সেতার
সেতার অত্যন্ত প্রচলিত ও জনপ্রিয় বাদ্যযন্ত্র। আমাদের দেশে দুইরকম সেতারের প্রচলন রয়েছে। একটি হলো সাধারণ ও অপরটি তরফারি। সাধারণ সেতার মূলত শিক্ষার্থীরাই ব্যবহার করে থাকে। এতে মাত্র সাতটি তার থাকে। তন্যধ্যে তিনটি পিতলের এবং চারটি লোহার তার।
সেতারের প্রথম তারটি লোহার। মূল তার বলে একে 'নায়কী' তার বলা হয়ে থাকে। 'নায়কী' তারকে উদারা সপ্তকের মধ্যম বা মা স্বরে বাঁধতে হয়। পরের দুটি পিতলের তারকে 'জুড়ি' তার বলা হয়ে থাকে এবং এ দুটিকেই উদারার ষড়জ বা সা স্বরে বাঁধতে হয়। চতুর্থ ভারটিও পিতলের। সেটিকেও উদারার বড়জ স্বরে তথা জুড়ির সুরের সাথে মিলিয়ে বাঁধতে হয়। এর পরের লোহার তারটি সাধারণত পঞ্চমে বাঁধা হয়। তবে বিভিন্ন রাগ বা রাগিণী বাজাবার ক্ষেত্রে শিল্পীরা এ তারটিকে নিজের ইচ্ছেমতো সুরেও বেঁধে নিতে পারেন। তার পরের তার দুইটিকে বলা হয় 'চিকারী ভার। সাধারণত মুদারার ষড়জ অথবা ভারার বড়জে এ দুইটি ভারকে বাঁধতে হয়।
সেতারে সতেরটি পর্দা বা সারিকা থাকে। সে পর্দাগুলো দণ্ডের সাথে শক্ত সুতার সাহায্যে বাঁধা থাকে। এই পর্দাগুলো বাম হাতের তর্জনী ও মধ্যমা দিয়ে চেপে ডান হাতের তর্জনীতে মিজরাব লাগিয়ে তারে আঘাত করে বাজানো হয়।
সরোদ
সরোগ তত জাতীয় বাদ্যযন্ত্র। দোতারা আর রবাব নামক দুইটি বাদ্যযন্ত্র থেকে সরোদ যন্ত্রটি সৃষ্টি করা হয়েছে। 'সেহুরুদ' শব্দ থেকে সরোদের নামকরণ করা হয়েছে। সরোল কাঠের তৈরি। প্রায় সোয়া চারফুট লম্বা ও একফুট চওড়া একখানা কাঠের টুকরা খোদাই করে সরোল তৈরি করা হয়। সরোদের উপরের অংশ লক্ষ দত্তের বুকে একটি ইস্পাতের পাত আটকানো হয়। এটাকে পারী বলে। পটরীর নিচের অংশকে খোন বলে। খোলটি গোলাকৃতি এবং চামড়ার ছাউনি দিয়ে আচ্ছাদিত। খোলের শেষ প্রান্তে একটি সেকেট লাগানো থাকে। ছাউনির ওপর থাকে সেয়ারী। পটরীর বুকে ছিন্ন করে পিতলের কীলক লাগানো হয়। এই কালকের ভেতর দিয়ে তরফের ভারগুলো সংযোজিত হয়। সরোদের মাথার দিকে থাকে ভারগহন ও আটটি বালা বলা থেকে সোয়ারী ও ভারপহনের ওপর দিয়ে প্রধান প্রধান ভারগুলো লেংডটের সঙ্গে আটকানো। তরফের এগারোটি ভারের জন্য সরোদের গায়ে আরও এগারোটি ছোটো চ্যাপ্টা ৰয়লা লাগানো হয়। তার পাশে দুইটি চিকারী ভাবের জন্যে দুইটি বয়লা থাকে। সরোদে মোট একুশটি তার থাকে। তার মধ্যে আটটি