টেকনিক্যাল
All Written Question - (589)
341.
খতিয়ান
(টীকা লিখুন)
মৌজা ভিত্তিক এক বা একাধিক ভূমি মালিকের ভূ-সম্পত্তির বিবরণ সহ যে ভূমি রেকর্ড জরিপকালে প্রস্তুত করা হয় তাকে খতিয়ান বলে। এতে ভূমধ্যাধিকারীর ন প্রজার নাম, জমির দাগ নং, পরিমাণ, প্রকৃতি, খাজনার হার ইত্যাদি লিপিবদ্ধ থাকে। আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের খতিয়ানের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। তন্মধ্যে সিএস, এসএ এবং আরএস উল্লেখযোগ্য। ভূমি জরিপকালে ভূমি মালিকের মালিকানা নিয়ে যে বিবরণ প্রস্তুত করা হয় তাকে “খতিয়ান" বলে। খতিয়ান প্রস্তুত করা মৌজা ভিত্তিক।
342.
সিএস জরীপ
(টীকা লিখুন)
“সিএস” হলো Cadastral Survey (CS) এর সংক্ষিপ্ত রূপ। একে ভারত উপমহাদেশের প্রথম জরিপ বলা হয় যা ১৮৮৮ সাল হতে ১৯৪০ সালের মধ্যে পরিচালিত হয়। এই জরিপ ১৮৮৫ সালের বঙ্গীয় প্রজাতন্ত্র আইনের ১০ম পরিচ্ছেদে অনুসারে সিলেট ও পার্বত্য জেলা ব্যতীত সারা দেশে পরিচালিত হয়। উক্ত জরিপের মাধ্যমে জমির বিস্তারিত মৌজা নকশা (ম্যাপ) প্রস্তুত করা হয় এবং প্রত্যেক মালিকের জন্য দাগ নম্বর উল্লেখপূর্বক ভূমির বাস্তব অবস্থা, আয়তন, শ্রেণী, পরিমাণ, খাজনার পরিমাণ ইত্যাদি উল্লেখপূর্বক খতিয়ান প্রস্তুত করা হয়। এ জরিপ পি-৭০ সীটে কিস্তোয়ারের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
সিএস জরিপ ১৮৮৮ সালে কক্সবাজারের রামু থানা হতে আরম্ভ হয় এবং ১৯৪০ সালে দিনাজপুর জেলায় শেষ হয়। সে সময়ে সিলেট জেলা আসাম প্রদেশের অধীন থাকায় সিলেট জেলায় সিএস জরিপ হয়নি। তবে জরুরী বিবেচনায় ১৯৩৬ সালের সিলেট প্রজাস্বত্ব আইনের (Sylhet tenancy Act) আওতায় সিলেট জেলার ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে ১৯৫০ সালে আরম্ভ করা হয় এবং পরবর্তীতে রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহন ও প্রজাস্বত্ব আইন ১৯৫০ এর অধীনে ঐ জরিপ ১৯৬৩ সালে শেষ হয়।
সি.এস. জরিপে সময় প্রস্তুতকৃত খতিয়ানে জমিদারগঠের নাম খতিয়ানের উপরিভাগে এবং দখলকার রায়তের নাম খতিয়ানের নিচে লেখা হত। সে সময় জমিদারগণ সরকার পক্ষে জমির মালিক ছিলেন এবং রায়তগণ প্রজা হিসেবে শুধুমাত্র ভোগ দখলকার ছিলেন। প্রথম জরিপ এই জরিপ এবং প্রস্তুতকৃত নকশা ও খতিয়ান খুবই নিখুঁত ও নির্ভরযোগ্য হিসেবে এখনো গ্রহণীয়। মামলার বা ভূমির জটিলতা নিরসনের ক্ষেত্রে এই জরিপকে বেস হিসেবে অনেক সময় পণ্য করা হয়।
343.
পয়ন্তি
(টীকা লিখুন)
344.
