কবির বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্র। সে তার খালার বাসায় থেকে পড়ালেখা করছে। তার খালু একজন সরকারি চাকরিজীবী'। একদিন তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কবির তুমি কোন বিষয়ে পড়ালেখা করছো? কবির উত্তর দিল আমি এমন একটি বিষয়ে পড়ালেখা করছি যা মানুষের চালচলন, আচার-আচরণ, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করে।
সমাজকে সামগ্রিক এবং ব্যাপকভাবে অধ্যয়ন করে বলে সমাজবিজ্ঞানকে সমাজের পূর্ণাঙ্গ পাঠ বলা হয়। এ প্রসঙ্গে উদ্দীপকের আলোকে আমার মতামত যুক্তিসহ আলোচনা করা হলো- সমাজবিজ্ঞান হচ্ছে এমন একটি বিজ্ঞান যা সমাজের সঙ্গে জড়িত সব বিষয়ের বিজ্ঞানভিত্তিক বিশ্লেষণ করে। অর্থাৎ, সমাজের মধ্যে যেসব বিষয় রয়েছে তার প্রত্যেকটি বিষয় সমাজবিজ্ঞান পুঙ্খানুপুঙ্খ অধ্যয়ন করে। সমাজ, সংঘ, সামাজিক প্রতিষ্ঠান, সমাজকাঠামো, সামাজিক স্তরবিন্যাস, সামাজিক নিয়ন্ত্রণ, সামাজিক সমস্যা, সামাজিক পরিবর্তন, সামাজিক ইতিহাস, সামাজিক উন্নয়ন ইত্যকার বিষয়গুলো সমাজবিজ্ঞানের আলোচনার আওতাভুক্ত এবং এর সঙ্গে জড়িত সব বিষয় নিয়েই সমাজবিজ্ঞান গভীরভাবে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে। সামাজিক বিজ্ঞানের শাখাসমূহ যেমন- রাষ্ট্রবিজ্ঞান, অর্থনীতি, সমাজকল্যাণ, নৃবিজ্ঞান ইত্যাদি মূলত সমাজের এক একটি বিশেষ দিক নিয়ে আলোচনা করে। অর্থাৎ সামাজিক বিজ্ঞানের উক্ত শাখাসমূহের কোনোটাই সমাজ সম্পর্কিত পূর্ণাঙ্গ অধ্যয়নের দাবি করতে পারে না। পক্ষান্তরে, গোটা সমাজই সমাজবিজ্ঞানের আলোচনার বিষয় বা ক্ষেত্র। মূলত এ কারণেই সমাজবিজ্ঞানকে সমাজের পূর্ণাঙ্গ পাঠ বলা হয়।
উদ্দীপকে দেখা যায়, কবির এমন একটি বিষয়ে লেখাপড়া করছে, যে বিষয়টি মানুষের চালচলন, আচার-আচরণ, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করে। আর এ বিষয়গুলো কেবল সমাজবিজ্ঞানের আলোচ্যসূচির অংশ। এ কারণেই বলা হয় যে, সমাজবিজ্ঞান সমাজের পূর্ণাঙ্গ পাঠ।