প্রধান। দুইটি চিকারী ও এগারোটি ভরফের তার। সরোদের উপরের দিকে মাথার নিচে একটি তুম্বা লাগানো থাকে। ডান হাতে ওয়া ধরে বাঁ হাতের তর্জনী, মধ্যমা ও অনামিকা নিয়ে পটরীর বুকে তার চেপে সরোদ বাজাবার নিয়ম। বিখ্যাত ওতান আলাউদ্দিন খাঁর পরামর্শে এতাদ আয়েত আলী খাঁ সরোদের বর্তমান আধুনিক রূপ দেন।
নী দেখতে একটা নিরেট কাঠ খণ্ডের মতো। একটি নিরেট কার্ড শত খোদাই করে সারেঙ্গী তৈরি করা হয়। উপরের ফাঁপা অংশ দক্ষ এবং নিচের অংশ খান। খোলের শেষ প্রান্তে লেংগুট লাগানো থাকে। খোলটি চামড়ার ছাউনি দিয়ে ঢাকা। চামড়ার ছাউনির ওপর সোয়ারী বসানো। সারে সাতাশ ইঞ্চি লম্বা। এতে চারটি প্রধান তার ব্যবহার করা হয়। এই ভারগুলো ভাতের চারটি কাঠের বলাতে এই তারগুলো লাগানো থাকে। বলা চারটি লক্ষের মাথার দিকে দুইপাশে আটকানো। সভের মাধ্য ভারগহন থাকে। সারেঙ্গীতে পঁয়ত্রিশটি তরফের তার আছে। ভাবের ভারগুলো পটরীর বুকে সংযুক্ত কীলকের ভেতর দিয়ে লেভেট পর্যন্ত বিস্তৃত। ডান হাতে হয় টেনে সারেগী বাজানোর নিয়ম। ছয়টি দেখতে অনেকটা অর্ধচন্দ্রের মতো। গজল, কাওয়ালি, টপ্পা, ঠুমরি, খেয়াল ইত্যাদি গানের সঙ্গে বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়।
পাওয়াজ
চিত্র: সারেঙ্গী
পাখওয়াজ একটি আনদ্ধ বাদ্যযন্ত্র। প্রাচীন মৃদঙ্গ থেকেই পাওয়াজের সৃষ্টি হয়েছে। পাখওয়াজ ফার্সি শব্দ। পথ (পবিত্র) আওয়াজ (ধ্বনি) শব্দ থেকে পাখওয়াজ নামের উৎপত্তি। পাখওয়াজ একটি মধুর গড়ীর আওয়াজ বিশিষ্ট বাদ্যযন্ত্র। রক্ত চন্দন নিম কাঠ দিয়ে তৈরি হয়। এর দৈর্ঘ্য দেড় হাত থেকে পৌনে দুই হাত। এর মধ্যভাগের পরিধি লুই মুখের পরিধি থেকে কিছু বেশি। বাঁ দিকে মুখের ব্যাস বারো থেকে চৌদ্দ আঙ্গুল এবং ডান দিকের মুখের ব্যাস নয় থেকে দশ আঙ্গুল। পাইওয়াজের দুই মুখ চামড়ার ছাউনি দিয়ে আবৃত। দক্ষিণ মুখের মাঝখানে বৃত্তাকারে বিরণ দেওয়া থাকে। বাঁ হাতের চামড়ার আচ্ছাদিত মুখে মরদা লাগানো থাকে। চামড়ার আচ্ছাদন দুইটি চর্মবন্ধু যাৱা টান করা থাকে এবং ঐ রজ্জুর নিচে আটটি কাঠের শুনি দেওয়া থাকে। এই গুনিগুলো পাওয়াজের সুর বাঁধতে সাহায্য করে। যন্ত্রের দুই মুখে আটার প্রলেপ লাগাবার রীতিও আছে। বর্তমান মৃদঙ্গের সঙ্গে পাখওয়াজের আকৃতিগত পার্থক্য আছে। বীপা, রবার,
