প্রাসঙ্গিক তথ্য
বাংলাদেশে উৎপাদিত ফলের প্রচলন ও প্রাপ্যতার ভিত্তিতে ফলকে বিভিন্নভাবে ভাগ করা যায় । যেমন-
(ক) প্রধান প্রধান ফল, (খ) অ-প্রধান ফল, (গ) বাংলাদেশের উপযোগী বিদেশি ফল ।
(ক) প্রধান প্রধান ফল: আম, কলা, পেঁপে, আনারস, লিচু, নারিকেল, কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারা, আতা, শরীফা, তরমুজ, সফেদা, বেল, জাম, জামবুরা, কমলালেবু ইত্যাদি ।
(খ) অ-প্রধান ফল: আঙ্গুর, তাল, খেজুর, চালতা, আমড়া, তেঁতুল, আমলকি, জামরুল, করমচা, গোলাপ জাম, কমলালেবু, দেওফল, গাব, কামরাঙ্গা, জলপাই, ডুমুর, লটকন, ডালিম, চুকুর, তুতফল, বেতফল, ডেউয়া, পানিফল, বিলম্বী, সুপারি, অরবরই ইত্যাদি ।
(গ) বাংলাদেশের উপযোগী বিদেশি ফল: এ্যাভাকোডো, ফলসা, ল্যাংসাট, ট্রপিক্যালআপেল, স্টার ফুট, স্ট্রবেরি, রামবুটান, ডুরিয়ান, সালাক, ড্রাগন ফ্রুট ইত্যাদি ।
ছক-১
ক্রমিক নং | প্রাপ্যতার ভিত্তিতে ফলের ভাগ | ফলের নাম ও মোট সংখ্যা |
১ | প্রধান প্রধান ফল | ১৬ |
২ | অপ্রধান ফল | ২৭ |
৩ | বিদেশি ফল | ৯ |
সর্বমোট: | ৫২ |
আবার ফলগাছের জীবনকাল ও ফল দেয়ার সময় কালের ভিত্তিতে ফলকে তিনভাগে ভাগ করা যায় ।
যেমন - ১ । দীর্ঘমেয়াদি ২। মধ্যম মেয়াদি ৩। স্বল্প মেয়াদি ।
১ । দীর্ঘ মেয়াদি-আম, জাম, কাঁঠাল, নারিকেল, লিচু, বেল, তেঁতুল, কামরাঙ্গা, আমড়া ইত্যাদি ।
২ । মধ্যম মেয়াদি-পেয়ারা, জামবুরা, কুল, সফেদা, আতা, শরীফা, কমলা লেবু, জামরুল, জলপাই, অরবরই, করমচা, আমলকি, এভাকোডো, লটকন, ডালিম ইত্যাদি ।
৩ । স্বল্প মেয়াদি-কলা, পেঁপে, আনারস, তরমুজ, চুকুর ইত্যাদি ।
ছক-২
ক্রমিক নং | ফল গাছের জীবন কালের ভিত্তিতে ফলের ভাগ | ফলের নাম ও মোট সংখ্যা |
১ | দীর্ঘ মেয়াদি ফল | |
২ | মধ্যম মেয়াদি ফল | |
৩ | স্বল্প মেয়াদি ফল | |
সর্বমোট: |
ছক-৩
ক্রমিক নং | ফলের মৌসুম | ফলের নাম ও মোট সংখ্যা |
১ | গ্রীষ্ম ও বর্ষা মৌসুমের ফল | |
২ | শীত মৌসুমের ফল | |
৩ | সারা বছরের ফল | |
সর্বমোট: |
প্রয়োজনীয় উপকরণ
(১) বিভিন্ন ধরনের ফল ।
(২) প্রাসঙ্গিক তথ্য মোতাবেক ফলভিত্তিক সংখ্যা নিরূপণের তালিকা/ছক ।
(৩) চিত্রসহ ফলের সংক্ষিপ্ত বিবরণযুক্ত পুস্তিকা ।
(৪) কাগজ, কলম, কেল, রাবার, ক্যালকুলেটর ইত্যাদি
কাজের ধাপ
১। ফল শনাক্তকরণের জন্য ফলের বাগানে বা বাজারে যেতে হবে ।
২ । ফলের চিত্র সংবলিত তালিকার সাথে মিলিয়ে শনাক্ত করতে হবে ।
৩ । ছক মোতাবেক ফলের নাম লিখতে হবে।
৪ । বিভিন্ন মৌসুমে বাগানে বা বাজারে গিয়ে ছক মোতাবেক কোন কোন ধরনের ফল পাওয়া যায় তা লিখতে হবে এবং সংখ্যা বের করতে হবে ।
৫ । পূরণকৃত ছক থেকে কোন কোন ফলের উৎপাদন বেশি বা বাজারে কোন ফল বেশি পাওয়া যায় তা নির্ধারণ করা যায়।
৬ । ফলের শতকরা হার নিরূপণ করে ফলের অবস্থান নির্ণয় করা যাবে ।
আরও দেখুন...