থিওডোলাইট
(টীকা লিখুন)
একটি ভূমির নকশা প্রস্তুতির জন্য সরজমিনে কিছু নির্দিষ্ট পয়েন্টে চিহ্নিত করে (ট্রাভার্স পয়েন্ট) ঐ সকল পয়েন্টের স্থানাংক নির্ণয়ের জন্য এক পয়েন্ট হতে অপর পয়েন্টের কৌণিক দূরত্ব পরিমাপ, পর্যবেক্ষণ ইত্যাদি কাজের জন্য দূরবীণযুক্ত যে যন্ত্রটি ব্যবহার করা হয় তাকে থিওডোলাইট যন্ত্র বলে। এর সাহায্যে প্রাপ্ত ট্টাভার্স পয়েন্টের স্থানাংক দ্বারা তৈরি নির্দিষ্ট স্কেলের পি-৭০ শীট (যার উপর নকশা আকা হয়) প্রস্তুত করা হয়। জরিপ কাজে এ যন্ত্রের কোন বিকল্প নেই।
345.
তফসিল
(টীকা লিখুন)
346.
ছুট দাগ
(টীকা লিখুন)
ভূমি জরিপকালে প্রাথমিক অবস্থায় নকশা প্রস্তুত অথবা সংশোধনের সময় নকশার প্রতিটি ভূমি এককে যে নাম্বার দেওয়া হয় সে সময় যদি কোন নাম্বার ভুলে বাদ পড়ে তাবে ছুটা দাগ বলে। আবার প্রাথমিক পর্যায়ে যদি দুটি দাগ একত্রিত করে নকশা পুন: সংশোধন করা হয় তখন যে দাগ নাম্বার বাদ যায় তাকেও ছুটা দাগ বলে।
347.
বদর
(টীকা লিখুন)
348.
নামজারী
(টীকা লিখুন)
349.
ভূমি অধিগ্রহণ আইন অনুযায়ী Arbitration বলতে কী বুঝায়?
ভূমি অধিগ্রহণ আইন অনুযায়ী Arbitration বলতে কী বুঝায়?
350.
সরকারি/স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রত্যাশী সংস্থা কর্তৃক জেলা প্রশাসকের নিকট ভূমি অধিগ্রহণ প্রস্তাব দাখিলের সময় কী কী কাগজ সংযোজন বাধ্যতামূলক?
সরকারি/স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রত্যাশী সংস্থা কর্তৃক জেলা প্রশাসকের নিকট ভূমি অধিগ্রহণ প্রস্তাব দাখিলের সময় কী কী কাগজ সংযোজন বাধ্যতামূলক?
351.
ABC সমবাহু ত্রিভুজের AB বাহর বিয়ারিং 30°। অপর বাহু দুটির বিয়ারিং নির্ণয় করুন। ঘের ডানাবর্তে।
ABC সমবাহু ত্রিভুজের AB বাহর বিয়ারিং 30°। অপর বাহু দুটির বিয়ারিং নির্ণয় করুন। ঘের ডানাবর্তে।
352.
0.155 মিটার খাটো 20 মিটার শিকল দ্বারা মেলে একটি রেখার দৈর্ঘ্য পাওয়া গেল 1000 মিটার। রেখাটির প্রকৃত দৈর্ঘ্য কত?
0.155 মিটার খাটো 20 মিটার শিকল দ্বারা মেলে একটি রেখার দৈর্ঘ্য পাওয়া গেল 1000 মিটার। রেখাটির প্রকৃত দৈর্ঘ্য কত?
353.
বক্স সেক্সট্যান্ট কী কাজে ব্যবহৃত হয়?
354.
প্রিজম স্কয়ার কী কাজে ব্যবহৃত হয়?
355.
ক্লিনোমিটার কী কাজে ব্যবহৃত হয়?
356.
একটি ঘরের মেঝের দৈর্ঘ্য ৪ মিটার এবং প্রস্থ ৩.৫ মিটার। ঘরটির উচ্চতা ৩ মিটার এবং দেয়ালগুলো ১৫ সে.মি. পুরু হলে, চার দেয়ালের আয়তন কত?
একটি ঘরের মেঝের দৈর্ঘ্য ৪ মিটার এবং প্রস্থ ৩.৫ মিটার। ঘরটির উচ্চতা ৩ মিটার এবং দেয়ালগুলো ১৫ সে.মি. পুরু হলে, চার দেয়ালের আয়তন কত?
