Job

৪৪তম বিসিএস লিখিত || 2022

All Question

বিশ্ব পর্যটনের নতুন গন্তব্য বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্ব

 

বিশ্ব পর্যটনের নতুন গন্তব্য বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্ব

বিশ্ব পর্যটনের নতুন গন্তব্য বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্বঅপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই শুধু নয়, বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্বও পর্যটকদের কাছে অন্যতম এক আকর্ষণ। কক্সবাজার, কুয়াকাটা, সুন্দরবনের মতো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থানগুলো ছাড়াও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলো বিশ্ব পর্যটনের নতুন গন্তব্য তৈরি করতে পারে বলে অভিমত সংশ্লিষ্টদের।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশে প্রায় সাড়ে ৪০০ প্রত্নতত্ত্ব স্থাপনা রয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে প্রায় ৫০টি প্রত্নস্থল খনন করে সেইসব এলাকার ইতিহাস পুনরুদ্ধার এবং স্থাপত্য কাঠামোর সংস্কার ও সংরক্ষণ হয়েছে। এসব ঐতিহাসিক নিদর্শন, জাদুঘর ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে পারলে প্রত্নতত্ত্ব পর্যটনে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ে সমন্বিত পদক্ষেপ নিলে বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

জানা গেছে, সারাদেশে রয়েছে ১৭টি প্রত্নতত্ত্ব জাদুঘর। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের লালবাগ জাদুঘর, বালিয়াটি জাদুঘর, রাজশাহী বিভাগের পাহাড়পুর জাদুঘর, মহাস্থান জাদুঘর, রবীন্দ্রকাচারী বাড়ি জাদুঘর, রংপুর বিভাগের তাজহাট জমিদার বাড়ি জাদুঘর, খুলনা বিভাগের রবীন্দ্রকুঠিবাড়ি জাদুঘর, এম.এম. দত্তবাড়ি জাদুঘর, রবীন্দ্রনাথের শ্বশুরবাড়ি, চট্টগ্রাম বিভাগের ময়নামতি জাদুঘর, জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর এবং বরিশাল বিভাগের শেরেবাংলা স্মৃতি জাদুঘর অন্যতম।

 

প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর প্রতি বছর নিয়মিতভাবে প্রত্নতাত্ত্বিক উৎখননের মাধ্যমে প্রত্নস্থলের স্থাপত্য নিদর্শন, আবিষ্কার, ধ্বংসপ্রায় পুরাকীর্তিসমূহের সংস্কার ও সংরক্ষণ করছে। পুরাকীর্তি জাদুঘরে এগুলোর প্রদর্শনীও হচ্ছে। গবেষণা, প্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানে যাচ্ছে দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ব পর্যটনের নতুন গন্তব্য বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্ব

বিশ্ব পর্যটনের নতুন গন্তব্য বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্বতবে সারাদেশে প্রায় সাড়ে ৪০০ প্রত্নতত্ত্ব স্থাপনা থাকলেও টিকিট বিক্রি হয়ে থাকে ২৪টিতে। গত অর্থবছরে এই খাতে ৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। কয়েক বছর আগেও পানাম সিটিতে কোনও টিকিটের ব্যবস্থা ছিল না। গত বছর টিকিট চালুর পর এখান থেকে ৪০ লাখ টাকা আয় হয়েছে বলে জানা যায়।

 

প্রত্নতত্ত্ব স্থাপনাগুলো বিশ্বজুড়ে পরিচিত করতে পারলে পর্যটনে নতুন মাত্রা যোগ হবে মন্তব্য করে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. মো আতাউর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সারাদেশের প্রায় সাড়ে ৪০০ প্রত্নতত্ত্ব স্থাপনা দেখতে দেশ-বিদেশের মানুষ আসেন। দিন দিন বিদেশিদের আগ্রহ বাড়ছে এগুলোর প্রতি। বৌদ্ধবিহারগুলোর প্রতি তাদের আগ্রহ বেশি। জাপান, চীন, কোরিয়া, শ্রীলংকার পর্যটকদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। এর মধ্যে প্রত্নতত্ত্ব নিয়ে গবেষণার কাজে নিয়োজিতদের সংখ্যা বেশি।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম ও হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. বদরুজ্জামান ভুঁইয়া কাঞ্চন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দেশের প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শনগুলো পর্যটন ক্ষেত্রে এখনও অনাবিষ্কৃত। প্রত্নতত্ত্ব পর্যটনের বিকাশের জন্য আগে সঠিক তথ্য ও গবেষণা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সম্পৃক্ত করতে হবে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে। তারা সম্পৃক্ত হলে ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ও পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে অনেকাংশে।’