সুরবাহার, ধ্রুপদ ও ধামারের সঙ্গে পাখওয়াজ বাদ্যযন্ত্রটি বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়। তবলার প্রচলন পাখওয়াজের জনপ্রিয়তাকে অনেকাংশে হরণ করেছে। মুঘল আমলে পাখওয়াজ অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল। নৃত্যগীত এবং বাদ্যে সমভাবেই এটি ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে গান ছাড়া বিভিন্ন বাদ্যের সঙ্গেও (যেমন- সুরশৃঙ্গার, বীশ, রবার প্রভৃতি) পাকওয়াজ সংগত করা হয়ে থাকে।
বাংলা লোকালোর মধ্যে অন্যতম। এটি দশ-বারো ইঞ্চি ব্যলযুক্ত কাঠের তৈরি লোক বাদ্যযন্ত্র। এর নিচের नি তামার ফন্টনীত। সেই বাউলীর মধ্যভাগে একটি কি করে দেখালে একটি টা সংযুক্ত করা হয়ে থাকে। ভারের পর প্রাপ্ত সম্পূর্ণ মুক্ত অর্থাৎ এটি কোনো চাৰি বা কানের লক্ষণ সংশ্লিষ্ট নয়। ভাবে এই উল্লুক প্রাচ্চে ভারটিকে ক্ষুদ্র একটি মন্দিরা জাতীয় হাতলের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়। বাসদের সম এই ধমকের দেহটিকে বা টের উন্মুক্ত থাজের অ্যাভিটিকে বাঁ হাতের মুষ্টি বন্ধ করে হয়। একই সময়ে ডান হাতি একটি ছোটো পরশির সাহায্যে করা তারটিকে প্রাধাত করে বাম হাতে মুষ্টিবদ্ধ হাতটাকে চান প্রয়োগ করতে হয়। এর ফলে থমকে সৃষ্টি হয় এক নিচ সুখ। মুর্শিদি, বাউল, মারফতি গানে এই যন্ত্রের ব্যবহার অনেক বেশি।
রিপা একটি লোকবাদ্য। বিচার গান, মারফতি, মুর্শিদি গানে বাদ্যযন্ত্রটি ব্যবহত হয়ে থাকে। এটি লম্বায় দুই ফুট। আর এক কাঠের পথকে কেটে এবং নিচের দিকে খোলাই করে তৈরি হয় ঘরটি। সম্পূর্ণ অংশে চামড়ার উহা না ক্ষুদ্র এক ধর্ষণ প্রয়োগ করে ৰাজ্যটিকে সুর তোলা হয়। মাত্র তিনটি যায়। দোতারার মত নারিন্দার উপরি ভাগ খোলাই থাকে। সাধারণত একটি পাখির আকৃতি লোকজধারার এই বাচ্চারে দেখা যায়।
বেহালা তত জাতীয় বালাযন্ত্র। এ যন্ত্রটি যদিও ইউরোপীয় বাদ্যযন্ত্র বলে খ্যাত হলেও আমাদের দেশে এর বহুল প্রচলন দেখা যায়। বেহালার উৎপত্তি সম্বন্ধে বিভিন্ন মতবাদ রয়েছে। একমতে, প্রায় চারশ বছর আগে ইউরোপে 'ডাইল নামক এক প্রকার বাদ্যযন্ত্রের আবিষ্কার হয়। ভাইল থেকেই 'ভায়োলিন বা বেহালা' যন্ত্রের সৃষ্টি ।
অন্যমতে, মধ্যযুগে ভেনিস নগরে লীনাবোলি নামে এক গ্রাম্য ব্যক্তি 'টেনর ভায়োলিন নামক একটি যন্ত্রের
