Description (Added)

IR (Infrared) অর্থাৎ অবহেলিত বর্ণালি হলো কম্পন বর্ণালি। কোন স্থায়ী বা পরিবর্তনযোগ্য ডাইপোল মোমেন্ট বিশিষ্ট কম্পনশীল অণু IR অঞ্চলের রেডিয়েশন শোষণ করলে তা এক শক্তির কম্পন স্তর থেকে উচ্চ শক্তির কম্পন স্তরে উন্নীত হয়। ফলে কম্পনশক্ত্যির পরিবর্তন ঘটে, শোষণ ঘটে। এতে কম্পন বর্ণালি উৎপন্ন হয়। প্রতিটি পদার্থের আণবিক গঠন অনুসারে তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্যমূলক IR বর্ণালি রয়েছে। আর এ IR বর্ণালি বিশ্লেষণ করে পদার্থ শনাক্ত করা যায়।

সূত্র:১
1mol acid+2mol base এর ক্ষেত্রে,
2Vacid=Vbase
উদাহরণ:50mL 0.5M H2SO4 এবং 100mL 0.1M NaOH দ্রবণ মিশ্রিত করা হলে মিশ্রণের প্রকৃতি নির্ণয় কর।
সমাধান:H2SO4 এর ঘনমাত্রাকে উহার আয়তন দ্বারা গুণ করে এবং NaOH এর অায়তনকে উহার ঘনমাত্রা দ্বারা গুণ করে H2SO4 ও NaOH এর ঘনমাত্রা সমান করতে হবে। অর্থাৎ
50*0.5mL 1M
=25mL1M H2SO4
100*0.1mL 1M
=10mL 1M NaOH
যেহেতুH2SO4 কে প্রশমিত করতে 2mol NaOH প্রয়োজন তাই সূত্র-১ প্রয়োগ করে,
2Vacid=Vbase
Vacid=Vbase÷২
Vacid=10÷2
Vacid=5mL
অর্থাৎ, 10mL NaOH কে প্রশমিত করতে 5mL H2SO4 প্রয়োজন। অবশিষ্ট এসিডের আয়তন(25-5)=20mL H2SO4.সুতরাং, মিশ্রণের প্রকৃতি হবে অম্লীয়।

সূত্র:২
2mol acid+1mol base এর ক্ষেত্রে,
Vacid = 2Vbase
এখানে,Vacid=এসিডের আয়তন
Vbase=ক্ষারের আয়তন।
সূত্র:২ প্রয়োগ বিশিষ্ট গাণিতিক সমস্যা সূত্র:১ প্রয়োগ বিশিষ্ট গাণিতিক সমস্যার(উপরের উদাহরণ)অনুরুপ হবে।
 


অসম্পৃক্ত জৈব যৌগ শনাক্তকরন

জৈব যৌগে অসম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন অ্যালকিন (যেমনঃ ইথিন, প্রোপিন, বিউটিন ইত্যাদি) এদের মধ্যে  কার্বন- কার্বন  দ্বিবন্ধন  বিদ্যামান  থাকে। অ্যালকাইন (যেমনঃ ইথাইন, প্রোপাইন, বিউটাইন, ইত্যাদি) এদের মধ্যে কার্বন- কার্বন ত্রিবন্ধন বিদ্যমান থাকে। অ্যালকিন বা অ্যালকাইন আমরা দুটি পদ্ধতিতে সনাক্ত করতে পারি।

 

১. ব্রোমিন পরীক্ষা   ২. বেয়ার পরীক্ষা বা জারণ পদ্ধতি।

 ব্রোমিন পরীক্ষাঃ ব্রোমিনকে কার্বন টেট্রাক্লোরাইডে (CCl₄) দ্রবীভূত করে ব্রোমিনের 5% দ্রবন তৈরি করা হয়। ব্রোমিন এর দ্রবণ লাল বর্ণের হয়ে থাকে। 

অসম্পৃক্ত যৌগ যেমনঃ ইথিনের মধ্যে ব্রোমিন এর 5% দ্রবণ ফোঁটায় ফোঁটায় যোগ করলে যদি ব্রোমিনের লাল বর্ণ বর্ণহীন হয় এবং 1,2-ডাই ব্রোমো ইথেন গঠন করে, তবে যৌগটি অসম্পৃক্ত। 

