প্রাসঙ্গিক তথ্য
ফল কি উদ্দেশ্যে সংগ্রহ করা হবে তার ওপর নির্ভর করে ফল বাছাই করা হয়। আবার, চাটনি, জ্যাম, জেলি তৈরি করা হলে ফল ছোট বড় বাছাই করার প্রয়োজন হয় না। প্যাকিং করে দূরে পাঠানোর জন্য বড় এবং ছোট ফল একসাথে প্যাকিং করা হলে বড় ফলের চাপে ছোট ফল নষ্ট হতে পারে। তাই বড় এবং ছোট ফল বাছাই করে আলাদা আলাদা করতে হয়।
উপকরণ
(১) ফল বাছাই টেবিল
(২) ফল গ্রেডিং করার জন্য প্রেডিং বিন
(৩) ফল রাখার ঝুড়ি বা বাক্স বা ট্রে
(৪) প্যাকিং কাগজ, হ্যাভগোব, পরিষ্কার ভাজা পাতা, খড় ইত্যাদি
(৫) ফ্যান, ঠান্ডা ঘর বা খোলামেলা ছায়াযুক্ত স্থান
কাজের ধাপ
(১) ফল সংগ্রহ করার পর কাটা, ফাটা বা থেতলানোগুলো আলাদা করতে হবে।
(২) রোগ ও পোকামাকড়ে আক্রান্ত ফলগুলো আলাদা করতে হবে ।
(৩) ছোট, মাঝারি ও বড় ফলগুলো আলাদা আলাদা করতে হবে। (এ কাজ হাতের সাহায্যে বা থ্রেডিং বিনের সাহায্যে করা যায়)।
(৪) কাঁচা ও পরিপক্ব ফল আলাদা করতে হবে।
দ্রুত পচনরোধে ব্যবহার্য প্রযুক্তি
(১) গ্রীষ্ণমন্ডলীয় ফুল প্রায় ১০° সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গুদামে কিছুদিন রাখা
(২) হিমায়িত গাড়িতে পরিবহন করা
(৩) নিয়ন্ত্রিত গুদামে বাইরের বাতাস ঢুকানো
(৪) গুদাম ঘরে কার্বনডাই অক্সাইডের মাত্রা বেশি হলে প্রতিটন ফলের জন্য ১৪ থেকে ১৫ কেজি চুন (লাইম) গুদামে রাখতে হবে ।
(৫) কলার মত ফল পলিথিন ব্যাগে ভর্তি করে বাইরে পাঠানো যায়।
(৬) গুদামে বা প্যাকিং বাক্সে ১ থেকে ৫% অক্সিজেন ও কার্বনডাই অক্সাইড ব্যবহার করা হলে ফল পচনকারী জীবাণুর বংশ বৃদ্ধি ব্যাহত হয় ।
(৭) ফলের পঁচন রোধের জন্য ফলের গায়ে মোমের আবরণ দেয়া হয় ।
(৮) ফলের পঁচন রোধে ফলের গায়ে সরিষার তেল দ্বারা প্রলেপ দেয়া হয় ।
আরও দেখুন...