প্রাসঙ্গিক তথ্য
ফসলের ক্ষতিকর পোকা মাকড় সনাক্তকরণের একটি সহজ উপায় হলো নমুনা স্থাপন কাগজের বা হারবেরিরাম সিটের অ্যালবাম তৈরি। এতে সংগৃহীত ক্ষতিকর পোকার শুদ্ধ নমুনা থাকে এবং তার পাশে নামসহ সনাক্তকণের বৈশিষ্ট্য লেখা থাকে। এতে ব্যবহারিক শ্রেণি কক্ষে শিক্ষার্থীদের অনুশীলনের জন্য সংরক্ষিত নমুনা অত্যন্ত কাজে লাগে। শিক্ষার্থীরা ফসলের ক্ষতিকর প্রধান প্রধান পোকার নাম জানা, চেনা ও সনাতকরণের কাজ অতি অল্প সময়ে সহজেই করতে পারে ।
হারবেরিয়াম শিটের একটি অ্যালবাম তৈরির একটি নমুনা নিচে সেরা হলো
পোকার নমুনা নং | পোকার নাম (বৈজ্ঞানিক নাম ও গোত্র সহ) | আক্রান্ত ফসল | ক্ষতির প্রকৃতি ও লক্ষণ | অন্যান্য বৈশিষ্ট্য |
প্রয়োজনীয় উপকরণ
১ । নমুনা পোকা ২ । বোর্ড কাগজযুক্ত বড় খাতা ৩। কলম ৪ । কসটেপ ৫। বড় পুরাতন খবরের কাগজ বা চোষ কাগজ ৬ । পোকা ধরার হাত জাল ৭ । কিলিং জার ৮। পেট্রিডিস ৯। ফরসেপ বা চিমটা ১০। ক্লোরফম ইত্যাদি দ্বারা ভেজা তুলা ১১। স্কেল ১২। ফসলের ক্ষেত বা বাগান ইত্যাদি ।
কাজের ধাপ
১। ফসলের ক্ষেত বা বাগান হাতে হাতে জাল বা অন্যকোন যান্ত্রিক পদ্ধতিতে পোকা ধরে সংগ্রহ করতে হবে।
২। সংগৃহীত পোকা কিলিং জারে রেখে মেরে ফেলতে হবে ।
৩। কিলিং জার হতে মৃত পোকা বের করে পেট্রিডিসে নিতে হবে ।
৪ । পেট্রিডিস হতে সংগৃহীত পোকাগুলো একে একে পুরাতন খবরের কাগজ বা বড় বই-এর ভাজে রেখে শুকাতে হবে ।
৫ । কয়েক দিন পর পোকাগুলো বের করে নিতে হবে।
৬। প্রাসঙ্গিক তথ্য সারণি অনুযায়ী খাতায় ছক কেটে শিরোনামগুলো লেখে নিতে হবে ।
৭ । পোকার নমুনার শিরোনামের নিচে এক এক করে একাধিক পোকা স্কচটেপ দিয়ে লাগাতে হবে ।
৮ । শিরানোম অনুসারে বৈশিষ্ট্যগুলো পর্যবেক্ষণ কার প্রতিটি পোকার সামনের ঘরগুলো লিখতে হবে ।
৯ । এভাবে প্রতি পৃষ্ঠায় একাধিক ক্ষতিকর পোকার নমুনা লাগিয়ে হারবেরিয়াম বা এলবাম তৈরি করতে হবে ।
সতর্কতা
১। একটি পোকার নমুনার উপর আর একটি পোকার নমুনা লাগানো যাবেনা ।
২। পোকা চাপ খেয়ে ভালোভাবে শুকানোর পর লাগাতে হবে ।
৩ । উন্নত মানের হারবেরিয়াম সিট ও কচ টেপ ব্যবহার করতে হবে।
আরও দেখুন...