ড. বদরুজ্জামান ভূঁইয়া কাঞ্চন আরও বলেন, ‘সঠিক তথ্য ও গবেষণার মাধ্যমে টেকসই পরিকল্পনা নিতে হবে। পুরাকীর্তি তথ্য বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে বেশি উদ্যোগ প্রয়োজন। পর্যটকের আগমনে পুরাকীর্তিসমৃদ্ধ এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, সেই সঙ্গে বৃদ্ধি পাবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড।’

বিশ্ব পর্যটনের নতুন গন্তব্য বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্ব

বিশ্ব পর্যটনের নতুন গন্তব্য বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্বপ্রত্নতত্ত্ব নির্দশন বিশ্বজুড়ে তুলে ধরা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে সরকারের ভূমিকা প্রয়োজন বলে মনে করেন ট্যুর অপারেটর জার্নপ্লাসের প্রধান নির্বাহী তৌফিক রহমান। তিনি একই সঙ্গে ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) পরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। জার্নপ্লাসের মাধ্যমে যুক্তরাজ্য থেকে বছরে প্রায় দেড় হাজার পর্যটক প্রত্নতত্ত্ব নির্দশন দেখতে বাংলাদেশে আসেন বলেন জানা যায়।

টোয়াব পরিচালক বলেন, ‘প্রত্নতত্ত্ব নির্দশনের স্থানগুলোতে পর্যটকদের উপযোগী আন্তর্জাতিক মানের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। আন্তর্জাতিক সভা সেমিনারের মাধ্যমে সরকারি উদ্যোগে দেশের প্রত্নতত্ত্ব তুলে ধরা জরুরি। আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিতি বাড়লে পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। প্রত্নতত্ত্ব নির্দশনগুলো সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে এবং পর্যটন বিষয়ক পৃথক আরেকটি মন্ত্রণালয় করে দুটি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।’

বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. নাসির উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দেশের যেসব প্রত্নতত্ত্ব নির্দশন রয়েছে সেগুলো আমাদের পর্যটনের অন্যতম উপাদান। প্রত্নতত্ত্ব নির্দশনগুলোর মধ্যে প্রাচীন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মন্দিরসহ বিভিন্ন স্থাপনা রয়েছে। ২০১৫ সালে ঢাকায় আন্তর্জাতিক বুদ্ধিস্ট কনফারেন্স আয়োজন করা হয়। ওই সম্মেলনের মাধ্যমে প্রত্নতত্ত্ব নির্দশনগুলো তুলে ধরা হয়। এর ফলে এখন আগের চেয়ে অনেক বিদেশি বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্ব দেখতে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন।তাই বেড়েছে বিদেশি পর্যটক।’

ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমরা সংস্কৃতি মন্ত্রী ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠক করে যৌথ পরিকল্পনা সাজিয়েছি। এর অংশ হিসেবে প্রত্নতাত্ত্বিক বিষয়াদি ভবিষ্যতে পর্যটন খাতে আরও বেশি সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

4 months ago

সুনীল অর্থনীতি বা Blue Economy অর্থনীতির এমন একটি বিষয় যেখানে একটি দেশের সামুদ্রিক পরিবেশ কিংবা সামুদ্রিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষন নিয়ে আলোচনা করা হয়। সুনীল অর্থনীতি বা ব্লু ইকোনমি হচ্ছে সমুদ্রের সম্পদনির্ভর অর্থনীতি। সমুদ্রের বিশাল জলরাশি ও এর তলদেশের বিভিন্ন প্রকার সম্পদকে কাজে লাগানোর অর্থনীতি।

5 months ago

ব্লু- ইকোনমি বা সুনীল অর্থনীতি হচ্ছে সমুদ্রের সম্পদনির্ভর অর্থনীতি। সমুদ্র পৃথিবীর অন্যতম মূল্যবান একটি প্রাকৃতিক সম্পদ। মৎস্যসম্পদের মাধ্যমে সমুদ্র খাবারের চাহিদা মেটায় এবং পণ্য পরিবহনের মাধ্যম হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। ২০১২ সালে আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে মিয়ানমার এবং ২০১৪ সালে ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি হওয়ায় মোট ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গ কিলোমিটারের বেশি সমুদ্র এলাকা এখন বাংলাদেশের। এছাড়া ২০০ নটিক্যাল মাইল একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল ও চট্টগ্রাম উপকূল থেকে ৩৪৫ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপানের তলদেশে সব ধরনের প্রাণীজ-অপ্রাণীজ সম্পদের ওপর বাংলাদেশের সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।