একই ভাবে অ্যালকাইন যেমনঃ ইথাইন শনাক্ত করা যায়।
H₂C=CH₂+Br₂ ----->CH₂BrCH₂Br
ব্রোমিনের লাল বর্ণ বর্ণহীন না হলে যৌগটি সম্পৃক্ত।

 বেয়ার বা জারণ পরীক্ষাঃ এ পদ্ধতিতে ইথিন কে পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট এর ক্ষারীয় বা জলীয় দ্রবন দ্বারা জারিত করলে পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট এর গোলাপি বর্ণ বর্ণহীন হয় এবং ইথিলিন গ্লাইকল উৎপন্ন করে। 

এ পরীক্ষার মাধ্যমে অসম্পৃক্ততা শনাক্ত করা যায়।
2KMnO₄+2KOH -----> 2K₂MnO₄+H₂O+[O]
H₂C=CH₂+H₂O+[O] -----> H₂C(OH)CH₂(OH)

টটোমারিতা 

দ্রুত ও উভমুখী বিক্রিয়ার এক সমানু হতে অপর সমাণুতে রুপান্তরকে টটোমারিতা বলে। এ রুপান্তরটিতে বাস্তবিকভাবেই পাই ইলেক্ট্রন ও এক বা একাধিক প্রোটনের স্থানান্তর ঘটে। বস্তুত, যৌগে নতুন কার্যকরীমূলক সৃষ্টির মাধ্যমে নতুন সমানু বা যৌগ তৈরি হয়। টটোমারিতার একটি অত্যন্ত পরিচিত উদাহরণ হলো আলফা হাইড্রোজেন সংবলিত কার্বনিল যৌগ এবং ইনোল গঠন।

আমরা জানি,

pH=-log[H+]

=>[H+]=log^-1[-pH]

=>[H+]=log^-1[-1.4]

=>[H+]=0.0398 M

পর্যায়ঃ পর্যায় সারণিতে যেসব অনুভূমিক সারি বিদ্যামান আছে তাদেরকে পর্যায়ে বলে। 

পর্যায় সারণিতে ৭টি পর্যায় রয়েছে।

গ্রুপঃ  পর্যায় সারণিতে যেসব খাড়া স্তম্ভ বিদ্যমান থাকে তাদেরকে গ্রুপ বলে।

পর্যায় সারণী 18 টি গ্রুপে বিভক্ত।

পর্যায় ও গ্রুপ নির্নয়

পর্যায় বের করার নিয়ম ঃ 

কোন মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসে সবচেয়ে বাইরের প্রধান শক্তিস্তরের নম্বরই ঐ মৌলের পর্যায় নম্বর হবে।
যেমন - Li এর ইলেকট্রন বিন্যাস  

Li (3) -> 1s² 2s¹
Li এর ইলেকট্রন বিন্যাসে সবচেয়ে বাইরের প্রধান শক্তিস্তর 2,  তাই লিথিয়াম 2 নম্বর পর্যায়ের মৌল।
Mg এর ইলেকট্রন বিন্যাস                 Mg (12) --> 1s² 2s² 2p⁶ 3s²
Mg এর ইলেকট্রন বিন্যাসে সবচেয়ে বাইরের প্রধান শক্তিস্তর 3,  তাই Mg  3 নম্বর পর্যায়ের মৌল।

গ্রুপ বের করার নিয়ম ঃ 

১ ।কোন মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসে বাইরের প্রধান শক্তিস্তরে শুধু S - অরবিটাল থাকে তবে ঐ 

S - অরবিটালের মোট ইলেকট্রন সংখ্যাই ঐ মৌলের গ্রুপ হবে।  

যেমন -  Be এর ইলেকট্রন বিন্যাস  Be (4) -> 1s²  2s².  

