নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং 1 ও 2 নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

অনেক বছর আগের কথা। সিলেটের রহমান সাহেব ও তাঁর তিন বন্ধু স্থানীয় জমিদারের নিকট থেকে সুপারিশপত্র নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় গমন করে বাণিজ্যিক সুবিধা লাভের আশায় সেখানকার কর্তৃপক্ষের সাথে সাক্ষাৎ করেন । তারা একটি নদীর তীরে অর্থের বিনিময়ে কয়েকটি গ্রাম ইজারা নিয়ে কুঠি স্থাপন করেন । স্থানীয় কর্তৃপক্ষ রহমান সাহেব ও তার গোষ্ঠীকে বিনা শুল্কে বাণিজ্য করারও অধিকার প্রদান করে।

তোমার পাঠ্যপুস্তকে বর্ণিত কোন ইউরোপীয় জাতির বাণিজ্য কার্যক্রমের সাথে রহমান সাহেব ও তাঁর বন্ধুদের গৃহীত ব্যবস্থার মিল রয়েছে?

Created: 1 year ago | Updated: 1 year ago
Updated: 1 year ago

প্রাচীনকাল থেকে ভারত উপমহাদেশ - বিশেষ করে বাংলা অঞ্চল ছিল ধনসম্পদে পূর্ণ রূপকথার মতো একটি দেশ । এ অঞ্চলের স্বয়ংসম্পূর্ণ গ্রামে মানুষের জীবনযাপনের জন্য যা কিছু প্রয়োজন সবই তখন পাওয়া যেত । এই স্বয়ংসম্পূর্ণ গ্রামের কৃষকের ক্ষেতভরা ফসল, গোলাভরা ধান, পুকুরভরা মাছ থাকত। কুটির শিল্পেও গ্রাম ছিল সমৃদ্ধ । তাঁতিদের হাতে বোনা কাপড় ইউরোপের কাপড়ের চেয়েও উন্নতমানের ছিল । এর মধ্যে জগৎ বিখ্যাত ছিল মসলিন কাপড়। তাছাড়া উপমহাদেশের অন্যান্য অঞ্চলও নানা ধরনের বাণিজ্যিক পণ্য ও মসলার জন্য বিখ্যাত ছিল। এসব পণ্যের আকর্ষণেই অনেকেই এদেশের সঙ্গে বাণিজ্য করতে এসেছে । ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিও উপমহাদেশে এসেছিল ব্যবসায়-বাণিজ্য করতে। পরবর্তী সময়ে তারা এদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করতে সক্ষম হয়। এদেশে আগত অন্যান্য ইউরোপীয় কোম্পানিকে পরাজিত করে এবং স্থানীয় শাসকদের বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্র করে কীভাবে ইংরেজ ব্যবসায়ী কোম্পানি এ অঞ্চলে ইংরেজ শাসনের সূচনা করে, বর্তমান অধ্যায়ে সে বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।

 

এই অধ্যায় শেষে আমরা-

  • বাংলায় ইংরেজ শাসনের পটভূমি ব্যাখ্যা করতে পারব;
  • পলাশি ও বক্সারের যুদ্ধের কারণ ও ফলাফল মূল্যায়ন করতে পারব; 
  • ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠায় দিওয়ানি লাভের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে পারব;
  •  চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পটভূমি ও ফলাফল ব্যাখ্যা করতে পারব;
  • ইংরেজ শাসনের ফলে বাংলায় রাজনৈতিক পরিবর্তনসমূহ অনুধাবনে সক্ষম হব ।
Content added By
Promotion