আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী

All Written Question - (704)

১. তিস্তার পানি বণ্টন সমস্যা

২. সীমান্ত সমস্যা ।

৩. অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টন সমস্যা।

৪. বিভিন্ন সময়ের চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়া।

9 months ago

বিশ্ববাণিজ্য সংস্থা (WTO- World Trade Organization) একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা, যা বিশ্বের বানিজ্য সংক্রান্ত নীতি প্রবর্তন এবং সদস্য রাষ্ট্র বা পক্ষ সমূহের মধ্যকার মতপার্থক্য দূর করতে সাহয্য করে থাকে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে অবস্থিত। ১ জানুয়ারি ১৯৯৫ সালে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মৌলিক নীতিমালা- ক. সদস্য দেশসমূহের পারস্পারিক আলোচনার ভিত্তিতে শুল্কহার নির্ধারণ। খ সমতার ভিত্তিতে সমস্যা নিরসন। গ. সীমিত আকারে সংরক্ষণ। ঘ. পক্ষপাত নিরপেক্ষ বাণিজ্যনীতি। ঙ. সংগঠনের নীতিমালার সাথে অভ্যন্তরীন নীতিমালা দেখা। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিম্নরূপ: ১. বিশ্ববাণিজ্যের প্রসার। ২. মুক্ত বাণিজ্যের প্রসার। ৩. বাণিজ্যে অ-শুল্ক বাধাসমূহ দূর করা ।

9 months ago

BIMSTEC (Bay of Bengal Initative for Multi-Sectoral Technical and Economic Co-operation) এটি দক্ষিণ ও দক্ষিণ এশিয়ার একটি আঞ্চলিক জোট। এই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয় ৬ জুন ১৯৯৭ সালে। এর সদস্য সংখ্যা ৭টি যথাঃ বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, নেপাল ও ভুটান (সর্বশেষ সদস্য নেপাল, ভুটান)। এর সদরদপ্তর ঢাকা। বিমসটেক-এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এবং বঙ্গোপসাগর উপকূলের দেশগুলোর মধ্যে প্রযুক্তি, অর্থনীতি, ব্যবসা, পর্যটন, কৃষি, মানবসম্পদ উন্নয়ন, যোগাযোগসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরি করা ।

9 months ago

রোহিঙ্গারা পশ্চিম মায়ানমারের রাখাইন স্টেটের উত্তরাংশে বসবাসকারী একটি জনগোষ্ঠী। ধর্মের বিশ্বাসে এরা অধিকাংশই মুসলমান। রোহিঙ্গারা বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে নিপীড়িত জনগোষ্ঠীগুলোর একটি। মায়ানমার সরকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মায়ানমারের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। মায়ানমার সরকারের মতে, রোহিঙ্গারা হল বাংলাদেশী, যারা বর্তমানে অবৈধভাবে মায়ানমারে বসবাস করছে। যদিও ইতিহাস ভিন্ন কথা বলে। ইতিহাস বলে, রোহিঙ্গারা মায়ানমারে কয়েক শতাব্দী ধরে বসবাস করে আসছে। ১৯৮২ সালে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের নাগরিকত্ব হারায়। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে যা যা করণীয় হতে পারে:  

১. রোহিঙ্গা জাতিকে একটি কার্যকরী পরিষদ গঠন করে, তার অধীন একতা বদ্ধ করা । 

২. সেই কার্যকরী পরিষদের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মঞ্চে রোহিঙ্গাদের শক্তিশালী প্রতিনিধিত্ব সৃষ্টি করা।

৩. সকল রোহিঙ্গাদের একটি ডাটাবেইস তৈরীর উদ্যোগ গ্রহণ ।

৪. রোহিঙ্গাদের শিক্ষা ও প্রাথমিক চাহিদাপূরণে প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহে ও তার ব্যবস্থাপনায় জাতিসংঘের সাথে একযোগে কাজ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা।

৫. জঙ্গিবাদ ও জঙ্গি সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করা ।

৬. আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আদালতে মায়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে প্রমাণসহ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ ।

৭. রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মায়ানমার যাতে বাধ্য হয়, সেজন্য প্রচলিত বৈধ পন্থায় আন্তর্জাতিক আইন মেনে সামরিক- বেসামরিক আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।

৮. আনান কমিশনের প্রতিবেদন বাস্তবায়ন করা।

 

বাংলাদেশের করণীয়ঃ
১. আর কোন রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না দেয়া। 

২. যেসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আছে, তাদের তালিকা তৈরী করা ও কড়া নজরদারীর ব্যবস্থা করা ।

৩. রোহিঙ্গাদের জন্য আলাদা নীতিমালা প্রণয়ন করা, যার মাধ্যমে রোহিঙ্গারা কি কি সুবিধা বাংলাদেশ সরকারের থেকে পাবে তা উল্লেখ থাকবে।

৪. যেসব রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আছে, তাদের পর্যায়ক্রমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও সংগঠনের সহায়তায় মায়ানমারে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা।

৫. আন্তর্জাতিক ও স্থানীয়ভাবে মায়ানমার সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করা, যাতে মায়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে এবং আরকানের উত্তরাঞ্চলে স্বায়ত্বশাসন দেয় ।

৬. রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতিসংঘে শেখ হাসিনার ৪ প্রস্তাবের বাস্তবায়ন ।

৭. আন্তর্জাতিক জনমত গঠন করা।

9 months ago