কবির বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্র। সে তার খালার বাসায় থেকে পড়ালেখা করছে। তার খালু একজন সরকারি চাকরিজীবী'। একদিন তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কবির তুমি কোন বিষয়ে পড়ালেখা করছো? কবির উত্তর দিল আমি এমন একটি বিষয়ে পড়ালেখা করছি যা মানুষের চালচলন, আচার-আচরণ, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করে।
উদ্দীপকে সমাজবিজ্ঞান বিষয়টি সম্পর্কে বলা হয়েছে।
সমাজবিজ্ঞান শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ 'Sociology'। শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে ল্যাটিন শব্দ 'Socius' এবং গ্রিক শব্দ 'Logos'-এর সমন্বয়ে। 'Socius' শব্দের অর্থ সমাজ এবং 'Logos' শব্দের অর্থ জ্ঞান। অর্থাৎ উৎপত্তিগত অর্থে সমাজবিজ্ঞান বলতে বোঝায়, সমাজের জ্ঞান।
যে শাস্ত্র সমাজ সম্পর্কে বস্তুনিষ্ঠ বা বিজ্ঞানভিত্তিক আলোচনা করে তাই সমাজবিজ্ঞান। তবে সমাজবিজ্ঞানের সর্বজনস্বীকৃত কোনো সংজ্ঞা নেই। তথাপি কোনো কোনো সমাজবিজ্ঞানী বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে সমাজবিজ্ঞানকে সংজ্ঞায়িত করেছেন। যেমন, সমাজবিজ্ঞানী এমিল ডুর্খেইম বলেন, "সমাজবিজ্ঞান হলো সামাজিক প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞান।" সমাজবিজ্ঞানী আর.টি. শেফার তার 'Sociology' গ্রন্থে বলেন, "সমাজবিজ্ঞান হলো সামাজিক আচরণ ও সামাজিক গোষ্ঠীসমূহের সুশৃঙ্খল পাঠ।" মোটকথা সমাজ ও সমাজের মানুষের সাথে জড়িত সব ধরনের বিষয় নিয়ে যে শাস্ত্র আলোচনা করে তাই সমাজবিজ্ঞান।
উদ্দীপকে দেখা যায়, কবিরের খালু কবিরকে কোন বিষয়ে লেখাপড়া করছে জিজ্ঞাসা করলে কবির বলে, আমি এমন একটি বিষয়ে লেখাপড়া করছি যা মানুষের চালচলন, আচার-আচরণ, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করে। উপরে প্রদত্ত সমাজবিজ্ঞানের প্রামাণ্য সংজ্ঞার প্রেক্ষিতে বোঝা যায় যে, কবিরের এ বক্তব্য সমাজবিজ্ঞানকেই নির্দেশ করে।