Job

হেপাটাইটিস কী? এটি কী কারনে হয়? দায়ী জীবাণু কত রকমের হয়? কোন জীবাণগুলো রক্তের মাধ্যমে এবং কোনগুলাে খাদ্যের মাধ্যমে সংক্রমণ ঘটায়?

Created: 1 year ago | Updated: 2 weeks ago
Updated: 2 weeks ago

হেপাটাইটিসের কারণ

হেপাটাইটিসের মূল কারণ হল ভাইরাস। এই ভাইরাসগুলি বিভিন্ন ধরনের হয় এবং প্রত্যেকটি ভাইরাসের সংক্রমণের উপায় আলাদা আলাদা।

হেপাটাইটিস ভাইরাসের ধরন

সাধারণত হেপাটাইটিসের জন্য দায়ী ভাইরাসগুলোকে A, B, C, D এবং E এই পাঁচটি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়।

  • হেপাটাইটিস A (Hepatitis A): এই ভাইরাস সাধারণত দূষিত খাবার বা পানির মাধ্যমে ছড়ায়।
  • হেপাটাইটিস B (Hepatitis B): এই ভাইরাস সংক্রমিত ব্যক্তির রক্ত, শরীরের তরল বা যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে ছড়ায়।
  • হেপাটাইটিস C (Hepatitis C): এই ভাইরাস প্রধানত সংক্রমিত ব্যক্তির রক্তের মাধ্যমে ছড়ায়।
  • হেপাটাইটিস D (Hepatitis D): এই ভাইরাস সাধারণত হেপাটাইটিস B ভাইরাসের সাথে যুক্ত থাকে এবং শুধুমাত্র হেপাটাইটিস B ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিকেই আক্রমণ করে।
  • হেপাটাইটিস E (Hepatitis E): এই ভাইরাস সাধারণত দূষিত খাবার বা পানির মাধ্যমে ছড়ায়।

কোন ভাইরাস কোন মাধ্যমে ছড়ায়?

  • রক্তের মাধ্যমে ছড়ায়: হেপাটাইটিস B, C এবং D ভাইরাস প্রধানত সংক্রমিত ব্যক্তির রক্তের মাধ্যমে ছড়ায়। যেমন, সংক্রমিত সিরিঞ্জ ব্যবহার, অসুরক্ষিত যৌন সম্পর্ক, রক্তচাপ মাপার যন্ত্র, ট্যাটু করার সুই ইত্যাদির মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়াতে পারে।
  • খাদ্যের মাধ্যমে ছড়ায়: হেপাটাইটিস A এবং E ভাইরাস সাধারণত দূষিত খাবার বা পানির মাধ্যমে ছড়ায়। যেমন, দূষিত শাকসবজি, ফল, মাছ, মাংস ইত্যাদি খাওয়ার মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়াতে পারে।

মনে রাখবেন: হেপাটাইটিস একটি গুরুতর রোগ। তাই যদি আপনার হেপাটাইটিসের কোনো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

হেপাটাইটিসের সাধারণ লক্ষণ:

  • জন্ডিস
  • ক্লান্তি
  • বমি
  • পেট ব্যথা
  • জ্বর
  • ক্ষুধামান্দ্য

হেপাটাইটিস প্রতিরোধ:

  • নিরাপদ যৌন সম্পর্ক
  • পরিষ্কার পানি পান করা
  • ভালভাবে রান্না করা খাবার খাওয়া
  • হেপাটাইটিস বি এবং সি ভ্যাকসিন নেওয়া
2 weeks ago

রক্ত বাহিকা (Blood Vessels)

রক্ত বাহিকা (Blood Vessels)

রক্তবাহিকা তিন প্রকার। যথা- ধমনী, শিরা, কৈশিক জালিকা।

ধমনীর ভিতর দিয়ে নাড়ীর স্পন্দন প্রবাহিত হয়। ডাক্তার রোগীর নাড়ী দেখার সময় প্রকৃতপক্ষে ধমনীর স্পন্দন দেখেন। সাধারণ রোগীর হাতের কব্জিতে রেডিয়াল ধমনীতে (Radial artery) নাড়ীর স্পন্দন পরীক্ষা করেন। একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ ব্যক্তির গড় নাড়ীর স্পন্দন পরীক্ষা করেন। একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ ব্যক্তির গড় নাড়ীর স্পন্দন (Pulse rate) ৭২/মিনিট। প্রবাহমান রক্ত রক্তনালীর গায়ে যে পার্শ্বচাপ প্রয়োগ করে, তাকে রক্তচাপ বলে। রক্তচাপ দুই প্রকার। যথা-

ক) সিস্টোলিক রক্তচাপ (১১০-১৪০ মি.মি. পারদ)

খ) ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ (৬০-৯০ মি.মি. পারদ)

স্ফিগমোম্যানোমিটার (Sphygamanometer)এর সাহায্যে রক্তচাপ পরিমাপ করা হয়। ধরা যাক, এক ব্যক্তির রক্তচাপ ১২০/৮০ মি.মি. পারদ। এর অর্থ হলো ঐ ব্যক্তির সিস্টোলিক এবং ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ যথাক্রমে ১২০ এবং ৮০ মি.মি. পারদ। উচ্চ রক্তচাপ (Hypertension) হলো একটি রোগ। যখন কোন ব্যক্তির রক্তের চাপ সব সময়েই স্বাভাবিকের চেয়ে উর্ধ্বে থাকে। কোনো সুনির্দিষ্ট বিন্দু নেই যখন রক্তচাপ বিবেচনা করা হয় ‘উচ্চ’।

 

 

Content added By
Promotion