পাটোল- রেশমী বস্ত্র
পাটেশ্বরী - পাটের ব্যবসায়ী
পাটোয়ারী - হিসাব রক্ষক
বারুই- পান ব্যবসায়ী
বিসর্জন - আবাহন
যেখানে আবাহন অর্থ মন্ত্র দ্বারা দেবতাকে আহ্বান, আমন্ত্রণ, বন্দনা, ডাক।
১৯২৩ থেকে ১৯২৯ বঙ্গাব্দের ভিতরে তৎকালীন অবিভক্ত ব্রিটিশ ভারতের কলকাতা থেকে প্রথম প্রকাশিত সাহিত্য পত্রিকা। এই পত্রিকার মাধ্যমে রবীন্দ্রোত্তর আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ক্রমবিকাশের পথকে উন্মুক্ত হয়েছিল। বাংলা সাহিত্যের নব্যধারার ক্রমোত্তরণে এই পত্রিকাটি একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে।
বাংলা সাহিত্যের ক্রমবিবর্তনের ধারায় এই পত্রিকা যে বাংলা সাহিত্যের অধ্যায়টি রচনা করেছিল, তা 'কল্লোল সাহিত্য যুগ' নামে অভিহিত করা হয়।
পত্রিকাটির প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয় ১৯২৩ সালে। সে সময় পত্রিকার অফিস ছিল ১০/২ পটুয়াটোলা লেনের দীনেশরঞ্জনের মেজদাদা বিভুরঞ্জনের দু'কামরার বাড়ি। ১৩৩১ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসে এর অফিস ২৭নং কর্নওয়ালিস স্ট্রিটে স্থানান্তরিত হয়েছিল। তবে বছর দেড়েক পরেই আবার পুরানো ঠিকানায় ফিরে এসেছিল| সে সময় আমহার্স্ট স্ট্রিট ও বিবেকানন্দ রোডের সংযোগ স্থলের কাছে দীনেশরঞ্জন তার এক বন্ধুর প্রেসে ‘কল্লোল’ ছাপাবার ব্যবস্থা করেছিলেন| এরপর পত্রিকাটি বিভিন্ন ছাপাখানায় ছাপা হয়েছে। এই ছাপাখানাগুলো ছিল- ১১১/৪ মানিকতলা ষ্ট্রিটের কোহিনূর প্রেসে, ৩৩-এ মদন মিত্র লেনের বাণী প্রেসে, ২-এ অক্রুর দত্ত লেনের রহস্য লহরী প্রেসে, ২৯-এ রামকান্ত মিস্ত্রী লেনের ক্যালকাটা প্রিন্টিং ওয়ার্কসে।
এই পত্রিকাটি প্রকাশের পর, বিপুলভাবে আদৃত এবং নিন্দিত হয়েছিল। বিশেষভাবে সেকালের বিখ্যাত পত্রিকা 'শনিবারের চিঠি'র সাথে বহুদিন সাহিত্য লড়াই চলেছিল। এই সাহিত্যযুদ্ধে রবীন্দ্রনাথও জড়িয়ে পড়েছিলেন। তবে এই কল্লোল সাহিত্য গোষ্ঠীকে বিশেষভাবে শক্তি যুগিয়েছিলেন প্রেমেন্দ্র মিত্র, কাজী নজরুল ইসলাম, বুদ্ধদেব বসু প্রমুখ সাহিত্যিক।
খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর একটি বিখ্যাত ছোট গল্প। গল্পটিতে রাইচরণ ১২ বছর বয়সে অনুকূল বাবুদের বাড়িতে কাজ করতে আসেন এবং ছোট্ট অনুকূল বাবুকে দেখাশোনা করাই রাইচরণ এর একমাত্র কাজ।
রশীদ করিম এর প্রথম উপন্যাস 'উত্তম পুরুষ’ পুস্তক আকারে প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৬১ সালে।