সাধারণ বিজ্ঞান - জীব বিজ্ঞান - জীব বিজ্ঞান

জীববিজ্ঞান (Biology)

Biology শব্দটি এসেছে দটি গ্রীক শব্দ (Bios যার অর্থ জীবন এবং logos অর্থ জ্ঞান) থেকে। ফরাসি প্রকৃতিবিদ জঁ বাতিস্ত লামার্ক জীবিত বস্তু সংক্রান্ত অনেকগুলো শাস্ত্রের ধারক নাম হিসেবে ‘Biology’ শব্দের প্রচলন করেন। জীবের ধরন অনুযায়ী জীববিজ্ঞানকে প্রধানত দুটি শাখায় ভাগ করা হয়েছে। যথা- উদ্ভিদবিজ্ঞান (Botany) এবং প্রাণিবিজ্ঞান (Zoology)।

 

জীবের নামকরণ (Nomenclature)

জুলোজিক্যাল নমেনক্লেচার, বোটানিক্যাল নমেনক্লেচার

কোনো বিশেষ জীব বা জীবকুলের নির্দিষ্ট নামে সনাক্তকরণের পদ্ধতিকে বলা হয় নামকরণ। প্রতিটি জীবই কোনো বিশেষ অঞ্চলে আঞ্চলিক ভাষা অনুসারে। বিশেষ বিশেষ নামে পরিচিত। এরূপ আঞ্চলিক নামকরণ প্রথা বিশেষ জীবটির সনাক্তকরণের ব্যাপারে সমস্যা সৃষ্টি করে। সুইডিস বিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াস সর্বপ্রথম নামকরণের একটি প্রথা প্রবর্তন করেন। এটি দ্বিপদ নামকরণ প্রথা (Binomial Nomenclature System) নামে। পরিচিত ক্যারোলাস লিনিয়াসকে ‘শ্রেণিবিদ্যা’ এর জনক বলা হয়। তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ Systema Naturae Species Plantarum, Genera Plantarum Philosophia Botanica প্রভৃতি।

 

নামকরণের নিয়মাবলি-

- প্রত্যেক জীবের একটি বৈজ্ঞানিক নাম থাকবে এবং তার দুটি অংশ থাকবে। দ্বিপদ নামের প্রথম অংশ ঐ জীবের গণ (Genus) এর নাম এবং দ্বিতীয় অংশটি প্রজাতি (Species) নামের নির্দেশক।

- বৈজ্ঞানিক নামটি অবশ্যই ল্যাটিন বা ল্যাটিনকৃত হতে হবে।

- দ্বিপদ নামকরণ ছাপা অক্ষরে হলে সর্বদা ইতালিক হরফে (ডান দিকে বাঁকা করে) হবে (Bufo melanostictus, কুনোব্যাঙ)।

- দ্বিপদ নামকরণ হাতে লিখলে ইংরেজি অক্ষর ব্যবহার করতে হবে এবং প্রতিটি অংশের নিচে (একটি গণ, অপরটি প্রজাতির) আলাদা আলাদাভাবে দাগ টানতে হবে। (Homo sapiens - মানুষ)।

- গণ নামটি বিশেষ্য ও এর আদ্যক্ষর অবশ্যই বড় হরফে লিখতে হবে এবং প্রজাতি নামটি বিশেষণ যার আদ্যক্ষরটি ছোট হরফে লিখতে হবে। (শাপলা ফুল - Nymphaea nouchali)

- আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নালে সর্বপ্রথম প্রকাশিত বৈজ্ঞানিক নামই স্বীকৃতি পাবে।

- যে বিজ্ঞানী সর্বপ্রথম কোনো জীবের বিজ্ঞানসম্মত বর্ণনা দিবেন, তার নাম উক্ত জীবের দ্বিপদ নামের শেষে সংযোজিত হবে।

 

Content added By

জীববিজ্ঞান (Biology)

