উদ্দীপকটি পড় এবং ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

অগ্রণী ক্লাবের সভাপতির একরোখা মনোভাব ও অসহযোগিতামূলক কার্যক্রমে অসন্তোষ প্রকাশ করেন ক্লাবের সদস্যগণ । মারুফ সাহেবের নেতৃত্বে সদস্যগণ তাঁদের দাবি-দাওয়া সভাপতির নিকট পেশ করেন । সভাপতি ও তাঁর পক্ষের লোকজন বিষয়টিকে অযৌক্তিক মনে করে প্রত্যাখ্যান করেন। ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মারুফ সাহেব ও তার অনুসারী সদস্যবৃন্দ সোচ্চার হন । 

উক্ত ঐতিহাসিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই –

i. আইয়ুব সরকার আতঙ্কিত হয়ে পড়ে ii. বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয় iii. বাংলাদেশ স্বাধীনতা সংগ্রামের পথে ধাবিত হয়

নিচের কোনটি সঠিক?

Created: 1 year ago | Updated: 1 year ago
Updated: 1 year ago

পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টির পর থেকেই শাসনব্যবস্থায় একধরনের স্বৈরতান্ত্রিক ও আমলাতান্ত্রিক প্রবণতা লক্ষ করা যায় । এছাড়া এর সাথে যুক্ত হয় সেনাবাহিনীর প্রভাব । পাকিস্তানের রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ ক্রমেই বাড়তে থাকে । সেনাবাহিনী শাসন ক্ষমতা দখল করার সুযোগ খুঁজতে থাকে। ১৯৫৬ সালের ২৩শে মার্চ জেনারেল ইস্কান্দার মির্জা পাকিস্তান ইসলামি প্রজাতন্ত্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট মনোনীত হন। তার সময়কালে সামরিক বাহিনী রাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাব রাখতে শুরু করে । ইস্কান্দার মির্জা নানাভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করেন । তার ষড়যন্ত্রে কয়েকবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার পতন হয় । পূর্ব বাংলা আইন পরিষদে বিরোধী দল কৃষক-শ্রমিক পার্টির আক্রমণে ডেপুটি স্পিকার শাহেদ আলী মাথায় আঘাত পেয়ে নিহত হন। তাঁর মৃত্যুর ফলে সৃষ্ট রাজনৈতিক জটিলতা ইস্কান্দার মির্জার পক্ষে সেনাশাসন প্রতিষ্ঠা করার সুযোগ তৈরি করে দেয় ।

 

এই অধ্যায় শেষে আমরা-

  • পাকিস্তানের রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপে সৃষ্ট পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে পারব;
  • ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের প্রেক্ষাপট এবং এর ফলাফল বর্ণনা করতে পারব;
  • তৎকালীন পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যকার বৈষম্য ব্যাখ্যা করতে পারব;
  • বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনে ৬ দফার গুরুত্ব বিশ্লেষণ করতে পারব;
  •  ঐতিহাসিক আগরতলা মামলার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে পারব;
  •  ১১ দফা সম্পর্কে বর্ণনা করতে পারব;
  •  ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট ও ফলাফল বর্ণনা করতে পারব;
  •  দেশের স্বার্থ ও অধিকার আদায়ে সচেতন হব ।

 

Content added By
Promotion