 

সমুদ্রসীমা বিজয়ের ফলে ব্লু ইকোনমির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দুই ধরনের সম্পদ অর্জন করেছে। এর একটি হলো প্রাণিজ, অপরটি অপ্রাণিজ। প্রাণিজের মধ্যে রয়েছে মৎস্যসম্পদ, সামুদ্রিক প্রাণী, আগাছা-গুল্মলতা ইত্যাদি। বঙ্গোপসাগরের বিপুল পরিমাণ আগাছা প্রক্রিয়াজাতকরণ করে বিভিন্ন রোগের ওষুধ তৈরি করা যায়। এসব আগাছার মধ্যে ইসপিরুলিনা যা অত্যাধিক মূল্যবান। সমুদ্রে শুধু মাছ রয়েছে প্রায় ৫০০ প্রজাতির, ৩৬ প্রজাতির চিংড়ি, ২০ প্রজাতির কাকড়া ও ৩৩৬ প্রজাতির শামুক-ঝিনুক রয়েছে। সেই সাথে রয়েছে শ্যালফিশ ,অক্টোপাস, হাঙ্গরসহ বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক প্রাণী। অপ্রাণিজ সম্পদের মধ্যে রয়েছে খনিজ ও খনিজ জাতীয় সম্পদ যেমন তেল, গ্যাস, চুনাপাথর ইত্যাদি। আরো রয়েছে ১৭ ধরনের মূল্যবান খনিজ বালু। যেমন জিরকন, রোটাইল, সিলিমানাইট, ইলমেনাইট, ম্যাগনেটাইট, গ্যানেট, কায়ানাইট, মোনাজাইট, লিক্লোসিন ইত্যাদি। যার মধ্যে মোনাজাইট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তা ছাড়া সিমেন্ট বানানোর উপযোগী প্রচুর ক্লে রয়েছে সমুদ্রের তলদেশে।

5 months ago

সমুদ্র অর্থনীতির সম্ভাবনার খোঁজে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি ২৬ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার।

 

সমুদ্র সম্পদ কাজে লাগিয়ে এর মাধ্যমে রফতানি শিল্পের প্রসার ঘটানো হবে। এ লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি অংশিদারিত্বের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ১৫টি মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও সংগঠন তাদের নিজ নিজ অবস্থানে থেকে এসব কর্মপরিকল্পনা সমন্বিতভাবে বাস্তবায়ন করবে।

পাশাপাশি এসব পদক্ষেপের যথাযথ বাস্তবায়নের স্বার্থে সরকারের অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্পের আওতায় মনিটরিং করা হবে। যার সাফল্য-ব্যর্থতা পর্যালোচনায় এরই মধ্যে গঠন করা হয়েছে মূল্যায়ন কমিটিও। এই কমিটি এখন প্রতি তিন মাস অন্তর অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়কে অবহিত করছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ মাসুকুর রহমান সিকদার স্বাক্ষরিত সমুদ্র সম্পদ আহরণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত কর্মপরিকল্পনায় তৈরি করা কার্যবিরণী পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

এতে দাবি করা হয়, স্বল্পমেয়াদি এক বছরের মধ্যে ৫টি পদক্ষেপ, মধ্যমেয়াদি এক থেকে দুই বছর মেয়াদে ১৩টি ও দীর্ঘমেয়াদি তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে ৭টি কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।

জানা গেছে, সমুদ্রে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনায় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবেলা এবং অন্যান্য সমস্যা নিরসনকল্পে বিভিন্ন গবেষণা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়নও সমুদ্র অর্থনীতির সক্ষমতা বাড়ানোর বড় নিয়ামক। এ বাস্তবতা থেকেই প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাকে এ বিষয়ে সমন্বিত উদ্যোগে কাজ শুরু করার তাগিদ দেয়। পরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ ইস্যুতে উদ্যোগী ভূমিকা নিয়ে এই কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, অর্থ, পররাষ্ট্র, শিল্প, নৌ, খনিজ ও জ্বালানি, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো, বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ, বাণিজ্যিক সংগঠন ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গবেষণা সংস্থা সমন্বিতভাবে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে।

