ক্রিয়াপদকে বিশ্লেষণ করলে দুটি কী কী অংশ পাওয়া যায়?

Created: 1 year ago | Updated: 1 year ago
Updated: 1 year ago

ক্রিয়ার দুইটি অংশ: প্রথম অংশ ধাতু বা ক্রিয়ামূল এবং দ্বিতীয় অংশ ক্রিয়াবিভক্তি। ক্রিয়ামূলের সঙ্গে যেসব লগ্নক যুক্ত হয়ে ক্রিয়ার কাল ও পক্ষ নির্দেশিত হয়, সেগুলোকে ক্রিয়াবিভক্তি বলে। যেমন-

পড়ছি (পড়ু + ছি) ক্রিয়ার এই রূপটি থেকে বোঝা যায় যে, এই ক্রিয়ার কর্তা বক্তা পক্ষের এবং এটা দিয়ে ঘটমান বর্তমান কালের পড়া ক্রিয়াকে বোঝায়।

পড়বেন (পড়ু+ বেন) ক্রিয়ার এই রূপটি থেকে বোঝা যায় যে, এই ক্রিয়ার কর্তা শ্রোতা পক্ষের এবং এটা দিয়ে সাধারণ ভবিষ্যৎ কালের পড়া ক্রিয়াকে বোঝায়।

পড়ছিল (পড়ু + ছিল) ক্রিয়ার এই রূপটি থেকে বোঝা যায় যে, এই ক্রিয়ার কর্তা অন্য পক্ষের এবং এটা দিয়ে সাধারণ অতীত কালের পড়া ক্রিয়াকে বোঝায়।

উপরের উদাহরণগুলোতে '-ছি', '-বেন', 'ছিল' এগুলো হলো ক্রিয়াবিভক্তি।

অধিকাংশ বাংলা ক্রিয়ার দুটি রূপ আছে: সাধারণ রূপ ও প্রযোজক রূপ। উভয় রূপের সঙ্গে যুক্ত ক্রিয়াবিভক্তির রূপ আলাদা। নিচের সারণিতে ক্রিয়ামূল 'কর্'-এর সঙ্গে ক্রিয়াবিভক্তির প্রয়োগ দেখানো হলো

Content added By
Promotion