এলাকাটির অধিকাংশ মানুষ কৃষিজীবী। অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, দারিদ্র্য আর নিরক্ষরতা তাদের নিত্যসঙ্গী।. অঞ্চলটিতে জনবসতি তেমন না থাকলেও সামাজিক অনুষ্ঠানাদিতে তারা একে অপরকে দাওয়াত দেয়। এখনও নারী শিক্ষার প্রতি তারা যেমন উদাসীন তেমনি বাল্যবিবাহ বিষয়ে অসচেতন। একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান অঞ্চলটিতে এসব সমস্যা নিয়ে কাজ করছে।
উদ্দীপকের গ্রামটিতে দারিদ্র্য, নিরক্ষরতা, নারী শিক্ষার প্রতি উদাসীনতা, বাল্যবিবাহ, অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ নানাবিধ সমস্যা রয়েছে। এসব সমস্যার সমাধানে সমাজবিজ্ঞানের জ্ঞান ফলপ্রসূ হতে পারে বলে আমি মনে করি।
যেকোনো আর্থ-সামাজিক ও প্রশাসনিক পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে সমাজবিজ্ঞানের জ্ঞান অপরিহার্য। কোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন অথবা কোনো সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয় না, যদি সে পরিকল্পনা সামাজিক বাস্তবতার আলোকে প্রণীত না হয়। সমাজে কী সমস্যা রয়েছে, তার সমাধানে বাধা কোথায়, এর মাধ্যমে কোন শ্রেণির মানুষ কতটা উপকৃত হবে, গৃহীত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে কী কী সামাজিক বাধা রয়েছে, আর কীভাবেই বা তা দূর করা যায়- এসব বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের জন্য সমাজবিজ্ঞান সহায়তা করে।
উদ্দীপকের গ্রামটিতে নানাবিধ সমস্যা বিরাজমান। যেমন- নিরক্ষরতা, দারিদ্র্য, বাল্যবিবাহ, নারী শিক্ষার প্রতি উদাসীনতা ইত্যাদি। এসব সমস্যার সমাধানে সমাজবিজ্ঞানের জ্ঞান কার্যকর হতে পারে, যা উপরের আলোচনায় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
আলোচনার পরিসমাপ্তিতে বলা যায়, উদ্দীপকের পরিস্থিতি মোকাবিলাসহ সামাজিক যেকোনো সমস্যা সমাধানে সমাজবিজ্ঞানের জ্ঞান ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখতে পারে।