উদ্ভাবন করেন। পরে ইটালির কোনও এক বিশিষ্ট ব্যক্তি সেই টেলর ভায়োলিনের সংস্কার সাধন করে 'ভি'
যন্ত্রের সৃষ্টি করেন। এখানে উল্লেখ্য যে, ইংরেজরা রেহানাকে 'ভায়োলিন' বলেন আর ইটালিয়ানরা বলেন
"ডিয়ালো। সেই ভায়োলিন বা ভিয়ানোই বেহালা নামে সুপরিচিত। অপর দিকে আরব ও পারলো 'কেমাজে যৌজা' নামক এক প্রকার ধনুযন্ত্রের প্রচলন ছিল। ফারসি ভাষায় 'দোজে যৌথ' (Kemanged gouz) শব্দে প্রাচীন ধনুর্বন্ধকে বোঝায়। পারস্য অভিযানে 'কেমানেঙ্গ' শব্দ "ভিন্নন" বলে অনুবাদিত আছে। তা থেকে এই প্রতীয়মান হয় যে যেমানুজো জৌজ' বা 'ডি' অর্থ 'বেহালা'
পারসিক যন্ত্র।
আবার কেউ কেউ মনে করেন যে, আরব দেশে প্রচলিত 'বিবেক' নামক ধনুর্বন্ত্র থেকে বেহালার উৎপত্তি। আর
জাতি তখন স্পেন বিজয় করেন তখন তাদের সাথে অন্যান্য যন্ত্রের সঙ্গে রিবেক যন্ত্রটিও ইউরোপের সংগীত জগতে আবির্ভূত হয়। বিবেক যন্ত্রটি কেমানুজে জৌজ যন্ত্রেরই গোত্রভুক্ত। কাজেই বিবেক থেকে বেহালার
উৎপত্তি একথাও অস্বীকার করা যায় না। এসব প্রমাণ থেকে এই বোঝা যায় যে, তিন তার বিশিষ্ট আরবীয় য বিবেক এবং রবানের অনুকরণেই ইটালিতে প্রথম ডিয়েলের সৃষ্টি হয়। পরে ইটালির লম্বার্ডির অন্তর্গত 'সান' নামক নগরে খ্রিস্টীয় ষোড়শ শতাব্দীতে গাসপর্ত নামক একজন শিল্পী 'ভায়োলিন' বা বেহালার বর্তমান
আকৃতি দান করে তাতে চারটি তারের ব্যবহার প্রচলন করেন। এখনও এ নিয়মই প্রচলিত।
কতকগুলো হালকা কাঠের অংশকে জোড়া দিয়ে বেহালা যন্ত্রটি তৈরি করা হয়। সম্পূর্ণ যন্ত্রটির দৈর্ঘ্য প্রায় দুই ফুট যন্ত্রটি প্রধানত 'ঘাড়ী' এবং 'খোল' এই দুই অংশে বিভক্ত। বোল অংশটি সম্পূর্ণ ফাঁপা। বেহালাতে চারটি কান, একটি নাট বা তারগহন, একটি ফিঙ্গার বোর্ড, একটি ব্রিজ, একটি টেলপিস, একটি এ্যাডজাস্টার, একটি বোতাম, একটি সাউন্ডপোস্ট ও একটি চিনরেস্ট থাকে। এর মাথাটি চ্যাপ্টা ও মোড়ানো। কানগুলো লাগানো হয় মাথার দুই পাশে। ঘাড়ীর উপরিভাগে একটি হালকা কাঠ আবদ্ধ থাকে। এই কাঠটিকে বলা হয় ফিঙ্গারবোর্ড। তারগহনাটি বসানো থাকে ফিগারবোর্ড এর ওপর প্রান্তে, আর বোতামটি থাকে থোলের শেষ প্রান্তে। টেলপিসের মাথায় চারটি ছিদ্র থাকে। এ্যাডজাস্টারগুলো আবদ্ধ থাকে ঐ ছিদ্রে। পরে এ্যাডজাস্টার সংযুক্ত টেলপিসটিকে গাঁটের তৈরি সুতোর সাহায্যে খোলের শেষ প্রান্তে আবদ্ধ বোতামের সঙ্গে আটকিয়ে দেওয়া