Biology শব্দটি এসেছে দটি গ্রীক শব্দ (Bios যার অর্থ জীবন এবং logos অর্থ জ্ঞান) থেকে। ফরাসি প্রকৃতিবিদ জঁ বাতিস্ত লামার্ক জীবিত বস্তু সংক্রান্ত অনেকগুলো শাস্ত্রের ধারক নাম হিসেবে ‘Biology’ শব্দের প্রচলন করেন। জীবের ধরন অনুযায়ী জীববিজ্ঞানকে প্রধানত দুটি শাখায় ভাগ করা হয়েছে। যথা- উদ্ভিদবিজ্ঞান (Botany) এবং প্রাণিবিজ্ঞান (Zoology)।

 

জীবের নামকরণ (Nomenclature)

জুলোজিক্যাল নমেনক্লেচার, বোটানিক্যাল নমেনক্লেচার

কোনো বিশেষ জীব বা জীবকুলের নির্দিষ্ট নামে সনাক্তকরণের পদ্ধতিকে বলা হয় নামকরণ। প্রতিটি জীবই কোনো বিশেষ অঞ্চলে আঞ্চলিক ভাষা অনুসারে। বিশেষ বিশেষ নামে পরিচিত। এরূপ আঞ্চলিক নামকরণ প্রথা বিশেষ জীবটির সনাক্তকরণের ব্যাপারে সমস্যা সৃষ্টি করে। সুইডিস বিজ্ঞানী ক্যারোলাস লিনিয়াস সর্বপ্রথম নামকরণের একটি প্রথা প্রবর্তন করেন। এটি দ্বিপদ নামকরণ প্রথা (Binomial Nomenclature System) নামে। পরিচিত ক্যারোলাস লিনিয়াসকে ‘শ্রেণিবিদ্যা’ এর জনক বলা হয়। তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ Systema Naturae Species Plantarum, Genera Plantarum Philosophia Botanica প্রভৃতি।

 

নামকরণের নিয়মাবলি-

- প্রত্যেক জীবের একটি বৈজ্ঞানিক নাম থাকবে এবং তার দুটি অংশ থাকবে। দ্বিপদ নামের প্রথম অংশ ঐ জীবের গণ (Genus) এর নাম এবং দ্বিতীয় অংশটি প্রজাতি (Species) নামের নির্দেশক।

- বৈজ্ঞানিক নামটি অবশ্যই ল্যাটিন বা ল্যাটিনকৃত হতে হবে।

- দ্বিপদ নামকরণ ছাপা অক্ষরে হলে সর্বদা ইতালিক হরফে (ডান দিকে বাঁকা করে) হবে (Bufo melanostictus, কুনোব্যাঙ)।

- দ্বিপদ নামকরণ হাতে লিখলে ইংরেজি অক্ষর ব্যবহার করতে হবে এবং প্রতিটি অংশের নিচে (একটি গণ, অপরটি প্রজাতির) আলাদা আলাদাভাবে দাগ টানতে হবে। (Homo sapiens - মানুষ)।

- গণ নামটি বিশেষ্য ও এর আদ্যক্ষর অবশ্যই বড় হরফে লিখতে হবে এবং প্রজাতি নামটি বিশেষণ যার আদ্যক্ষরটি ছোট হরফে লিখতে হবে। (শাপলা ফুল - Nymphaea nouchali)

- আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নালে সর্বপ্রথম প্রকাশিত বৈজ্ঞানিক নামই স্বীকৃতি পাবে।

- যে বিজ্ঞানী সর্বপ্রথম কোনো জীবের বিজ্ঞানসম্মত বর্ণনা দিবেন, তার নাম উক্ত জীবের দ্বিপদ নামের শেষে সংযোজিত হবে।

 

Content added By
Content added By

 

Content added By
মহাকর্ষ বলের জন্য
মাধ্যাকর্ষণ বলের জন্য
আমরা স্থির থাকার জন্য
পৃথিবীর সঙ্গে আমাদের আবর্তনের জন্য

এরিস্টটল (Aristotle)

গ্রিক বিজ্ঞানী এরিস্টটলকে প্রাণিবিজ্ঞানের জনক বলা হয়। তিনি সর্বপ্রথম প্রাণিবিজ্ঞানকে বিজ্ঞানের একটা শাখা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি লেছবছ নামে একটা দ্বীপে একাধারে পাঁচ বছর অবস্থান করে প্রাণিদের উপর গবেষণা করেন। প্রাণিদের সম্বন্ধে তিনি ‘Historia animalium’ নামে একখানা জ্ঞানগর্ভ ও তথ্যবহুল পুস্তক রচনা করেন।

