যে হারে কোন বৈদ্যুতিক বর্তনীতে ইলেকট্রন প্রবাহিত হয়ে কাজ সম্পন্ন হয় তাকে বৈদ্যুতিক পাওয়ার বলে। আবার অন্য ভাবে বলা যায়। কারেন্ট এবং ভোল্টেজের গুণফলকে পাওয়ার বলে। এটিকে P দিয়ে প্রকাশ করা হয়। এটির একক ওয়াট পাওয়ার পরিমাপক যন্ত্রের নাম ওয়াট মিটার ।
বিভিন্ন পদ্ধতিতে পাওয়ার বা ক্ষমতার একক
C. G.S (Centigrade Gram Second) পদ্ধতিতে পাওয়ারের একক ‘ওয়াট’
F.P.S (Foot Pound Second) পদ্ধতিতে পাওয়ারের একক ‘হর্স পাওয়ার (Horse Power)
এক হর্স পাওয়ার = ৭৪৬ ওয়াট।
ইলেকট্রিক্যাল পাওয়ার অপচয়
কাজের জন্য প্রয়োজন শক্তি । সুতরাং বৈদ্যুতিক কাজের জন্যও প্রয়োজন বৈদ্যুতিক শক্তি । বিভিন্ন কাজের জন্য বা কাজ করার সময় বৈদ্যুতিক শক্তি অন্য শক্তিতে রূপান্তর হয়। এ প্রকার রূপান্তরকে ইলেকট্রিক্যাল পাওয়ার ব্যয় বা অপচয় বলে । বিদ্যুৎ যখন রোধকের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় তখন রোধক উত্তপ্ত হয়। তাপের কারণে তা উত্তপ্ত হয়ে থাকে । বিদ্যুৎ শক্তিই এ তাপের উৎস। বিদ্যুৎ শক্তির একাংশ তাপ শক্তিতে রূপান্তরের কারণে এরূপ ঘটেছে। সুতরাং রোধকে উৎপন্ন তাপের কারণে পাওয়ার অপচয় ঘটে । তাপে বায়িত (রূপান্তরিত) বিদ্যুৎ শক্তিই সার্কিটে পাওয়ারের অপচয় । কোন ক্রমেই এ অপচয় রোধ করা সম্ভব নয় ।
ইলেকট্রিক্যাল পাওয়ার অপচয়ের কারণসমুহ
১। গ্রাউন্ডিং বা আর্থ: মাটি বা ভূমিতে পাওয়ার অপচয় ;
২। লিকেজ: বিদ্যুৎ ব্যবস্থার বিভিন্ন লিকেজের জন্য পাওয়ার অপচয়;
৩। শর্ট সার্কিট: শর্ট সার্কিটজনিত পাওয়ার অপচয়;
৪। সিস্টেম লস: সিস্টেমে পাওয়ার ব্যবহারের জন্য অপচয়;
৫। ইলেকট্রিক্যাল লোড: লোডে পাওয়ার ব্যয়ের জন্য অপচয় ।
উদাহরণস্বরূপ একটি বাল্বে ২২০ ভোল্ট ও ৬০ ওয়াট লেখার অর্থ হচ্ছে বাতিটিকে ২২০ ভোল্ট প্রবাহ লাইনে সংযোগ করলে ৬০ ওয়াট শক্তি খরচ হবে।
আরও দেখুন...