লিমিটস (Limits):
পরিমাপ যে ঊর্ধ্ব মাপ এবং নিম্ন মাপের মধ্যে থাকলে বস্তুটি ব্যবহারযোগ্য বিবেচিত হয় তাকে সীমা বা Limit বলে।
এ সীমার ঊর্ধ্ব মাত্রাকে ঊর্ধ্ব সীমা (Uper Limit) এবং নিম্ন মাত্রাকে নিম্ন সীমা(Lower Limit) বলে।
ঊর্ধ্ব সীমা মূল মাপের ডানে উপরের দিকে এবং নিম্ন সীমা নিচের দিকে লেখা হয়।
যেমনঃ 50 মিঃমিঃ ব্যাসের শ্যাফটের মাপ সীমা নিম্নের ন্যায় হতে পারে-
উপরের ১ নং উদাহরণে শ্যাফটির ঊর্ধ্বসীমা 50+0.05=50.05 এবং নিম্নসীমা 50-0.02=49.98 মিঃমিঃ। এ মাপের মধ্যে শ্যাফটটি তৈরি করার নির্দেশ করা হয়েছে।
২ নং উদাহরণে এ সীমা 50.05 এবং 50.02 মিঃমিঃ
৩ নং উদাহরণে এ সীমা 49.98 এবং 50.05 মিঃমিঃ এর মধ্যে।
টলারেন্স (Tolerance):
মাপের ঊর্ধ্ব ও নিম্ন সীমার পার্থক্য কে টলারেন্স বলে। অর্থাৎ প্রকৃত মান হতে যে পরিমান বিচ্যূতি ঘটে এই বিচ্যূতিকেই বলা হয় টলারেন্স।
শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহ্রত টলারেন্স প্রধানত দুই প্রকার:
ক) ইউনিলেটারেল টলারেন্স (Unilateral Tolerance)
খ) বাইলেটারেল টলারেন্স (Bilateral Tolerance)
ক) ইউনিলেটারেল টলারেন্স:
টলারেন্সের ব্যাপ্তি যদি পজিটিভ অথবা নেগেটিভ যেকোন একদিকে বিস্তৃত থাকে তবে তাহাকে ইউনিলেটারেল টলারেন্স বলে।
খ) বাইলেটারেল টলারেন্স:
টলারেন্সের ব্যাপ্তি যদি পজিটিভ অথবা নেগেটিভ উভয় দিকে বিস্তৃত থাকে তবে তাকে বাইলেটারেল টলারেন্স বলে।
ক্লিয়ারেন্স (Clearence):
ছিদ্রের মধ্যে শ্যাফট একই অক্ষে থাকিলে চারদিকে যে পরিমান ফাঁকা (Gap) থাকে উহাকে ক্লিয়ারেন্স বলে। ইহা এল্যাউন্সের অর্ধেক হয়ে থাকে।
এল্যাউন্স (Allowance):
মিলন যোগ্য দুইটি পার্টসের মধ্যে যে পরিমান ব্যবধান রাখা হয় উহাকে এল্যাউন্স বা অধিদেয় বলে।
এল্যাউন্স দুই প্রকার:
ক) ধনাত্মক অধিদেয় (Positive Allowance)
খ) ঋনাত্মক অধিদেয় (Negative Allowance)
ক) পজিটিভ এল্যাউন্স:
যখন কোন মিলন যোগ্য শ্যাফটের সাইজ ছিদ্র অপেক্ষা কম হয় তখন এদের সংযোজন অবস্থাকে পজিটিভ এল্যাউন্স বলে।
খ) নেগেটিভ এল্যাউন্স:
যখন কোন মিলন যোগ্য শ্যাফটের সাইজ ছিদ্র অপেক্ষা বেশি হয় তখন এদের সংযোজন অবস্থাকে নেগেটিভ এল্যাউন্স বলে।
ফিটস (Fits):
দু'টি বস্তুর বা একই বস্তুর দু'টি অংশের পরস্পর মিলন (Matching) সম্পর্ককে মেলা বা ফিট বলে।
এটি শ্যাফট ও ছিদ্রের মাপের পার্থক্যের উপর নির্ভর করে।
ব্রিটিশ স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী ফিট তিন শ্রেণীর:
ক) ক্লিয়ারেন্স ফিট (Clearance Fit)
খ) ইন্টারফারেন্স ফিট (Interference Fit)
গ) ট্রানজিশন ফিট (Transition Fit)
ক) ক্লিয়ারেন্স ফিট (Clearance Fit):
সংযোজনতব্য পার্টসদ্বয়ের মধ্যে যখন পজিটিভ এল্যাউন্স থাকে অর্থাৎ পার্টসদ্বয় ফিট হয় তখন তাকে ক্লিয়ারেন্স ফিট বলে।
খ) ইন্টারফারেন্স ফিট (Interference Fit):
সংযোজনতব্য পার্টসদ্বয়ের মধ্যে যখন নেগেটিভ এল্যাউন্স থাকে অর্থাৎ এক অংশকে অন্য অংশের মধ্যে প্রবেশ করাতে চাপ প্রয়োগ করতে হয় তখন তাকে ইন্টারফারেন্স ফিট বলে।
গ) ট্রানজিশন ফিট (Transition Fit):
এটি ক্লিয়ারেন্স এবং ইন্টারফারেন্স ফিটের মধ্যবর্তী অবস্থা। এক্ষেত্রে পজিটিভ বা নেগেটিভ হতে পারে।
মেলানোর ধরন অনুযায়ী ফিট চার প্রকার:
ক) ড্রাইভিং ফিটঃ আঘাত দিয়ে পরস্পর পার্টস লাগাতে হবে।
খ) ফোর্স ফিটঃ প্রচুর বল প্রয়োগে সংযোজন করতে হয়।
গ) রানিং ফিটসঃ সহজেই পার্টসদ্বয় মেলানো যায়।
ঘ) পুশ ফিটঃ আঘাত না করে কেবল চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে সংযোজন হয়।
এ. এস. এ. কর্তৃক অনুমোদিত এবং Allowance এর উপর ভিত্তি করে ফিটকে আট শ্রেণীতে বিভক্ত করা যায়ঃ
ক্রমিক নং | ফিটের নাম | Allowance পরিমান | ব্যবহার |
1 | Loose | সর্বোচ্চ | কৃষি ও খনি উত্তোলন সরঞ্জাম |
2 | Free | স্বাভাবিক | অটোমোটিভ ও বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশ |
3 | Medium | সর্বনিম্ন | মেশিন টুলস |
4 | Slag | শূন্য | সূক্ষ্ম পরিমাপের ক্ষেত্রে |
5 | Wringing | সামান্য ঋনাত্মক | নির্বাচিত সংযোজন |
6 | Tight | ঋনাত্মক | পুলি, আর্ম ইত্যাদিতে |
7 | Medium Force | মধ্যম ঋনাত্মক | স্থায়ী সংযোজনী |
8 | Heavy Force or Shrink | সর্বোচ্চ ঋনাত্মক | ভারী যন্ত্রাদিতে |
বিভিন্ন প্রকারের ফিটস