 থিওফ্রাসটাস (Theophrastus)

গ্রিক বিজ্ঞানী থিওফ্রাসটাসকে উদ্ভিদ বিজ্ঞানের জনক বলা হয়। তিনি বিখ্যাত দার্শনিক এরিস্টটলের ছাত্র ছিলেন। তিনি সমস্ত উদ্ভিদকে Tress (বৃক্ষ) Shrubs (গুল্ম), Undershrus (উপগুল্ম), Herbs (বীরুৎ) এই চারভাগে ভাগ করেন। ‘On the History of Plants’ এবং ‘On the Causes of Plants’ গ্রন্থগুলো তার উল্লেখযোগ্য রচিত গ্রন্থ।

 ইবনে সিনা (Frant (Ibn Sina)

তিনি একজন বিখ্যাত মুসলিম দার্শনিক ও বিজ্ঞানী ছিলেন। রসায়নবিদ্যা, চিকিৎসাবিদ্যা, গণিতশাস্ত্র, জ্যোতির্বিদ্যায় এবং ভাষা বিদ্যায় তার অসামান্য পারদর্শিতা ছিল। তিনি চিকিৎসা শাস্ত্রের উপর ‘আলকানুন’ নামক ১৪ খণ্ডাংশের একটি বই লিখেন। এছাড়াও ইবনে সিনা The Book of Healing (কিতাব আশ শিফা), কিতাব আল ইশারাৎ নামক গ্রন্থ গুলো রচনা করেন।

 আল বিরুনী (AL Biruni)

বিশ্বখ্যাত শিক্ষাবিদ এবং বিজ্ঞানী হিসেবে পরিচিত আল বিরুনী ছিলেন একজন আরব বিজ্ঞানী। তাঁর প্রকৃত নাম আবু রায়হান মোহাম্মদ ইবনে আহমদ আল বিরুনী। গজনীর সুলতান সুলতান মাহমুদের সময়ে তিনি ভারতবর্ষে বেড়াতেআসেন। তিনি‘কিতাবুল তারিকিল৷হিন্দ’ নামে বিশ্ববিখ্যাত একখানা গ্রন্থ রচনা করেন।

 আন্দ্রে ভেসালিয়াস (Andreas Vesalius)

আন্দ্রে ভেসালিয়াসকে শারীরসংস্থানবিদ্যার জনক বলা হয়। তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘On the fabric of the human body’ (১৫৪৩ খ্রি.)।

 এনথনি ফন লিউয়েনহুক (Anthony Von Leeuwenhoek)

ডাচ বিজ্ঞানী লিউয়েনহুক ১৬৮৩ সালে সর্বপ্রথম অণুবীক্ষণ যন্ত্র আবিষ্কার করেন। অণুবীক্ষণ যন্ত্র ব্যবহার করে তিনি ব্যাকটেরিয়া, প্রোটোজোয়া, হাইড্রা, ভলভক্স, শৈবাল, শুক্রাণু, রক্তকণিকা ইত্যাদি আবিষ্কার করেন। তাঁকে ‘অণুজীববিজ্ঞানের জনক’ বলা হয়।

 আন নাফীস (An Nafis)

আন নাফীস একজন আরব বিজ্ঞানী। তিনি সর্বপ্রথম মানুষের রক্ত সঞ্চালন পদ্ধতি সম্বন্ধে সঠিক বর্ণনা প্রদান করেন। তাঁর প্রকৃত নাম আবু হাসান আলী ইবনে আন নাফীস।

 উইলিয়াম হার্ভে (William Harvey)

ব্রিটিশ বিজ্ঞানী উইলিয়াম হার্ভে ১৬২৮ সালে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া আবিষ্কার করেন। তিনি প্রাণিদের রক্ত সঞ্চালন এবং রেচন প্রক্রিয়ার সুস্পষ্ট ধারণা প্রদান করেন, এজন্য তাকে শারীরবিদ্যার জনক বলা হয়। ‘On the motion of the heart and blood in animals’ গ্রন্থটি তাঁর লিখা।

