অনুচ্ছেদে ব্যবহৃত 'গুষ্টি', 'সুরত'- শব্দ দুটি পাকিস্তানি বাহিনীর প্রতি কথকের বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় বহন করে; কীভাবে?
গল্পে একজন সাধারণ ভীতু মানুষ হিসেবে নুরুল হুদাকে আমরা দেখতে পাই। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা শ্যালকের রেইনকোটটি পরার পর থেকে তার ভেতর ইতিবাচক পরিবর্তন আসে। ভীতু নুরুল হুদার ভেতর পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বর নিপীড়ন ও হত্যাযজ্ঞের জন্য তাদের প্রতি ঘৃণাবোধ কাজ করছিল তা উল্লিখিত শব্দচয়নে স্পষ্ট বোঝা যায়। সুতরাং বলা যায় গুষ্টি সুরত, শব্দদ্বয় পাকস্তিানিদের প্রতি নুরুল হুদার যে ক্ষোভ- ঘৃণা জন্মেছিল তারই বহিঃপ্রকাশ।
আসিতেছে শুভদিন, দিনে দিনে বহু বাড়িয়াছে দেনা, শুধিতে হইবে ঋণ! হাতুড়ি শাবল গাঁইতি চালায়ে ভাঙিল যারা পাহাড়, পাহাড়-কাটা সে পথের দু'পাশে পড়িয়া যাদের হাড়, তোমারে সেবিতে হইল যাহারা মজুর, মুটে ও কুলি, তোমারে বহিতে যারা পবিত্র অঙ্গে লাগলে ধূলি; তারাই মানুষ, তারাই দেবতা, গাহি তাহাদেরি গান, তাদের ব্যথিত বক্ষে পা ফেলে আসে নব উত্থান!
(সারমর্ম লেখ)