তারিখঃ ২৯.০৬.২০১৮
সম্পাদক
দৈনিক জনকণ্ঠ
৪০, কাওরান বাজার, ঢাকা ১২১৫।
বিষয়ঃ সংযুক্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশের জন্য আবেদন।
জনাব,
আপনার বহুল প্রচারিত, 'দৈনিক জনকণ্ঠ' পত্রিকার চিঠিপত্র কলামে নিম্নলিখিত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে বাধিত করবেন।
বিনীত
মোঃ ফাইদ ইসলাম
উত্তর জামসিং, সাভার, ঢাকা
বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। দেশটি পৃথিবীর ৪২তম বৃহত্তম অর্থনীতি দেশ। ২০১০-২০১৭ সালের মধ্যে বিশ্বের ১৫টি দেশকে পিছনে ফেলে বাংলাদেশ ৫৮ থেকে ৪৩তম অর্থনীতির দেশে উন্নীত হয়েছে। এই উন্নতির পেছনে জিডিপির বৃহৎ তিনটি খাত যথাঃ কৃষি, শিল্প এবং সেবা এর ভূমিকা অপরিসীম। সেবা খাতের মধ্যে প্রথমেই রয়েছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের জিডিপিতে ২০১৬-১৭ এবং ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে এই ব্যাংকসমূহ যথাক্রমে ৩.৪৫ ও ৩.৪৬% অবদান রাখে। ব্যাংকের সাথে শেয়াবাজারের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। ব্যাংক এবং শেয়ারবাজার পরষ্পর পরষ্পরের সাথে গভীরভাবে সম্পর্কীত। ব্যাংকের বিকাশে যেমন শেয়ারবাজার ভূমিকা রাখতে পারে ঠিক তেমনি শেয়ারবাজারকেও অস্থিতিশীলতার হাত থেকে রক্ষা করতে পারে এই ব্যাংক প্রতিষ্ঠান সমূহ। শেয়ারবাজারে শেয়ার কেনা বেচার ক্ষেত্রে যে কারসাজি গুলো হয়ে থাকে তার অধিকাংশরই দায়ভার এই ব্যাংকগুলোর। কারণ ব্যাংকগুলোই তাদের শেয়ারগুলোর কৃত্রিম সংকট তৈরি করে শেয়ারের মূল্য বাড়িয়ে দেয় যা শেয়ারবাজারের একটি অস্বাভাবিক অবস্থা। ব্যাংকগুলো যদি শেয়ারবাজারের সাথে এক হয়ে কাজ করে তাহলে শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতন কিংবা শেয়ারের মূল্যের খুব বেশি উর্ধগতি দেখা দেবে না। অর্থাৎ স্বাভাবিক বাজার অবস্থা বিরাজমান থাকবে। তাই ব্যাংক এবং শেয়ারবাজেরর মধ্যে ভারসাম্যমূলক সম্পর্ক থাকাই কাম্য ।
বিনীত
মোঃ ফাইদ ইসলাম
উত্তর জামসিং, সাভার, ঢাকা ।