মহাবিশ্ব হাজার হাজার কোটি নক্ষত্র, গ্রহ এবং গ্যালাক্সিতে ভরা। কিন্তু এর মধ্যে এমন কিছু রহস্য আছে যা আমাদের কল্পনারও বাইরে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ব্ল্যাকহোল।
ব্ল্যাকহোল হলো মহাকাশের সেই অঞ্চল যেখানে মহাশক্তিশালী মহাকর্ষ কাজ করে। এই মহাকর্ষ এত শক্তিশালী যে কিছুই—প্রকাশমান আলোও—এর বাইরে escape করতে পারে না। তাই ব্ল্যাকহোলকে আমরা দেখতে পাই না, কেবল এর প্রভাব থেকে বুঝতে পারি।
স্টেলার ব্ল্যাকহোল:
সূর্যের মতো নক্ষত্রের মৃত্যুর পর গঠিত হয়।
সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোল:
যে কোনো গ্যালাক্সির কেন্দ্রে থাকে। যেমন: আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রে।
ইন্টারমিডিয়েট ব্ল্যাকহোল:
স্টেলার এবং সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোলের মধ্যে আকারে।
নক্ষত্র ও গ্যাসকে টেনে আনে।
চারপাশের আলো বিকৃত করে, যা আমরা “গ্রাভিটেশনাল লেন্সিং” নামে চিনি।
মহাবিশ্বের গঠন ও গ্যালাক্সির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ব্ল্যাকহোলের event horizon এর ভিতরে যা ঢোকে, তা আর বের হতে পারে না।
কিছু ব্ল্যাকহোল এত বড় যে এর কেন্দ্রীয় singularity এর ঘনত্ব অসীম বলে ধরা হয়।
বিজ্ঞানীরা ব্ল্যাকহোলের অস্তিত্ব মূলত তার প্রভাব ও Hawking radiation পর্যবেক্ষণ করে নিশ্চিত করেছেন।
ব্ল্যাকহোল আমাদের মহাবিশ্বের সবচেয়ে রহস্যময় বস্তু। এটি শুধু মহাকাশীয় অবজারভেশন নয়, বরং পদার্থবিদ্যার সীমা পরীক্ষা করার সুযোগ দেয়। ব্ল্যাকহোলের রহস্য বুঝতে পারলে আমরা মহাবিশ্বের উৎপত্তি, গঠন এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে আরও গভীরভাবে চিন্তা করতে পারব।
আপনি আমাকে যেকোনো প্রশ্ন করতে পারেন, যেমনঃ
Are you sure to start over?