357.
একটি সমবৃত্তভূমিক বেলনের ব্যাসার্ধ ৪.৫ সে.মি. ও উচ্চতা ৬ সে. মি.। বেলনটির বক্রপৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল নির্ণয় করুন।
একটি সমবৃত্তভূমিক বেলনের ব্যাসার্ধ ৪.৫ সে.মি. ও উচ্চতা ৬ সে. মি.। বেলনটির বক্রপৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল নির্ণয় করুন।
358.
Water cement ratio কি? কংক্রিট মিক্স তৈরিতে এর গুরুত্ব বর্ণনা করুন।
Water Cement Ratio : কংক্রিটে ব্যবহৃত সিমেন্ট ও পানির অনুপাতকে পানি-সিমেন্ট অনুপাত বলে। অর্থাৎ, কংক্রিট মিশ্রণে পানির আয়তনের সাথে সিমেন্টের অনুপাতকে পানি-সিমেন্ট অনুপাত বলে ।
কাঠামোর টেকসহ বা স্থায়িত্বতা নির্ভর করে কংক্রিটের শক্তিমাত্রার উপর। আবার কংক্রিটের শক্তিমাত্রা নির্ভর করে, কংক্রিটের উপাদানসমূহের গুণগত মানের পাশাপাশি পানি-সিমেন্ট অনুপাত, আনুপাতীকরণ এবং কার্যোপযোগিতার উপর। নির্দিষ্ট অনুপাতের উপাদান এবং প্রয়োজনীয় উপকরণ সাপেক্ষে সুনির্দিষ্ট পরিমাণ পানি ব্যবহার করলে কংক্রিটের কাঙ্ক্ষিত মানের শক্তি পাওয়া সম্ভব। উত্তম গুণাগুণসম্পন্ন উপাদান এবং উপকরণ নিশ্চিত হলেও যদি নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে পানির পরিমাণ কম বা বেশি ব্যবহার করা হয়, তবে কংক্রিটের শক্তি কম হবে। ব্যবহারিক ক্ষেত্রে, কংক্রিটকে অধিকতর কার্যোপযোগী করার জন্য নির্মাণ শ্রমিকগণ প্রয়োজনের অধিক পানি ব্যবহার করে, যা কংক্রিটের জন্য মোটেও কাম্য নয় ।
কংক্রিটে প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি ব্যবহার করলে, কংক্রিটের শক্তি হ্রাস পায় এবং সংকোচন (Shrinkage)-ও দ্রুত হয়। ফলে কংক্রিটের ঘনত্ব (Density) এবং স্থায়িত্বতা হ্রাস পায়।
কংক্রিট বিশেষজ্ঞ Mr. Duff Abrahm (1918) গবেষণা করে সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, “কংক্রিটের শক্তি নির্দিষ্ট দৃঢ়ভবন অবস্থা (Compact state) ও কার্যোপযোগিতার (Workability) সম্পূর্ণভাবে পানি-সিমেন্ট অনুপাতের উপর নির্ভরশীল। “অর্থাৎ নির্দিষ্ট পানি-সিমেন্ট অনুপাত (অন্যান্য শর্ত অপরিবর্তিত থাকলে) কংক্রিটের শক্তি বৃদ্ধি পাবে। Abrahm-এর মতে, “সম্পূর্ণ দৃঢ়ীকৃত কংক্রিটের শক্তি, অ্যাগ্রিগেট-এর আকার, পৃষ্ঠা গঠন, গ্রেডিং, কার্যোপযোগিতা এবং উন্নতমানের মিশ্রণের দ্বারা প্রভাবান্বিত হয় না।”
পানি-সিমেন্ট অনুপাত কংক্রিটের দৃঢ়ীকরণ (Compation) পদ্ধতির উপরও নির্ভরশীল। আবার, ভাইব্রেটর দ্বারা দৃঢ়ীকরণ করলে পানি- সিমেন্ট অনুপাত হ্রাস পায় ।