 লুই পাস্তুর (Louis Pasteur)

লুই পাস্তুর একজন ফরাসি অণুজীববিজ্ঞানী। তিনি ‘জীবাণু তত্ত্ব’ আবিষ্কার করেন। পাস্তুর দেখান, অণুজীব বৃহদাকার জীবকে আক্রমণ করে রোগ সংঘটিত করতে পারে। অণুজীব পানি বা বাতাসেরমাধ্যমে ছড়ায়। তিনি র‌্যাবিস, অ্যানথ্রাক্স, মুরগির কলেরা, রেশম মথের রোগ সৃষ্টিকারী অণুজীব আবিষ্কার করেন। গবাদি পশুর অ্যানথ্রাক্স এবং জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের জন্য তিনি অমর হয়ে আছেন। দুধে ল্যাক্টোজ থাকে। দুধের ব্যাক্টোরিয়া ল্যাক্টোজকে ল্যাকটিক এসিডে পরিণত করে। ফলে দুধ টক হয়। তিনি দুধকে জীবাণুমুক্ত করার প্রক্রিয়া আবিষ্কার করেন। আবিষ্কারকের নামানুসারে এ পদ্ধতির নামকরণ করা হয়েছে পাস্তুরায়ন (Pasteurization)।

 আলেকজান্ডার ফ্লেমিং (Alexander Fleming)

আলেকজান্ডার ফ্লেমিং ছিলেন একজন অণুজীববিজ্ঞানী। আলেকজান্ডার ফ্লেমিং ১৯২৮ সালে Penicillium notatum নামক ছত্রাক হতে Penicillin অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কার করেন। অতিশক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক দ্বারা রোগ নিরাময় ব্যবস্থাকে কেমোথেরাপি বলে।

 ডেভিড প্রেইন (David Prain)

ডেভিড প্রেইন ছিলেন একজন ইংরেজ চিকিৎসক বাংলাদেশ ও এর আশেপাশের অঞ্চলের গাছপালার বিবরণ সংক্রান্ত তাঁর প্রসিদ্ধ গ্রন্থ দুই খণ্ডে প্রকাশিত হয়, প্রথম খণ্ডটি ‘Bengal Plants’ এবং ২য় খন্ডটি ‘Flora of Sundribans’.

 সালিম আলী (Salim Ali)

সালিম আলী ভারতের ‘The Birdman of India’ নামে পরিচিত বিশিষ্ট পক্ষীবিদ। তিনি ভারতের সকল পাখিকে বিজ্ঞান ভিত্তিকভাবে পর্যবেক্ষণ করে ‘The India Birds’ নামে একখানা তথ্যবহুল গ্রন্থ রচনা করেন। পাখিদের সম্বন্ধে আরোও অনেক গ্রন্থ রচনার জন্য ১৯৮৩ সালে ভারত সরকার সালিম আলীকে গবেষণার স্বীকৃতি স্বরূপ পদ্মভূষণ উপাধিতে ভূষিত করেন।

 জগদীশচন্দ্র বসু

জগদীশ চন্দ্র বসু ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে ময়মনসিংহ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর আবিষ্কারের মধ্যে ক্রেসকোগ্রাফ (উদ্ভিদের বৃদ্ধি পরিমাপক যন্ত্র) প্রধান। গাছের প্রাণ নিয়ে পণ্ডিতেরা প্রাচীনকাল থেকেই একবারেই নিঃসংশয় ছিলেন। জগদীশচন্দ্র কেবল প্রচুর পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করেছিলেন যে, উদ্ভিদ ও প্রাণী জীবনের মধ্যে অনেক সাদৃশ্য আছে। জগদীশ চন্দ্র ছিলেন রবীন্দ্রনাথের ঘনিষ্ট বন্ধু। ছোটদের জন্য তিনি ‘অব্যক্ত’ নামক বিজ্ঞান বিষয়ক একটি গ্রন্থ রচনা করেন। ১৯৩৭ সালে ভারতের ঝাড়খণ্ডের গিরিডিতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

Content added By