মোবাইল ফোনের কোন প্রজন্ম হতে SMS সেবা চালু হয়?

Created: 4 years ago | Updated: 2 weeks ago

মোবাইল ফোনের ব্যবহার ও উন্নয়নের এক একটি পর্যায় বা ধাপকে মোবাইল ফোনের প্রজন্ম বলা হয়।মোবাইল ফোন প্রযুক্তিকে চারটি প্রজন্মে ভাগ করা যায়। নিম্নে তা আলোচনা করা হলো।

=> প্রথম প্রজন্ম

১৯৭৯ সালে জাপানের NTTC (Nippon Telegraph and Telephone Corporation) প্রথম অটোমেটেড সেলুলার নেটওয়ার্ক চালু করার মাধ্যমে 1G এর সূচনা করে। ১৯৮৩ সালে উত্তর আমেরিকায় বাণিজ্যিকভাবে প্রথম প্রজন্মের মােবাইল ফোন চালু করা হয় যার নাম ছিল অ্যাডভান্সড মােবাইল ফোন সিস্টেম (AMPS)।

👉বৈশিষ্ট্য

(১) অ্যানালগ সিগনাল ব্যবহার করে যােগাযােগ স্থাপন করা যায়।

(২) সেল সিগনাল এনকোডিং পদ্ধতি ছিল FDMA।

(৩) কথােপকথন চলা অবস্থায় ব্যবহারকারীর অবস্থানের পরিবর্তন হলে ট্রান্সমিশন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

(৪) সেমিকন্ডাক্টর ও মাইক্রোপ্রসেসর প্রযুক্তির ব্যবহার।

(৫) প্রথম দিকের ফোনগুলো ওজনে বেশি এবং আকারে অনেক বড় ছিলো।

=> দ্বিতীয় প্রজন্ম

১৯৯১ সালে GSM প্রযুক্তির সুবিধা নিয়ে সর্বপ্রথম ইউরােপে দ্বিতীয় প্রজন্মের মােবাইল ফোনের সূচনা হয়। ভয়েসকে Noise মুক্ত করার জন্য ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে দ্বিতীয় প্রজন্মের মােবাইল ফোনের আবির্ভাব ঘটে যা Digital AMPS বা D-AMPS নামে পরিচিত। এ সময় CDMA (Code Division Multiple Access) নামে নতুন ডিজিটাল পদ্ধতির উদ্ভাবন ঘটে।

👉বৈশিষ্ট্য

(১) নেটওয়ার্কের রেডিও সিগন্যাল হিসেবে ডিজিটাল সিস্টেম চালু।

(২) নেটওয়ার্ক GSM এবং CDMA পদ্ধতির ব্যবহার।

(৩) এ প্রজন্মে সর্বপ্রথম প্রিপেইড পদ্ধতি চালু হয়।

(৪) সীমিত মাত্রায় আন্তর্জাতিক রােমিং সুবিধা চালু হয়।

(৫) মােবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট সার্ভিস চালু হয়।

=> তৃতীয় প্রজন্ম

২০০১ সালে জাপানের টেলিযােগাযােগ কোম্পানি NTT DoCoMo প্রথম অ-বাণিজ্যিক ও পরীক্ষামূলক 3G নেটওয়ার্ক চালু করে। তারও আগে ১৯৯২ সালে তৃতীয় প্রজন্ম মােবাইল ফোনের ধারণা শুরু হয় যা ইন্টারন্যাশনাল টেলিকম ইউনিয়ন (ITU) কর্তৃক 'Internet Mobile Communication for year 2000' নামে নতুন ধারণার উদ্ভব ঘটায়। তৃতীয় প্রজন্মে ডেটা রূপান্তরের কাজে প্যাকেট সুইচিং-এর বদলে সার্কিট সুইচিং পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। এ প্রজন্মের মূল উদ্দেশ্য ছিল উচ্চগতিসম্পন্ন ডেটা ট্রান্সমিশন।

👉বৈশিষ্ট্য

(১) ডেটা রূপান্তরের কাজে প্যাকেট সুইচিং ও সার্কিট সুইচিং উভয় পদ্ধতির ব্যবহার।

(২) উচ্চগতিসম্পন্ন ডেটা ট্রান্সমিশন।

(৩) নেটওয়ার্কে EDGE, GPRS এর অধিক ব্যবহার।

(৪) ডেটা রেট ২ Mbps এর অধিক।

(৫)রেডিও ফ্রিকুয়েন্সি W-CDMA বা UMTS স্ট্যান্ডার্ড।

(৬) ভিডিও কলের ব্যবহার শুরু ।

(৭) ব্যাপক আন্তর্জাতিক রােমিং সুবিধা।

=> চতুর্থ প্রজন্ম

আগামী দিনের মােবাইল ফোন সিস্টেম হলাে চতুর্থ প্রজন্মের মােবাইল ফোন সিস্টেম। ২০০৯ সালে এ প্রজন্মের মােবাইল ব্যবহার শুরু হয়। এই প্রজন্মের মােবাইল সিস্টেমের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলাে সার্কিট সুইচিং বা প্যাকেট সুইচিংয়ের পরিবর্তে ইন্টারনেট প্রটোকল (IP) ভিত্তিক নেটওয়ার্কের ব্যবহার। ফলে মােবাইল ফোন সিস্টেমে আলট্রা - ব্রড ব্যান্ড গতির ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাবে।

‌‌‌‌ 👉বৈশিষ্ট্য

(১) মােবাইল ফোন সিস্টেমে আলট্রা-ব্রড ব্যান্ড গতির ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়।

( ২) ডেটা ট্রান্সমিশন স্পিড 3G এর চেয়ে ৫০ গুণ বেশি।

(৩) প্রকৃত ডেটা ট্রান্সফার রেট সর্বোচ্চ ২০ Mbps

(৪) এ প্রজন্মে ত্রি-মাত্রিক (3D) ব্যবহারিক প্রয়ােগের ফলে জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে।

(৫) এ প্রজন্মের মোবাইলে স্মার্ট এন্টেনা ব্যবহার করা হয়।

Content added By