অ্যামিনো এসিড ও কার্বোহাইড্রেট মিশ্রণকে আলাদা করতে কোন ক্রোমাটোগ্রাফি (chromatography) পদ্ধতিটি সবচেয়ে ভালো?
পেপার ক্রোমাটোগ্রাফি
মূলনীতি: পেপার ক্রোমাটোগ্রাফি হল বন্টন বা বিভাজন শ্রেণীর ক্রোমাটোগ্রাফি ।এক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয় মাধ্যমে হোয়াট ম্যান ফিল্টার কাগজে শোষিত পানি ‘স্থির মাধ্যম’ রূপে এবং সচল মাধ্যমরূপে জৈব দ্রাবক ব্যবহৃত হয়। হোয়াট ম্যান ফিল্টার কাগজের সেলুলোজ সবসময় অল্প পরিমাণ পানি শোষণ করে রাখে । ফলে হোয়াটম্যান কাগজে স্থাপিত নমুনা মিশ্রনের যৌগসমূহ( জৈব বা অজৈব )এক্ষেত্রে দুটি অমিশ্রণীয় দ্রাবক যেমন স্থির মাধ্যম রুপী পানি ও সচল মাধ্যম রুপী জৈব দ্রাবকে এদের দ্রাব্যতার পার্থক্যের ভিত্তিতে পৃথক পৃথকভাবে বিভাজিত হয়ে পড়ে। তখন পানিতে বেশি দ্রবণীয় দ্রব যৌগটি কম বেগে এবং জৈব দ্রাবকে বেশি দ্রবণীয় দ্রব্ যৌগটি বেশি বেগে গতিশীল দ্রাবকের সাথে প্রবাহিত হয়। দ্রব্য ও দ্রাবকের গতিবেগের আনুপাতিক হার Rf (retention factor) এর মান থেকে উপাদান যৌগকে শনাক্ত করা হয় ৷বিভাজন ক্রোমাটোগ্রাফিতে উপাদান যৌগের সর্বাধিক গাঢত্বের ফ্রন্ট এর দূরত্ব ও সচল মাধ্যম দ্রাবকের ফ্রন্ট এর দূরত্বের অনুপাতের অনুপাতকে যৌগটির Rf মান বলে ৷