যদি একটি শারীরবিজ্ঞানিক প্রক্রিয়া একাধিক ফ্যাক্টর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় তবে (সর্বনিম্ন ধীর গতিসম্পন্ন ফ্যাক্টর) দ্বারাই শারীরবিজ্ঞানিক প্রক্রিয়ার হার নিয়ন্ত্রিত হবে যাকে লিমিটিং ফ্যাক্টর বলে।
বিভিন্ন পরিবেশ মূলক ফ্যাক্টর, যথাঃ কার্বন-ডাই-অক্সাইড, আলো, তাপ, পানি, অক্সিজেন ইত্যাদি একত্রে সালোকসংশ্লেষণের হার প্রভাবিত করে। উপরোক্ত ফ্যাক্টরগুলোর মধ্যে কোন একটি নির্দিষ্ট ফ্যাক্টর সালোকসংশ্লেষণ এর উপর প্রভাব বিস্তার করে তা এককভাবে অন্যান্য ফ্যাক্টর থেকে পৃথক করা কঠিন কাজ। এতদ্বসত্ত্বেও সালোকসংশ্লেষণের উপর প্রভাব সম্পন্ন প্রতিটি ফ্যাক্টরের সর্বনিম্ন, উপযুক্ত এবং সর্বোচ্চ প্রভাব কি তার উপর ব্যাপক গবেষণা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে "ল অব মিনিমাম" প্রস্তাব করেন।
১৯০৫ সালে ব্ল্যাকম্যান "ল অফ মিনিমাম" এর উপর ভিত্তি করে "ল অব লিমিটিং ফ্যাক্টর সুত্র" বা "সীমাবদ্ধতা ফ্যাক্টর সুত্র" প্রস্তাব করেন। এ সুত্র অনুযায়ী যখন কোন শারীরবিজ্ঞানিক প্রক্রিয়ার দ্রুততা কয়েকটি পৃথক ফ্যাক্টর দ্বারা প্রভাবিত হয় সেক্ষেত্রে নিম্নতম গতিসম্পন্ন ফ্যাক্টর দ্বারাই এ প্রক্রিয়ার গতি সীমাবদ্ধ হবে।
সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় তাপমাত্রা, আলোর তীব্রতা এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড এর ঘনত্ব এই তিনটি লিমিটিং ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। লিমিটিং ফ্যাক্টরের নীতি অনুযায়ী সালোকসংশ্লেষণ যেকোনো নির্দিষ্ট সময়ে শুধুমাত্র একটি ফ্যাক্টর দ্বারা সীমাবদ্ধ হয়। সালোকসংশ্লেষণের হার ওই নির্দিষ্ট ফ্যাক্টরের সমানুপাতিক অর্থাৎ ফ্যাক্টরটির পরিমাণ বাড়লে সালোকসংশ্লেষণ হারও বাড়বে। কিন্তু এই ফ্যাক্টরটির পরিমাণ অপটিমাম মান থেকে অনেক বেশি হলে সালোকসংশ্লেষণের হাতের উপর এর প্রভাব হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় এবং এর স্থলে অন্য একটি ফ্যাক্টর সালোকসংশ্লেষণের হারকে নিয়ন্ত্রণ করে।