বিপরীত ট্রান্সক্রিপশন হলো -

Created: 2 years ago | Updated: 2 years ago
Updated: 2 years ago

ট্রান্সক্রিপশনঃ

 DNA পলিমারের সহায়তায় DNA থেকে একটি জীবনের DNA ট্রান্সক্রিপ্ট হওয়ার পদ্ধতিকে ট্রান্সক্রিপশন বলে।

ট্রান্সক্রিপশন এর উপাদান (Components of Transcription) : ট্রান্সক্রিপশনের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানসমূহ নিম্নরূপ 

ক) একটি ছাঁচ বা টেমপ্লেট (template) : একটি রিক DNA ছাঁচ বা টেমপ্লেট এর কাজ করে। 

খ) সক্রিয় প্রিকার্সর (Precursor) : এগুলো হলো- ATP, GTP, UTP CTP (Cytosin triphosphate) |

গ) RNA পলিমারেজ এনজাইম।

ট্রান্সক্রিপশন প্রক্রিয়ার জন্য যা প্রয়োজন 

(i) DNA (Template)

(ii) RNA পলিমারেজ এনজাইম যা একাধিক রকম হতে পারে।

(iii) মুক্ত রাইবোনিউক্লিয়োসাইড ট্রাইফসফেট (ATP, GIP, CTP UTP). 

(iv) রাসায়নিক শক্তি, ট্রাইফসফেট ভেঙ্গে নিউক্লিয়োটাইড এবং পাইরোফসফেট সৃষ্টিকালে মুক্ত হয়। পাইরোফসফেট ভেঙ্গে দুই আয়ন ফসফেট তৈরিকালেও কিছু অতিরিক্ত শক্তি পাওয়া যায়। 

(v) কিছু সহযোগী প্রোটিন।

প্রকৃত কোষে ট্রান্সক্রিপশন প্রক্রিয়া : ট্রান্সক্রিপশন প্রক্রিয়াকে প্রধানত তিনটি পর্যায়ে ভাগ করা যেতে পারে ।

যথা- (i) সুচনা (initiation) (ii) সূত্র বর্ধিতকরণ ( elongation) এবং (ii) সমাপ্তিকরণ (termination)।

ট্রান্সক্রিপশন সূচনা (initiation):

DNA-তে প্রতিটি জিনের জন্য একটি প্রোমোটার (promoter) থাকে (প্রোমোটার হলো জিনের রেগুলেটরি অংশের বিশেষ সিকুয়েন্স বিশিষ্ট একটি অংশ ।) প্রথমে ট্রান্সক্রিপশন ফ্যাক্টর নামক একদল প্রোটিন প্রোমোটারে আবদ্ধ হয়। এরপর RNA- পলিমারেজ এনজাইম ট্রান্সক্রিপশন ফ্যাক্টর ও প্রোমোটারে দৃঢ়ভাবে সংযুক্ত হয়। (আদি কোষে, যেমন ব্যাকটেরিয়াতে RNA- পলিমারেজ সরাসরি প্রোমোটারে সংযুক্ত হয়)। প্রোমোটার RNA-পলিমারেজ এনজাইমকে নির্দেশ দান করে কোথা থেকে ট্রান্সক্রিপশন শুরু করতে হবে এবং DNA ডবল হেলিক্স-এর কোন স্ট্যান্ড-এ ট্রান্সক্রিপশন হবে। প্রোমোটারে সংযুক্ত হবার পর RNA পলিমারেজ প্রথমে DNA-এর পাক খুলে নেয়।

• সাধারণ কমপক্ষে ২০টি বেসপেয়ারের পাক খুলে যায়।

• DNA ডবল হেলিক্স-এর যে স্টান্ডে জিন অবস্থিত সেই স্টান্ডকে ছাঁচ (templatge) হিসেবে ব্যবহার করে ট্রান্সক্রাইব

করা শুরু করে। অপর স্ট্রান্ডটিকে বলা হয় কমপ্লিমেন্টারি স্ট্রান্ড, যা ট্রান্সক্রাইব করা হয় না।

• ট্রান্সক্রিপশন শুরু হয় ৫'-৩' মুখী অবস্থায়। RNA পলিমারেজ-II (প্রকৃত কোষে তিন ধরনের RNA পলিমারেজ থাকে। কিন্তু আদিকোষে এক ধরনের পলিমারেজ থাকে) ATP, GTP, CTP এবং UTP থেকে বেসপেয়ারিং নীতি অনুযায়ী ছাঁচে অবস্থিত নিউক্লিয়োটাইডের পরিপূরকটি বেছে নিয়ে ছাঁচের সাথে সংযুক্তির মাধ্যমে RNA তৈরি সূচনা করে। ছাঁচে সূচনা স্থান ও সমাপ্তি স্থানি পূর্ব নির্ধারিত থাকে।

 RNA স্ট্রান্ড বৃদ্ধিকরণ (elongatin) : RNA পলিমারেজ এনজাইম বেসপেয়ারিং রীতি অনুযায়ী একটির পর একটি নিউক্লিয়োটাইড সংযুক্ত করতে করতে ছাঁচ স্ট্রান্ড ধরে ৩ থেকে ৫ প্রান্তের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় ছাঁচ স্ট্যান্ড-এ যদি ATTCGA সিকুয়েন্সে বেস সজ্জিত থাকে, তা হলে RNA-তে UAAGCU সিকুয়েন্সের বেসসমূহ সজ্জিত হয়। তৈরিকৃত RNA সূত্রটি হবে ছাঁচ DNA সূত্রের অ্যান্টিপ্যারালাল কিন্তু কমপ্লিমেন্টারি সূত্রের অনুরূপ, শুধু T এর স্থলে U হবে। কারণ RNA-তে থাইমিনের পরিবর্তে ইউরাসিল থাকে। DNA সূত্রের খোলা অংশের ট্রান্সক্রিপশন সমাপ্ত হলে RNA পলিমারেজ পুনরায় সামনে থেকে আরেকটি অংশ খুলে নেয় এবং একই সাথে পেছনের অংশ সংযুক্ত করে পাক তৈরি করে দেয়। এসব কাজে যে শক্তির প্রয়োজন হয় তা ফসফেট বিচ্ছিন্নকরণ থেকে সরবরাহ করা হয়।

সমাপ্তিকরণ (termination ) : DNA-এর ছাঁচ স্ট্রান্ডে ট্রান্সক্রিপশন সমাপ্তিকরণ স্থান নির্দিষ্ট করা থাকে। RNA পলিমারেজ ছাঁচ ধরে সামনে অগ্রসর হতে হতে সমাপ্তিকরণ স্থানে (DNA সূত্রের একটি নির্দিষ্ট বেস সিকুয়েন্স) পৌঁছে গেলে ট্রান্সক্রিপশন সমাপ্ত হয়। কোনো কোনো জিন-এর ক্ষেত্রে ট্রানইক্রপশন সমাপ্ত হলে তৈরিকৃত RNA সূত্রটিসহ RNA পলিমারেজ এনজাইম এমনিতেই সরে পৃথক হয়ে যায়। কোনো কোনো জিনের জন্য একটি সাহায্যকারী প্রোটিন ট্রান্সক্রাইব করা অংশটিকে (এবং RNA পলিমারেজ) টেনে পৃথক করে নিয়ে আসে। DNA প্রতিলিপির মতো এখানে কোনো প্রুফরিডং ও মেরামতের ব্যবস্থা নেই।

Content added By
Promotion