সুরমা ডিগ্রী কলেজের সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষক শাকিল সাহেব একাদশ শ্রেণির মানবিক শাখার প্রথম ক্লাশে পড়াতে এসেছেন। তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশে বললেন, আজ তোমাদের এমন একটি বিষয় পড়াব, যা সমাজের শিক্ষা, পরিবার, ধর্ম এমনকি চিকিৎসা ব্যবস্থার পদ্ধতিগত দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করে। শুধু তাই নয়, শাস্ত্রটি একটি গতিশীল বিজ্ঞান হিসেবে সমাজজীবনের প্রায় সকল বিষয় অধ্যয়ন ও বিশ্লেষণ করে থাকে।
উদ্দীপকের শাকিল সাহেব ছাত্র-ছাত্রীদের সমাজবিজ্ঞান বিষয়টি পড়াবেন।
আমরা জানি, প্রকৃতিগতভাবে সমাজবিজ্ঞান একটি গতিশীল বিজ্ঞান। কারণ এটি সামাজিক গতিশীলতা বা পরিবর্তনের ধারা বিশ্লেষণ করে। সেইসাথে একটি গতিশীল বিজ্ঞান হিসেবে সমাজবিজ্ঞান সমাজের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে তার পঠন-পাঠন এবং গবেষণা অব্যাহত রাখে। শুধু তাই নয়, সমাজের বিভিন্ন দিক পঠন-পাঠন এবং গবেষণার জন্য সমাজবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখার উদ্ভব ঘটেছে। যেমন- 'শিক্ষার সমাজবিজ্ঞান' শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্দেশ্য এবং এর সাথে সমাজের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সম্পর্ক সম্বন্ধে অধ্যয়ন ও গবেষণা করে। আবার 'পরিবার সমাজবিজ্ঞান' পরিবারের উৎপত্তি, বিবর্তন, বিকাশ, ধরন, কার্যাবলি ও পরিবারের সমস্যা সম্পর্কে আলোচনা করে। এছাড়া 'ধর্মের সমাজবিজ্ঞান' ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, প্রথা, বিশ্বাস, প্রতিষ্ঠান ইত্যাদির সামাজিক গুরুত্ব এবং সামাজিক সম্পর্ক নির্ধারণে ধর্মের ভূমিকা প্রসঙ্গে আলোচনা করে থাকে। অন্যদিকে 'চিকিৎসা সমাজবিজ্ঞান' অসুস্থ ব্যক্তির সামাজিক পটভূমি, প্রচলিত চিকিৎসা ব্যবস্থার সফলতা ও ব্যর্থতা, অসুস্থ রোগীর সুস্থ হওয়ার পর পুনর্বাসন প্রক্রিয়া সংক্রান্ত বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ আলোচনা করে।
উদ্দীপকের শাকিল সাহেব ছাত্র-ছাত্রীদের যে বিষয়টি পড়াতে চেয়েছেন, সে শাস্ত্রটিও একটি গতিশীল বিজ্ঞান হিসেবে সমাজের শিক্ষা, পরিবার, ধর্ম ও চিকিৎসা ব্যবস্থার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করার পাশাপাশি সমাজজীবনের প্রায় সকল দিক নিয়ে অধ্যয়ন ও গবেষণা করে। পূর্বোক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তাই নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে, শাকিল সাহেব ছাত্র-ছাত্রীদের সমাজবিজ্ঞান বিষয়টি পড়াবেন।