Blog

এলিভেটেড ব্রিজ কি ? ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলবে যেসব যানবাহন

এলিভেটেড ব্রিজ হল একটি নির্মাণ ইভেন্ট যাতে একটি সেতু নির্মাণ এবং পরীক্ষা করা হয় । অন্যান্য সেতু ইভেন্ট থেকে এলিভেটেড ব্রিজের প্রধান পার্থক্য হল যে সেতুর একটি অংশ অবশ্যই উঁচু বা উঁচু করতে হবে যাতে সেতুর নীচে, সেতু এবং পরীক্ষার ভিত্তির মধ্যে একটি "স্ট্যান্ডার্ড ন্যূনতম ছাড়পত্র" থাকে। 

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দরের কাওলা থেকে তেজগাঁওয়ের ফার্মগেট পর্যন্ত প্রথম অংশ ২ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন দ্রুতগতির উড়ালসড়কটি যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার পর ব্যক্তিগত গাড়িই বেশি চলাচল করে।

মোটরসাইকেল ও সিএনজি অটোরিকশাসহ দুই ও তিন চাকার কোনও যান চলবে না এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে। পথচারী চলাচলেও কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

এটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিলে প্রতিদিন বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, ছোট, মাঝারি ও বড় ট্রাক চলাচল করতে পারবে।  মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল ও থ্রি হুইলার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচল করতে পারবে না।  তবে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহারকারী যানবাহনকে দিতে হবে টোল। যা আদায় করা হবে চারটি ক্যাটাগরিতে।

প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস (১৬ আসনের কম) এবং মিনি-ট্রাক (৩ টনের কম) ৮০ টাকা, মাঝারি আকারের ট্রাক (৬ চাকা পর্যন্ত) এবং ৬ চাকার বেশি বড় ট্রাক যথাক্রমে ৩২০ টাকা এবং ৪০০ টাকা দিতে হবে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা-ফার্মগেট অংশে ১৬বা তার বেশি আসন বিশিষ্ট সব বাস ও মিনিবাসকে দিতে হবে ১৬০ টাকা। 

কর্তৃপক্ষ গতিসীমা ৬০ কিলোমিটার নির্ধারণ করেছে এবং কাওলা থেকে ফার্মগেটে পৌঁছাতে ঘন্টায় ৬০ কিলোমিটার গতির একটি যানবাহনের সময় লাগবে মাত্র ১০ মিনিট। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি বিকল্প উত্তর-দক্ষিণ রুট হিসেবে কাজ করবে। এটি হেমায়েতপুর-কদমতলী-নিমতলী-সিরাজদিখান-মদনগঞ্জ-ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক-মদনপুরকে সরাসরি সংযুক্ত করবে।

অন্যদিকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চল থেকে আসা যানবাহন ঢাকায় প্রবেশ না করে সরাসরি উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে প্রবেশ করতে পারবে। যা রাজধানীর অভ্যন্তরে যাতায়াতের সময় ও যানজট হ্রাস করবে।

0 453
No bio avaliable
Author’s Profile