হয়। ব্রিজটি বসানো থাকে টেলপিস ও ফিঙ্গারবোর্ড এর মাঝখানে যে খালি জায়গাটুকু আছে সেখানে। তারগুলো সংযোজিত হয় কান এবং এ্যাডজাস্টারের সঙ্গে। ব্রিজ ও ডারগহনের উপরিভাগে সমান দূরত্ব রেখে চারটি দাগ কাটা থাকে। ভারগুলো বসানো হয় ঐ দাগের ওপর। খোলের উপরের অংশে ব্রিজের দুই পাশে ইংরেজি অক্ষর এস এর মতো দুইটি গর্ত থাকে। এই গর্ত দুইটিকে বলা হয় সাউন্ডহোল। ব্রিজের নিচে খোলের অভ্যন্তরে কাঠের তৈরি একটি সরু খুঁটি বসানো থাকে। এই খুঁটিটিকে বলা হয় 'সাউন্ডপোস্ট। চিনরেস্টটি আবদ্ধ থাকে খোলের শেষ প্রান্তে বাঁ পাশে। এই চিনরেস্টের ওপর চিবুক রেখে ছড়ির সাহায্যে বেহালা বাজানো হয়।
ছড়িটি কাঠের তৈরি। এর দৈর্ঘ্য সোয়া দুই থেকে আড়াই ফুট। ইংরেজিতে ছড়িকে স্টিক' (Stick) বা বো
(Bow) বলা হয়। ছড়িতে একগুচ্ছ সাদা ঘোড়ার লেজের চুল লাগানো থাকে। বাজাবার আগে চুলগুলোতে রঞ্জন লাগিয়ে নিতে হয়। বজন বিহীন চুল দিয়ে তারে ধর্ষণ করলে কোনো শব্দ হয় না। ছড়ির গোড়ায় একটি স্কু আঁটা থাকে। এই ক্রুর সাহায্যে ছড়ির চুলগুলোকে ইচ্ছানুযায়ী চিলে ও টান করা যায়।
ইংরেজিতে বেহালার প্রথম তারটিকে 'ই', দ্বিতীয়টিকে 'এ', তৃতীয়টিকে "ডি" এবং চতুর্থটিকে 'জি' বলা হয়। আমাদের দেশে দুইরকম পদ্ধতিতে বেহালার সুর মিলাবার নিয়ম প্রচলিত। কেউ কেউ তৃতীয় তারটিকে আবার কেউ কেউ দ্বিতীয় তারটিকে 'ষড়জ বা সা" এর সঙ্গে মিলিয়ে থাকেন।
যদি তৃতীয় ভারটিকে 'সা' বলে ধরা হয় তাহলে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তারটির সুর মিলাতে হবে যথাক্রমে তার সপ্তকের অক্ষত, মুদারা সপ্তকের পঞ্চম, মুদারা সপ্তকের ষড়জ ও উদারা সপ্তকের মধ্যমের সঙ্গে। আর যদি দ্বিতীয় তারটিকে 'সা' বলে ধরা হয় তাহলে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তারটির সুর মিলাতে হয় যথাক্রমে মুদারা সপ্তকের পঞ্চম, মুদারা সপ্তকের ষড়জ, উদারা সপ্তকের মধ্যম ও অতি উদারা সপ্তকের কোমল নিষাদের সঙ্গে।
এখানে উল্লেখ্য যে, আগে আমাদের দেশে বেহালাতে ব্যবহৃত প্রথম ভারটি ব্যতীত অন্যান্য তারগুলো ছিল
গাঁটের তৈরি বর্তমানে ব্যবহৃত সবগুলো তারই ধাতুর তৈরি। তাছাড়া, ছড়িতে আজকাল ঘোড়ার লেজের চুলের
পরিবর্তে নাইলনের চুল ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
আরও দেখুন...