কোনট Liverworts

Created: 2 years ago | Updated: 2 years ago
Updated: 2 years ago

Riccia: Riccia spজন্মে থাকে এবং বর্ষাকালে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় কিন্তু ক্ষুদ্রাকার বলে আমরা এদেরকে সাধারণত লক্ষ্য করি না, চিনিও না। এদের সাথে আমরা তেমন পরিচিত নই।
Riccia একটি বড় গণ। প্রায় ২০০টি প্রজাতি নিয়ে এই গণ গঠিত। এর মধ্যে শুধুমাত্র Riccia fluitans ভাসমান জলজ। Hepaticae শ্রেণির ব্রায়োফাইটস সদস্যদেরকে লিভারওয়ার্ট (Liverwort) বলে।
এদের দেহ অর্থাৎ থ্যালাসের আকৃতি মানুষের লিভার (যকৃত)-এর সাথে কিছুটা মিল সম্পন্ন হওয়াতে এরূপ নামকরণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে Riccia গণের ৪৫টি প্রজাতি শনাক্ত করা হয়েছে। নতুন প্রজাতির মধ্যে R. bengalensis, R. dhakensis, R. chittagonensis, R. gangestica, R. personii উল্লেখযোগ্য ।

আবাসস্থলঃ
Riccia গণের বিভিন্ন প্রজাতি স্যাঁতসেঁতে মাটিতে, আর্দ্র প্রাচীরের গায়ে জন্মে থাকে। নদীতীরে বালিতে Riccia জন্মিতে দেখা যায়। Riccia fluitans ছোট ছোট ডোবা-পুকুরের পানিতে ভাসমান অবস্থায় দেখা যায়। বর্ষাকালেই Riccia অধিক জন্মায়।

শ্রেণিবিন্যাস (Classification) :

Kingdom :  Plantae

  Grade:  Bryophyta

     Division :  Bryophyta

        Class:  Hepaticae

           Order :  Marchantiales

               Family :  Ricciaceae

                  Genus :  Riccia

বাহ্যিক গঠন বৈশিষ্ট্য (External structure features) :Riccia গ্যামিটোফাইটিক উদ্ভিদ। এদের দেহ থ্যালয়েড অর্থাৎ দেহকে মূল, কাণ্ড ও পাতায় বিভক্ত করা যায় না। থ্যালাসটি সবুজ, শায়িত এবং বিষমপৃষ্ঠ। থ্যালাস দ্ব্যাগ্র শাখাবিশিষ্ট । সাধারণত কতগুলো Riccia থ্যালাস একত্রে গোলাপের পাপড়ির মতো গোলাকার চক্র করে অবস্থান করে। এই অবস্থাকে রোজেট বলে।

Riccia থ্যালাসের বাহ্যিক গঠণঃ
Riccia, Hepaticae শ্রেণির অন্তর্গত একটি গণ। Riccia উদ্ভিদের বিভিন্ন প্রজাতি বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্রই থ্যালাসের উপর পৃষ্ঠে লম্বালম্বিভাবে মধ্যশিরা আছে এবং শিরা বরাবর লম্বা খাঁজ (dorsal furrow) আছে। থ্যালাসের প্রতিটি শাখার শীর্ষে একটি খাঁজ আছে, একে অগ্রন্থ খাঁজ (apical notch) বলে। থ্যালাসের নিচের পৃষ্ঠ থেকে বহুকোষী স্কেল এবং এককোষী রাইজয়েড সৃষ্টি হয়। রাইজয়েড মসৃণ এবং অমসৃণ (smooth & tuberculate)-এ দু’প্রকার হয়। থ্যালাসকে মাটির সাথে আটকিয়ে রাখা এবং মাটি থেকে পানি ও খনিজ লবণ শোষণ করা স্কেল ও রাইজয়েড এর কাজ। Riccia-এর স্পোরোফাইট সর্বাপেক্ষা সরল এবং সম্পূর্ণরূপে গ্যামিটোফাইটের উপর নির্ভরশীল। স্পোরোফাইট শুধুমাত্র গোলাকার ক্যাপসিউল-এ গঠিত যা থ্যালাসে নিমজ্জিত থাকে।

