পক্ষে অবশ্যই মুজতাহিদ হওয়া প্রয়োজন। আর মুজতাহিদ তাকেই বলে, যিনি নিজের বিবেকবুদ্ধিকে অধ্যাবসায় ও আন্তরিকতার সাথে কাজে লাগিয়ে কুরআন ও হাদিসের আওতার মধ্য থেকে স্বাধীনভাবে কোনো জটিল বিষয়ে সমাধান দিতে সমর্থ হন। ইজমাকারীদের যোগ্যতা তথা কাদের ইজমা ধর্তব্য হবে এ ব্যাপারে আল্লামা নাসাফি (র) বলেন- আহলে ইজমা হচ্ছে, সেসব মুজতাহিদ, যারা পুণ্যবান এবং প্রবৃত্তি ও পাপাচারিতার অনুসরণ করেন না। এ ব্যাপারে ইমাম আবু হানিফা (র) বলেন, আহলে ইজমার জন্য সাহাবি ও মদিনাবাসী কিংবা নবি পরিবারের সদস্য হওয়া শর্ত নয়; বরং প্রত্যেক পুণ্যবান মুজতাহিদই ইজমার জন্য যোগ্য; যাদের মধ্যে প্রবৃত্তির দাসত্ব ও পাপাচারিতার কলঙ্ক নেই। সুতরাং ইজমা করার যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি বা ইজমার আহল হিসেবে পরিগণিত হবেন সেই সব আলেম, যারা ইজতিহাদের ক্ষমতার অধিকারী ও পুণ্যবান বরং বিদআতী ও পাপাচারী নয়।

4 months ago

ইসলাম শিক্ষা

Please, contribute to add content.
Content
Promotion