Be এর ইলেকট্রন বিন্যাসে সর্বশেষ ইলেকট্রন S - অরবিটালে প্রবেশ করেছে, এবং S - অরবিটালে মোট ইলেকট্রন সংখ্যা আছে দুটি। তাই Be এর গ্রুপ সংখ্যা 2

 

২।কোন মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসে বাইরের প্রধান শক্তিস্তরে শুধু S  ও  P -  অরবিটাল  থাকে  তবে ঐ 

S ও P - অরবিটালের মোট ইলেকট্রন সংখ্যার সাথে 10 যোগ করলে যে যোগফল পাওয়া যায় তা ঐ মৌলের গ্রুপ হবে। 

যেমন - N এর ইলেকট্রন বিন্যাস

N (7) -- > 1s² 2s² 2p³

N এর ইলেকট্রন বিন্যাসে সর্বশেষ ইলেকট্রন S ও P অরবিটালে প্রবেশ করেছে, এবং S ও P অরবিটালের মোট ইলেকট্রন সংখ্যা 5 

এখন 5 এর সাথে 10  যোগ করলে যোগফল 15 হয়। 

তাই N এর গ্রুপ হবে 15

৩।কোন মৌলের ইলেকট্রন বিন্যাসে বাইরের প্রধান শক্তিস্তরে যদি S অরবিটাল থাকে এবং আগের প্রধান শক্তিস্তরে যদি d - অরবিটাল থাকে তকে তবে S ও d -অরবিটালের ইলেকট্রন সংখ্যা যোগ করলেই ঐ মৌলের গ্রুপ পাওয়া যাবে।  

যেমন -  Fe এর ইলেকট্রন বিন্যাস

Fe (26)---> 1s² 2s² 2p⁶ 3s² 3p⁶ 4s² 3d⁶

Fe এর ইলেকট্রন বিন্যাসে বাইরের শক্তিস্তরে S - অরবিটাল এবং তার আগের শক্তিস্তরে d - অরবিটাল আছে। 

এখানে S -অরবিটাল এবং 

d-অরবিটাল মোট ইলেকট্রন সংখ্যা 8. 

তাই Fe এর গ্রুপ হবে 8.


 

oxidation number 

সহজ শর্তে অক্সিডেশন সংখ্যাকে রাসায়নিক সংমিশ্রণে উপাদানগুলিতে বরাদ্দ করা সংখ্যা হিসাবে বর্ণনা করা যেতে পারে। অক্সিডেশন সংখ্যা মূলত ইলেকট্রনের সংখ্যা যা একটি অণুর পরমাণুগুলি একটি ভিন্ন উপাদানের অন্যান্য পরমাণুর সাথে রাসায়নিক বন্ধন গঠন করার সময় ভাগ করতে, হারাতে বা লাভ করতে পারে। অক্সিডেশন নম্বরকে জারণ অবস্থাও বলা হয়। যাইহোক, কখনও কখনও আমরা পরমাণুর বৈদ্যুতিন ঋণাত্মকতা বিবেচনা করছি কি না তার উপর নির্ভর করে এই পদগুলির একটি ভিন্ন অর্থ থাকতে পারে। অক্সিডেশন সংখ্যা শব্দটি সমন্বয় রসায়নে প্রায়শই ব্যবহৃত হয়।

একটি পরমাণুর অক্সিডেশন সংখ্যাকে চার্জ হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয় যেটি একটি পরমাণুর অন্যান্য হেটেরোঅটমের সাথে আয়নিক বন্ধন গঠনের সময় দেখা যায়। উচ্চতর বৈদ্যুতিক ঋণাত্মকতা বিশিষ্ট একটি পরমাণু (এমনকি যদি এটি একটি সমযোজী বন্ধন তৈরি করে) একটি নেতিবাচক জারণ অবস্থা দেওয়া হয়। সংজ্ঞা, শর্তে একটি পরমাণুকে জারণ অবস্থা নির্ধারণ করে, যে পরমাণু -

i) heteroatoms সঙ্গে বন্ধন

ii) বন্ধনের প্রকৃত প্রকৃতি নির্বিশেষে সর্বদা ইলেকট্রন লাভ বা হারানোর মাধ্যমে আয়নিক বন্ধন তৈরি করে।

 