স্বল্পমেয়াদে সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও নীতি প্রণয়ন : সমুদ্র সম্পদের মজুদ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, নৌপরিবহন এবং জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এ কাজ পরিচালনা করবে।

সম্ভাব্য রফতানিকারক চিহ্নিতকরণ এবং রফতানি বাজার সম্পর্কে অবহিতকরণ ও বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধকরণ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো, বিদেশে বাণিজ্যিক মিশন ও দেশের বাণিজ্যিক সংগঠনগুলো।

স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রকল্প তৈরি করবে। এতে সহযোগী হয়ে কাজ করবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, অর্থ, নৌ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়, এনবিআর ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো। এক বছর সময়সীমার মধ্যে এসব কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করবে।

মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা : সমুদ্র সম্পদের উৎপাদন, রফতানি ও বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে এসব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে। এসব কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে- সমুদ্র সম্পদ ব্যবহার করে অন্যান্য দেশের অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়িক অগ্রগতি সম্পর্কে বাস্তব ধারণা লাভ।

সমুদ্র থেকে আহরিত মৎস্য, সি-সল্ট, সি উইড, মুক্তাসহ অন্যান্য সম্পদ প্রক্রিয়াজাতকরণের সঙ্গে সম্পৃক্ত বেসরকারি খাতকে আর্থিক প্রণোদনা ও অন্যান্য নীতি সহায়তা প্রদান। সমুদ্র সম্পদের আহরণ, সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি সংগ্রহের লক্ষ্যে শুল্কমুক্ত আমদানি সুবিধা প্রদান।

শুল্ক প্রত্যর্পণ ও বন্ড সুবিধা প্রদান। সামুদ্রিক মৎস্য আহরণে মৎস্যজীবীসহ সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের নগদ সহায়তা প্রদান। বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে বাণিজ্যিক প্রতিনিধি দলকে বিদেশে প্রেরণ। সমুদ্র সম্পদ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতা আহরণ করা।

বিশেষ করে ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, নিউজল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, মরিশাস এসব দেশের সমুদ্র সম্পদ আহরণের সম্পর্কিত কর্মসূচি আয়ত্ত করা। এসব বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে অর্থ, পররাষ্ট্র খনিজ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়, এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংক, বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।

দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা : সমুদ্র সম্পদ আহরণের পর তা থেকে রূপান্তরিত পণ্যের উৎপাদন বা রফতানি বহুমুখীকরণের লক্ষ্যে ৩-৫ বছর মেয়াদি বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হবে। এ লক্ষ্যে গভীর সমুদ্রবন্দর থেকে মৎস্য আহরণের জন্য সরকারি ও বেসরকারি খাতের যৌথ উদ্যোগে উপযুক্ত প্রযুক্তি সংগ্রহ ও সংযোজন, সামুদ্রিক মৎস্যের ওপর ভিত্তি করে পণ্যের বহুমুখীকরণ ও মান উন্নয়ন করে রফতানি করার লক্ষ্যে একটি বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল গঠন, বহির্বিশ্বে বাজার খোঁজার ক্ষেত্রে বিদেশে বাণিজ্যিক উইংয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে। গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণে নিযুক্ত জাহাজগুলোকে ভর্তুকিতে জ্বালানি সরবরাহ, মাছ ধরার জন্য নির্মিত জাহাজ নির্মাণ খাতকে উৎসাহিত করতে বিশেষ প্রণোদনার পাশাপাশি জ্বালানি ও খনিজসম্পদ আহরণে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও জাহাজ আমদানিতে শুল্ক ও বন্ড সুবিধা প্রদান করা হবে।

 


 

5 months ago

ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড (Demographic Dividend) বলতে বোঝায়, কোনো একটি দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি যখন শ্রমশক্তিতে পরিণত হয়। অর্থাৎ পরনির্ভরশীল জনসংখ্যার চেয়ে কর্মক্ষম জনসংখ্যার হার বেশি হয়।

জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপি) মতে, ১৫ থেকে ৫৯ বছর বয়সি মানুষের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ বয়সি মানুষ তাদের শ্রম ও মেধা দিয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারে। আর বাংলাদেশের এখন বেশিরভাগ মানুষ (৬৮ শতাংশ) কর্মক্ষম। জনমিতির হিসেবে বাংলাদেশ ২০১২ সাল থেকে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের মতো সুবর্ণ সময় পার করছে, যা ২০৪০ সাল পর্যন্ত বিদ্যমান থাকবে।

1 year ago