Riccia-র অভ্যন্তরীণ গঠন (থ্যালাসের প্রস্থচ্ছেদ) 
Internal structure (Cross-section of Thalamus) : 
প্রস্থচ্ছেদে থ্যালাসকে তিনটি পৃথক অঞ্চলে বিভক্ত দেখা যায় :
• উপরের দিকে ক্লোরোপ্লাস্টযুক্ত ফটোসিনথেটিক বা আত্তীকরণ অঞ্চল।
• নিচের দিকে বর্ণহীন সঞ্চয়ী অঞ্চল
• এবং নিম্নত্বক।

ফটোসিনথেটিক বা আত্তীকরণ অঞ্চল (Photosynthetic or assimilatory zone) :
থ্যালাসের উপরের দিকে ক্লোরোপ্লাস্টযুক্ত খাড়া কোষের সারি নিয়ে এ অঞ্চল গঠিত। এই অঞ্চলে ফটোসিনথেসিস হয় এবং খাদ্য তৈরি হয়। ক্লোরোপ্লাস্টযুক্ত এ সারিগুলোকে আত্তীকরণ সূত্র (assimilatory filament) বলে। এসব আত্তীকরণ সূত্রের মধ্যবর্তী সরু ও লম্বা নালীর ন্যায় বায়ুপূর্ণ স্থানকে বায়ু প্রকোষ্ঠ (air chamber) বলে। প্রতিটি বায়ু প্রকোষ্ঠ একটি ছিদ্রপথে বাইরের সাথে উন্মুক্ত থাকে। এ ছিদ্রপথকে বায়ুছিদ্র (air pore) বলে। আত্তীকরণ সূত্রের বাইরের কোষগুলো কিছুটা বড় ও ক্লোরোপ্লাস্টবিহীন থাকে। বর্ণহীন এ কোষগুলো থ্যালাসের উপরিভাগে একটি অসম্পূর্ণ ঊর্ধ্বত্বক (upper epidermis) গঠন করে। বর্ণহীন একসারি কোষ দিয়ে থ্যালাসের ঊর্ধ্বত্বক গঠিত।

•সঞ্চয়ী অঞ্চল (storage zone) :
থ্যালাসের ফটোসিনথেটিক অঞ্চলের নিচে এ অঞ্চল অবস্থিত। এ অঞ্চলটি কয়েক সারি বর্ণহীন প্যারেনকাইমা কোষ দ্বারা গঠিত এবং সাধারণত আন্তঃকোষীয় ফাঁক বিবর্জিত। এ সকল কোষে প্রচুর শ্বেতসার কণা সঞ্চিত থাকে।

• নিম্নত্বক (Lower skin) :
একসারি কোষ দিয়ে নিম্নত্বক গঠিত। নিম্নত্বক সুগঠিত। নিম্নত্বক থেকে বহু এককোষী রাইজয়েড ও বহুকোষী শল্ক বা স্কেল নির্গত হয়। রাইজয়েড দুই ধরনে; যথা- মসৃণ ও অমসৃণ।

Riccia র জনন পদ্ধতিঃ

•অঙ্গজ জনন (Vegetative reproduction) :
থ্যালাসের পেছনের অংশ মরে গেলে অগ্রভাগের প্রতিটি শাখা স্বতন্ত্র Riccia উদ্ভিদ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। রাইজয়েডের  অগ্রভাগে গিমা (gemma) এবং থ্যালাসের উপর টিউবার (tuber) জাতীয় উপবৃদ্ধি সৃষ্টি হতে পারে যা থেকে নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টি হয়ে থাকে।

•যৌন জনন (Sexual reproduction) :
Riccia-র পুংজননাঙ্গকে অ্যান্থেরিডিয়াম এবং স্ত্রীজননাঙ্গকে আর্কিগোনিয়াম বলে। নাশপাতি আকৃতির অ্যান্থেরিডিয়ামে দ্বিফ্যাজেলাবিশিষ্ট শুক্রাণু এবং ফ্লাস্ক আকৃতির আর্কিগোনিয়ামে নিশ্চল ডিম্বাণু উৎপন্ন হয়। নিষিক্ত ডিম্বাণু পরিস্ফূটিত হয়ে সরল ও গোলাকার স্পোরোফাইট গঠন করে। স্পোরোফাইট ক্যাপসিউলে সীমাবদ্ধ থাকে। এর মধ্যে স্পোর উৎপন্ন হয়। স্পোরগুলো আকার-আকৃতিতে একইরূপ হয় অর্থাৎ হোমোস্পোরাস। অনুকূল পরিবেশে স্পোর অঙ্কুরিত হয়ে তরুণ Riccia থ্যালস গঠন করে।

Content added || updated By
Promotion