একটি অণু/আয়নে একটি পরমাণু বা আয়নের অক্সিডেশন সংখ্যা বা জারণ অবস্থা দ্বারা নির্ধারিত হয়:

i) অন্যান্য পরমাণু/অণু/আয়নগুলির ধ্রুবক জারণ অবস্থার সংক্ষিপ্তকরণ যা এটির সাথে বন্ধন করা হয় এবং

ii) সমীকরণ, অণু বা আয়নের মোট চার্জের সাথে অণু বা আয়নের মোট জারণ অবস্থা।

জারক ও বিজারক কাকে বলে? কিভাবে জারক ও বিজারক সহজেই চেনা যায় 

জারকঃ যে সকল রাসায়নিক পদার্থ অন্য রাসায়নিক পদার্থকে জারিত করে এবং সেই সাথে নিজে বিজারিত হয় তাকে জারক বলে।

যেমন - জিংক এবং কপার সালফেটের বিক্রিয়ায় কপার সালফেট জারক হিসেবে কাজ করে। রাসায়নিক বিক্রিয়ার সময় জারক ইলেক্ট্রন গ্রহন করে।

Zn +CuSO4 -> ZnSO4 +Cu

এই বিক্রিয়ায় কপার আয়ন দুটি ইলেক্ট্রন গ্রহন করে কপার ধাতুতে পরিনত হয়েছে। অর্থাৎ কপারের বিজারন ঘটেছে।

বিজারন বিক্রিয়ায় যারা অংশগ্রহন করে তারা জারক।কাজেই এই বিক্রিয়ায় কপার জারক।

জারক যেহেতু ইলেক্ট্রন গ্রহন করে সেহেতু জারকের ধনাত্বক আধান উৎপাদে হ্রাস পায়।

অর্থাৎ সকল জারন- বিজারন বিক্রিয়ায় যে বিক্রিয়কের জারন সংখ্যা বা ধনাত্বক আধান উৎপাদে হ্রাস পায় সেই বিক্রিয়কটিই জারক। কিছু জারকের উদাহরন - সকল অধাতু, হ্যালোজেন, KMnO4, K2Cr2O7, HNO3, গাঢ় H2SO4, SO2, ইত্যাদি।

বিজারক - যে সকল রাসায়নিক পদার্থ অন্য রাসায়নিক পদার্থকে বিজারিত করে এবং সেই সাথে নিজে জারিত হয় তাকে বিজারক বলে।

বিজারক পদার্থ রাসায়নিক বিক্রিয়ার সময় ইলেক্ট্রন ত্যাগ করে। জারন বিক্রিয়ায় যারা অংশগ্রহন করে তারা বিজারক।

Zn -> Zn2++2e

কাজেই এই বিক্রিয়ায় জিংক বিজারক। বিজারক যেহেতু ইলেক্ট্রন ত্যাগ করে সেহেতু বিজারকের ধনাত্বক আধান উৎপাদে বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ সকল জারন- বিজারন বিক্রিয়ায় যে বিক্রিয়কের জারন সংখ্যা বা ধনাত্বক আধান উৎপাদে বৃদ্ধি পায় সেই বিক্রিয়কটিই বিজারক।

অপ্রতিসম অ্যালকিন?

 যে সব অ্যালকিনের দ্বি-বন্ধনযুক্ত কার্বন পরমাণু দুইটিতে অসম সংখ্যক হাইড্রোজেন পরমাণু বা অ্যালকাইল গ্রুপ যুক্ত থাকে তাকে অপ্রতিসম অ্যালকিন বলে।

ক্রোমিক এসিড মিশ্রণ

 রাসায়নিক ল্যাবের গ্লাস সামগ্রীকে পরিষ্কার করার জন্য সর্বোত্তম পরিষ্কারকরূপে ব্যবহৃত হয় 'ক্রোমিক এসিড মিশ্রণ' (K_{2}SO_{4}+Cr_{2}(SO_{4})_{3}+4H_{2}O+3[O])। গ্লাস সামগ্রীর গায়ে বিশেষত ব্যুরেটে লেগে থাকা গ্রিজ বা তৈল জাতীয় পদার্থ দূরীকরণে ক্রোমিক এসিড মিশ্রণ খুবই কার্যকর। ক্রোমিক এসিড একটি তীব্র জারক। বিক্রিয়াকালে এটি জায়মান অক্সিজেন [O] বা অক্সিজেন পরমাণু উৎপন্ন করে। তৈল জাতীয় ময়লা পদার্থকে ঐ জায়মান অক্সিজেন জারিত করে ময়লাকে দূর করে থাকে।